Shadow

জীবনদর্পণ ও বাস্তবতা – সুরজিত সরখেল

জীবনদর্পণ ও বাস্তবতা

সুরজিত সরখেল

” যতদিন বেঁচে আছি আকাশ চলিয়া
   গেছে কোথায় আকাশে
অপরাজিতার মত নীল হয়ে আরো নীল হয়ে
আমি যে দেখিতে চাই;_সে আকাশ
     পাখনায় নিঙরায়ে লয়ে
কোথায় ভোরের বক মাছরাঙা
          উড়ে যায় আশ্বিনের মাসে
আমি যে দেখিতে চাই_আমি যে বসিতে
            চাই বাংলার ঘাসে
পৃথিবীর পথে ঘুরে বহুদিন অনেক বেদনা প্রাণে সয়ে
ধানসিড়িটির সাথে বাংলার শ্মশানের দিকে যাব বয়ে
যেইখানে এলোচুলে রামপ্রসাদের সেই শ্যামা আজো আসে
যেইখানে কল্কাপেড়ে শাড়ী পরে কোনো এক সুন্দরীর শব
চন্দন চিতায় চড়ে_ আমের শাখায় শুক ভুলে যায় কথা
যেইখানে সবচেয়ে বেশী রূপ_ সবচেয়ে গাঢ় বিষণ্নতা
যেখানে শুকায় পদ্ম_ বহুদিন বিশালাক্ষী যেখানে নীরব
যেইখানে একদিন শঙ্খমালা চন্দ্রমালা মানিকমালার
কাঁকন বাজিত,আহা,কোনোদিন বাজিবে কি আর!”
আমার ভীষণ প্রিয় কবি জীবনানন্দ দাশের এই বিখ্যাত কবিতাটা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই মনটা আরও ভারাক্রান্ত হয়ে গেল! মহাষ্টমীর দুপুর। জীবন সায়াহ্নে এসে এই আজকের দিনে মনটাকে সুদূর অতীতে নিয়ে ফেলতেই,এই দিনগুলোর তাৎপর্য সময়ের বিভিন্ন ধাপে কিরকম ছিল,স্মৃতিতে ধরা দিতে থাকলো। সময় নামক মহাকালের গর্ভে কত মানুষ,প্রিয় মানুষ,প্রিয় স্মৃতি,শৈশব থেকে প্রৌঢ়ত্বের আসা যাওয়ার পথে কত প্রিয় মুহূর্ত বিলীন হয়ে গেছে। আগে ভীষণভাবেই ভীড়াক্রান্ত ছিলাম। কত মানুষজনের ভীড়,কত স্বপ্ন, আশা,আবেগ,তাদের ঘিরে ভালোবাসা,সব যেন কোনো অদৃশ্য ব্ল্যাকহোল নিঃশব্দে গ্রাস করে নিয়েছে। এটাই হল মায়া। ভোলা যায়না। স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ বলছেন,”মায়াতে মুগ্ধ করে রাখে,বদ্ধ করে রাখে”। মনে পড়ে গেল বিখ্যাত গানের লাইনটা…”এ মায়া,প্রপঞ্চময়”!
কিন্তু,কি ভাবে ভুলবো,৬০ দশকের মাঝামাঝি থেকে ৭০ দশকের প্রারম্ভ পর্যন্ত পুজো আসার আগে বাবার সঙ্গে পুজোর বাজার করতে যাবার কথা। তারপর নিজে যখন বাবা হলাম,স্ত্রী আর পুত্রকে সঙ্গে করে পুজোর বাজার করতে যাওয়া,ঠাকুর দেখে ফিরে এসে,পরের দিনই মা কে নিয়ে ঠাকুর দেখিয়ে আনা। কি করে ভুলবো,আমার সেজো মাসী আর মেসো (যারা আমার কাছে আমার মা,বাবার থেকে কোন অংশেই কম ছিলেন না,যাদের আমি দিদি,জামাই বলেই ডাকতাম,ছোট বেলা থেকেই),যাঁরা নিঃসন্তান ছিলেন। আমার ছোটবেলা,শাসন,অনুশাসন এবং পরবর্তী জীবনে তার প্রভাব এখনও বহন করে চলেছি। মেসোর নিজের হাতে বানানো পোশাক পরে আমাদের পুজো শুরু হত। গোয়েঙ্কা কলেজে সেই জামা প্যান্ট পরেই ক্লাস করেছি। নিজের জন্মদিন কবে,প্রশ্ন করলে আমার স্ত্রী হেসে এড়িয়ে যেত,অথচ,বাড়িতে কোন বাচ্চাটার কবে জন্মদিন,চলে যাবার আগে পর্যন্ত নিখুঁত ভাবে বলে দিত। আরও অসংখ্য স্মৃতি,ঘটনা যা ভুলে যাওয়া অসম্ভব নয় শুধু,যন্ত্রণা দায়কও! তাহলে,খুব স্বাভাবিক ভাবেই মনে প্রশ্ন আসে,এসব কি শুধুই মায়া!
যদিও,সেই শৈশব থেকে প্রৌঢ়ত্ব পর্যন্ত এতগুলো ধাপ পেরিয়ে আসার পথে যতটুকু অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হয়েছে,তাতে বেশ বুঝতে পারছি,যে আমরা আসি একা,যাইও একা,থাকিও ছাড়া ছাড়া। কেউই আমরা কারোর নই! কিন্তু,ঠিক তখনই আমাদের স্মৃতি এই উপলব্ধির বিরুদ্ধাচরণ করে বসে স্বাভাবিকভাবেই। এই যে আমরা একেবারে নিকট সম্পর্কের মানুষগুলো,যাদের সঙ্গে আমরা নিখাদ ভালোবাসা,আবেগ,বিশ্বাস,ধর্মের বাঁধনে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে থাকি,কেউ কাউকে একমুহূর্তও চোখের আড়াল করতে পারি না,সময়ের ইশারায় যখন তাদের কেউ কেউ চুপকথার দেশে টুক করে ঘুরতে চলে যায়,বা নিরুদ্দেশ হয়ে যায়,আর ফেরে না,তখন হতভাগ্য মানুষটার হৃদয় ছেড়া দীর্ঘশ্বাসের শব্দও কি হারিয়ে যাওয়া মানুষটার কানে পৌঁছায়? বস্তুবাদী বা চার্বাক পন্থীরা যারা  মৃত্যুর পর আত্মার অস্তিত্বকে অস্বীকার করেন,তারা বলবেন,”না,পৌঁছায়না”। এরা আত্মা বলে যে কোন পদার্থ আছে,তা বিশ্বাসই করেন না।কিন্তু বুকে হাত দিয়ে বলুন তো,আপনার কোন একান্ত প্রিয়জনের বিয়োগ ব্যথায় কাবু হলে অন্যান্য প্রিয়জনেরা আপনাকে শোকে মূহ্যমান হতে নিষেধ করে বলেন না,এভাবে ভেঙে পোড়োনা,যিনি গত হয়েছেন,তার আত্মা কষ্ট পাবে। তার মানে মৃত্যুর পরেও আত্মার অস্তিত্ব আছে এবং সেটা বিশ্বাস করার লোকের সংখ্যাও কম নয়!মানব সভ্যতার প্রথম থেকেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে,বিভিন্ন জাতি,বিভিন্ন মতাবলম্বী মানুষের আত্মার অস্তিত্ব সম্পর্কে ভিন্ন,ভিন্ন ধারণা বা বিশ্বাস ছিল; বা আজও বর্তমান আছে।
এই পর্যন্ত পড়ে পাঠকদের মনে হতে পারে,যে আত্মা আছে,কি নেই! এই গুঢ় তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করার কারণ টা কি? মনে হতেই পারে।আজকের এই ভোগসর্বস্ব এবং স্বার্থাচ্ছন্ন সমাজ,সংসারে এই নিয়ে ভাবনা চিন্তা করার অবকাশ কার আছে? তখনই মনে প্রশ্নটা এল,চিন্তা হবেনা কেন? মৃত্যু যেমন চিরন্তন,শাশ্বত; মৃত্যুর পরে মানুষ কোথায় যায়? এটাও চিরন্তন প্রশ্ন মানুষের।হাজার,হাজার বছর ধরে মানুষের মনে এই জিজ্ঞাসা রয়ে গেছে।হঠাৎ আমার মতন একজন ছাপোষা সাধারণ মানুষের মনেও এসেছে,যখন কোন এক পড়ন্ত বিকেলে সুদূর অতীতের দিকে তাকিয়ে দেখি কত,কত প্রিয় মানুষেরা আমার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে,আমার চারপাশের পরিমণ্ডলের মধ্যে তাদের চিহ্ন ভীষণভাবেই প্রকট,খুব স্বাভাবিক ভাবেই মনে এই প্রশ্নের উদয় হয়েছে,মরণের পরে প্রিয় মানুষগুলো কোথায় যায়?জীর্ণ বসনের মতন শরীর নামক খোলস ত্যাগ করে আত্মা কোথায়,কিভাবে পৌঁছায়! এই কৌতূহল অনেকেরই থাকে; এবং যুগ যুগ ধরে তা বয়েও বেরিয়েছে প্রচুর খ্যাতনামা মানুষ।আত্মা যে অমর,অবিনশ্বর, তা যেমন বিশ্বাস করতেন,গ্রীক দার্শনিক পিথাগোরাস,প্লেটো ও তাদের প্রচুর শিষ্যরা,সেরকমই আমাদের দেশের প্রচুর মুনি,ঋষি,পণ্ডিত,বিদগ্ধ মানুষরাও বিশ্বাস করতেন। এব্যাপারে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,বিখ্যাত ঔপন্যাসিক বিভূতভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে আমাদের পাড়ার চায়ের দোকানদার কালটু দার মতন সবাই আত্মার অস্তিত্ব সম্পর্কে কোন রকম সন্দেহ প্রকাশ করেননি। আমাদের শ্রীমদ্ভগবদগীতায় বলছে….জাতোস্য হি ধ্রুব মৃত্যু ধ্রুবং জন্ম মৃতস্য চ ….অর্থাৎ,জন্মালে মৃত্যু হবেই,এবং সেই মরণ থেকেই আবার সৃষ্টি হবে,অনন্তকাল ধরেই এই ধারা চলতে থাকে।আবার,বর্তমানকালের আর একজন প্রথিতযশা বিজ্ঞানী,স্টিফেন হকিং বলছেন,ঈশ্বর এবং স্বর্গ বলে কিছু হয়না। কাব্যধর্মী উপনিষদগুলির মধ্যে অন্যতম কঠোপনিষদ গ্রন্থটি “দি সিক্রেট অব ডেথ” নামে অনুবাদ করেছেন,স্যার এডুইন আর্নল্ড। গ্রন্থটি এই প্রশ্ন নিয়ে শুরু হয়েছে….”কেউ কেউ বলেন,মানুষ মরলে চিরকালের মত লুপ্ত হয়ে যায়; আবার কেউ বলেন যে,মরণের পরেও মানুষ বেঁচে থাকে। এই কথা দুটির মধ্যে কোনটি সত্য, এই প্রশ্ন আমাদের মনে জাগে (যেয়ং প্রেতে বিচিকিৎসা মনুষ্যে অস্তীত্যেকে নায়মস্তীতি চৈকে,এতদ বিদ্যামনুশিষ্ট স্তয়াহহং বরাণামেষ বরস্তৃতীয়ঃ….কঠোপনিষৎ )।  আমাদের ভগবদ্গীতায় বলছে “দেহিনোহস্মিন যথা দেহে কৌমারং যৌবনং জরা,তথা দেহান্তর প্রাপ্তিঃ”,অর্থাৎ, শিশুদেহের পর আমরা যৌবন শরীর প্রাপ্ত হই,এরপরে ক্রমে ক্রমে প্রৌঢ়ত্ব ও বৃদ্ধ অবস্থায় উপনীত হই এবং পরিশেষে তাও ত্যাগ করি,জীর্ণ বসনের মতন এবং আমাদের শরীরের ভিতর যে মহান আত্মার বাস,যা অজর,অমর,যার মৃত্যু নেই,সে তখন আর একটা নতুন দেহ গ্রহণ করে। আমাদের হিন্দু শাস্ত্র ও অন্যান্য জাতিদের ধর্ম গ্রন্থে এর উল্লেখ আছে।
আমাদের ঋগবেদের ১০ ম অধ্যায়ে শ্লোকের( ১৬/৪) অনুবাদের অর্থ হচ্ছে,”হে অগ্নি,মৃতের যে অংশ জন্মরহিত ও চিরন্তন,তাকে তোমার উত্তাপের দ্বারা তপ্ত কর।তার সেই অংশগুলি তোমার উজ্জ্বল শিখা দ্বারা পরিশুদ্ধ হোক। হে জাতবেদ অগ্নি,তোমার পরিশুদ্ধ রূপ দ্বারা এই মৃত আত্মাকে সাধু এবং ধার্মিকদের রাজ্যে নিয়ে যাও”।
ছান্দোগ্য উপনিষদে বলছে,”দেহ নশ্বর,তার মৃত্যু হয়। অমর আত্মার নিবাস হল দেহ,যার আনন্দ,ব্যথা উভয়ই আছে। কিন্তু সেই আনন্দ বা ব্যথা অব্যয় আত্মাকে স্পর্শ করতে পারেনা।
সুতরাং,মৃত্যু হোলো চিরন্তন,শাশ্বত। আমাদের শরীর হোলো ক্রমশই ক্ষয়প্রাপ্ত যন্ত্রবিশেষ,আত্মা যার বহির্বাস মাত্র। আমাদের মরণের পরে আত্মার শরীর ত্যাগ কে বলা যায়,”চেতনার এক স্তর থেকে অন্য স্তরে বিবর্তন”।বিদেহী আত্মার এক স্তর থেকে অন্য স্তরে “অবস্থান্তর”। ভগবদ্ গীতায় (২/২২) এর সুন্দর ব্যাখ্যা আছে। যথা……..
        ” বাসাংসি জীর্ণানি যথা বিহায়,
             নবানি গৃহ্নাতি নরোহপরাণি।
            তথা শরীরাণি বিহায় জীর্ণা
                   ন্যন্যানি সংযাতি নবানি দেহী”।
শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেব বলেছেন,”নৌকা স্রোতের বুকে এগিয়ে চলে,তবে ধীরে চলে।তুমি নৌকার পাল তুলে দিয়ে দাঁড় টানলে নৌকা আরও দ্রুত গতিতে ছুটবে এবং লক্ষ্যে দ্রুত পৌঁছে যাবে।মানুষের আত্মাও তেমনি যাত্রা শুরু করে স্থূল ও অচেতন বস্তু ছাড়িয়ে,ক্রমশই সূক্ষ্মে ও চেতনে,এবং সেখানেও না থেমে সে নিজেকে সমর্পণ করবে চরম লক্ষ্য রূপে আত্মচৈতন্যে।অর্থাৎ,আত্মা পরমাত্মায় লীন হবে।
অতএব,সৃষ্টির পরে ক্রমবিবর্তনের মধ্য দিয়ে আমাদের শরীর ছেড়ে আত্মা পরমাত্মার সঙ্গে মিলে যাবে। এই ব্যাখ্যা কারোর সঙ্গে নাও মিলতে পারে। তারও ব্যাখ্যা আগেই করেছি। বেশ ভালই বুঝতে পারছি যে,আমাদেরও উপলব্ধি,চেতনা,মানসিকতা বোধেরও ক্রমবিবর্তন হয়। আগে তো এই সমস্ত বিশ্লেষণ বোধগম্য হোতোনা। এখন অহর্নিশি যে সমস্ত কথা মনে মনে ঈশ্বরের কাছে বলি,সেই কথা তো কবেই বলে গেছেন কবিগুরু। তার সেই অমোঘ বাণীর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য আগে তো এভাবে বুঝিনি! অস্বীকার করার স্পর্ধা নেই আমার। আর একবার মনে করি সেই অনন্ত চেতনার বিষ্ফুরণ………….
  ” হৃদয় বেদনা বহিয়া,প্রভু,এসেছি তব দ্বারে।
  তুমি অন্তর্যামী হৃদয় স্বামী,সকলই জানিছ হে _
যত দুঃখ লাজ দারিদ্র্য সংকট আর জানাইব কারে?
অপরাধ কত করেছি,নাথ,মোহপাশে পড়ে_
 তুমি ছাড়া,প্রভু,মার্জনা কেহ করিবে না সংসারে।
 সব বাসনা দিবো বিসর্জন তোমার প্রেম পাথারে,
 সব বিরহ বিচ্ছেদ ভুলিব তব মিলন অমৃতধারে।
আর আপন ভাবনা পারিনা ভাবিতে,তুমি লহ মোর ভার_
পরিশ্রান্ত জনে,প্রভু,লয়ে যাও সংসার সাগরপাড়ে।
তথ্যসূত্র : মরণের পারে / স্বামী অভেদানন্দ
**************************************

সুরজিৎ সরখেল পরিচিতি :
১৯৫৭ সালে উত্তর কলকাতায় জন্ম। ২০১৮ সালে জীবনবিমা থেকে অবসর নেওয়া মানুষটার সঙ্গীতে একটা পারিবারিক ঐতিহ্য ছিল। সেজমাসী স্বর্গীয়া পুষ্প চক্রবর্তীর কাছে হাতেখড়ি কলেজ জীবনের শুরুতে।তারপরে মেজমামা প্রখ্যাত সুরকার স্বর্গীয় হৃদয় রঞ্জন কুশারির কাছে তালিম শুরু হয়। পরবর্তীকালে স্বর্গীয় সুব্রত সেনগুপ্ত এবং সঙ্গীত জগতের একজন প্রখ্যাত গুণী মানুষ স্বর্গীয় সিদ্ধেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের কাছে নজরুল সঙ্গীতে তালিম নেন। এরপরে কোটালি ঘরানার প্রখ্যাত পণ্ডিত গোবিন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তালিম নেওয়া শুরু হয়। একসময়ের খেলাধুলায় পারদর্শী মানুষটার সময় কাটে সাহিত্য চর্চা এবং বাগান নিয়ে।

 

error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!