ব্রেক-আপ
অঙ্কন দন্ড
পাঁচিলের গায়ে শ্যাওলার মতো
মিশে থাকো আমার সাথে।
কোন এক প্রবল বর্ষার সময়
তুমি আমি এক হয়েছিলাম।
বাড়ির মালিক বহুবার ঘষে ঘষে
তোমাকে আমার থেকে আলাদা করেছে।
কিন্তু আবার আমার অঙ্গে অঙ্গে
শ্যামলতায় ছেয়ে গেছো তুমি।
মাঝে মাঝে ভাবি কত ভালোবাসো আমাকে!
রোদে যখন তুমি লাল হয়ে যাও
ভাবি হয়তো আমার জোরালো প্রেমের লজ্জা।
আমার নিজের কোনো রঙ নেই,
তোমার রঙেই আমার পরিচয়।
হঠাৎ একদিন বাড়ির মালিক
আমাকে প্লাস্টার করে রঙ করে দিল।
সেদিন থেকে তুমি আর
আমার কাছে আসো না।
হ্যাঁ,এখন আমি দেখতে সুন্দর হয়েছি,
শরীরেও বেড়েছে শক্তি।
কিন্তু তুমি ছাড়া বড়ো একা লাগে।
হয়তো তুমিও অন্য কোনো দেওয়ালে
নিজেকে সাজিয়ে তুলেছো।
************************************
প্রত্যাখ্যান
অঙ্কন দন্ড
বহু আঘাতে পাথর হওয়া বুক,
শল্ক ভেঙে ছুঁলে নরম আমি।
শীতটা মেখে কাটছিল দিন বেশ,
নাই বা ছুঁতে উষ্ণ আঁচে তুমি।
চলার পথে শীতে এবং তাপে
ক্ষুদ্র কণায় বারবার হই গুঁড়ো।
তুমি আবার নতুন করে এসে
খুঁজছো নাকি আরাম দেবার ছুঁতো?
উদক হয়ে মরমে নিলে স্থান,
তুষার সেজে ফাটল ধরাবে জানি।
তুমিও কি সেই অন্য সবার মতই
হাতের চেটোয় সাজিয়ে যাবে গ্লানি?
হয়তো তুমি এসেছ ঋতুর মতোই,
ক্ষণিক থেকে বদলে যাবে কাল।
একটা পেগেই লাগিয়ে দিয়ে নেশা
ছিনিয়ে নেবে হাতের তরল লাল।
তাই,
একান্তে আজ আমার ভালো থাকা,
নিয়ম মেনে তুমিও দিতে ফাঁকি,
পাথর গুঁড়ো ভাঙবে বা আর কতই?
আজের মতো ফোনটা তবে রাখি ৷৷
**************************************
অঙ্কন দণ্ড, জন্ম ২০০৩ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারী। বাসস্থান পুরুলিয়া জেলার আদ্রায়। অঙ্কনের লেখালেখির পথ চলা কবিতা দিয়ে। আনন্দবাজার পত্রিকার জেলার পাতা ” ছোটদের পাতা ” শীর্ষক – এ তার স্বরচিত কবিতা নিয়মিত প্রকাশিত হত। স্থানীয় পত্রিকা ” ঊষশী” তেও স্থান পেয়েছে তার কবিতা। এছাড়া নানান গল্প ও প্রবন্ধ লিখে স্থানীয় স্তরে অনেক শুভেচ্ছালাভ করেছে সে। লেখালেখির পাশাপাশি ছবি আঁকাতেও সমান পারদর্শী অঙ্কন। অঙ্কনের রয়েছে ক্রিকেট ও গান এর প্রতি অসীম আগ্রহ।