Shadow

দেখবো এবার জগৎটাকে

ভ্রমণ সাহিত্য

উরাল নদীর কাশফুল – মোতাজিদ খুররম

উরাল নদীর কাশফুল – মোতাজিদ খুররম

কাশবন ৩, দেখবো এবার জগৎটাকে
উরাল নদীর কাশফুল  মোতাজিদ খুররম যাচ্ছি উরাল নদী দিয়ে কাস্পিয়ান সাগরের দিকে। নদীটা কাজাখস্তানে এঁকেবেঁকে গিয়ে পড়েছে কাস্পিয়ান সাগরে। সাগরে গালিয়া নামে একটা জাহাজ আছে। জাহাজটা তেল অনুসন্ধানের কাজ করছে। ঐ জাহাজটাই এবার আমার গন্তব্য। বারো-তেরো বছর ধরে আমি একটা অ্যামেরিকান এক্সপ্লোরেশন কোম্পানিতে কাজ করছি। কোম্পানির নাম ভেরিতাস জিওফিজিক্যাল। আমাদের সাইসমিক ক্রু পৃথিবীর নানা দেশে যায়,মাটির নিচে কোথায় তেলের খনি আছে খুঁজে বের করে। আমিও ঘুরে ঘুরে সেইসব দেশে গিয়ে কাজ করি। এই মুহূর্তে কাস্পিয়ান সাগরে কাজ করছে একটা দল। আমি সেখানে যাচ্ছি মাস দুয়েকের জন্য। কাজ শেষে দেশে ফিরে যাবো ছুটি কাটাতে। তারপর আবার অন্য কোথাও পাঠাবে কোম্পানি আমাকে অন্য কোনো দেশের জঙ্গলে,পাহাড়ে কিংবা মরুভূমিতে। এবারে কাস্পিয়ান যাত্রায় সঙ্গে আছে সেরিক। সে আমার কাজাখ ফ্রেন্ড,ফিলসফার এবংগাইড। একটু সকাল সকাল রওনা দেবো ভেবেছিলাম। ক্য...
ইতিহাসের কোচ হাজো ও মীর জুমলা – সুধীরঞ্জন মুখোপাধ্যায়

ইতিহাসের কোচ হাজো ও মীর জুমলা – সুধীরঞ্জন মুখোপাধ্যায়

কাশবন ৩, দেখবো এবার জগৎটাকে
ইতিহাসের কোচ হাজো ও মীর জুমলা সুধীরঞ্জন মুখোপাধ্যায় ৬০০-৬৫০ খ্রিষ্টাব্দ কামরূপের রাজা ভাস্কর বর্মণের জীবনকাল । গৌড়েশ্বর শশাঙ্কের সঙ্গে যুদ্ধে কামরূপের বাহিনী পরাজিত হয় এবং ভাস্কর বর্মণ ও তাঁর দাদা সুপ্রতিষ্ঠিত বর্মণ বন্দী হন । ইতিহাস নিজের খেয়ালে এগিয়ে চলে,তাঁরা মুক্তি পান। বাবা এবং দাদার অকাল মৃত্যুর পর কামরূপের সিংহাসনে বসেন কুমার ভাস্কর বর্মণ। প্রায় কাছাকাছি সময়ে থানেশ্বর রাজ রাজ্যবর্ধন শশাঙ্কের হাতে নিহত হন এবং থানেশ্বরের রাজা হন রাজ্যবর্ধনের ভাই হর্ষবর্ধন। টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতি,উত্তর ও পূর্ব ভারতে যুদ্ধের দামামা। ভাস্কর বর্মণ,  হর্ষবর্ধনের সঙ্গে মৈত্রী চুক্তি করেন এবং দু'জনের একই  শত্রু ছিলেন গৌড়েশ্বর শশাঙ্ক। ভাস্কর বর্মণ,হর্ষবর্ধন,শশাঙ্ক সকলেই হিন্দু (শৈব) ছিলেন,পরবর্তী কালে হর্ষবর্ধন বৌদ্ধ ধর্মের অনুরাগী হয়ে পড়েন। রাজা হর্ষবর্ধনের রাজধানী কনৌজ,গৌড়েশ্বর শশাঙ্কের রা...
অরোরার সন্ধানে – ভাস্বতী সাধুখাঁ (বসু)

অরোরার সন্ধানে – ভাস্বতী সাধুখাঁ (বসু)

কাশবন ২, দেখবো এবার জগৎটাকে
অরোরার সন্ধানে  ভাস্বতী সাধুখাঁ (বসু) বছর তিনেক আগে এপ্রিল মাসের এক রবিবার। স্টকহোমের কাজ সেরে চলেছি নরওয়ের দিকে। নরওয়ে মানে আমার কাছে এক অদৃশ্য হাতছানি-নিশীথ সূর্যের দেশ আর অরোরা বোরিয়ালিস। এর আগে একবার সপরিবারে নরওয়ের রাজধানী অসলো ঘুরে এলেও অন্যান্য ছোট শহরে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। এসব ভাবতে ভাবতে 'অসলো' স্টেশন থেকে ছোট একটি ট্রেনে চড়ে বসলাম লিলেহ্যামারের উদ্দেশ্যে। শহর ছাড়িয়ে দু'পাশে নৈসর্গিক দৃশ্য, বরফে ঢাকা উপত্যকা, তার মধ্যে দিয়ে দ্রুতগতিতে পোলার এক্সপ্রেস এর মত ছুটে চলেছে আমাদের ট্রেন। এদেশের সবচেয়ে বড় লেক 'যসা'(Mjosa), যা সম্পূর্ণ বরফে ঢাকা। প্রায় ঘন্টা দুয়েক পর তুমুল বৃষ্টির মধ্যে একটি ফাঁকা স্টেশনে ট্রেন আমাকে একা নামিয়ে দিয়ে চলে গেল। হোটেল বেশ কাছে,  কিন্তু এত বৃষ্টিতে পাহাড়ি রাস্তায় হাঁটা সম্ভব নয়, তাই বৃষ্টি থামতে বাইরে বেরিয়ে ট্যাক্সি ডেকে পৌঁছে গেলাম হোটেলে। হ...
হিমালয়ের পথে তৃতীয় কেদার তুঙ্গনাথ – শান্তনু মজুমদার

হিমালয়ের পথে তৃতীয় কেদার তুঙ্গনাথ – শান্তনু মজুমদার

কাশবন ২, দেখবো এবার জগৎটাকে
হিমালয়ের পথে তৃতীয় কেদার তুঙ্গনাথ   শান্তনু মজুমদার ২০১২ সালে সেপ্টেম্বর মাসের শেষে কেদারনাথ ধাম দর্শন করার পর আমাদের ইচ্ছে  ছিল তৃতীয় কেদার তুঙ্গনাথ দর্শনে।অবশ্য তা সম্ভব হয়  প্রকৃতিদেবীর সহায়তায়। সেসময় যমুনোত্রী ও গঙ্গোত্রীতে ধস নেমেছিল বলে অনেক যাত্রী তাদের যাত্রাসূচী পালটে অন্যপথে যায়।যারা ভুক্তভোগী তারা জানেন যে পাহাড়ে কোন পরিকল্পনা খাটে না। কখন কোথায় ধস নামবে, রাস্তাঘাট দুর্গম হবে আগের থেকে কেউ পূর্বাভাস করতে পারে না। আমাদের আশঙ্কা ছিল ভারী বৃষ্টিপাতে পথচলায় বিঘ্ন না ঘটে। মেঘলা আকাশ মুখ ভার করে আছে দুপুর থেকে।কেদার দর্শন করে দুপুর তিনটে গৌরীকুন্ডে ফিরেছি।আমাদের দলে আছেন সমাদ্দারদা,তাঁর এক শ্যালক সুবলদা ও সুবলদার ভায়রাভাই শম্ভুদা,আমার ভ্রাতৃপ্রতিম দেবদূত,পঙ্কজদা ও আমি।সমাদ্দারদা বয়সে বড়,প্রায় ৬৭ বছর বয়স কিন্তু মনের দিক থেকে নবীন,তুলনায় শম্ভুদা একটু চুপচাপ,শিক্ষক।সুবলদা চাকরী ও ব্যবস...
মনোরম মিজোরাম – পরাগ ভূষণ ঘোষ

মনোরম মিজোরাম – পরাগ ভূষণ ঘোষ

দেখবো এবার জগৎটাকে, প্রথম বর্ষপূর্তি
মনোরম মিজোরাম পরাগ ভূষণ ঘোষ একমাত্র জামাতার বদলির আদেশ গুয়াহাটি থেকে আইজল হওয়ায় মনে বেশ খুশীই হয়েছিলাম। যাক এবার তাহলে নর্থ ইস্টের সেই রাজ্যটি সম্পর্কে অনেক না জানা কথা জানতে পারবো। সে তার বদলির আদেশ মান্য করে আইজল চলে গিয়েছে আগেই। বাড়ি ভাড়া করে সংসার মোটামুটি গুছিয়ে রেখেছে, এই সংবাদ পাওয়ার পর মেয়েকে পৌঁছে দিতে এক সকালের এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে নেতাজি সুভাষ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চড়ে বসি। আমাদের ফ্লাইটটি  সরাসরি দমদম থেকে লেংপুই (আইজল)। মাঝে মাঝে আগের দিনের একই সময়ে সেই উড়ানটি আবার ভায়া হয়ে উড়ে যায় (ভায়া ইম্ফল বা গুয়াহাটি)। আইজল বিমানবন্দরটির নাম “লেংপুই এয়ার পোর্ট”। অসামান্য সুন্দর বললেও কম বলা হয়। ছোট্ট ছিমছাম বিমানবন্দরটিকে চারদিকে ঘিরে আছে পাহাড়। টেবিলটপ রানওয়ের পিছনে পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য্য সকলের নজর কেড়ে নিতে বাধ্য। প্রথম দর্শনেই আমি এই বিমানবন্দরের প্রেমে পড়ে গেলাম। এই ভালবাসা আ...
ইউরোপ ভ্রমণ (নবম পর্ব)-রোম আর ভ্যাটিকান,তারপর মিলান হয়ে দিল্লী ও কলকাতা – বিজিত কুমার রায়

ইউরোপ ভ্রমণ (নবম পর্ব)-রোম আর ভ্যাটিকান,তারপর মিলান হয়ে দিল্লী ও কলকাতা – বিজিত কুমার রায়

দেখবো এবার জগৎটাকে
ইউরোপ ভ্রমণ (নবম পর্ব)-রোম আর ভ্যাটিকান,তারপর মিলান হয়ে দিল্লী ও কলকাতা বিজিত কুমার রায় আজ আমাদের ছোট মেয়ের প্রথম বিবাহ বার্ষিকী তাই ওদের শুভেচ্ছা জানানো হলো। সকালে ব্রেকফাস্টের পরে পাদোভা থেকে রওয়ানা দিয়ে ৩ ঘন্টা পরে রোম পৌঁছালাম তবে সেদিন ইতালির জাতীয় দিবস থাকার জন্য প্যারেড এর আগে সব গাড়ি বাইরেই আটকে দিলো। এতে অবশ্য খানিকটা শারীরিক কষ্ট হলেও একটা অন্য অভিজ্ঞতা হলো। কারণ অগণিত ইটালিবাসী সুন্দর সাজগোজে শহরে রাস্তাতে বেড়িয়েছেন ও নানা জায়গাতে নাচ গানের উৎসব চলছে। রোমের ইতিহাস আড়াই হাজার বছরের বেশি পুরোনো। যদিও খ্রিষ্টপূর্ব ৭৫৩-এর কাছাকাছি সময়ে রোম প্রতিষ্ঠার সময়কাল থেকে রোমান পুরাণ উল্লেখিত,এই অঞ্চলে অনেক আগে থেকে মানব বসতি ছিলো,যার ফলে এটি ইউরোপের প্রাচীনতম অধ্যুষিত শহরগুলোর অন্যতম। লাতিনদের একটি মিশ্রণ থেকে শহরের প্রথম দিকের জনসংখ্যা সম্ভূত,এত্রুস্কান এবং সাবিন্স। অবশেষে, শহরটি ধা...
ইউরোপ ভ্রমণ (অষ্টম পর্ব): পিসা আর ফ্লোরেন্স – বিজিত কুমার রায়

ইউরোপ ভ্রমণ (অষ্টম পর্ব): পিসা আর ফ্লোরেন্স – বিজিত কুমার রায়

দেখবো এবার জগৎটাকে
ইউরোপ ভ্রমণ (অষ্টম পর্ব): পিসা আর ফ্লোরেন্স বিজিত কুমার রায় ওই নিয়ম মেনে সকাল সকাল তৈরি হয়ে ব্রেকফাস্ট সেরে ৮টার সময় বাস চালু। প্রায় চার ঘন্টার জার্নি পিসার দিকে। রাস্তার দুইধারে নানা ফলের বাগিচা আর মাঝে মাঝে মার্বেল পাথরের কোয়ারী। পিসার ছবি বহুবার আগেও দেখেছি কিন্তু সাক্ষাতে দেখে আর পিসা সহ ক্যাথিড্রাল দেখে সেই সময়ের পাথরের কারিগরী দেখার এক অপূর্ব অভিজ্ঞতা হলো। ভূমি থেকে অষ্টতলাবিশিষ্ট এ মিনারের উচ্চতা প্রায় ৫৬ মিটার। এর সর্বমোট ওজন প্রায় ১৪,৫০০ টন। বর্তমানে এটি প্রায় ৩.৯৯ ডিগ্রী কোণে হেলে রয়েছে। এর ২৯৪টি সিঁড়ি আছে। ১১৭৮ সালে মিনারটির তৃতীয় তলা নির্মাণের পর এটি হেলতে শুরু করে। নরম মাটিতে মাত্র তিন মিটার গভীরতায় এর ভিত্তি গড়ে তোলাই মিনারটির হেলে পড়ার মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এছাড়া মিনারের নকশাও এজন্যে কিছুটা দায়ী। অবকাঠামোটির নির্মাণকার্য শতাধিক বছর বন্ধ ছিল। কারণ প...
জয়রামবাটি মাতৃমন্দির – বিজিত কুমার রায়

জয়রামবাটি মাতৃমন্দির – বিজিত কুমার রায়

দেখবো এবার জগৎটাকে
জয়রামবাটি মাতৃমন্দির বিজিত কুমার রায় সারদামনি মাতার পূত জন্মস্থান জয়রামবাটি ভ্রমণের ইতিবৃত্য। যে গ্রামে জন্মিলা মাতাদেবী ঠাকুরানী। পুণ্যময়ী লীলা-তীর্থ ধামে তারে গণি।। শ্রীপ্রভুর পদরেণু বিকীর্ণ যেখানে। বিধাতার সুদুর্লভ তপস্যা সাধনে।। (শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণপুঁথি, অক্ষয়কুমার সেন) নবদ্বীপধামে দেবী বিষ্ণুপ্রিয়া জয়রামবাটি এলে সারদা সাজিয়া, জীর্ণ চীর বাসে নিজেরে ঢাকিয়া রাজলক্ষ্মী হ’লে যোগিনী।। (মণীন্দ্রকুমার সরকার) পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর মহকুমার অন্তঃপাতী জয়রামবাটি গ্রাম শ্রীশ্রীমা সারদা দেবীর পুণ্য জন্মস্থান। মা বলতেন–‘ওদের এখানে তিনরাত্রি বাস কত্তে বলো। এখানে তিনরাত্রি বাস কল্লে দেহ শুদ্ধ হয়ে যাবে,এটা শিবের পুরী কিনা।’ সত্যিসত্যিই মায়ের মন্দির নির্মাণের সময় ভিত খুঁড়তে গিয়ে পাওয়া গিয়েছিল একটি ছোটো কালো শিবলিঙ্গ। মাতৃমন্দিরের সিংহাসনে আজও সেটি পূজিত হয়। জয়রামবাট...
ঘৃষ্ণেশ্বর মন্দির,মহারাষ্ট্র – বিজিত কুমার রায়

ঘৃষ্ণেশ্বর মন্দির,মহারাষ্ট্র – বিজিত কুমার রায়

দেখবো এবার জগৎটাকে
ঘৃষ্ণেশ্বর মন্দির,মহারাষ্ট্র বিজিত কুমার রায় জ্যোতির্লিঙ্গ হল শিবপুরাণ গ্রন্থে উল্লিখিত ১২টিজ্যোতির্লিঙ্গ মন্দিরের অন্যতম। ঘৃষ্ণেশ্বরকেই সর্বশেষ জ্যোতির্লিঙ্গ মনে করা হয়। ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের দৌলতাবাদ থেকে ১১ কিলোমিটার ও আওরঙ্গাবাদ থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে বেরুল গ্রামে এই জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দিরটি অবস্থিত। মন্দিরটি ইলোরা গুহার কাছে অবস্থিত। আমি আমার কাজের সুবাদে বহুবার আউরঙ্গবাদ যেতাম। তারই মধ্যে একবার এই মন্দির দর্শনের সৌভাগ্য হয়েছিল। মন্দিরের গাত্র-অলংকরণে প্রাগৈতিহাসিক মন্দির প্রথা ও প্রাগৈতিহাসিক স্থাপত্যশৈলীর মিশ্রণ দেখা যায়। মন্দিরে রক্ষিত শিলালিপিটি এখানকার পর্যটকদের কাছে একটি বিশেষ আকর্ষণ। মন্দিরটি লাল পাথরের তৈরি। এতে পাঁচটি চূড়া দেখা যায়। বর্তমান মন্দিরটি অষ্টাদশ শতাব্দীতে নির্মিত। এর গাতে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি খোদিত আছে। কথিত আছে, বেরুলের শিবভক্ত উপজাতি-প্রধান ঘৃষ্ণেশ্বর...
জ্যোতিরলিঙ্গ দেওঘর – বিজিত কুমার রায়

জ্যোতিরলিঙ্গ দেওঘর – বিজিত কুমার রায়

দেখবো এবার জগৎটাকে
জ্যোতিরলিঙ্গ দেওঘর বিজিত কুমার রায় ঝাড়খণ্ডের সাঁওতাল পরগনা জেলার দেবগৃহ অর্থাৎ দেবতার ঘর আজ হয়েছে দেওঘর। বৈদ্যনাথ ধাম নামেও সমধিক খ্যাত। রেল স্টেশনও বৈদ্যনাথ ধাম। দেব লিঙ্গের শিবের পাঁচ আঙুলের ছাপে জড়িয়ে রয়েছে পুরাণ কাহিনি। ৭২ ফুট উঁচু মন্দিরে দেবতা কামনা লিঙ্গ এখানে বৈদ্যনাথ নামে খ্যাত। দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম বৈদ্যনাথ বা ভগবান শিবের মন্দিরটি এক গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু তীর্থ। ১৫৯৬ সালে এই মন্দির গড়েন রাজা পূরণমল। চকবন্দি, গোলাকার মন্দিরে পুষ্পমাল্যে ভূষিতদেবতার স্বরূপ দর্শন মেলে সন্ধ্যায় স্নান অভিষেক কালে। বিপরীতে ৯ অনাদি শিব ছাড়াও নানান দেবদেবী আছেন মন্দিরে। তেমনই আছে মন্দিরের উত্তরে ১৫০ সিঁড়ির ক্ষীরগঙ্গা দিঘি। ৬ কিমি দূরে গঙ্গা। ৫১ পীঠের এক পীঠ এই বৈদ্যনাথ ধাম, বিশ্বাস অনুযায়ী সতীর হৃদয় পড়েছিল এখানে। শিবপুরাণের কাহিনি অনুসারে, ত্রেতাযুগে লঙ্কা অধিপতি রাবণ চেয়েছিলেন যে তার রা...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!