
শিরোনাম :: “প্রেমানল”
কলমে :: মেঘদূত
দিয়েছ তুমি ভোরের ঠিকানা, এনেছ প্রেমের জোয়ার,
জীবনের বাগে ফোটালে কুসুম, খুলেছ মনের দুয়ার।
শেখালে সকল শিল্পীর কাজ, মূরতি গড়িতে প্রেমের,
তুলিতে মাখালে স্বর্ণালী রঙ, নিঙাড়ি নির্যাস হেমের।
তোমার পরশে আলোকিত হল, আমার আঁধার ভুবন,
খুলে গেল যত বন্ধ বাতায়ন, মুক্ত উদাসী পবন।
আহ্বান তোমার সাড়া ফেলে দিল,হৃদয় নীলিমা জুড়ে,
ভষ্মীভূত হল সব রাগ অভিমান, প্রেমের অনলে পুড়ে।
তোমার প্রেরণা জোগালো সাহস,লঙ্ঘিতে উচ্চ শিখর,
স্রোতস্বিনী হল চর ভরা নদী,বহিল জলধারা প্রখর।
তোমার আগমনে খুঁজে পেল মন,একটি নিবিড় বাসা,
পুরিল কাঙ্খিত অবলুপ্ত বাসনা,জাগিল হৃদয়ে আশা।
***************************
শক্তি শঙ্কর পাণ্ডা : ( সাহিত্যে ছদ্মনাম “মেঘদূত”) তমলুক, পূর্ব মেদিনীপুর পশ্চিমবঙ্গ নিবাসী। জন্ম ইং ১৯৫৩ সাল। জন্মস্থান নন্দীগ্রাম। কেন্দ্রীয় সংস্থা BHEL হইতে অবসরপ্রাপ্ত। স্কুল কলেজ ও চাকুরি জীবন হয়ে এখনও সাহিত্যকে ভালোবেসে সাহিত্যের সঙ্গে আছেন। চাকুরি জীবনে শিশুদের জন্য “অণ্বেষা” নামক একটি মাসিক পত্রিকা সম্পাদনা করেছিলেন। বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনে বাংলা,হিন্দী ও ইংরেজীতে ছড়া,কবিতা,ছোট গল্প প্রকাশিত হয়েছে।
প্রথম কাব্যগ্রন্থ “চেতনা” তৎকালীন উপাধ্যক্ষ,বিদ্যাভবন,বিশ্বভারতী,শান্তিনিকেতনের অনুপ্রেরণায় ইং ২০০০ সালে প্রকাশিত হয়। ছবি ও ছড়ার বই “ছবিও কথা বলে” বক্রেশ্বর,সিউড়ি,বীরভূম থেকে ইং ২০০০ সালে প্রকাশিত হয়।
ইং ২০০১ সালে সাহিত্যাঙ্কুর সাহিত্য পত্রিকার সৌজন্যে নজরুল মঞ্চ থেকে দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ “অঙ্কোলিকা” ও শিশুদের ছোট গল্প “এসো গল্প বলি” প্রকাশিত হয়।
এখন প্রায় শতাধিক ই-সাহিত্য পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত। ইং ২০২৪ বর্ষে মিতালি সাহিত্য পত্রিকার তরফে “কবিরত্ন” উপাধি প্রদত্ত ও লিটারেচারে “স্বামী বিবেকানন্দ এক্সেলেন্স এওয়ার্ড ২০২৪” প্রাপ্ত। ” সাহিত্যে এপর্যন্ত পাঁচ শতাধিক সম্মাননা সনদ প্রাপ্ত।”
ভারত তথা বাংলাদেশের বিভিন্ন সংকলন বইতে লেখা প্রকাশিত নিয়মিত হয়।
সাহিত্যের সঙ্গেই বাকী জীবন কাটানোর ইচ্ছা।