খোঁজ
জয়িতা সরকার
তারপর একদিন বুঝতে পারলাম,
আমি আসলে সেই আগুন খুঁজছি,
যে বরফ জমাতে পারে।
ভালোবাসা প্রতীকায়িত রক্তজালিকার আদারে বাদারে।
যদি মনে হয়,করিই বা কি,
তবে…তবে আর কিচ্ছু না,
তার শীতলপাটির রোয়াকে ক্লান্ত দেহ ছেড়ে দিই।
ঘুমের মধ্যে আদর আদর উঠোনে হাঁটতে থাকি,
উজ্জ্বল শিশির মাখি।
তারপর উড়ে যাই… কিছু কিছু পাখি দেখে
হই নাকি পাখি?
উড়বার প্রত্যেকটা ডানামেলা অনুচ্চারিত
ঝাঁকে ঝাঁকে
অনুভূতির অভিজ্ঞতায় থাকে
পালক ছেঁড়া যন্ত্রণার খাতা।
মন এসে ফুঁ দেয় চুলে,যেই তুলি মাথা।
বুলেটবিদ্ধ পেশী ছিঁড়ে
ফ্যান্টাসি প্রতিস্থাপিত করা যায় কি?
থিসিস উপসংহারে আসে,
পার করে হাজার তালবাহানা।
অলৌকিক বাতাস-তরঙ্গে আসে তাপ,
লৌকিক জমে মাটি,ঝরে জল,ঘাস জন্মায়…
মিলে মিশে যায় সব,কিবা পুণ্য কিবা পাপ।
তার কাছ থেকে সংগ্রহ করি
মানবিক ঘ্রাণ।
কখনো কখনো তাকে দেখি,
কখনো বা তার তর্জনীতে নির্দিষ্ট করা দিক
আর লিঙ্ক
ধরে খুঁজে নিই হারিয়ে যাওয়া প্রাণ।
খোঁজ চলছে নীরবেই
কোথায় যে চাপা পড়ে আছে
পৃথিবীর সবথেকে পুরনো সে ঘ্রাণ।
———————————————-
জয়িতা সরকার (বৈদ্যবাটী,হুগলী জেলা)