জীবন জোয়ার
জলি চক্রবর্তী শীল
(১)
‘কি রে ক্লাচার কিনছিস কার জন্য? প্রেমিকার জন্য বুঝি? নাকি নিজের জন্য? ‘
সুপর্ণ চমকে দোকান থেকে বেড়িয়ে আসে| এখানেও ওরা! হতাশ লাগে সুপর্ণর| ক্লিপ‚ ক্লাচার‚ হেয়ারব্যান‚ নেলপালিশের মত মেয়েলি জিনিসগুলোরা প্রতি তার একটা স্বাভাবিক দুর্বলতা আছে| পাড়ার দোকান থেকে কিনতে লজ্জা পায়‚ তাছাড়া মা জানতে পারলে মেরে সিধে করে দেবে| তাই বাড়ি থেকে বেশ অনেকটা দূরের লাইনের পাড়ের ছোট দোকানটায় ঢুকে দেখছিল‚ পছন্দও হয়েছিল কিন্তু আর কেনা হবে না|
‘কি রে বললি না তো কার জন্য কিনছিস?’ আবার বলে ওঠে ওরা|
ওরা সুপর্ণর জ্যাঠতুতো দুই দিদি আর দিদির বন্ধুরা| হেসে গড়িয়ে পড়ছে এ ওর গায়ে| সুপর্ণর গাজ্বালা করে| চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে সে| কিছু বললেই সেসব নিয়ে আবার শুরু হয়ে যাবে হা হা হি হি|
‘ভাই শুধু শুধু কিনে পয়সা নষ্ট করিস না‚ আমার তো সব আছে‚ তোকে না হয় দিয়ে দেব| তারপর সেজেগুজে ছক্কার মত বের হবি| ‘ একদিদি বলে ওঠে|
সুপর্ণর কান গরম হয়ে ওঠে| এসব নতুন নয় তার কাছে| সে দেহে পুরুষ মনে নারী‚ না তা নয় সে| কিন্তু তার চরিত্রে দৃঢ়তা নেই পুরুষের মত| মেয়েলি ভাব বেশি| নখে নেলপালিশ আর লম্বা চুলে হেয়ারব্যান বা একটা রাবারব্যান্ড বাঁধা ছাড়া তেমন কিছু আজ পর্যন্ত করেনি| আজকাল তো প্রচুর ছেলে এইভাবে সাজে‚ কই তাদের নিয়ে তো কেউ এইভাবে রঙ্গ করে না| সবকিছু কি তাকে নিয়েই? অভিমান গাঢ় হয়ে উঠতে থাকে|
‘ভাই বাড়ি ফিরে আমার ঘরে আসিস‚তোকে সাজিয়ে দেব|’ দিদি বলে ওঠে|
চরিত্রে দৃঢ়্তা কোনদিনই ছিল না সুপর্ণর| বরাবর সে লাজুক‚মুখচোরা‚নিজের মধ্যেই থাকতে ভালোবাসে| দিদিদের ব্যঙ্গের উত্তর তার মুখে জোগায় না| শব্দরা যেন দূরাগত অ্তিথি‚ আসে-যায় জিভেতে রয় না| নিঃশব্দে সে স্থান ত্যাগ করে| পিছনে তখন কলকল খলখল হাসির বন্যা বয়ে চলেছে| এই হাসির বন্যা তাকে তাড়িয়ে নিয়ে চলে| আঠারোর হৃদয়ে অভিমান গাঢ় হয়| একরাশ জল উপচে পড়তে চায় চোখ বেয়ে| ওরাই ঠিক বলে| কেন সে এমন? কেন? কেন অন্য ছেলেদের মত নয় সে? সবকিছুকে কি নিত্তি ধরে ছাঁচে ফেলা হতেই হবে| একটু অন্যরকম হলেই কেন সবাই এইভাবে অপমান করবে?একটুও ইচ্ছে করে না তার বেঁচে থাকতে| কি হবে বেঁচে থেকে?
(২)
ছাত্র-ছাত্রীগুলো চলে যেতেই মেঝে থেকে আসনগুলো তুলে গুছিয়ে রাখে মেরি| ছেলে-মেয়েগুলোর পরীক্ষা চলছে‚ তাই একটু বেশি সময় দেখিয়ে দেওয়া| রাত হয়েছে| ওপরে গিয়ে আবার রুটি করতে হবে খানকয়‚ নাকি আজকে কিনেই আনবে? মনে মনে ভাবে| শরীরটা দিচ্ছে না| ছেলেটাকেই বরং দোকানে পাঠিয়ে দেওয়ার স্থির করেন| নিচের ঘরের দরজাটা লক করে ওপরে উঠে যায় সে| দোতলায় তাদের দুই বোনের দুটো ফ্ল্যাট| দিদির নাইট ডিউটি চলছে‚ তাই ফ্ল্যাটের দরজায় তালা ঝোলানো| কিন্তু তাদের ফ্ল্যাটটাও অন্ধকার| বুকের মধ্যে ছ্যাৎ করে ওঠে একটা অজানা আশঙ্কা| অন্যদিন ছেলেটা একবার হলেও নিচে নেমে বাচ্চাদের সাথে খুনসুটি করে‚ অ্থচ আজ একবারও নামল না তো! মনের মধ্যে দুঃশ্চিন্তার মেঘ জমে| বেল বাজাবার আগেই দরজায় হাত পড়তেই দরজাটা খুলে যায়| বুকের মধ্যে হাতুড়ি পেটে| ঘুটঘুটে অন্ধকার‚এমনকি ছোট নাইট ল্যাম্পও জ্বলছে না কোন ঘরে| হাত-পাগুলো যেন নিজের বশে নেই‚হৃদপিন্ডটা যেন রণদামামা বাজাচ্ছে| গলার কাছে কিছু যেন আটকে যাচ্ছে| অন্ধকারে চোখ সয়ে যেতেই কোনরকমে হাচড়-পাচড় করে শরীরটাকে টেনে নিয়ে চলে ছেলের ঘরের দিকে| হাতড়ে সুইচবোর্ডটা থেকে ঘরের জোরালো আলোটা জ্বেলে দেয়| ঐ তো বিছানার ওপর ছেলেটা‚ ঘুমুচ্ছে তো! নাকি !! নিজের মুখের ওপর হাতটা চেপে ধরে‚কিসব অলুক্ষণে কথা ভাবছে সে! স্থির হয়ে তাকিয়ে থাকে ছেলের দিকে‚ঐ তো বুকটা ওঠা-নামা করছে‚তারপরেই ধুপ করে সে বসে পড়ে মেঝের ওপর| প্রচন্ড টেনশন থেকে রিলিফের মুহুর্তেই শরীরটা যেন অবশ হয়ে আসে| থরথর করে কাঁপতে থাকা হাতে-পায়ে যেন সার নেই| ঠিক সেই মুহুর্তেই চোখ উপচে জল নামে‚ নেমে যেতে দেয় মেরি| মিনিটকয় পরে শান্ত হয়ে উঠে দাঁড়ায়| বিছানার ওপর বসে ছেলের মাথাটা বালিশ থেকে নিজের কোলে টেনে নেয়| আস্তে আস্তে মাথার চুলগুলোতে হাত বোলাতে থাকে| কখন ঘুমিয়েছে কে জানে! এখনও চোখের কোলে শুকনো জলের দাগ| আবার কিছু হল কি? ছেলেটা একটু অন্যরকম| একটু মেয়েলি| অনেক বকেছে‚ মেরেছে মেরি‚কিন্তু বদলাতে পারেনি| সাজবার জিনিসের প্রতি আশ্চর্য টান‚ এতটা মেরিরও কোনদিন ছিল না বা নেই| মাঝে মাঝে মনে হয় ও কি পুরুষ শরীরে নারী‚যেমনটা আজকাল চারিদিকে দেখছে‚ শুনছে| মেনে নেওয়া কঠিন তবু মা যে‚ মায়েদের অনেক জ্বালা| কি করবে সে?
‘পানু‚ এই পানু উঠবি না|’ আর্দ্র গলায় ডাক দেয় মেরি|
ধীরে চোখ মেলে তাকায় সুপর্ণ| তারপর ধড়মড় করে উঠে বসে|
‘অনেক রাত হয়ে গেছে পানু‚ ঘুমিয়ে পড়েছিলি|খেতে হবে তো?’
‘ইচ্ছে করছে না মা’|
‘সেকি কথা পানু‚ না খেয়ে রাতে শুতে নেই| শরীর খারাপ হবে| এখন আর রুটি করতে ইচ্ছে করছে না| বরং পাস্তা বানিয়ে ফেলি‚তুই তো ভালোবসিস|’
‘যেটা ইচ্ছে বানাও‚ আমি কিন্তু অল্প খাব’| সুপর্ণ অন্যমনস্কভাবে কথা বলে|
ইদানীং ছেলে আগের থেকেও কম কথা বলে| নিজের মধ্যেই নিজে থাকে| এরমটা ভালো না| একটা কাউন্সিলিং করালে কেমন হয়| তাড়াতাড়িই করাতে হবে‚নাহলে হয়ত পরে অনেক দেরী হয়ে যাবে| মুখে এসব কিছুই বলে না মেরি|
(৩)
‘একটা গাড়ি কিনব ভাবছি’|
‘সত্যি বড়মাম?’
‘হ্যাঁরে পানু| তারপর তোকে ড্রাইভিংটা শিখিয়ে নেব‚তারপর আমরা ছুটির দিনে এদিক-ওদিক ঘুরতে যাব|’
বড়মাম মানে বড় মাসি দিয়ারা একটি কোম্পানীতে বড় চাকরি করেন| মূলত বেসরকারী এই কোম্পানীতে বড়মাম একটা ভালো পজিশনে আছে| কোম্পানী গাড়ি প্রোভাইড করে| রিটায়ারমেন্টের কাছাকাছি এসে গেছেন‚রিটায়ারমেন্টের সময় একটা ভালো টাকা পাবেন| তাই এবার অপূরণীয় শখগুলো মিটিয়ে নেওয়া|
‘খুব ভালো হবে বড়মাম’|
যতটা উচ্ছ্বাস আশা করেছিল দিয়ারা ঠিক ততটা উচ্ছ্বাস সুপর্ণর অভিব্যক্তিতে ধরা পরে না| ছেলেটা বরাবরই অন্যরকম| তাদের চারবোনের মধ্যে দিয়ারা বিয়ে করেনি| বাকি বোনেরা বিবাহিত| মেজ আর ছোটোবোনের সাথে কোন সম্পর্কই নেই| সেজ মেরি ওরফে সিতারা এক ক্রিশ্চান যুবককে বিয়ে করেছিল‚তবে বেশিদিন ঘর করতে পারেনি| একটা অ্যাকসিডেন্টে যখন যুবকটি মারা যায় তখন মেরি তিনমাসের অন্তঃস্বত্তা| সেই থেকেই মেরি এইবাড়িতেই থাকে| মাঝে মধ্যে শ্বশুরবাড়িতে যায় অবশ্য| আর প্রতিবার ফিরে আসার পর ছেলেটার মধ্যে একটা আশ্চর্য পরিবর্তন লক্ষ্য করে| এবারও তাই| ছেলেটাকে বড্ড ভালোবাসে দিয়ারা‚ মেরি ওর জন্মদাত্রী হলেও দিয়ারার মত করে ওকে কেউ বুঝতে পারে না| একটু মেয়েলি‚তবে মনটা বড় ভালো| বয়সটাও এখন এমন একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে যে এইসময়ে সামান্যতেই অভিমান‚অপমান বোধ বড় হয়ে উঠছে| খুব সাবধানে ছেলেটাকে হ্যান্ডল করতে হবে| মেরি পারবে না| তাকেই মাথাটা দিতে হবে|ভাবনার মাঝেই ডোরবেলটা বেজে ওঠে|
‘দেখ না পানু‚ কে এল?’
দরজাটা খুলে একটা পার্সেল নেয় সুপর্ণ| পার্সেলটা তার নামেই এসেছে নায়কা থেকে| একটু অবাক হয় সে| পার্সেল তার নামে খুব একটা আসে না তো| মনে হচ্ছে কিছু সাজগোজের জিনিস আছে|
‘পানু কে এল রে?’
‘বড়মাম‚ আমার নামে পার্সেল একটা| দাঁড়াও আসছি|’ সইটা করে ছেড়ে দেয় সংশ্লিষ্ট ডেলিভারী ম্যানটিকে| দরজাটা বন্ধ করে ঘরে আসে|
‘এই দেখ বড়মাম‚ আমার নামে নায়কা থেকে একটা পার্সেল| তুমি বা মা কি কিছু অনলাইন অর্ডার করেছিলে?’
‘ও হ্যাঁ আমিই করেছিলাম| খোল তো|’
সাজগোজের জিনিসের প্রতি অগাধ আকর্ষণে দ্রুত হাতে খুলে ফেলে কার্টুনটা| বেরিয়ে পড়ে লিপস্টিক‚নেলপালিশ‚একটা হেয়ারব্যান আরও কিছু জিনিস|
‘এগুলো কার বড়মাম?’ চকচকে চোখে জানতে চায় সুপর্ণ|
‘কার আবার আমার’|
‘কিন্তু তোমার তো কিছু সিলেক্টিভ কালার আছে| এগুলোর কোনটাই তোমার কালারের সাথে মেলে না|’
‘চয়েজ তো চেঞ্জও হয়’|
‘হুম‚ কিন্তু হেয়ার ব্যান?’
‘পরে বলছি‚ তার আগে বলতো নেলপলিশের কালারটা তোর পছন্দ হয়?’
‘হয়| আমার ফেবারিট কালার’|
‘তা হলে নিয়ে আয় দেখি‚তোকে পরিয়ে দি’|
‘আমি‚ আমাকে পরাবে?’ রীতিমত অবাক কন্ঠস্বর সুপর্ণর| এর আগে এই বড়মামই মায়ের মতই পছন্দ করত না ছেলেদের নেলপলিশ পরা| আর আজ কিনা পরিয়ে দিতে চায়? ব্যাপারটা কি?
‘শোন পানু‚ কে কি বলল‚কানে নিস না| বরং যেটা তোর ভালো লাগে সেটাই কর| আর সবার আগে পড়াশোনা মন দিয়ে কর| জীবন এতটুকু নয়‚ জীবন অনেক বড়‚ অনেকটা পথ হাঁটতে হবে| হাঁটার পথে অনেক কিছুর সন্মুখীন হতে হবে‚ অনেক ঠেকতে হবে ‚ কিন্তু সমস্ত কিছুকে ঠেলে জীবনের পথে এগিয়ে যেতে হবে‚ কোন কিছুর জন্য জীবনটা অসহ্য করে তুলিস না| কেমন?’
‘বড়মাম’‚ সুপর্ণ ঝাঁপিয়ে পড়ে দিয়ারার কোলে| মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে থাকে দিয়ারা| চোখের কোন বেয়ে কুচি কুচি জল গাল বেয়ে গড়িয়ে ভিজিয়ে দেয় দিয়ারার শাড়ি| দিনকয় আগেই মেরি খুব কান্নাকাটি করেছিল তার কাছে| তার পরেই ভেবেছিল ছেলেটার একটা কাউন্সেলিং করাবে| কিন্তু চোখ খুলে দিল অফিসের বিতান নামের ছেলেটি| বলেছিল‚‘স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে দিন ছেলেটিকে‚ওর যা কিছু ভালো লাগে করতে দিন| মেয়েলি জিনিস পছন্দ করা মানেই কি খারাপ| দৃষ্টিভঙ্গী বদলান ম্যাম‚পৃথিবীটা অনেক বদলে গেছে‚ দরকার পড়লে নিজেদের কাউন্সেলিং করান| ওর নয়| ও ঠিক আছে‚বরং আপনাদের তাচ্ছিল্য ওকে চরম কোন পথে না ঠেলে দেয়|’
দীর্ঘদিনের সংস্কার কি ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া সহজ? তবু একটু একটু করে মনকে তৈরি করেছে দিয়ারা| মেরিকেও তৈরী করতে হয়েছে| তবু সবকিছু সহজ নয়| এই যে এই সমস্ত সাজগোজের জিনিস পানুর হাতে তুলে দিতে অনেকটা অনেকটা নিজেদের সাথে যুদ্ধ করতে হয়েছে| পেরেছে তবু পারেওনি| যুদ্ধটা ভিতরে ভিতরে চলছে| চিন্তায় ছেদ পরে|
‘কিন্তু বড়মাম‚ মা..?’
‘মা কি পানু?’
‘মা‚ মেনে নিতে পারবে না’| হতাশা ঝরে পড়ে গলা থেকে|
‘আমি মার সাথে কথা বলেছি|’
‘মা কি বলেছে?’
‘কিছু না‚তবে আপত্তি জানায়নি| তুই ছাড়া যে আমাদের আর কেউ নেই পানু| তাই তুই ভালো থাকলে যে আমরাও ভালো থাকব| তুই আনন্দে থাকলে আমরাও আনন্দে থাকব| জীবনে যাই কিছু হোক‚চরম কিছু করিস না‚মনের মধ্যে এসে থাকলেও না|’
‘বড়মাম’|
বিকেলের মরা আলোয় ভাঁটার টান কিন্তু জীবনের আঙিনায় তখন জোয়ার|
************************************************
জলি চক্রবর্তী শীল পরিচিতিঃ
পেশাগতভাবে একজন কম্পিউটার অপারেটর একটি সওদাগরী আপিসে। নেশা বই পড়া এবং কিছু লিখতে চেষ্টা করা। জলির লিখতে ভালো লাগে সেইসব প্রান্তিক মানুষদের নিয়ে, জীবন যাদের কাছে প্রাত্যহিক লড়াইয়ের নাম। এক টুকরো রুটি বা এক থালা ভাতের কদর যেখানে সবচেয়ে বেশি সেইসব মানুষদের সুখ-দুঃখ-বেদনা-ভালোবাসার দৈনন্দিন গাঁথাই জলির লেখার উপজীব্য।
খুব ভালো লেখা, যেমন জল লেখে 👌
ভালো লাগল। সামাজিক, পারিপার্শ্বিক চাপ কোনোদিনই কমে না। নিজের মত করে বাঁচার শক্তি শেষ পর্যন্ত নিজের ভেতর থেকেই খুঁজে আনতে হয়।
ভালো লাগল। সামাজিক, পারিপার্শবিক নিজের মত করে বাঁচার শক্তি শেষ পর্যন্ত নিজের ভেতর থেকেই টেনে আনতে হয়।
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের অন্তর্নিহিত বেদনার ভাষা গল্পের মধ্যে নিহিত।
চেতন স্পর্শ করে
বেশ ভালো লাগলো۔۔ জল۔ কিন্তু কেমন যেন হঠাৎ করে শেষঃ হয়ে গেলো মনে হলো۔
সুতপা দিদি۔
বা: খুব ভাল লাগল। বহু মানুষের এই abuse সহ্য করতে হয়। সবাই যদি এক ছাঁচে ঢালা না হয়, তাহলে সমাজের বড়ই অশান্তি।
জলি,
তোমার লেখাগুলো তো এমনিতেই ভালো লাগে ! বেশ গুছিয়ে লেখো ! – তবে তোমার লেখার বৈশিস্ঠ হল – তোমার খুব অনুভুতিশীল মনন ! খুব সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ ! – আমার তো খুব ভালোই লাগে – লেখার বিশ্লেষণগুলো ! – আরও লেখো !
মনোজদা
ভাল লাগল। বিষয় বৈচিত্র্যে তোমার লেখা সব সময়ই আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে
Khub sundar..mon bhore gelo
দিয়ারার মত মায়েরা ঘরে ঘরে থাক। তাহলে সুপর্ণর মত ছেলেরা শান্তি পায়। নিজের মত করে বাঁচতে পারে।
খুব ভাললাগলো।