তুমি রবে নীরবে, নিভৃতে সংগোপনে
তীর্থঙ্কর সান্যাল
নীরা নেই, তবু আমার জীবনের সাথে ওতপ্রোত হয়ে মিশে আছে,
ধরা ছোঁয়ার বাহিরে,
নীরবে নিশ্চিন্তে সংগোপনে,
রোজ দেখা হয় মনের অলিন্দ গলিতে।
অভিজ্ঞতায় বুঝেছি নীরবতা কথা বলে,
চিত্য বিকলিত হয়ে,
আনন্দধারার প্লাবনে,
শোনা যেত পূর্ণতা, নীরবতার মাঝে।
নীরবতায় অপরূপ নির্জনতা,
সংগোপনে জেগে ওঠে শিল্পী সত্তা,
আঁধারে জীবনবোধের শিক্ষা,
নিভৃত যতনে উৎযাপন,শান্তির নীড় গড়া।
নীরবতা যখন কথা বলে শব্দ নিজের থেকে চুপ হয়ে যায়,
হয়তো পারস্পরিক বোঝাপড়ার জন্ম হয়,
সংগোপনে জ্ঞানের আরাধনা দীপ্ত হয়,
মুক্তধারা নিভৃতে যতনে পথ চলায়।
তোমার বিচ্ছেদ ব্যথা আমার সংগোপনের ইতিহাস,
হৃদয় নন্দন বনে অবসাদ,
নীরবতা শেখায় নির্ভীকতা,
নিভৃত যতনে স্থায়ী তোমার আমার ভালোবাসা।
**********************************
তীর্থংকর সান্যাল : ছাত্র – রামকৃষ্ণ মিশন।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এম.কম, এম এ (সাইকোলজি), এ সি এম এ (কস্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট) ও এ সি এস (কোম্পানি সেক্রেটারি)
রামকৃষ্ণ মিশনের ত্রয়োদশ প্রেসিডেন্ট স্বামী রঙ্গনাথানন্দ দ্বারা দীক্ষিত। মা ও বাবা স্বাধীনতা সংগ্রামী ও শিক্ষক-শিক্ষিকা।
পেশা : বহুজাতিক কোম্পানির সিইও ও মেন্টর ছিলেন। বর্তমানে হিউম্যান সিগমা ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্সি সংস্থার সিইও।
লেখালেখি,গান ও সমাজসেবায় নিজেকে ব্যাস্ত রেখেছেন।