নির্বিকল্প
অর্চনা মহান্তি
অসংখ্য ছোট বড় ঘূর্ণিপাক ,বক্ররেখার সমষ্টিতে আঁকা হয় জীবন-মৃত্যুর সংযোগ রেখা।
যা অনিবার্য সরলরেখা,তবু ‘সরল’ রেখা নয়
তবুও হাঁটতে হয় গন্তব্যে
হাঁটা ! নাকি গড়ানো ?
সময়ের অমোঘ ঠেলায় ।
যখন শ্রান্ত পথিক হাত-পা জুড়িয়ে নিচ্ছ পৃথিবীর কোনো সরাইখানায় ,
ভাবছ এ তোমার ক্ষণিকের থেমে থাকা
যাত্রাকে দীর্ঘায়ত করার ছল
তখনও তো এগিয়েই যাও নিরুপায় পরমায়ুর পায়ে পায়ে ।
পৃথিবীর অতিথি,গোনাগুন্তি তোমার দিনরাত,সীমিত ভিসার মেয়াদ ।
প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান।
— তাই ভালো থাকার আপ্রাণ চেষ্টায়
অনিবার্য দুর্গম পথ অতিক্রান্ত করার নিবিষ্ট প্রয়াসে
সহযাত্রীদের সঙ্গে নিবিড় সদ্ভাবের শর্তে
করে নিতে হয় পারস্পরিক সহযোগিতার দরপত্র।
পর্যটকের দৃষ্টিতে অথবা তীর্থ যাত্রীর দৃষ্টিতে দেখে নিতে নয় মহাকালের সুসজ্জিত মন্দির, ঈশ্বরের ভালোবাসার নন্দন-কানন
হেম-শীর্ষ সুমহান হিমালয়।
প্রশান্তির মলয়-সাগরে পূর্ণ অবগাহনে সুশীতল তৃপ্তি
সূর্যকণায় সম্পৃক্ত জীবন
বাস্তবে বা কল্পনায়।
তাই প্রতিপদে পথের ধুলোর আড়ালে ঢাকা পড়ে থাকা পরশপাথরের সংগ্রহে পূর্ণ হয়ে উঠুক তোমার মাধুকরী ঝুলি
তারপর সেই তাঁর অতিথিশালায় চির-বিশ্রাম
অনন্ত আলোক শয্যায়।
***************************************
অর্চনা মহান্তি পরিচিতি: বাঁকুড়া জেলার হিড়বাঁধ গ্রামে জন্ম। বাবা শ্রী ফণীভূষণ মহান্তি,মা শ্রীমতী সরোজিনী মহান্তি। পারিবারিক ভাবে সাহিত্য পাঠের সুন্দর পরিবেশে বড় হওয়ায় খুব ছোটবেলা থেকেই সাহিত্য অনুরাগী। কলেজ জীবনে লেখায় হাতেখড়ি।
তিন বছর আগে অসুস্থতার অবসাদ কাটাতে আবার কলম হাতে তুলে নেওয়া। ছন্দ,গদ্যকবিতা ও ছড়ায় সাবলীল ভাবে লেখা তিন বছরের ফসল এক হাজারেরও বেশি কবিতা,কয়েকটি গল্প ও রম্য রচনা। তারই কিছু বহু প্রশংসিত কবিতা দিয়ে বই ‘উত্তরণ’ প্রথম প্রয়াস।