Shadow

ভয়ঙ্করের আকর্ষণ-বিজিত কুমার রায়

ভয়ঙ্করের আকর্ষণ
বিজিত কুমার রায় 

খারদুংলা হয়ে নুব্র ভ্যালী সাল ২০১৬ মে জুন মাসে
লে থেকে ৫০ কিলোমিটার দুর্গম পথ পেরিয়ে খারদুংলা টপ। বিশ্বের উচ্চতম যানোপযোগী পথ (টুরিস্টদের জন্য) বলে খ্যাত সেই স্থানের হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডাও মনে থাকে বহুদিন। খারদুংলা পেরিয়ে একে একে খালসার, হুন্ডার, পানামিক। এই রাস্তার মতো বিপজ্জনক রাস্তা সারা ভারতে কোথাও ট্যুরিস্টদের জন্য আছে কিনা আমার সন্দেহ আছে খালসারের কাছেই নুব্রা নদী স্বচ্ছতোয়া শিয়ক নদীর সাথে মিশেছে। শিয়ক নদীর ওপর সেতু পেরুলেই শীতল মরুভূমি। সেখানকার দুকুঁজো উট, সবুজ মরূদ্যান, উষ্ণপ্রস্রবণ সব মিলিয়ে এক অচিন দেশের ভ্রমণকথা
আমাদের লাদাখ ভ্রমণের একটা বিশেষ আকর্ষণ ছিল এই খারদুংলা গিরিবর্ত্ম ভ্রমন। অনেক সকালে বাসে রওনা দিলাম আমরা ২০ জন চারটি বাসে। নুব্রা ভ্যালির উদ্দেশ্যে পথে পড়বে এই হাড় কাঁপানো পাস বা “লে” বলে রাখি যে আমাদের দলের ২০ জনের মধ্যে ১৬ জন ষাটোর্ধ শুরুতেই ম্যানেজার আমাদের বলে দিলেন মনে করে শ্বাসকষ্ট জনিত অসুবিধা আটকানোর ওষুধ খাওয়ার কথা প্রচন্ড ঠান্ডার সময় পড়ার জন্য শীতের কাপড় হাতের কাছে রাখার কথা আর রাস্তা কিন্তু বিপজ্জনক সব সময় বুক দুরু দুরু করার মতো সাথে উচ্চতার শ্বাসকষ্ট হতে পারে খারদুংলাতে প্রচন্ড ঠান্ডা সাধারণত মাইনাস এক বা দুই থাকে। 
ব্রেকফাস্ট প্যাকেট হাতে ধরিয়ে দিল
সময়ের সাথে সাথে বাদামি ধূসর পাহাড়গুলো ক্রমে অদৃশ্য হয়ে গেল তুষারশুভ্র পাহাড় তার জায়গা নিতে থাকল। বরফে ঢাকা সাদা পাহাড়ের গায়ে তৈরি সাপের মতো আঁকাবাঁকা পথে আমাদের গাড়িটা ধীরগতিতে এগিয়ে চলল। রাস্তার ওপর দিক দিক ছড়িয়ে থাকা পেঁজা তুলোর মতো বরফ সূর্যের আলো ফোটার সাথে সাথে জলের ধারার সৃষ্টি করছে। রাস্তার পাহাড়ের দিকের অংশে পাহাড় চুঁইয়ে গড়িয়ে আসা জল জমাট বেঁধে স্ফটিকের আকার নিয়েছে, আর তার ওপর সকালের সূর্যকিরণ বিচ্ছুরিত হয়ে রামধনু রঙ ছড়াচ্ছে। অবশ্যই রোদচশমা পরবেন রাস্তার অন্য দিকে অর্থাৎ খাদের দিকের অংশে প্রকৃতি বরফের হরেকরকম স্থাপত্য রচনা করেছে
উত্তরে কারাকোরাম আর দক্ষিণে জাঁসকারের শ্বেতশুভ্র পর্বতমালা। পরিষ্কার নীল আকাশে পেঁজা তুলোর মতো সাদা মেঘ ভেসে চলেছে, আর বরফমোড়া পাহাড়ের ওপর সূর্যরশ্মি পড়ে ঠিক যেন সাদা ক্যানভাসে এক চিরসুন্দর ছবি এঁকে চলেছে। প্রকৃতির এই অপরূপ দৃশ্যকে ক্যামেরাবন্দী করতে একহাতের গ্লাভস খুলে ক্যামেরার শাটার টিপছিলাম, কিছুক্ষণ পরেই টের পেলাম হাতের আঙুলগুলো ক্রমে অবশ হয়ে আসছে। তাপমাত্রা এখানে হিমাঙ্কের  নিচে নেমে গিয়েছে  এই অঞ্চলে দিনের বেলা সানগ্লাস ছাড়া চলাচল বিপজ্জনক, কারণ বরফের ওপর সূর্যালোকের তীব্র প্রতিফলন চোখের পক্ষে চরম ক্ষতিকারক। পাশেই সিয়াচেন চোখে পড়ল ভারতীয় সেনাবাহিনীর তাঁবু সেনাদের নিঃশব্দ চলাচল
খারদুংলা পৌঁছানোর আগে থেকেই শুরু হলো গায়ে গরম কাপড় চাপানো ওখানে পৌঁছিয়ে ধীরে ধীরে বাস থেকে নেমে পাশের রাস্তাতে দাঁড়ালাম শরীরটাকে সইয়ে নেওয়া ঠান্ডা আর কম অক্সিজেনে আমাদের সহযোগী দুই যাত্রী অসুস্থ বোধ করাতে নামতে পারলেন না
নেমে প্রথমেই টয়লেটের খোঁজ কারণ এই ঠাণ্ডাতে দরকারটা একটু বেশি হয় আর্মি থেকে একদিকে লাইন করে প্রচুর বাইও টয়লেট রেখে দিয়েছেতারপর কর্তা গিন্নি হাত ধরাধরি করে গ্লেসিয়ারের দিকে এগোলাম প্রচুর ভিড় তবুও ছবি ইত্যাদি তোলা হলো অতি উৎসাহীরা গ্লেসিয়ার বেয়ে উঠতে লাগলেন দেখাদেখি আমার সহধর্মিনীও কিছুটা উঠলেন ছবিও তোলা হলো তারপর উচ্চতম আর্মি ক্যান্টিনে গরম নুন চা খাওয়া হলো ম্যাগি আর থুকপাও পাওয়া যাচ্ছিল এরপর আস্তে আস্তে বাসের দিকে কারন উচ্চতাগত কারনে ৩০ মিনিটের বেশি বাইরে ঘোরা বারণ করা হয় নোটিস বোর্ডেও লেখা আছে তবুও লোকে বাড়াবাড়ি করে আর অসুস্থ হয়ে পড়ে এরপর সবাই জড়ো হলে শুরু হলো নুব্রা যাত্রা
খারদুংলার ১৫ কিলোমিটার উত্তরে নর্থ পুল্লু, আর ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে সাউথ পুল্লু। দুটোই সেনা শিবির। সাউথ পুল্লু হয়ে আমরা টপে উঠেছি। উৎরাই পথে নর্থ পুল্লু, খারদুংলা গ্রাম হয়ে এবার আমাদের গন্তব্য নুব্রা ভ্যালি, প্রায় ১০০ কিলোমিটার যাত্রাপথ। শুরুর রাস্তা বেশ খারাপ। যেখানেসেখানে ধস নেমে রাস্তা ভেঙেছে। পাশের পাহাড় প্রমাণ বরফ গলে জলপ্রবাহ তৈরি হয়েছে আর সেই জলভরা গভীর গর্তময় পথে গাড়ির চাকার পক্ষে এগনো বেশ কষ্টকর। নর্থ পুল্লুতে আসতে চোখে পড়ল সাদা পাহাড়ের গাবেয়ে মিলিটারি সাঁজোয়া গাড়ির লম্বা সারি ধীর গতিতে আমাদের দিকে আসছে। এখানে রাস্তা একমুখী। তাই তাদের যাওয়ার জায়গা করে দিতে  আমাদের গাড়িটাকে সেনা শিবিরের কাছে দাঁড় করাল
১৯৭৩ সালে পাসের ওপর এই রাস্তা তৈরি করতে গিয়ে মারা গিয়েছিলেন কিছু ভারতীয় জওয়ান। এই রাস্তা ধরে আরো ১৬৪ কিলোমিটার চললে সিয়াচেন বেসক্যাম্প পৃথিবীর উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র। আর সেই বেসক্যাম্পে ভারতীয় সেনাবাহিনীর রসদ যায় এই পথ ধরেই। তাই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই রাস্তার গুরুত্ব নিঃসন্দেহে অপরিসীম। শীতকালে এখানকার তাপমাত্রা নামে মাইনাস ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তখন রাস্তা ঢেকে যায় ১০ ফুট পুরু বরফের চাদরে। অতন্দ্র প্রহরারত এই ফৌজিদের দিনযাপন তখন হয়ে ওঠে আরো কঠিন দুর্বিষহ। এই রাস্তাতেই কিছু দূরে এখন চলছে ভারত আর চীন সেনাবাহিনীর ঝগড়া
মিলিটারি গাড়ির সারি চলে যেতে বাস্তবের এই নায়কদের সালাম জানিয়ে আমাদের গাড়ি আবার চলতে শুরু করল। পাস থেকে প্রায় ৩৪ কিলোমিটার উত্তরে খারদুং গ্রামে কয়েকটা দোকান পাওয়া গেল। এর পরের রাস্তা অপেক্ষাকৃত ভালো। চারপাশের বরফের সাম্রাজ্য কমে ক্রমে সবুজের উপস্থিতি বাড়তে থাকল। পথে দেখা মিলল ইয়াক, ভেড়া কিয়াং বা বন্য গাধার। ছাড়া পথের ধারে তৃণভূমির মধ্যে ভোঁদড়সদৃশ হিমালয়ান মার্মটের দেখা পাওয়া উৎরাই পথের বিশেষ প্রাপ্তিখারদুংলা থেকে প্রায় ৫৮ কিলোমিটার রাস্তা নেমে আমরা পৌঁছলাম খালসারে। সিয়াচেন হিমবাহের বরফগলা জল তির তির করে নুব্রা নাম নিয়ে কাছেই শিয়কে এসে মিশেছে। এই দুই নদী সৃষ্টি করেছে এক সবুজ উপত্যকার, যানুব্রা ভ্যালি ” নামে খ্যাত।নুব্রা’- অর্থ ফুলের বাগান, “ভ্যালি অব ফ্লাওয়ারস” লাদাখের মরুদ্যান। এর গড় উচ্চতা ১০ হাজার ফুট। এখানে বহিরাগতদের পারমিট ছাড়া প্রবেশ নিষিদ্ধ। তাই লেতে তৈরি পারমিটের এক কপি চেকপোস্টে জমা দিয়ে আমরা প্রবেশ করলাম নুব্রা উপত্যকায়, যা পৃথক করেছে লাদাখ কারাকোরাম পর্বতমালাকে। এখানে গম, বার্লি, সর্ষে ছাড়াও শীতের ফল আপেল, খুবানি আখরোটের চাষ হয়। স্থানীয় লোকেরা লাদাখি ভাষায় কথা বলে। বেশির ভাগ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী হলেও কিছু সংখ্যক শিয়া সুন্নি মুসলিমেরও বাস রয়েছে
খালসার থেকে দুটি রাস্তা উপত্যকার দুই প্রান্তে চলে গিয়েছে। বাঁদিকের রাস্তা ধরে প্রায় ১৯ কিলোমিটার পূর্বে আমরা পৌঁছলাম উপত্যকার সব থেকে বড় গ্রাম দেসকিটের হোটেলে। এখানে দোকানবাজারের সাথে পৌঁছে গিয়েছে ব্যাংক পরিষেবাও। প্রধান দৃষ্টব্য ৬০০ বছরের প্রাচীন দেসকিটমনাস্ট্রি। মাথার ওপর পতপত করে উড়ছে বৌদ্ধদের রঙিন ধর্মীয় পতাকার সারি। এখান থেকে শুনেছি বিশ্বের দ্বিতীয় উচ্চতম শৃঙ্গ কে দেখা এক রোমাঞ্চকর অনুভূতি। আরো সাত কিলোমিটার পথ চলার পর এক সরু নদীর ধারে  আমাদের গাড়িটা থামল
গাড়ি থেকে নেমে আমরা এক আশ্চর্য দৃশ্যের সম্মুখীন। এতক্ষণ দূর থেকে দেখা ধূসর ন্যাড়া পাহাড়গুলো এখন খুব কাছে আমাদের চার দিক দিয়ে ঘিরে রেখেছে। উঁচু উঁচু পাহাড়ের মাথায় বরফের আস্তরণে পড়ন্ত বিকেলের আলো পড়ে স্ফটিকের আকার নিয়েছে। রোদের তাপ বেশ চড়া হলেও কলকল শব্দে বয়ে চলা শিয়ক নদীর জল যেমন স্বচ্ছ, ততটাই ঠাণ্ডা। নদীর ওপর এক ছোট বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে আমরা ওপারে পা রাখলাম
সামনে পাহাড়ঘেরা ঢেউ খেলানো সাদা বালিয়াড়ির সমুদ্র। ইতস্তত ছড়িয়ে আছে কাঁটাগাছের ঝোপ। এটাই বিখ্যাত হুন্ডার। ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় ভারতের উচ্চতম মরুভূমি। এই শীতল মরুভূমিতে চরে বেড়াচ্ছে দুই কুঁজবিশিষ্ট লোমশ উট। এরা মধ্য এশিয়ার তাকলামাকান গোবি মরুভূমির ব্যাকট্রিয়ান উটের প্রজাতিভুক্ত। উটে চড়ে মরুভূমিবিহার এই সফরে এক অন্য সাধের অনুভূতি। উট সওয়ারির খরচ প্রতি ১৫ মিনিটে ১৫০ টাকা।  লাদাখে দিনের আলো থাকে রাত আটটা পর্যন্ত। নৈশভোজ সেরে হোটেলের জানালা দিয়ে রাতের মায়াবী আলোয় কালচে পাহাড়গুলোর দিকে তাকিয়ে কখন যেন ঘুমিয়ে পড়লাম
খালসার থেকে উত্তর দিকের রাস্তা ধরে পানামিক পৌঁছতে ঘণ্টাদুয়েকের বেশি সময় লাগে। এখানে ভূগর্ভ ফুঁড়ে বিরামহীন ধারায় উঠে আসা উষ্ণপ্রস্রবণ রাসায়নিক বিক্রিয়ায় পাথরের গায়ে বিচিত্র রঙের সৃষ্টি করেছে।  পানামিকই লাদাখের শেষ গ্রাম, যে পর্যন্ত ভ্রমণার্থীদের যাওয়ার অনুমতি মেলে। এরপর এই রাস্তা সোজা চলে গিয়েছে সিয়াচেন বেসক্যাম্পে। দূরত্ব ৯৪ কিলোমিটার
এবার ফিরতি রাস্তায় লেতে ফেরা দুপুরে লাঞ্চ করে। সদ্য দেখা চোখ জুড়ানো সব ছবিগুলো মাথায় ঘুরপাক খেয়ে চলেছে। রুক্ষ থেকে সবুজের মরুদ্যান, ন্যাড়া পাহাড়ের কোলে শীতল মরুভূমি, তার মধ্য দিয়ে বয়ে চলা নদী, উষ্ণপ্রস্রবন একই সাথে প্রকৃতির এই বিচিত্র রূপ শুধু ভারতবর্ষেই নয় হয়তোবা সমগ্র পৃথিবীতেই দুর্লভ। চড়াইউৎরাই পেরিয়ে গাড়ি এগিয়ে চলল। পথে আবার পড়লো সেই দুর্গম খারদুংলা আবারও নামা হলো তবে ভিড়ের দাপটে বেশিক্ষন নয় এছাড়া লোকেরা গ্লেসিয়ারের গায়ে প্রাকৃতিক কর্ম সারা শুরু করেছে তাই মানে মানে বাসে ফিরে এলাম সন্ধ্যায় পৌঁছলামলে”
সফর শেষ হলেও এই ভ্রমণের বিচিত্র রঙিন ছবিগুলো মনের গভীরে গাঁথা থাকবে আজীবন।
প্রয়োজনীয় তথ্য —
কখন যাবেন–
জুন থেকে সেপ্টেম্বর লাদাখের বসন্ত গ্রীষ্মকাল। ভ্রমণের আদর্শ সময়। এই সময় লে থেকে মানালি শ্রীনগরের রাস্তাও খোলা পাওয়া যায়
ইনারলাইন পারমিট–
লে শহর সংলগ্ন দ্রষ্টব্য স্থানগুলো দেখতে কোনো সরকারি অনুমতি লাগে না, তবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অধীনস্থ শহর থেকে দূরে বেশির ভাগ জায়গাগুলোতে যেতে ইনারলাইন পারমিটের প্রয়োজন। লে ডিসি অফিসে পরিচয়পত্র ফটো জমা দিলে পারমিট পাওয়া যাবে। এর ৭টা ফটোকপি যাত্রাপথে সাথে রাখুন। এগুলো যাত্রাকালে মিলিটারি চেকপোস্টে জমা দিতে হবে
মনে রাখবেন —
লে শহরে পৌঁছে দিন বিশ্রাম নিয়ে, উচ্চতার সঙ্গে শরীরকে খাপ খাইয়ে নেয়া অত্যন্ত জরুরি। সাথে রাখুন হোমিওপ্যাথি ওষুধ কোকা প্রায় সবুজহীন লাদাখে অক্সিজেনের মাত্রা বেশ কম থাকায় উচ্চতাজনিত সমস্যা (যেমন মাথাধরা, শ্বাসকষ্ট, বমি ইত্যাদি) হয়। এখানে গরম জামাকাপড়ের সাথে নিতে হবে রোদটুপি, সান প্রোটেকশন ক্রিম, রোদচশমা ভেসলিন। ইনারলাইন পারমিটের জন্য প্রত্যেক সদস্যের কপি সচিত্র পরিচয়পত্র ভোটার কার্ড সাথে রাখা একান্ত আবশ্যিক।।
*************************************************

বিজিত কুমার রায় পরিচিতিঃ
জন্ম স্কুল কলেজ সবই কলকাতা । কর্মক্ষেত্র অবশ্য সারা দেশ জুড়ে । ভেল ( BHEL) কোম্পানীর তিরুচিরাপল্লী, কলকাতা, দিল্লী, ভূপাল ও ভারতবর্ষের সমস্ত প্রদেশের পাওয়ার প্ল্যান্টে । দেশ বিদেশের বহু স্থানে একলা ও সস্ত্রীক ভ্রমণের সৌভাগ্য আছে । রামকৃষ্ণ মিশন থেকে দীক্ষাপ্রাপ্ত ও রামকৃষ্ণ সারদা বিবেকানন্দ দর্শনের দিকে উৎসাহিত হয়ে মিশনের নানা জনকল্যানকারী কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত ।

 

error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!