Shadow

শিল্প নৈপুণ্য (দ্বিতীয়) – শালিনী নন্দী

শিল্প নৈপুণ্য (দ্বিতীয়)

শালিনী নন্দী

আমরা দৈনন্দিন কাজের চাপে নিজেদের যেসব প্রতিভা, শখ হারিয়ে ফেলছি, সেগুলোকে নতুন করে জাগানোর সময় এসেছে। রান্না করার শখ, ছবি আঁকার শখ, হাতের কাজ, গল্প লেখা, কবিতা লেখার শখ নতুন করে পুনরুজ্জীবিত হয়েছে মানুষের মধ্যে। এখানে তারই কিছু নিদর্শন তুলে ধরা হল।

                                                                                                   আঙুর গাছের ক্ষেত

দেখুন একটি সাধারণ কাচের বোতল (Decanter) কে কি সুন্দর করে সাজানো যায়। ধরুন যদি বোতলটাকে একটা আঙুর গাছের ক্ষেতের (grape yard) মত করা যায়, তাহলে কেমন হয়? দেখা যাক কি হয়!
বোতলটির গায়ে ফেভিকল লাগিয়ে টিসু পেপার জড়িয়ে, টিসু পেপার কেই রোল করে লতানো আঙুর গাছের রূপ দিতে হবে। একটু মোটা কাগজ, কেটে কেটে আঙুর গাছের পাতা তৈরি করে গাছের সাথে অল্প অল্প ফারাকে জুড়ে দিলে লতানো উদ্ভিদটি একদম আঙুর গাছের রূপ নেবে। আঙুর গাছে আঙুর না ঝুললে কি আর আঙুর গাছের ক্ষেত বলে মনে হবে? তাই টিসু পেপারে ফেভিকল মাখিয়ে গোল গোল করে আঙুর তৈরী করে নিন। এবারে এই আঙুর গুলো লতানো গাছটিতে ফেভিকল দিয়ে এমন ভাবে আঁটকে দিতে হবে যেন ফল গুলো গাছ থেকে ঝুলছে মনে হয়। তারপরে বোতলটিকে নিজের মতো করে রঙ করে তাকে সুন্দর করে সাজিয়ে নিন। কাচের বোতলটা নিজের নতুন রূপ দেখে যেমন খুশি, আপনিও তেমন নতুন কিছু সৃষ্টি করতে পেরে খুব আনন্দিত!
—————————————————————————-
                                                                                     বিভিন্ন ঘর সাজানোর জিনিস

ছোটবেলায় আমরা দাদু-দিদিমার সঙ্গে বাগানে বিভিন্ন ফুল ফলের গাছের পরিচর্যা করতে করতে, বাগানের মাটি নিয়ে কত খেলতাম! ছোট ছোট বল্, পাখি যা পারতাম বানিয়ে ফেলতাম মাটি দিয়ে। সারাগায়ে মাটি মাখতাম বলে মায়ের কাছে কত বকুনিও খেয়েছি। খেলার ছলে নিজের মনে যা আসতো তাই তৈরী করে ফেলতাম আমরা। তখন কি আর জানতাম, মাটি দিয়ে কত সুন্দর সুন্দর জিনিস তৈরী করা যায়! বড় হয়ে আমাদের অনেকেরই মনে হয়, যদি ভালো মাটি পেতাম, তাহলে কত কিই না বানিয়ে ফেলতাম! সাধ্য সাধনা করে কুমোরপাড়ার মাটি যদি যোগাড় করা যায় তাহলে সেই মাটি দিয়ে আমরা পেঁচা, কচ্ছপ, ব‍্যাঙের ছাতা, বিভিন্ন ঘর সাজানোর কত জিনিস তৈরী করে ফেলতে পারি!
***************************************************

শালিনী নন্দী পরিচিতিঃ
শালিনীর জন্ম ও বড় হয়ে ওঠা পুরোটাই প্রাণের শহর, ঐতিহ‍্যের শহর চন্দননগরে। সেন্ট অ্যান্থনী স্কুল, চন্দননগর থেকে মাধ্যমিক ও সেন্ট জোসেফ কনভেন্ট, চন্দননগর থেকে আই এস সি (ISC) পাশ করার পর বিজয় কৃষ্ণ গার্লস কলেজ, হাওড়া থেকে অঙ্কে অনার্স নিয়ে স্নাতক হন। অবসর সময়ে গান শুনতে আর সিন্থেসাইজার বাজাতে ভালবাসেন। ছোটবেলা থেকে ছবি আঁকার শখ। সেই শখটাকে এখন নিজের পেশা হিসেবে বেছে নেবেন বলে বর্তমানে Arena Animation এবং Multimedia তে মনোনিবেশ করেছেন। ছবি আঁকা ও কারুশিল্পের পাশাপাশি ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের পড়াতে ভালবাসেন। মাঝে মাঝে সময় পেলে অয়েল পেন্টিং ও করেন। এছাড়াও  আরও একটা শখ আছে, নতুন নতুন রান্নার রেসিপি নিয়ে চর্চা ও কেক বানাতে খুব ভালবাসেন। এই সমস্ত চর্চা ও ভালোলাগা নিয়ে শালিনী দিব্যি আছেন।

error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!