Shadow

নিশীথ চারিণী – মধুমিতা মিত্র

PC Madhumita Mitra

নিশীথচারিণী

 (সত্য ঘটনা অবলম্বনে)

মধুমিতা মিত্র

দলমা পাহাড়ের কোলে,পাহাড় কেটে করা ইস্পাত নগরী ভারতবর্ষের মানচিত্রে শিল্পশহর হিসেবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ইস্পাত নগরী হলে কি হবে?-এখানকার মানুষ গুলি কিন্তু লৌহ মানব নয়। লোহা তৈরীর সঙ্গে সঙ্গে প্রায় প্রতিটি ঘরেই রয়েছে সূক্ষ্ম শিল্প কলার সমাদর। প্রায় সকলেই নিজেরাও নানা রকমের শিল্পকলার চর্চায় নিজেদের যুক্ত তো রাখেনই,ঘরে ঘরে ছেলেমেয়েরাও সঙ্গীত,নৃত্য,বাদ্য,অঙ্কন,আবৃত্তি,নাটক সমস্ত ধরনের চারুকলাই পড়াশোনার পাশাপাশি তীব্র আগ্ৰহে এবং ভালোবাসায় চালিয়ে যায়।
হেন ইস্পাত নগরীতে বছর বছর নানা চারুশিল্পকলার বিবিধ প্রদর্শনী,অনুষ্ঠান,প্রতিযোগিতা লেগেই থাকে। এরকমই একটি প্রতিযোগিতার সঙ্গে যুক্ত বিভাস।লৌহ নগরীর দক্ষিণ প্রান্তের উপনগরীর একটি বিখ্যাত ক্লাব ইমন কল্যাণ সঙ্ঘ আয়োজিত প্রতিযোগিতা ইস্পাত নগরীর যথেষ্ট মান্যগণ্য প্রতিযোগিতা।ইমন কল্যাণ সঙ্ঘ ইস্পাত নগরীর বেশ পুরোনো একটি ক্লাব এবং ছোট্ট শহরটির সাংস্কৃতিক আন্দোলনে এর বেশ বড়ো একটা ভূমিকা রয়েছে। ইস্পাত নগরীর দক্ষিণতম কোণে অবস্থিত এই উপনগরীটি কিন্তু ইস্পাত নগরীর সমস্ত অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশী মনোরম। একেবারে পাহাড় কেটেই এই উপনগরীর পত্তন। পাহাড়ের উঁচু নীচু ঢালে,গাছ গাছালিতে,চওড়া পরিচ্ছন্ন রাস্তায় এই অঞ্চলটি একেবারে ছবির মতো। কারাখানাটিও চমৎকার,ঝাঁ চকচকে,চরম আধুনিক প্রযুক্তি এবং সরঞ্জামে ভরারাস্তার বাঁকে বাঁকে নয়নাভিরাম গাছের সারি,সুদৃশ্য বাংলো কোয়াটার্সগুলি,একতলা জোড়া কোয়াটার্স কিংবা সুন্দর চারতলা ফ্ল্যাট সিস্টেমের কোয়াটার্স গুলিও টাউনশিপের শোভা বর্ধন করে। কোথাও কোথাও কোয়াটার্সরা একটু ঘন হলেও,সামনের চওড়া রাস্তায় আর বড়ো বড়ো মহীরুহের সন্নিবেশ ঘিঞ্জি কলোনীর অসৌন্দর্যের হানি ঘটায়। মোট কথা ইস্পাত নগরীর দক্ষিণের এই উপনগরীটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে এবং পরিকাঠামোগত চারুশীলতায় অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন,মনোহারী।
স্হানের বর্ণনা শেষে এবার আসি কাল এবং পাত্রের বিবরণে। আগেই বলেছি যে ইমন কল্যাণ সঙ্ঘ ইস্পাত নগরীর একটি পুরোনো ক্লাব এবং যথেষ্ট ঐতিহ্য সম্পন্ন।এই ইমনকল্যাণে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে,সময়টা মার্চএপ্রিল। মূলতঃ সঙ্গীত,নৃত্য এবং আবৃত্তি এসবেরই প্রতিযোগিতা হয় এখানে। বেলা দুটো থেকে শুরু হয়,শেষ হওয়াটা নির্ভর করে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্ৰহণকারীদের সংখ্যার ওপর।প্রতিযোগীরাও যেমন শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন তেমনই বিচারকেরা শহরের নানান জায়গা থেকেই আসেন। পুরুষ বিচারকদের সঙ্গে সঙ্গে মহিলা বিচারকদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। প্রতিযোগিতা শেষ হতে হতে যদি রাত হয়ে যায় উদ্যোক্তাদের কোনো একজন,মহিলা বিচারকদের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেবার দায়িত্ব নেন। বিভাস তেমনই একজন কর্মী উদ্যোক্তা। মধুরিমা থাকেনইমন কল্যাণ সঙ্ঘের তিন চার কিলোমিটার দূরে।তিনি নৃত্য বিভাগের বিচারক।নৃত্য বিভাগে অংশগ্ৰহণকারী বিপুল সংখ্যক। প্রতিযোগিতা শেষ হতে হতে প্রায় রাত বারোটা।বিভাস প্রতি বছরই মধুরিমা কে রাতে বাড়ী পৌছে দেন। মধুরিমা থাকেন তাঁর নিজের স্কুটারে আর বিভাস ওঁর মোটর বাইকে। মধুরিমার বাড়ির সামনে অবধি যাওয়ার কথা বিভাসের,মধুরিমা বাড়ি পৌঁছে বাড়ির গেট খুলে ঢুকে গেলে বিভাস তাঁর বাইক ঘুরিয়ে  বাড়ির দিকে রওনা দেন। সেবার একদিনে নৃত্য প্রতিযোগিতার অংশগ্ৰহণকারীদের নাচ শেষ হলো না। পরের দিন মধুরিমাকে ফের যেতে হলো প্রতিযোগিতার বিচার করার জন্য।ইমন কল্যাণ সঙ্ঘের বাইরে যে প্রশস্ত বাগান সেখানেই প্রতিযোগিতা শুরুর আগে সঙ্ঘের সব উদ্যোক্তা,প্রতিযোগীএবং বিচারকেরা মিলিত হন। মধুরিমা পরের দিন দুপুরে দেখেন বিভাস বাবু কেমন বাজ পড়া চেহারায়,বিভ্রান্ত এক দৃষ্টিতে বাগানের এক কোণে দাঁড়িয়ে আছেন। বিভাসের অস্বাভাবিক চেহারা,শরীরী ভঙ্গিমা আর আচরণ দেখে মধুরিমা এগিয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন-“আপনাকে আজ এমন লাগছে কেন বিভাস বাবু?”-বিভাস তখন চমকে ভীত সন্ত্রস্ত গলায় মধুরিমাকে যা শোনালেন মধুরিমা তা শুনে একেবারে স্তম্ভিত।
সেদিন রাতের বেলায় মধুরিমা  যখন তাঁর বাড়ির গেট পার হয়ে সদর দরজায় লাগানো বন্ধ তালাটি খুলে বাড়িতে পা দিয়েছেন,সেই সময়তেই বাইরের ঘরের ওয়াল ক্লকে বারো বার ঘন্টা ধ্বনি হল। বিভাস বাবু তখন মোটর বাইকের মুখ ঘুরিয়ে তাঁর নিজের বাসস্থান অভিমুখে।মধ্য রাত্রিতে প্রয়োজনে বিভাসকে অনেক বারই কলোনীতে ঘোরাঘুরি করতে হয়েছে।কখনো মাঝরাতে বা গভীর রাতে স্টেশন থেকে নেমে বাড়ী ফেরৎ যেতে হয়েছে।বিভাস সাহসী না হলেও ভীতু নন,এমন যাতায়াত তাঁকে খুব একটা কিছু ভাবায় না। আর এই শহর তো তার আবাল্যের শহর,কলোনীর রাস্তার প্রতিটা কাঁকড় তাঁর চেনা,রাস্তায় চুরি-ছিনতাই এর কোনো বালাই নেই।অত‌এব নিশ্চিন্ত মনে বিভাস মনের আনন্দে ই গাড়ী ওড়ালেন।বিভাসকে তাঁর বাড়ি যেতে বেশ পাঁচ কিলোমিটার মতো পথ পেরোতে হবে। সেদিন কিন্তু একটু দূর বাইক চালানোর পরেই কিরকম জানি একটা অস্বস্তি বিভাসকে চেপে ধরতে লাগলো,চ‌ওড়া ঝকঝকে উত্তল,অবতল রাস্তা। বাইক এগোচ্ছে তার আপন গতিতে কিন্তু পরিবেশ কেন এমন থমথমে গুমোট বেঁধে রয়েছে? আগেও গভীর রাতে প্রয়োজনে যাতায়াতে কখনো তো এমন লাগে নি! রাস্তা তো তেমন‌ই চ‌ওড়া ঝকঝকে কিন্তু আলো গুলো কেমন যেন ম্রিয়মাণ। মধুরিমা কে বাড়ী পৌঁছুতে নিয়ে যাবার সময় তো এরকম টা মনে হয় নি! তখন চারি দিকটা তো দারুন স্বাভাবিক‌ই ছিল। আকাশের দিকে নজর মেলে দেখলেন আকাশে একটাও তারা নেই। গোটা আকাশ লাল হয়ে আছে।ঐ দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে কি একটু মেঘ জমেছে?-তাহলে কি ঝড় আসছে? রাস্তার দু পাশের বড়ো বড়ো মহীরুহরা স্তব্ধ হয়ে অপেক্ষারত ঝড়ের আশঙ্কায়।অন্য সময় মাঝরাতেও বেশ দু চারটে বাইক নয়তো গাড়ী হুশ হাশ বেরিয়ে যায়।আজ কেউ কোত্থাও নেই। হঠাৎ কালো একটা কুকুর বিভাসের বাইকের সামনে এসে পড়লো।বিভাস বাইকের ব্রেক দিতেই কুকুরটা কেমন একটা আর্তনাদ করে বিভাসের দিকে চাইতেই বিভাসের হাড় হিম হয়ে গেল! দূরে কোন্ রাতজাগা এক পাখি কি বিশ্রী ভাবে ডেকে উঠলো! কানের পাশ দিয়ে একটা বাদুড়‌ই হবে বোধহয়,ঝটপট করে ডানা ঝাপটিয়ে বিভাসকে আরও হতভম্ব করে উড়ে গেল।অন্য রাত গুলিতে নিরিবিলি রাস্তায় উদ্দাম বাইক চালিয়ে বিভাস তাঁর সেই প্রথম যৌবনের আনন্দ উপভোগ করেন,কিন্তু সেদিন এ-সব কি হচ্ছে? চ‌ওড়া ঝকঝকে স্বপ্ন মায়াময় রাস্তাগুলি আজ যেন শ্মশানের নীরবতার পরিবেশে সাপের মতো লম্বা হয়ে নিজেদেরকে বিছিয়ে রেখেছে পাহাড়ের ঢালে–চড়াই উৎরাই এর ছন্দে। এই চেনা,খুব পরিচিত রাস্তাতেও বিভাসের বেশ কেমন গা ছমছম করতে লাগলো।
উপনগরীর কলোনীতে ঢোকার মুখেই রাস্তা যেখানে অনেকটা উঠে আবার ঢালু হয়েছে মেয়েদের শিক্ষা নিকেতন স্কুলের ঠিক সামনেঢালুর শেষের প্রান্তে সাদা বিন্দুর মতো কি একটা দেখা গেল বোধহয়,এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে সাদা বিন্দু টিকে মনে হতে লাগলো যেন একটা মনুষ্যমূর্তি। যাক্-বাবা বিভাস তা-ও একটু নিশ্চিন্ত বোধ করতে লাগলেন। বাইকের সঙ্গে বিন্দুটির দুরত্ব কম হতে বোঝা গেল শুভ্র বসনা এক ললনা দাঁড়িয়ে সেখানে। আরো কাছে আসতে দেখা গেল সে হাত নাড়াচ্ছে,লিফ্ট চাইছে। এবার বিভাস পড়লেন বিপাকেএত রাতে সুন্দরী,সুসজ্জিতা মহিলা কে লিফট দেওয়া ঠিক হবে কিনা এই ভেবেই দোলাচলে বাইকের গতি কেমন অনিচ্ছাকৃত ভাবে শ্লথ হয়ে এল।অল্প বয়স্ক সুন্দরী মেয়েটির আকর্ষণের মোহে বিভাস নিজে নয় যেন,তার অত পুরোনো বাইকটিই নিজেই নিজের গতিকে রুদ্ধ করলো। ততক্ষণে বিভাস নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারা,সুন্দরী সুবেশী তনয়া এক অদ্ভুত হাসি দিয়ে বিভাসের পেছনে বাইকে চড়ে বসলো। সেই হাসিতে,চোখের ঝিলিকে বিভাসের সর্বাঙ্গে ৪৪০ভোল্টের বৈদ্যুতিক তরঙ্গ বইছে কিন্তু বিভাস নাচারবিভাস তখন অন্য কোনো এক ইচ্ছাশক্তির দাস। নিজস্ব অনুভূতি বলতে সেই তীব্র বৈদ্যুতিক তরঙ্গ প্রবাহের অনুভব।আজন্ম কলোনীর সব চেনা রাস্তা কেমন গুলিয়ে যেতে লাগলো।সেই স্তব্ধ,কেমন অন্যরকম গা ছমছম পরিবেশে,শরীরে বিদ্যুৎ তরঙ্গ খেলে যাওয়ার অনুভূতিতে,বাইকের গতি যেন বাইকটির‌ই স্ব মর্জিতে এসে থামলো কলোনীর M টাইপকোয়াটার্সের সামনে।আচমকা তীব্র এক ঝাঁকুনির পর বিভাস চেয়ে দেখলেন পিছনের আরোহিনী লীলায়ত ভঙ্গিতে কোয়াটার্সের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে। বিল্ডিং ওঠার ঠিক মুখেই পেছনে মুখ ফিরিয়ে বিভাসের দিকে তাকিয়ে সেই অদ্ভুত হাসি,চোখের তারায় অপার্থিব সেই ঝিলিক। নিয়ন্ত্রণ হারা বিভাস তখন তার পেছনে অনুসরণ করে এসে থামলো চারতলা বিল্ডিং এর তিনতলার একটি ফ্ল্যাটে।ফ্ল্যাটের দরজায় আঘাত করতেই দরজা খুলে এক মধ্যবয়সী মহিলা তন্দ্রাচ্ছন্ন বিরক্তি মাখা মুখে দরজা খুলেই স্বগতোক্তি করলেন-“আজ আবার!”বিভাসের তখন নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ ফিরে এসেছে। লজ্জিত মুখে ক্ষমা চাইতেই ভদ্রমহিলা তাড়াতাড়ি বললেন ক্ষমা চাওয়ার কিছু নেইএরকম ঘটনা মাসে দুতিন বারই ঘটে।বিভাস অবাক হয়ে তাকাতেই দরজার উল্টো দিকে দেখে সেই মেয়েটির ফটো এবং তাতে মালা দেওয়া। বিভাস এবার আবার অসুস্থ বোধ করতে লাগলেন। ভদ্রমহিলা তখন ঐ অত রাতে বিভাসকে ভেতরে বসার জন্য অনুরোধ করলেন। ততক্ষণে ঘুম চোখে উঠে এসেছেন বাড়ির গৃহকর্তাও। বিভাস এতটাই অসুস্থ বোধ করছিলেন যে সেই মূহূর্তে তিনি ঘরে ঢুকে বসতে বাধ্য হলেন। ভদ্রমহিলা এবার বলতে শুরু করলেন যে তাঁর এই একটিমাত্র সন্তান। বিয়ে ঠিক হয়েছিল। ঘাটশিলায় মামার বাড়ি থেকে আইবুড়ো ভাতের নেমন্তন্ন খেয়ে রাতের ট্রেনে বাড়ি ফিরছিল। স্টেশন থেকে অটো তে আসার পথে কোনো এক ডাম্পার অটো কে ধাক্কা মারে। অটো থেকে ছিটকে পড়ে আর চোখ খোলেনি মালিনী। বিয়ে তার হলো না,কিন্তু পুরুষ সঙ্গীর আকাঙ্খায় তারপর থেকেই মাসে দুতিন বারই মাঝ রাস্তায় একা কোনো পুরুষকে গাড়ীতে বা বাইকে দেখলে তাকে নিয়ে বাড়ি পর্যন্ত আসে।সব শুনে বজ্রাহত বিভাস! অবাক্ হয়ে ভাবতে লাগলেন মেয়েটির অতৃপ্ত আত্মা তাঁকে সঙ্গী করে নেবে বলেই কি প্রকৃতিও সেই অনুসারে আয়োজন করে রেখেছিলেন! সেজন্যই  কি রাতের আকাশ গিয়েছিল মেঘে ঢেকে! কলোনীর নন্দন কাননের সৌন্দর্য পরিণত হয়েছিল শ্মশান -স্তব্ধতায়! একি অদ্ভুত আঁতাত প্রকৃতি আর ঐ বিদেহী অতৃপ্ত আত্মার মধ্যে!
বিভাসের মুখে এই কাহিনী শুনে দিনেদুপুরে দরদর করে ঘামতে লাগলেন মধুরিমাকারণ বিভাসের সঙ্গে রাস্তা দিয়েই মধুরিমা ফিরেছিলেন তাঁর বাড়িতে এবং মধুরিমাকে  ওর বাড়ি পৌঁছে দিয়ে ফিরতি পথেই  বিভাসের এই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা!
***************************
This image has an empty alt attribute; its file name is --150x150.jpg
মধুমিতা মিত্র: পেশা–স্বপ্ন দর্শন,স্বপ্ন গুলো ই বাঁচিয়ে রাখে,
নেশা–আনন্দ চয়ন,জীবন পথের সমস্ত জঞ্জাল,বোঝা,দুঃখ সব দূর করে ফেলে দিয়ে আনন্দ কুড়িয়ে বেড়ানো,
প্রেম-রবীন্দ্রনাথ,উদয়শঙ্কর,উত্তমকুমার। সাম্প্রতিকতম প্রেম শ্রীকৃষ্ণ..

 

2 Comments

  • ঋতুপর্ণা রুদ্র

    বেশ অন্যরকম গল্পটি। ভাল লাগল। লেখিকার আরও লেখা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

    • Madhumita Mitra

      অনেক অনেক ধন্যবাদ আর ভালোবাসা ❤️❤️❤️ ঋতুপর্ণা…

Comments are closed.

error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!