“সূর্যোদয়ের সাক্ষী হয়ে”
কঙ্কণা সেন
আরব সাগরের তীরে বসে
করেছিলে শপথ—
আসুক যত ভাঙন কেননা
ভাঙব না কভু মোরা দু’জনা।
চারহাতের উষ্ণ পরশে
কেটেছিল কত ক্ষণ——-হিসেব ছিল না।
শুধু দুটি মনের জড়াজড়ি ছিল
অতীত হয়েছে এমন কত মুহূর্ত
সূর্যাস্তের অস্তরাগে বিলীন হয়েছে সেই দিন
কথা দেওয়া কথাগুলো উড়ে গেছে
বালুকণার সাথে সময়ের ঘূর্ণাবর্তে
নেই কিছু নেই।
তবে বাঁচতে শিখেছি নতুন করে
এখন নেই কোনো ক্ষণ গোনা
নেই পথ চাওয়া
শুধু নিজের শক্তিতে দৃপ্তভাবে এগিয়ে চলা
সূর্যোদয়ের সাক্ষী হয়ে
সূর্যাস্তের অস্তরাগে রঙিন হয়ে।।
****************************
“মুক্তিকামী”
কঙ্কণা সেন
প্রজ্জ্বলিত আগুনেই যদি
সব শেষ,তবে কেন এই
অকারণ মান অভিমান
ঈর্ষাকাতরতা?
ক্ষুদ্র স্বার্থে করি অগ্নি সংযোগ
দাও না বলি যূপকাষ্ঠে
কামনার মোহজাল
অন্ধ জরাজীর্ণতা !
খন্ড আমি,ক্ষুদ্র আমি
তমসাচ্ছন্ন আমি,কালিমালিপ্ত আমিকে
দিই বিসর্জন চিরতরে
মহাকালের অতল গহ্বরে।
************************************
কঙ্কনা সেন পরিচিতি
রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে এম এ। ছোট থেকেই কবিতার প্রতি ভালোবাসা। বিশ্বাস মানবতায়। পেশা-শিক্ষকতা।