Shadow

প্রথম বর্ষপূর্তি

প্রথম বর্ষপূর্তি

চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পূজার শোভাযাত্রার ইতিকথা – অনির্বাণ সাহা 

চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পূজার শোভাযাত্রার ইতিকথা – অনির্বাণ সাহা 

আলোকপাত, কাশবন ৩
চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পূজার শোভাযাত্রার ইতিকথা অনির্বাণ সাহা  সরস্বতী নদীর পূর্বে ও ভাগীরথী নদীর পশ্চিমে অর্থাৎ সরস্বতী ও ভাগীরথী নদীর মধ্যভাগে অবস্থিত এই চন্দননগর। মনে করা হয় ভাগীরথী বা গঙ্গার চাঁদের মত বাঁকের থেকেই এই শহরের নাম হয়ে উঠেছে চন্দননগর। এই শহরের ইতিহাস বহু প্রাচীনকাল থেকেই যথেষ্ট সমৃদ্ধ। বহু শক্তি এই শহরে তাদের শাসনকালে আধিপত্য চালিয়েছে, শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ বছর এই শহর ছিল ফরাসিদের অধীনে। ফরাসিদের অধীনে থাকাকালীন সময়ে ফরাসিদের বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান ও রীতিনীতির মধ্যেও চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পূজা ছিল বিশেষভাবে আকর্ষণীয় ও উল্লেখ্য। চন্দননগর শহরে জগদ্ধাত্রী পূজার প্রচলনের  সঠিক তথ্য আজ পর্যন্ত পাওয়া যায় না। যা পাওয়া যায় তা কিছুটা গৃহীত সত্য এবং কিছুটা লোকমুখে প্রচলিত কাহিনী। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো চতুর্দশ শতকে মহোমহোপাধ্যায় শূলপাণি লিখিত "ব্রতকালবিবেক" গ্রন্থে, পঞ্চদশ-...
আম্মোর রুটি – বিদ্যুৎ পাল

আম্মোর রুটি – বিদ্যুৎ পাল

গল্প, বসন্ত সংখ্যা
  আম্মোর রুটি বিদ্যুৎ পাল গরমের রাত। ছোট্টো বারান্দার কোণে বসে রুটি তৈরি করছে মা। অন্ধকারে উনুনের লাল আলোয় ম্লান দেখাচ্ছে মায়ের মুখটা। এমন মুখ আম্মোর ভালো লাগে না। ও চায়, মা এই ঘরে, যেখানে ও বইখাতা ছড়িয়ে বসে আছে, এখানে, আলোর কাছাকাছি বসে রুটি করুক। ও মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে মাকে অনেক কথা বলবে। আজ বিকেলে কার সঙ্গে ভাব হয়েছে, কার সঙ্গে আড়ি হয়েছে, কার বাড়িতে ইয়া মোটা একজন লোক এসেছে, বলবে। অনেক কথা জিজ্ঞেস করবে। বাবা কখন আসবে, কাকু কখন আসবে, কাকুর বন্ধুরা আসবে কিনা। আম্মো বইখাতা ফেলে রেখে উঠে গেল মায়ের কাছে। পাশে এসে বসে পড়া আম্মোর দিকে একবার তাকাল মা। তারপর আবার উনুনের দিকে নজর দিল। তাওয়া নামিয়ে রুটিটা চিমটে দিয়ে ধরে উনুনের ওপর রাখল। গোল হয়ে ফুলে উঠল রুটিটা, পাশের বাড়ির বাবুয়ার চোখের মত – ভালুক দেখে যেমন গোল হয়ে উঠেছিল সেদিন। রুটিটা এক জায়গায় ফুটো হয়ে ভুস ভুস করে ভাপ বেরুল। উনুনে...
ঘুমন্ত পৃথিবী ঘর গাছ – দীপন মিত্র

ঘুমন্ত পৃথিবী ঘর গাছ – দীপন মিত্র

কবিতা, বসন্ত সংখ্যা
ঘুমন্ত পৃথিবী ঘর গাছ দীপন মিত্র রাতের আকাশ থেকে আমি আর ফিরব না আমি আর ফিরব না শৈশবের ঘর থেকে অলিগলি রাস্তা ঘাট সে শহর, ছাড়ে না আমায় প্রতিটা পথের গন্ধ আমার নিঃশ্বাসে বাস করে আমি আর ফিরবনা সে শহর থেকে কী ধূসর, শহরের পুবদিকে শেষ প্রান্ত ক্ষয়ে গেছে রেল গুমটি, প্ল্যাটফর্ম! যে পথ যতটা গেছে আরো যাবে, যাক অতীতের থেকে ফেরা যায় না কখনো ফাল্গুনের দ্বিপ্রহরে হঠাৎ ঝড়ের বেগে পাতারা আকাশ ছেয়ে ফেলে শিরীষ বৃক্ষের নীচে দাঁড়িও তখন…. ফিরব না বছর দশক যুগ ধরে আমি এক পাথরের মতো একটি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছি আমি আর ফিরব না, ফিরব না আর *****************************************      ...
সতীপীঠ কিরীটেশ্বরী – প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

সতীপীঠ কিরীটেশ্বরী – প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

আলোকপাত, কাশবন ২
  সতীপীঠ কিরীটেশ্বরী প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বৃষ্টির শব্দ, কড়কড় করে বাজের আওয়াজ, হ্যারিকেনের আলোয় এক গা ছমছম পরিবেশে দিদিমার কোলের ভেতর আরও একটু ঢুকতে পারলে মনে হয় ভালো হতো, এমন অবস্থায় দিদিমার মুখে অনেক অনেক গল্প শুনেছি তাঁর জীবনের। তার মধ্যে ঘুরেফিরে যে কথাগুলো বারেবারে এসেছে, তা হলো পুঠিয়া রাজবাড়ির কথা। রাজসাহী জেলার নাটোর মহাসড়কে অবস্থিত পুঠিয়া রাজবাড়ীর পাঁচআনা তরফের অন্যতম অংশীদার হিসেবে দিদিমার মুখে সেই সময়ের কথা শোনা খুব মনোগ্রাহী বিষয় ছিল। দিদিমার কাছেই শুনেছি বাণগাছির জমিদার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ায় রঘুনন্দন তাঁর ভাই রামজীবনের নামে জমিদারি পত্তন করেন। শুরু হয় নাটোর রাজবংশের ইতিহাস। রঘুনন্দন ও রামজীবন যখন ভাতঝাড়ার বিলে নাটোরের রাজপ্রাসাদ তৈরি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, তখন যে স্থান তাঁরা প্রাসাদের জন্য নির্বাচিত করেন, তা ছিল পুঠিয়া রাজবাড়ীর সম্পত্তি। পুঠিয়ার তদানীন্তন রাজা দ...
জীবনের গান – জয়ন্ত সরকার

জীবনের গান – জয়ন্ত সরকার

কবিতা, কাশবন ২
  জীবনের গান  জয়ন্ত সরকার   তখন আমি মগ্ন বিষণ্নতায় ক্লান্তি লুকোই রঙিন খামে ইচ্ছেগুলো করছি ফেরি - মনখারাপের সস্তা দামে।  স্রোতের টানে গা ভাসিয়ে ভালো থাকার মিথ্যে ভান তুমি তখন স্রোতের বিপরীতে বেড়ে চলে দূরত্বের পরিমাণ।  শিরায় শিরায় জমা স্মৃতি রক্ত স্রোতে বাড়ায় ব্যথা জীবন এখন শেষের পাতা অভিযোগ - অব্যক্ত কথা। ভাঙছে স্বপ্ন রোজ রোজ মৃত্যু - কত সম্ভাবনার ! মনের ঘরে একলা বসেও এগোয় জীবন বারংবার। ****************************************************** জয়ন্ত সরকার পরিচিতি: জন্ম এবং বড় হয়ে ওঠা সবুজ ঘেরা ডুয়ার্সের আলিপুর দুয়ার জেলার ফালাকাটা ব্লকের এক অখ্যাত গ্রাম ভুটানীর ঘাটে। ছোটোবেলা থেকেই বইপড়া আর বই সংগ্রহ করা, বর্তমানে একটি ক্ষুদ্র লাইব্রেরি ব্যক্তিগত সংগ্রহে রয়েছে। হাতে কলম উঠে আসে কলেজে পড়াকালীন সময়ে। জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের সবুজের কোলে অবস্থিত একটা গ্...

এসো শারদ প্রাতের পথিক – দেবলীনা সরকার

কাশবন ২, গান নাচ ও বাদ্য
https://youtu.be/6ifyWgVmXhw দেবলীনা সরকারঃ সাহিত্য সংস্কৃতির পরিবেশে বড়ো হয়ে ওঠা। পড়াশোনা সঙ্গীতশাস্ত্র নিয়েই। বিবাহসূত্রে তিনদশক ধরে দক্ষিণভারতে থাকাকালীন বিভিন্ন সাংগঠনিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাংলা সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দেবার কাজে যুক্ত থেকেছেন আন্তরিকভাবে। মিলে গিয়ে মিলিয়ে দেবার ভাবনাতেই কুলায় ফেরার জন্মলগ্ন থেকে যুক্ত হওয়া ।  ...
দেবী দুর্গা – দুটি ভিন্ন সত্তার প্রকাশ – পর্ণশবরী ভট্টাচার্য্য

দেবী দুর্গা – দুটি ভিন্ন সত্তার প্রকাশ – পর্ণশবরী ভট্টাচার্য্য

আলোকপাত, কাশবন ২
  দেবী দুর্গা – দুটি ভিন্ন সত্তার প্রকাশ ডঃপর্ণশবরী ভট্টাচার্য্য বঙ্গদেশে আশ্বিন মাসের গুরুত্ব শুধুমাত্র শারদোৎসবে, যার কেন্দ্রে আছেন দেবী দুর্গা। প্রচলিত বিশ্বাসে তিনি বাঙ্গালীর ঘরের মেয়ে, যাঁর শ্বশুরালয় কৈলাস এবং যিনি বছরের এই বিশেষ ঋতুটিতে স্বামী শিবকে ছাড়াই চার সন্তান সহ মর্তে অর্থাৎ পিত্রালয়ে আসেন। সুদূর কৈলাসবাসিনী মেয়ের পিতৃগৃহে ফেরা ও তদপুলক্ষে বাঙ্গালীর দুর্গাপূজার আড়ম্বর উদযাপন শুধুমাত্র উৎসব নয়, এক চিরন্তন ঐকান্তিক আবেগের দ্যোতনা যা বর্তমানে সর্বজনীন। বঙ্গদেশে দেবী দুর্গা পূজিতা হন মহিষাসুরমর্দিনী রূপে যার প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় মার্কন্ডেয় পুরাণে। মূলতঃ দানবদলনের জন্যই দেবতাগণ তাঁকে সৃষ্টি করেন এবং তাঁর দশ হাতে দশ প্রহরণ দান করে তাঁকে মহিষাসুর বধের উপযোগী করে তোলেন। দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন বা অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভ শক্তির জয়–দেবী দুর্গার অসুরবধ মূলতঃ এই বার্...
উদয়ন পণ্ডিতের অনুসন্ধানে – অনুপ মুখার্জী

উদয়ন পণ্ডিতের অনুসন্ধানে – অনুপ মুখার্জী

আলোকপাত, কাশবন ২
উদয়ন পণ্ডিতের অনুসন্ধানে অনুপ মুখার্জী বিশিষ্ট চিত্রপরিচালক সত্যজিৎ রায়ের 'হীরক রাজার  দেশে' দেশ-কাল-পাত্র ভেদে এক অমর সৃষ্টি। ছবিটিতে উদয়ন পণ্ডিতের যে চরিত্র সৃজন তা ছকে বাঁধা তাত্ত্বিক সমাজ বিপ্লবের ধারার থেকে ভিন্ন হয়েও একদিকে প্রাসঙ্গিক অপরদিকে গুপী বাঘার ইপ্সিত শান্তি (গুপী গায়েন বাঘা বায়েন ছবিতে)যে সমাজ ব্যবস্থার মৌলিক পরিবর্তন ব্যতীত সম্ভবপর নয় তাও পরিস্ফুট। সেই লক্ষ্যেই উদয়নকে পরিচালক  এই ছবিতে নায়কের আসনে বসিয়েছেন।এমন একটি মৌলিক আদর্শ চরিত্র এদেশের মাটির রূপ রস ভাষ্যে গড়ে উঠলেও এরকম কোনো ইতিহাস মানুষের সন্ধান কি লেখক পরিচালক পেয়েছিলেন?তারই অনুসন্ধানে এই আলোচনা। সিকিমের ছায়াতালঃ চলুন শিলিগুড়ি থেকে জোরথাং পেরিয়ে নয়াবাজার,জুম,চেখুং, সোরেং, কালুক,বার্মিক,হি-পাতাল, ছায়াতাল।দূরত্ব-১৪৫ কিমি,/মোটের উপর সারে পাঁচ ঘন্টার পথ।এর একপাশে রয়েছে ভার্সে সংরক্ষিত বনাঞ্চল পরিদর্শনের  আরেকটি প্...
বহে নিরন্তর অনন্ত আনন্দধারা – অপুর্ব রায় চৌধুরি

বহে নিরন্তর অনন্ত আনন্দধারা – অপুর্ব রায় চৌধুরি

কাশবন ২, গান নাচ ও বাদ্য
https://youtu.be/snhZ-9rzR8s অপূর্ব রায় চৌধুরি পরিচিতি কলকাতা নিবাসী অপূর্ব র জন্ম পুরুলিয়ায় ৷ ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি ভালোবাসা ৷ গান শিখেছেন প্রথমে  শ্রী দিলীপ গুহনিয়োগী ও পরে পন্ডিত জয়ন্ত বোসের কাছে ৷ বর্তমানে একটি বেসরকারী সংস্থায় চাকুরীরত এবং যে কোন ধরনের গানের রেকর্ডিং অ্যারেঞ্জার|
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!