কালিদাস
দেবাশিস দণ্ড
অভিজ্ঞান শকুন্তলম পড়িনি
মেঘদূত না,কুমার সম্ভবও না।
সেই গল্পটা পড়েছি
যেটা আমার পিতা পড়েছিল
আমার পিতামহও।
আমরা বংশপরম্পরায় তীব্র হাসাহাসি করেছি।
কালিদাস এখনও আমার কাছে
মাথামোটা আইকন।
কালিদাসের গল্প মানে এক নির্বোধের রূপকথা।
আমি কিছুতেই ভাবতে পারি না
গাছের ডালে বসে,
সেই ডালেই কোপ মারার মতো মূর্খ
মানুষ হয় কেমন করে?
সাধের প্রাণটা বেঘোরে যেত না?
আমরা কিন্তু কেউ কালিদাস নই
আমরা কিন্তু দারুণ বুদ্ধি ধরি
আমরা জানি প্রাণের মূল্য কত।
তাই,যে ডালে বসি
সে ডাল কদাপি কাটি না।
শানিত বুদ্ধি দিয়ে
একেবারে গোড়া থেকে মেশিন চালিয়ে দিই।।
*******************************
দেবাশিস দণ্ড পরিচিতি:
জন্ম ২০ আগস্ট ১৯৬৭,পেশা শিক্ষকতা। ১৩ বছর বয়সে বাবার দেখাদেখি কলম ধরা। এপারওপার দুই বাংলার বহু বাণিজ্যিক ও অবাণিজ্যিক পত্রিকায় কবিতা প্রকাশিত। আঞ্চলিক উপভাষায় লেখা অসংখ্য কবিতা রয়েছে,যেগুলি বাচিকশিল্পীমহলে সমাদৃত। শালবেলা,আমরা দুজন একটি গাঁয়ে থাকি,শনি ঠাকুর রবি ঠাকুর,ব্যইললে হবেক?,মিঠে কথা মেঠো সুর ইত্যাদি কবিতার অ্যালবামগুলি দারুণ জনপ্রিয়। জি বাংলা,ইটিভি বাংলা,ডিডি বাংলা ইত্যাদি বেশ কয়েকটি প্রথম শ্রেণীর টিভি চ্যানেলে কবিকন্ঠে কবিতা পরিবেশিত হয়েছে। প্রকাশিত কবিতার বই:ঠোঁটকাটার নোটবুক,ঝাড়ের বাঁশ,শব্দ শতাব্দ,বনফুল ইত্যাদি।