স ম্পা দ কী য়
পৌষ সংখ্যা ১৪২৯ “পার্বণী”
পৌষ মাসকে ধরা হয় সৌভাগ্যের মাস হিসেবে। কথায় আছে কারও পৌষ মাস…! বাঙালীর কাছে পৌষ মাস যেন পার্বণের মাসও। দীর্ঘ দহনবেলার পর,ঝড় বৃষ্টি, বন্যা,বজ্র গর্জন, মেঘ কালো করা বর্ষার পর,এ যেন একটু স্বস্তির সময়। বারো মাসে তেরো পার্বণের দেশে পৌষ যেন আনন্দ আর আলোর ভরা ধরণীতল। নরম শীতের উষ্ণ রোদ্দুর মাখা,মাঠে মাঠে সবুজ ফসল,শাক সব্জি,স্বস্তি বাজার দরেও। কুলায় ফেরার পৌষ মাসের,পৌষালী সংখ্যার নামেও তাই এরই প্রতিফলন ঘটেছে। কুলায় ফেরার এই বিশেষ সংখ্যার নাম করা হয়েছে “পার্বণী”। নানান রঙ,নানান স্বাদে আমরা পাঠক/পাঠিকার কাছে পৌঁছাতে চেষ্টা করছি এই পার্বণী সংখ্যায়।
পৌষকাল টি সুন্দর হলেও আমাদের যাত্রাপথ কিন্ত মসৃণ হয়নি আজও। বলা যায়,আমাদের ‘পথে পথে পাথর ছড়ানো…’।একটি পত্রিকা সুষ্ঠু ভাবে চালাতে শুধু অক্লান্ত পরিশ্রম,উৎসর্গকৃত মানসিকতা,সম্মিলিত প্রয়াস,নিবেদিত প্রাণ লেখকগোষ্ঠী,বুদ্ধিদীপ্ত ধৈর্যময় কম্পিউটার শিল্পী,তুখোড় সম্পাদক নয়,কারণ এগুলি সবই রয়েছে কুলায় ফেরায়। এটার পরও প্রথম এবং প্রধান প্রয়োজন হলো যে জিনিসটার,যা সর্বত্র আবশ্যিক চালিকাশক্তি যোগায়। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে যার যোগান সম্ভব। এই শক্তিতে বলীয়ান হলে পত্রিকাও সুস্বাস্থ্য পাবে।
কুলায় ফেরা শুরু থেকেই বাঙলা সংস্কৃতি,বাঙলার ঐতিহ্যকে অক্ষুন্ন রেখে এগিয়ে চলার শপথ নিয়েছিলো। নানান অসুবিধা সত্বেও এই শপথের বিচ্যুতি ঘটেনি।বরং ছোট্ট কুঁড়ি থেকে আজ তার শাখা হয়েছে বহুবিস্তৃত। একটি আন্তর্জালিক পত্রিকা হিসেবে প্রথমে কুলায় ফেরার যাত্রা শুরু হয়েছিলো সংস্কৃতির বিভিন্ন বিভাগকে একত্রিত করে। গল্প,কবিতা,প্রবন্ধ,কথাকাহিনী ইত্যাদি নিয়ে প্রকাশ পেয়েছিলো প্রথম সংখ্যাটি। এরপর এলো সাহিত্য প্রতিযোগিতা। প্রচুর সাড়া পাওয়া গেলো। লেখা এলো অনেক। একটি বিচারকমন্ডলী গঠিত হলো। এর মধ্যে থেকে তাঁরা বেছেনিলেন তাঁদের পছন্দক্রমের লেখাগুলি। যেগুলি পরবর্তী সংখ্যায় প্রকাশ পেয়েছে।
এর পর এলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর্ব। একাধিক এরকম অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়েছে অন্তর্জালে। কখনো বা সরাসরি সম্প্রচার হয়েছে বিশ্বজুড়ে। বিপুল সংখ্যক শিল্পী অংশ নিয়েছেন। আজও অটুট এই যাত্রা।
পৌষ সন্ধ্যায় কুলায় ফেরা ঘরের অন্দরমহল ছেড়ে প্রথমবারের মত বাইরে বেরিয়ে এলো। যেমন অগ্রহায়নের এক অপরাহ্নে বেরিয়ে এসেছিলো নিখিলেশ আর বিমলা। সদ্যপ্রাক্তন ২০২২-এর ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বেহালা বইমেলায় সশরীরে আত্মপ্রকাশ করলো কুলায় ফেরা। তার পল্লীগানের ডালি নিয়ে!
কুলায় ফেরা আবার এক সাহিত্য প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে চলেছে।
পরিশেষে বলা যায়,বাধাবিঘ্নকে জয় করেই এগোতে হয় জীবনের পথে। সফলতার পথে। এটাই বোধহয় জীবন। একেই বলে বেঁচে থাকা।
সকলকে কুলায় ফেরা পরিবারের পক্ষ থেকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা। শুভ হোক ২০২৩।
ন ম স্কা র!
দেবদত্ত বিশ্বাস
সম্পাদক
কু লা য় ফে রা
সম্পাদক
কু লা য় ফে রা