পরিযায়ী
প্রত্যুষ সেনগুপ্ত
এইখানে সেই সাগরের নোনা বাতাস কিন্তু নেই।
এখানে দগ্ধ দুপুরে গরম ধুলোর উড়ান কই?
এখানে কিন্তু সাগর কখনো ধোয়না গিরির চরণ
এইখানে আছে গরান সুঁদরী হেতাল গাছের বন!
এখানে নদীর মিঠে জল;তীরে গাং চিল দেয় ডাক,
জলকেলি করে রূপোলী মাছের ঝাঁক!!
এই অঘ্রানে আম,হিজলের পাতা কাঁপে শিরশির,
কুয়াশায় মেখে ভেজে শালিখের নীড়।।
দখিনা দোয়েল,চেয়ে দেখ ওই জাফরানি রঙ হাসে,
হেমন্ত বনে সবুজ মুকুটে,শিমুলে ও পলাশে।।
ঘাসফুল ফোটে হলুদ রোদের ওমে,
থাকো না এখানে? করুণা অথবা ভ্রমে?
অধরাই আছো,কাছে পিঠে নেই;
আছো দৃষ্টিরও দূরে!
তবু ভেসে আসা শ্বাসের শব্দ,
শুনি যেন বেলা জুড়ে।।
এই মাটিতেই স্খলিত চরণে ছায়া এঁকে আসা যাওয়া।
ছুঁয়ে ফেলি ছায়া,শুধু ছুঁয়ে যাই,
এটাই কী কম পাওয়া?
চলে যাবে কেন পরিযায়ী পাখি,কেন যাবে আর ফিরে?
এখানেই থাকো,থেকে যাও উত্তরে।।
***********************************
প্র ত্যু ষ সে ন গু প্ত পরিচিতিঃ
সরকারী বেসরকারী মিলিয়ে নানা রকম চাকরী করে এখন বেলাশেষে কলম ধরেছেন। প্রথম চাকরী এক ওষুধ কোম্পানীতে। তারপর চা বাগানে। এরপর দু’দুটি খবরের কাগজে সাব এডিটর। শেষ পর্বে গোপনীয়তায় ভরা সরকারী চাকরী। দীর্ঘ চাকরী জীবনে কাজ করেছেন পশ্চিম বঙ্গের অধিকাংশ জেলায়! অভিজ্ঞতা হয়েছে প্রচুর। এই শেষ বেলায় ওই অভিজ্ঞতায় নির্ভর করে আবার কলম ধরেছেন।