তারুণ্যের দেশ
বিদ্যুৎ পাল
সাতসকালে সতেরোখানা বাইক, অন্তঃস্রাবে অ্যাড্রিনালিন,
রোববার,বন্ধ দোকানপাট –মাঝচত্বরে দাঁড়িয়ে বৈঠক,
“হামলার অ্যাটিচুড চাই,তবে পুরো হবে টার্গেট। প্রত্যেক
বাড়ি তোমাদের বাজার; আজ কোনদিকে,অবধেশ? রবীন?”
এখন সে এম.আর.এর দিন নেই,ইয়েজ্দি হাঁকিয়ে মিঠাপুর
গুমটি পেরিয়ে…বীমা এজেন্টেরও কি আছে? সব সেল্স-ভীড়,
ঘাম, ছাঁটাইয়ের হুমকি,গলায় জিপিএস ট্র্যাকার–“শোহেব,তোমার
সিগন্যালে কাটনি,চা খাচ্ছো স্টেশনে;সাতনা যথেষ্ট দূর!”
এবং সবটাই তো বাজার–আলাদা আলাদা-চুল,খুলি,কান
চোখ,কপাল,নাক,গলা,চামড়া,নখ,অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দেহের…
মেডিক্যাল,কস্মেটিক,জিমের আসবাব,হেল্থড্রিঙ্ক,গার্মেন্ট্স;
ঘরে কড়া নাড়ে শীর্ণ কালো মেয়ে,“ধুপকাঠি নেবেন? সাবান?”
অদৃশ্য চাবুকে বিষোচ্ছে তারুণ্যের দেশ,জীবন তবু ঢেউ;
“আমরা ফ্রেঞ্চাইজি মশাই,চাকরি গেছে,যান মুম্বই, দিউ!”
——————————————————————
ফিরে আসার চিহ্ন
বিদ্যুৎ পাল
মাটি হল বিতর্ক।
ছাই,নিবিড়তা,
জল,পুনর্মূল্যায়ন।
প্রসঙ্গ,হল অব্যক্ত অনুশোচনা।
শোক,সংহতি।
আগুন,কয়েকটি যুবমুখ।
বিচলন হল ব্যক্তিত্ব।
সন্দেহ,কবিতা।
অপব্যবহার,নমনীয় কঠোর শৃংখলা।
মৃতের ফিরে আসার
চিহ্নগুলো সবাইকেই
চমকে চমকে দিতে লাগল।
“পৃথিবী তাহলে কাজ? তাহলে সম্ভব!”
আমরা সঙ্গত খুশিতে মনে করিয়ে দিলাম
“বলেছিলাম কিনা?”
*******************************
বিদ্যুৎ পাল পরিচিতি
জন্মতারিখ ২৪শে জুলাই ১৯৫২। জন্মস্থান পাটনা (বিহার)। পড়াশুনো সবটাই পাটনায়। চাকরি ব্যাঙ্কে,বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। সারাদিনের ব্যস্ততায় শামিল নিজের লেখালিখি,পড়াশুনো,বিহার হেরল্ডের সম্পাদনা,দেশবিদেশের সঙ্গীত শোনা,বইপত্র সম্পাদনা। বিভিন্ন পত্রিকায় কবিতা,গল্প ও প্রবন্ধ (প্রবন্ধটা অবশ্য বাংলা,হিন্দী এবং ইংরেজি,তিন ভাষাতেই লিখতে হয়) প্রকাশিত। আপাততঃ ইংরেজি সাপ্তাহিক ‘বিহার হেরল্ড’এর সম্পাদক,ও বিহার বাঙালি সমিতির মুখপত্র ‘সঞ্চিতা’র যুগ্মসম্পাদক।