Shadow

কালী মায়ের বোমা – সুলগ্না চক্রবর্তী

pc kolkata 361

কালী মায়ের বোমা

সুলগ্না চক্রবর্তী

দেশ তখন স্বাধীন হয়ে গেছে প্রায় ২১ বছর, মানে ১৯৬৮ সাল, দিল্লিতে বিপ্লবীদের এক সম্মেলনে আলোচনা চলছে বোম নিয়ে। চন্দননগর থেকে গেছেন অরুণচন্দ্র দত্ত ও মণীন্দ্রনাথ নায়েক। বক্তা বিভিন্ন বোম-এর অবশিষ্ট অংশ দেখিয়ে নিজের বক্তব্য পেশ করছেন। একটা বোমের টুকরো- টাকরা অংশ দেখিয়ে বললেন-“১৯১২ সালে এটি লর্ড হার্ডিঞ্জের ওপর ছোড়া হয়েছিলো। বোমের ওজন ছিলো দুই পাউন্ড।” 
ভিড়ের মধ্যে এক প্রবীণ বলে ওঠেন-“না এক পাউন্ড এগারো আউন্স ছিলো বোমটা।
“বক্তা একটু বিরক্ত হলেন তবে মুখে কিছু না বলে আবার শুরু করলেন-“বোমটি ছিল ৫ ইঞ্চি খাড়াই ও তিন ইঞ্চি ব্যাসের।”
আবার সেই প্রবীণ গলা তুলে বললেন-“না তো ওটা ছিল ৩.৩ ইঞ্চি খাড়াই ও ১.৬ ইঞ্চি ব্যাসের”।
এবার বক্তা বিরক্ত হয়ে বললেন-“আপনি কে আমি জানি না তবে আমি যা বলছি তা রেকর্ড দেখেই বলছি। এই রেকর্ড লিখেছেন মেজর টার্নার, ১৯১৪ সালে। তিনি ছিলেন একজন ইন্সপেক্টর।”
এবার চন্দননগরের আরেক প্রতিনিধি মুখ খুললেন-“বোমাটা যে ওরই বাঁধা। ওর থেকে কে বেশী জানবে? আপনারা চাইলে বস. ল আপনাদের তথ্য আবার পরিমার্জন করতে পারেন।”
ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসে চন্দননগরের বোম ছিলো একটা উল্লেখযোগ্য ব্যাপার। এই বোম সেই সময়ের ভারতের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত গেছে হাতে-হাতে। চন্দননগরের বোম বাঁধার ইতিহাস শুরু হয় ১৯০৫ সালের পর বঙ্গভঙ্গ ঘিরে। তবে সেই বোম যে খুব কার্যকর ছিলো তা নয়। চন্দননগরের কাছে মানকুন্ডু স্টেশনের কাছে প্রথম (১৯০৮ সালে) বোম প্রয়োগের ইতিহাস পাওয়া যায়। বিপ্লবী ভূপেন্দ্রনাথ দত্তের লেখাতে পাই যে কলকাতা থেকে বারীন ঘোষ তার বিশ্বাসভাজন লোকেদের নিয়ে চন্দননগরে এসেছিলেন এই কাজের জন্য। চন্দননগরের ভূমিপুত্র বিপ্লবী উপেন বন্দোপাধ্যায়ের লেখাতে বোঝা যায় তিনিও ছিলেন এবং চন্দননগরের বিপ্লবী সমিতিরাও জানতো। তবে বোমটা কলকাতা থেকে আনা হয়েছিলো। সেই ইতিহাসই পাওয়া যায়। ৫ই নভেম্বর, ১৯০৮ সাল বারীন ঘোষ,নরেন গোঁসাই,হৃষিকেশ কাঞ্জিলাল হাওড়া থেকে চন্দননগরে আসেন। পরে মেদিনীপুরের নারায়ণগঞ্জে ঘাঁটি আগলানো গ্রুপেরা কাজে লাগালো। প্রকৃত বোম আসার আগেই ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায় তার সন্ধ্যা কাগজে “কালিমায়ের বোমা” শীর্ষক নিয়ে যে লেখাটা লিখেছিলেন তা চন্দননগরে যে জনপ্রিয় হয়েছিলো তা জানতে পারা যায় চন্দননগর থেকে প্রকাশিত প্রজাবন্ধু পত্রিকা থেকে। সেখান থেকেই জানতে পারা যায় ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায় প্রত্যেক গৃহে কালীমায়ের বোমা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি এও বলেছেন এই বোম একহাতে নিয়ে ঘোরা যায় এতই হালকা এবং এই বোমকে কার্যকর করতে আগুনের দরকার নেই। মাটিতে জোরে ছুড়ে মারলেই ফেটে যায়।
হেমচন্দ্র দাস ফ্রান্স থেকে বোমা নির্মাণের কৌশল শিখে এলেন। কিন্তু চন্দননগরে এলো অন্যভাবে। সেটার ৫০ ভাগ হল আশার আলো আর বাকিটা হলো শঠতার ইতিহাস। চলে আসি মতিলাল রায়ের (প্রবর্তক এর সংঘ গুরুর) কথাতে। অরবিন্দ চন্দননগর থেকেই চিরকালের জন্য পন্ডিচেরি চলে যান ১৯০৯ সালে। যাবার আগে এক ব্যক্তির সাথে পরিচয় করান। তিনি হলেন সুরেশ চন্দ্র দত্ত। তিনি চন্দননগরের হাটখোলার ডাক্তার নগেন্দ্রনাথ ঘোষকে বোম তৈরি কৌশল শেখান। এরপর চন্দননগর গোঁদলপাড়ার মণীন্দ্রনাথ নায়েক ডাক্তার নগেন্দ্র ঘোষ এর কাছ থেকে সেই কৌশল শেখেন। মানিকতলা বাগানে হেমচন্দ্র দাসের বোম বানানো এবং উল্লাসকর দত্তের নিজের ল্যাবরেটরীতে বোম বাঁধা নিয়ে অনেকেই জানতো কিন্তু সুরেশচন্দ্রের নাম অখ্যাতই ছিলো এই ব্যাপারে বলে মন্তব্য করেছেন শ্রী মতিলাল রায়। প্রথমে ঠিক হয়েছিলো সুরেশচন্দ্র বরানগরে ব্যবস্থা করবেন। পরে চন্দননগরের আর এক বিপ্লবী শ্রীশচন্দ্র ঘোষ চন্দননগরই বোম বাঁধার কৌশল শেখানোর জায়গা ও অর্থের বন্দোবস্ত করেন।ধীরে ধীরে চন্দননগরে একটা বোম নির্মাণের কেন্দ্র গড়ে উঠলো। এই বোম বাঁধার জন্য অর্থ বল দিয়ে সাহায্য করেন শ্রী আশুতোষ নিয়োগী। আশুতোষ নিয়োগী ছিলেন ডাক্তার নগেন্দ্রনাথ ঘোষের ভাগ্নে । বোম প্রস্তুতির জন্য তিনি সোনার গিনি দান করেন। ১৯১০ সালে সেপ্টেম্বর মাসের পর মণীন্দ্রনাথ নায়েকের বাড়ি এসে ডাক্তার নগেন্দ্রনাথ ঘোষ বোম বাঁধা শেখাতেন। মণীন্দ্রনাথ নায়েক তখন রসায়নে এম.এস .সি করছেন। দুই মাসের ভেতর মণীন্দ্রনাথ বেশ ভালো ভাবে নিজের হাতে বোম বেঁধে সুরেশ চন্দ্র দত্তকে পাঠালেন‌। সুরেশ দত্ত বোমটা ভালো মানের বলে জানালেন। প্রথমে বোম বাঁধার জায়গা ছিলো মতিলাল রায়ের বাড়িতে। তারপর এই স্থানটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় প্রবর্তকের কাঠের কারখানাতে। তারপর চলে যায় মণীন্দ্রনাথের নিজের বাড়িতে। উল্লাসকর দত্ত ও সত্যেন্দ্রনাথ দাসও বোম বাঁধা শেখানোর জন্য চন্দননগরে অনেকবার এসেছেন, একথা প্রবর্তকের ম্যাগাজিন থেকে জানতে পারি। তবে মোতিলাল রায় যার কথা বারবার চন্দননগরের বোম তৈরীর পিছনের শক্তি বলে উল্লেখ করেছেন তিনি হলেন শ্রী আশুতোষ নিয়োগী ।
শুধু যে অর্থ সাহায্য করেছিলেন তা নয় অনেক নিষিদ্ধ বস্তু অতি গোপনে তিনি সংগ্রহ করে আনতেন। তার সোনার দোকান ছিলো। তাই সালফিউরিক ও নাইট্রিক অ্যাসিড প্রচুর পরিমাণে যোগাড় করে আনতে পারতেন। মোতিলাল রায়ের আর এক স্বর্ণকার বন্ধু সত্যচরণ কলকাতা ও চন্দননগর বাজার থেকে নিজের সোনার দোকানের নাম করে প্রচুর অ্যাসিড জোগাড় করে দিতেন।
এত অ্যাসিডের বোতল লোকচক্ষু এড়িয়ে গভীর রাতে মাটির তলায় পুঁতে রাখা হতো। একবার গঙ্গার ঘাটে যাবার রাস্তাতে মানে বোড়াইচন্ডীর শ্মশান ঘাটে যাবার রাস্তাতে অ্যাসিডের বোতল পোঁতার সময় শ্মশানের মুদ্দফরাস দেখতে পেয়ে যায়। সে পরে সোনা দানা কিছু পোঁতা রয়েছে ভেবে মাটি খুঁড়ে বোতলগুলো পায় ও বাইরে রেখে চলে যায়। সকালে যারা স্নান করতে ওই রাস্তায় দিয়ে যেত তারা পুলিশকে খবর দেয় ও পুলিশ বোতলগুলো বাজেয়াপ্ত করে চন্দননগর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। এরপর সেই সংবাদ ইংরেজদের কাছে যায় সেই বিষয়ে তারা অনুসন্ধান শুরু করে দেয় ও অনুসন্ধানের ফলে অনেক তথ্যই উঠে আসে। এর কিছু সময় বাদে কাউলীর গাড়ীতে বোমা পেয়ে ইংরেজ পুলিশ তদন্ত কমিটি বসায় এবং চন্দননগরের বোমা যে অতিশয় মারাত্মক তা অফিসিয়ালী বলা হয়। তারা এই বিষয়েও অবগত হয় যে কলকাতার গার্ডেনরিচ থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত বিপ্লবীদের একটা নেটওয়ার্ক আছে যেখান দিয়ে বোম ও রিভলবার এক হাত থেকে অন্য হাতে যায়। এই নেটওয়ার্কে চন্দননগরের শ্রীশচন্দ্র ঘোষ, মোতিলাল রায়, উপেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি, নরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি, মনিগোপাল মুখার্জি বহুবার বোম ও রিভলবার কলকাতায় বিপ্লবীদের হাতে তুলে দিয়েছেন।
আবার ফেরত আসি সুরেশচন্দ্র দত্তের কথাতে যিনি চন্দননগরে বোম বাঁধা  শেখাতে প্রথম আসেন । মোতিলাল রায়ের হাতে আশুতোষ নিয়োগী একরাশ গিনি তুলে দেন এই বলে “বোমার কাজে এই অর্থ নিয়োগ করুন”। এই পুরো অর্থই মোতিলাল রায় সুরেশচন্দ্রের হাতে তুলে দেন। বোমা প্রস্তুতি আরো এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য। সুরেশচন্দ্র সেই অর্থ নিয়ে বিলেতে চলে যান এবং ফেরত এসে কলেজের অধ্যাপক হিসাবে নতুন জীবন শুরু করেন। চন্দননগরের মোতিলাল রায় বা তার দেওয়া অর্থ সবই তখন সতীশচন্দ্র দত্তের কাছে অতীত হয়ে গেছে। কিন্তু সবকিছু সত্যই কি অতীত হতে পারে? চন্দননগরের সতীশচন্দ্র দত্তের তৈরি একটা বোম যায় অবিভক্ত বাংলার সিলেটের মৌলভীবাজারে পুলিশ কমিশনার গার্ডেন সাহেবকে মারার জন্য। সুরেশচন্দ্র দত্তের বোমা কৌশল বিপ্লবী যোগেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে শেখানো হয়, কিভাবে বোমার সাথে বারুদলিপ্ত একটা ক্যাপ যোগ করতে হবে। তারপর কয়েক ফোঁটা ফসফরাস সেই ক্যাপের মধ্যে ঢেলে নিক্ষেপ করতে হবে উপযুক্ত সময় বুঝে। এই উপযুক্ত সময় বুঝে সুরেশচন্দ্র দত্ত বোম তৈরীর অর্থ নিজের স্বার্থে লাগিয়েছিলো। আর যোগেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী না বুঝে নিজেই মারা যান। 
সময়টা ছিলো ১৯১৩ সালের মার্চ মাস। ১৯১৩ সালের ১৭ই মে লাহোরের অধুনা পাকিস্থানে লরেন্স গার্ডেন গেটে চন্দননগরের তৈরী বোম রাখা হয় ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবের গাড়ি লক্ষ্য করে। গাড়ি আসার আগে চাপরাসী ব্যাপারটা লক্ষ করে জুতো দিয়ে সরাতে গেলে তা বিদীর্ণ হয় ও চাপরাসী মারা যায়। অদূ্রেই ছিল বসন্ত বিশ্বাস। তাকে গ্রেফতার করা হয় ও ১৯১৫ এর ১১ই মে তারিখে তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হয়। এই বোম পাঠানোর ব্যবস্থাতে ছিলেন রাসবিহারী বসু, বোম গিয়েছিলো প্রবর্তক সংঘ থেকে। সিলেট ও লাহোরের কথা এই জন্যই দেওয়া হলো যে দুই জায়গা এখন ভারতের প্রান্ত ছাড়িয়ে দুই দেশে অবস্থিত। চন্দননগর বোমের নেটওয়ার্ক যে কি বিশাল ছিলো তা এই দুটি উদাহরণ থেকেই বোঝা যায়। 
একবার অনুশীলন সমিতি থেকে কানাইলাল সাহা নামে এক বিপ্লবী চন্দননগরে আশ্রয় নেন।  অনুশীলন সমিতির সদস্য হিসাবে চন্দননগর বিপ্লবীদের কাজকর্ম সে সহজে জেনে যায় ।এমনকি চন্দননগরের যেসব জায়গায় বোমা তৈরী হতো তাও সে জেনে যায় । পরে এই কানাইলাল পুলিশের জালে ধরা পড়ায় চন্দননগর গ্যাং-এর সব কথা ব্রিটিশ পুলিশ জেনে যায়। কুখ্যাত চার্লস টেগার্ড চন্দননগরের বিপ্লবীদের কেন্দ্রগুলো তল্লাশি চালাবেন বলে ফরাসী পুলিশকে জানায়। ফরাসী পুলিশ  কমিশনার মঁসিয়ে পমেজ টেগার্ড আসার কথা মোতিলাল রায়কে জানিয়ে দেয়। ১৯১৬-র শেষ দিকে চার্লস টেগার্ড ব্যাপক খানাতল্লাশি চালায়। বিপ্লবীদের কেন্দ্রতো বটেই এমনকি অরুনচন্দ্র সোম ও মণীন্দ্রনাথ নায়েকের বাড়িতেও বোমার সন্ধানে পুলিশ খানাতল্লাশি চালায়। প্রবর্তক সংঘে ম্যাপ নিয়ে ঢোকে পুলিশ। যে ঘরে বোমা তৈরী হয় সেখানে দাগ দেওয়া আছে দেখে মোতিলাল রায় বুঝতে পারেন কানাইলাল সাহা বলতে আর কিছু বাকি রাখেনি।
তবে আগে থেকে খবর পাওয়ার জন্য সবকিছুই সরানো হয়ে গিয়েছিল। তবু ট্রেগার্ড দেওয়ালে হলুদ চিহ্ন দেখে সেগুলো যে পিকরিক্ অ্যাসিডের ফিউম তা বুঝতে পেরে গেলেন ও দেওয়ালের বালি চেঁচে নিলেন পরীক্ষার জন্য। এরপর রক্ষিত-দে -ঘোষ কোম্পানির কাঠের গোলায় তাদের পা পড়লো। সেখানে মেঝের উপর দাগ দেখে মোতিলাল রায়কে গ্রেফতার করতে চাইলেন। কিন্তু বেঁকে বসলেন ফরাসী পুলিশ কমিশনার মঁসিয়ে পমেজ। কোনো সামগ্রী না পেয়েও কিভাবে ব্রিটিশ পুলিশ একজন ফরাসী নাগরিককে গ্রেপ্তার করতে পারে এই নিয়ে টানা তর্ক করে গেলেন চার্লস টের্গাটের সাথে। তাই শুধু নয় এও তিনি জানালেন যে পন্ডিচেরীর গভর্নর মঁসিয়ে মার্তিনো এই ব্যাপারে চন্দননগরে ফরাসী সরকারকে জানিয়েছে যে উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া যেন ব্রিটিশ পুলিশ ফরাসি কোনো নাগরিককে গ্রেফতার না করে।
প্রবর্তকের সংঘগুরু মোতিলাল রায়ের লেখাতেই পাওয়া যায় কিভাবে আগে গোল বোম হতো তারপরে লম্বা বোম প্রস্তুত করা হয়। এরপরে বোমের খোলের পরিবর্তন নিয়েও তিনি লিখেছেন। তবে পিকরিক অ্যাসিড যুক্ত বোম যে সব থেকে শক্তিশালী ছিলো এবং দীপাবলির রাতে তা ছুঁড়ে পরীক্ষা করা হয়েছে তা তিনি নিজের লেখাতে লিপিবদ্ধ করেছেন। তারপর সময় এগিয়ে গেছে। দেশ স্বাধীন হবার আগে চন্দননগরের প্রতিবেশী শহর তেলিনিপাড়াতে দাঙ্গার সময় বোমের আওয়াজ শুনেছে চন্দননগরবাসী। চন্দননগর যেদিন ভারতের সাথে মিশে গেলো সেই দিনও বোমের আওয়াজ শুনেছে চন্দননগরবাসী। তবে তা ছিলো আনন্দের। এরপর ক্রিকেটের বিশ্বকাপ জয়ের পরে উদ্বেল হয়েছে শহরবাসী, মিছিল বেরিয়েছে, বোম ফেটেছে। এখনো দীপাবলীর দিন শব্দবাজি নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও বোম ফাটে কিছু কিছু। এই সব বোম শুধু শব্দই করে। ঔপনিবেশিকদের ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলা বোমগুলো আজ ইতিহাসের পাতায়।
=========
*এই প্রবন্ধ লিখতে হুগলি জেলার চন্দননগরে অবস্থিত প্রবর্তক লাইব্রেরীর পুরানো ম্যাগাজিন ও জার্ণালের সাহায্য নেওয়া হয়েছে।চন্দননগরের বিপ্লবী মণীন্দ্রনাথ নায়েক,চারুচন্দ্র রায়,বসন্ত বন্ধোপাধ্যায়,উপেন্দ্রনাথ বন্ধোপাধ্যায়ের আত্মজীবনী পড়া হয়েছে। চন্দননগর লাইব্রেরীতে থাকা পুরানো সংবাদপত্র থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত তথ্যের (ইন্টারনেট থেকে) উপযোগ করা  হয়েছে।
*************************************
সুলগ্না চক্রবর্তী পরিচিতিঃ সুলগ্না চক্রবর্তী বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোলে মাষ্টার করলেও ভালোবাসার জায়গা হলো সাহিত্য ও ইতিহাস।বিভিন্ন পত্রপত্রিকা,রেডিওতে সুলগ্না চক্রবর্তীর প্রবন্ধ,গল্প,কবিতা এসেছে। ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের প্রজেক্টেও কাজের অভিজ্ঞতা আছে।

error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!