উন্মুক্ত
মেঘদূত (শক্তি শঙ্কর পাণ্ডা)
তোমার বিরহে
মথিয়া হৃদয়
আকুলি উঠিছে প্রাণ,
বিরহ ব্যথায়
ভরেছে নয়ন
মেনেছি প্রেমের দান।
মনের পাতায়
স্মৃতির দোলায়
তৃষিত হৃদয় কাঁদে,
হারানো অতীত
আবেগে শিঞ্জিত
স্বপ্নকে আগলে বাঁধে।
দুরূহ জীবন
করুণা কঠিন
তরল গরল ধারা,
নিভেছে প্রদীপ
তমসা ছেয়েছে
মুদ্রিত নয়ন তারা।
আশায় বেঁধেছি
ব্যাকুল হিয়ারে
শোনাবো নতুন গান,
প্রেমের বীণায়
সুরের ঝংকার
তুলেছে উতল তান।
কুলায় ফেরার
আকুতি রহিল
ত্যজিয়া সকল মান,
পুষ্পিত আনন
হৃদয় কানন
করিব তোমারে দান।
************************
শক্তি শঙ্কর পাণ্ডা : ( সাহিত্যে ছদ্মনাম “মেঘদূত”) তমলুক, পূর্ব মেদিনীপুর পশ্চিমবঙ্গ নিবাসী। জন্ম ইং ১৯৫৩ সাল। জন্মস্থান নন্দীগ্রাম। কেন্দ্রীয় সংস্থা BHEL হইতে অবসরপ্রাপ্ত। স্কুল কলেজ ও চাকুরি জীবন হয়ে এখনও সাহিত্যকে ভালোবেসে সাহিত্যের সঙ্গে আছেন। চাকুরি জীবনে শিশুদের জন্য “অণ্বেষা” নামক একটি মাসিক পত্রিকা সম্পাদনা করেছিলেন। বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনে বাংলা,হিন্দী ও ইংরেজীতে ছড়া,কবিতা,ছোট গল্প প্রকাশিত হয়েছে।
প্রথম কাব্যগ্রন্থ “চেতনা” তৎকালীন উপাধ্যক্ষ,বিদ্যাভবন,বিশ্বভারতী,শান্তিনিকেতনের অনুপ্রেরণায় ইং ২০০০ সালে প্রকাশিত হয়। ছবি ও ছড়ার বই “ছবিও কথা বলে” বক্রেশ্বর,সিউড়ি,বীরভূম থেকে ইং ২০০০ সালে প্রকাশিত হয়।
ইং ২০০১ সালে সাহিত্যাঙ্কুর সাহিত্য পত্রিকার সৌজন্যে নজরুল মঞ্চ থেকে দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ “অঙ্কোলিকা” ও শিশুদের ছোট গল্প “এসো গল্প বলি” প্রকাশিত হয়।
এখন প্রায় শতাধিক ই-সাহিত্য পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত। ইং ২০২৪ বর্ষে মিতালি সাহিত্য পত্রিকার তরফে “কবিরত্ন” উপাধি প্রদত্ত ও লিটারেচারে “স্বামী বিবেকানন্দ এক্সেলেন্স এওয়ার্ড ২০২৪” প্রাপ্ত। ” সাহিত্যে এপর্যন্ত পাঁচ শতাধিক সম্মাননা সনদ প্রাপ্ত। ”
ভারত তথা বাংলাদেশের বিভিন্ন সংকলন বইতে লেখা প্রকাশিত নিয়মিত হয়।
সাহিত্যের সঙ্গেই বাকী জীবন কাটানোর ইচ্ছা।