কবিরাজ বাড়ির হেঁসেল থেকে মানসী ব্যানার্জি
আজকে আমরা শিখব “দুধ পটল”
উপকরণঃ
পটল এক কেজি
দুধ এক কেজি
তেল এক কাপ
ঘি দুই টেবিল চামচ
ছোট এলাচ চারটি
তেজপাতা দুটি
দারচিনি এক টুকরো
কাঁচা লঙ্কাবাটা এক টেবিল চামচ
কাঁচা লঙ্কা ছয়টি
হলুদ এক চা চামচ
লবণ পরিমাণ মতো
খোয়াক্ষীর দুই টেবিল চামচ
চিনি এক চা চামচ
গরমমশলা আধ চা চামচ
প্রণালীঃ
কড়াইতে এক কাপ তেল ঢেলে দিয়ে তেল গরম হলে খোসা ছাড়ানো পটল হাই ফ্লেমে দু মিনিট ভেজে লো ফ্লেমে ঢাকা দিয়ে রেখে দিন। পটল ভাজার সময় এক চা চামচ লবণ ও এক চা চামচ হলুদ দিয়ে দিন। দশ মিনিট পরে একটা পাত্রে পটল গুলো তুলে রাখুন। এবার ওই তেলে দুই টেবিল চামচ ঘি দিয়ে দিন। গরম হলে দারুচিনি,তেজপাতা ও ছোট এলাচ ফোড়ন দিয়ে দিন। এক কেজি দুধ দিয়ে ফুটতে দিন। ফুটে উঠলে পটল গুলো দিন। আধ চা চামচ লবণ ও ৬-টা কাঁচালঙ্কা দিয়ে দিন।
দুধ ঘন হয়ে গেলে এক টেবিল চামচ লঙ্কাবাটা,আধ চা চামচ গরমমসলা,দুই টেবিল চামচ খোয়াক্ষীর ও এক চা চামচ চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। পটলের গায়ে যখন ক্ষীর লেগে যাবে তখন নামিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন।
পরে পরিবেশন করুন।
*********************************************
মানসী ব্যানার্জি পরিচিতিঃ
বহরমপুর শহরের বিখ্যাত কবিরাজ বাড়ির বৌ মানসী-র পিত্রালয় নদীয়া জেলায়। পিতা শিক্ষক ছিলেন বলেই হয়তো,শৈশব থেকেই মানসী বইয়ের পোকা। যথেষ্ট ঈর্ষণীয় স্তরের ছাত্রী হয়েও আদ্যোপান্ত সংসারী এই ভদ্রমহিলা চাকুরির ঘেরাটোপে নিজেকে আবদ্ধ করতে চাননি। বিরাট যৌথ পরিবারে বিয়ের পরে শাশুড়িদের অসাধারণ রান্নার প্রতি আকৃষ্ট হন তিনি। এবং তার ফলশ্রুতিতেই জিভে জল নিয়ে আসা অজস্র পদের রেসিপি আজ তাঁর নখদর্পণে। নিরামিষ,আমিষ,সেকেলে,একেলে,ওপার বাংলা এবং এপার বাংলার হাজারো পদ রান্নায় তিনি সিদ্ধহস্ত।
দারুণ, জিভে জল এসে গেল। আমিও একদিন চেষ্টা করবো রান্নাটা। 😍