ইতিবৃত্ত
কঙ্কণা সেন
চায়ের কাপে তুফান ওঠে
ভেক দরদে নেতা কাঁদে
জ্বলছে আগুন,পুড়ছে মানুষ
কার তাতে কী? নেই কারো হুঁশ!
হাত-পা সেঁকো খোস মেজাজে
ক্ষমতা তোমার পেশির মাঝে
মানুষ কাঁদে সাঁঝ সকালে
নারীর লজ্জা ঢাকো আঁচলে
শাসক শাসায় রক্ত চোখে
অস্ত্র শানায় দিন-মানে।
আমরা তো সব পরান্নভোজী
দুটি ঠোঁটে আঙুল চেপে
ভাগ্যটার দোহাই মারি!
পুতুলনাচের ইতিকথায়
আলাদা করে নেইকো কথা
সুতোয় টান দিলেই তবে
হাত পা নেড়ে সঙ যে খেলি!
কতকাল আর চলবে এমন?
এবার বুঝি ধরল ভাঙন
পুতুল নাচের কারিগর
সুতো ধরে দেবে টান
সেই টানেতে রাজামশাই
হবেই যে খানখান!
তখন বুঝি গাইব সুখে
আমাদেরই কবির গান
রাজা প্রজা সকলি সমান
রাজা দেবেন সম মান।।
*****************************
“কাজলাদিদি”
কঙ্কণা সেন
কাজলাদিদি কোথায় গেল
কেউ জানে না ভাই
বোনটি তার খুঁজেই চলে
উন্মনা হল তাই।
লেবুর গন্ধে আজও তার
ঘুম আসে না চোখে
থোকায় থোকায় জোনাইগুলো
রোজই দেখি জ্বলে।
বাঁশবাগানের মাথার ওপর
চাঁদ তো ওঠে নিজের মতোই
দিদিই শুধু ফেরে না কেন
দিন-রাত তো গেল কতোই।
মায়ের আঁচল রোজই ভেজে
কাজের ফাঁকে ফাঁকে
বোনটি তার অবোধ অবুঝ
দিদিকেই শুধু ডাকে।
শোলোক-বলা কাজলাদিদি
কোথায় গেলি তুই?
তোকে ছাড়া ঘর যে আঁধার
মনেই কী তোর নেই?
কাজলাদিদি,কাজলাদিদি
ফিরে আয় না তুই
তোর সাথেই তো সব বাধা
আমরা পেরব’ই।।
*****************************
কঙ্কনা সেন পরিচিতি: রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে এম এ। ছোট থেকেই কবিতার প্রতি ভালোবাসা। বিশ্বাস মানবতায়। পেশা-শিক্ষকতা।
দুই স্বাদের দুটি কবিতা মনকে ভাবায়,ভাসায়–আশার আলো দেখায়❤️ আবার বিষন্নতার প্রদীপ জ্বালায়…
খুব সুন্দর কবিতা দুটি,বৈচিত্র ও ভিন্ন স্বাদের জন্য মন কে আকর্ষিত করে।