নয়ন
জলি চক্রবর্তী শীল
‘এসো না মা একটা ফটো তুলি’‚সাগ্রহে ডাকে জুনিতা |
আজ জুনিতার রিসেপশন | জুনিতার সাথে গোটা দুদিন দেখা হয়নি নয়নের | দুটোদিনে অবশ্য এত কাজ ছিল যে নয়নের দিন কোথা দিয়ে কেটে গেছে নয়ন টেরও পায়নি | শুধু মাঝে মাঝে দু একবার ফোনে কথা হয়েছে মেয়ের সাথে | কে কি দিল আশীর্বাদীস্বরূপ‚সবাই তাকে কতটা আদর দিচ্ছে‚কে কে তাকে কতটা সঙ্গ দিচ্ছে এইসব আর কি ! কিন্তু এই গোটা দুটোদিনে সে অনেকবার জানতে চেয়েছে তার জুনিতা কেমন আছে‚কিন্তু জুনিতার একবারও মনে হয়নি মা’কে একবারের জন্য জিজ্ঞাসা করে‚’মা তুমি খেয়েছ তো? মা তোমার খুব ফাঁকা লাগছে না আমি নেই বলে?’ না এসব প্রশ্ন করেনি জুনিতা |
একলা হাতে মানুষ করেছে নয়ন মেয়েকে | দুজনের মধ্যে তাই বন্ধনটা খুব দৃঢ় হওয়া উচিত ছিল কিন্তু বাস্তবে এমনটা হয়নি | চিরকাল মেয়ে জেনে এসেছে সে মূল্যবান মা নয় | তাই হয়ত | অবশ্য এসব এখন আর নয়ন গায়ে মাখে না | জীবনটাই তার অদ্ভুতরকম । ষোলো বছর বয়সে যখন তার বিয়ে হয়, তখন সে বিয়ে কি সেটাই ভালোভাবে জানত না | ক্লাস ফাইভের পর নয়নের আর পড়াশোনাটা করা হয়ে ওঠেনি | স্কুলে গেলে বাড়ির কাজ কে করবে ? কোলেপিঠে করে কে মানুষ করবে বাকি দুটো ভাই-বোনকে ? তাই লেখাপড়ার ইচ্ছে থাকলেও এগোনো সম্ভব হয়নি তার পক্ষে | বাবা ছিলেন চিরকালই একজন কুঁড়ে‚ অকর্মণ্য মানুষ| গুণ না থাক ‚ দোষ ছিল ষোলোআনা | যেটুকু রোজগার করতো রেসের মাঠে ‚ মদের ঠেকে উড়িয়ে দিয়ে আসত | বাধ্য হয়ে মাকে বের হতে হয়েছিল কাজে | পুঁথিগত বিদ্যা কিছুই ছিল না | যখন যে কাজ পেত করত | কোনদিন বাড়িতে হাঁড়ি চড়ত ‚ কোনদিন চড়ত না | অভাব কিন্তু নয়নের শরীরে ছাপ ফেলেনি | রূপ যেমন ঝরে পড়ছিল তেমনই পুরুষ্ট হয়ে উঠেছিল শরীরের সমস্ত অঙ্গই | এমন মেয়েকে ‚ মা ঘরে রাখে কোন সাহসে ? নয়নের মাও সাহস পেল না নয়নকে ঘরে রাখতে | বস্তির ঘরে নিত্য উৎপাত নেশাড়ুদের | পাঠিয়ে দিল গ্রামে বাপের বাড়িতে | সেখানেই বেড়ে উঠছিল সে | ঠিক ষোলো বছর বয়সে নয়নের বাবা একটা সম্বন্ধ নিয়ে আসল | এক দেখাতেই বিয়ে স্থির | কিছুই দিতে থুতে হবে না | দেওয়া থোয়ার অব্স্থাই বা কোথায় ? মেয়ে নিখরচায় পার হয়ে যাবে তার চেয়ে বেশি আর কি চাই | ছেলে ভালো চাকুরে ‚ বয়সটা একটু বেশি ‚ সে যাই হোক মেয়েকে সুখে রাখবে আবার কি চাই | খোঁজখবর ? সেই বা কে নেয় ? ওপর ওপর খোঁজখবর করে নয়নের বিয়ে হয়ে গেল নমো নমো করে | পরদিন নয়ন চলেও গেল স্বামীর ঘরে |
একলা মানুষের শ্রীহীন সংসারে যেন শ্রী নিয়ে ঢুকলো নয়ন| গয়না-গাঁটি কিছুই ছিল না‚ শুধু ছিল রূপের বাহার | সেই বাহারেই চারিদিক আলো করে সে সংসার করতে শুরু করল অনিকেতের সাথে | অনিকেত অল্প কথার মানুষ | দশটা কথা বললে একটা কথার উত্তর মেলে | কোন কোনদিন অনিকেত বাড়িও ফেরে না ‚ অফিসের কাজে তাকে প্রায়ই বাইরে থাকতে ‚ যেতে আসতে হয় | নয়ন তখন একলাই থাকে | এক বস্তি থেকে সে এখন অন্য বস্তির বাসিন্দা | কিন্তু তার বর বেশ ভালো রোজগার করে ‚ কিন্তু তবু তারা বস্তিতে থাকে কেন সে প্রশ্ন করে উঠতে পারে না সে | বাস্তবে সে কোন প্রশ্নই করে না অনিকেতকে | অনিকেত যা হুকুম করে তা সে শুধু পালন করে মাত্র | অনিকেতের যখন ইচ্ছে হয় নয়নকে কাছে টেনে নেয় | তখন সে অবগাহন করে অনিকেতের ভালোবাসায় | ভাবে হয়ত মানুষটা বাইরে কঠিন ভিতরে নরম | হয়ত আর পাঁচটা সাধারণ দম্পতির সম্পর্কের মত তাদের সম্পর্কটা একদিন সহজ হয়ে উঠবে | কিন্তু সময় এগোতে থাকে ‚ সম্পর্ক এগোয় না | একদিন নয়ন আবিস্কার করে ‚ সে মা হতে চলেছে | অভুতপুর্ব রোমাঞ্চে সে অপেক্ষা করে স্বামীকে জানাবার জন্য | রূপ তার যেন আরও খুলে যায় | যেন এক জ্যোতির্বলয়ে সে বাস করতে থাকে | কিন্তু স্বামীকে জানাতে পারে না | পাড়ার প্রতিবেশীরা নয়নের যত্ন নিতে থাকে | নয়নের মা এসে নয়নের কাছে কটা দিন থেকে যায় | স্ফীতোদোর দেখে একদিন অনিকেত ঠাওর পায় যে নয়ন সন্তানসম্ভবা | সে খুশী হয় কিনা কেউই বুঝতে পারে না | তারপর যথাসময়ে ভুমিষ্ঠ হয় তাদের সন্তান জুনিতা | জুন মাসে জন্ম তাই নয়ন নাম রাখে জুনিতা | বড় শখ তার সন্তানের নাম হবে আধুনিক |
জুনিতার জন্মে অনিকেত খুশী হয়েছিল কিনা নয়ন আজও জানে না | তবে একদিন সাহস করে জিজ্ঞাসা করে ছিল‚’মেয়ে জন্মানোতে আপনি খুশী হননি ?’
অনিকেত হ্যাঁ বা না কোনটাই উত্তর দেয়নি | শুধু চোখ তুলে তাকিয়েছিল | যে চোখের ভাষা নয়ন বোঝেনি | তবে মেয়েকে অবহেলা করতেও দেখেনি | কিন্তু নয়নের প্রতি একটা ছাড়া ছাড়া ভাব সে লক্ষ্য করছিল ক্রমে ক্রমে |
জুনিতার তখন সাত বছর বয়স ‚ হঠাৎ করেই অনিকেত কয়েকটা দিন বাড়ি ফিরল না | নয়ন খুব একটা চিন্তিত হয়নি ‚ এমনটা তো প্রায়ই হয় | কিন্তু সপ্তাহ দুয়েক কেটে যাবার পরও যখন অনিকেত ফিরল না‚তখন চিন্তায় পড়ল সে | হাতে টাকা পয়সাও কিছু নেই‚ সংসার চলে না | নিজে না খাক‚মেয়েটাকে তো খাওয়াতে হবে | উপায় না খুঁজে পেয়ে বাধ্য হয়ে মেয়েকে নিয়ে নয়ন‚ অনিকেতের অফিসে গিয়ে উপস্থিত হয় | অনিকেত সত্যি তখন কলকাতায় নেই | অফিসে সবাই অবাক হয় নয়ন যখন নিজের পরিচয় দেয় অনিকেতের বউ হিসাবে | অনিকেত আগেই বিবাহিত ছিল | তার পরিবারকে সবাই ভালোমত চেনে| অফিসে অনিকেতের সম্মানও যথেষ্ট | নয়নের কথা কেউ বিশ্বাস করে না | ভাবে এসব ফাঁদ | নয়ন ভয় পায় ‚ অনিকেত ফিরে হয়ত অশান্তি শুরু করবে | অফিস থেকে কোন সাহায্যই পায় না | ফিরে আসে সে | বাবা ততদিনে গত হয়েছে ‚ মায়ের ওপর বোঝা হতে মন চায় না | কিন্তু সে তো কোন কাজ জানে না ‚ কি কাজ করবে‚ কিভাবে সংসার চালাবে ? ভেবে পায় না| পাশের বাড়ির বুড়িদি আয়ার কাজ করে‚সে বলল‚’আয়ার কাজ করিস যদি আমি ব্যবস্থা করে দিতে পারি ৷’ তাই সই‚ কিন্তু মেয়েটাকে কার কাছে রাখে? অনিকেত মুখে কিছু না বললেও‚মেয়েকে বেশ ভালোবাসত | দামী জামা‚জুতো‚খাবার‚বড় স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছিল | মায়ের কাছে রেখেই কাজ শুরু করল |
পাক্কা এক মাস পর ফিরে এল অনিকেত | রাগ-গোঁসা কিছুই করল না‚শুধু বলল‚’তুমি জেনে গেছ যখন আমার আরও একটা সংসার আছে তখন বুঝতেই পারছ আমি বেশিরভাগ দিন সেখানেই থাকি আর আগামীদিনেও তাই থাকব | তবে তোমাদের কোন অসুবিধে হবে না | আমি আমার দায়িত্ব ঠিক পালন করব | কিন্তু আর কোনদিন আমার অফিসে যেও না |’
কাজটা ছেড়ে দিল নয়ন| কারণ অনিকেত চায়নি নয়ন কাজ করুক | মা-মেয়ের সংসারে একে অপরকে জড়িয়ে দুজনেই বড় হচ্ছিল ‚ তবু কেন জানি জুনিতা অন্যরকম | মায়ের জন্য তেমন কোন অনুভূতি তার ছিল না | মা যেন তার মা কম ‚ আয়া বেশি| তার পরণে দামী পোশাক‚ মায়ের পরণে কম দামী শাড়ি ‚ মায়ের পায়ে প্লাস্টিকের জুতো মেয়ের পায়ে স্নিকার |
‘মা এসো ‘‚ আবারও ডাকে জুনিতা | অতীত থেকে বর্তমানে ফেরে নয়ন |
‘তোরা নিজেরা তুলছিস তোল না |’ নয়ন এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করে |
‘তোমাকে ডাকছি তো‚ তুমি এসো’‚গলার স্বরের এই পরিবর্তনটা চকিতে দেখে নেয় নয়ন | আর দ্বিরুক্তি করে না| মেয়ে-জামাইয়ের সাথে হাসি হাসি মুখে বেশ কটা ফটো তোলে | জুনিতা বড় জেদী একইসাথে ভীষণ দুখীও| আর পাঁচটা বাবা-মায়ের মত স্বাভাবিক সংসারে সে বড় হয়নি | যখন সে বাস্তবটা জেনেছে তখন প্রথম প্রথম মেনে নিতে পারেনি | রাগ‚ক্ষোভ সব মিলেমিশে ভায়োলেন্ট হয়ে উঠেছিল | তারপর এমন শান্ত হয়ে গেছিল যে কোন কিছুতেই কোন প্রতিক্রিয়া জানাত না | অনেক চিকিৎসা করিয়ে এখন সুস্থ সে | কিন্তু ও যেটা বলবে সেটা তখনই শুনতে হবে‚না হলেই ভীষণ ভায়োলেন্ট হয়ে ওঠে সে |
‘জানো মা এরা সবাই আমাকে খুব ভালোবাসছে |’ ফটো তোলার এক ফাঁকে কানে কানে ফিসফিসিয়ে বলে জুনিতা | কন্ঠের তৃপ্তি নয়নকে আপ্লুত করে | মেয়েটা ভালো থাকলেই সে ভালো থাকবে |
‘আমি ও তাই চাই মা‚সবাই তোকে আপন করে নিক ‚ তুইও সব্বাইকে আপন করে নে‚সবার ভালোবাসা‚আদর‚যত্ন তুই পা তোর সমস্ত অপ্রাপ্তিগুলো যেন শ্বশুরবাড়িতে পূরণ হয় |’ বলতে বলতে চোখের কোন দুটো ভিজে ওঠে নয়নের |
ভালোবাসা কি মেয়েটা সেইভাবে জানল কই ? তাই বুঝি একটু রুক্ষ্ম | বাবা ছিল ঠিকই কিন্তু শুধু দেওয়া-থোয়ার জন্য | কোনদিন কোলে তুলে আদর করেছে বলে মনেও পড়ে না নয়নের | একলা মায়ের একলা মেয়ে |
একটু দূরে এসে বসে নয়ন | লোকজনে ভরে আছে বাড়িটা| সবাই নতুন বউকে ঘিরে নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে | এসবের সাথে নয়নের কোন পরিচয় নেই | তার বিয়েটা এতটাই সাদামাটা ছিল যে কেউ কোন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেনি | কেউ দুধে-আলতায় বরণ করেনি | কেউ আশীর্বাদও করেনি | নয়ন একদিন সাহস করে জানতে চেয়েছিল অনিকেতের কাছে‚ ‘ আপনার সংসার ছিল যখন তখন আমাকে বিয়ে করলেন কেন?’
‘তোমার রূপে আমি পুড়ে যাচ্ছিলাম | বোধ-বুদ্ধি-নীতিবোধ সব লোপ পেয়ে গিয়েছিল | তোমার বাবা সেটা বুঝতে পেরেছিলেন | তোমার বাবার সাথে প্রায়দিন শুধু তোমার জন্যই তোমাদের বাড়িতে যেতাম | তোমরা হয়ত কখনও লক্ষ্য করনি | আর তোমার বাবা রোজই প্রায় কিছু না কিছু ধার আমার কাছ থেকেই করতেন | ঐ ধারের টাকাতে তোমাদের সংসার চলত | জানতাম ঐ ধার উনি শোধ করতে পারবেন না | তাই হল | তখন তোমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব উনি দিলেন | ততদিনে তুমি তোমার দাদুর বাড়ি চলে গেছ | সুযোগটা নিয়ে নিলাম| তোমার সাথে বিয়ে হয়ে গেল | জানতাম অন্যায় করছি‚ কিন্তু তবু লোভ সামলাতে পারি নি | আর দ্বিতীয়ত‚ আমার প্রথম বিয়েটায় আমি সুখী ছিলাম না| তাই হয়ত তোমার দিকে ঝুঁকেছিলাম | জেনে বুঝে অন্যায় করেছি আমি | ‘
‘আমার ভবিষ্যৎ কি ?’
‘এই যে ঘরটা বস্তিতে এটা তোমার নামে আমি করে রেখেছি | বাকি যতদিন আমি চাকুরী করব‚ততদিন তোমাদের খাওয়া-পরার অভাব হবে না | কিছু টাকা আমি তোমার মেয়ের নামে রেখেছি| কিন্তু চাকুরি পরবর্তী তোমার ব্যবস্থা তোমাকে করে নিতে হবে | আমি আর কোনদিনই তোমাদের জীবনে আসব না|’
‘মেয়েটা তো আপনারও ?’
‘তাই তো তাকে যতটা করার ‚ করেছি |’
‘ভালোবাসেন না তো মেয়েটাকে ?’
‘বাসি তো বটেই | তবে আমার ভালোবাসার প্রকাশ নেই | অনেক প্রশ্ন করেছ। আর কোন প্রশ্নের জবাব আমি দেব না |’
সেই থেকেই অনিকেতের সাথে বাঁধনটা আলগা হতে হতে আজ আর অনিকেত তাদের জীবনে কোথাও নেই | মেয়ের বিয়ের খবরও পৌঁছে দিতে চেয়েছিল নয়ন‚ কিন্তু জুনিতা চায়নি | জুনিতা গ্র্যাজুয়েশন করে একটা কোম্পানীতে চাকরী করছে ‚ নয়নও একটা কারখানায় কাজ করে| এই বিয়ের যাবতীয় খরচ দুজনেই তিল তিল করে জমিয়েছিল| বেশ ভালো মতই বিয়েটা হয়ে গেছে | ভালো ঘর-বর পেয়েছে| মেয়েটা সুখী হলেই সবচেয়ে খুশী হবে সে | নিজের জন্য কতটুকুই বা প্রয়োজন |
জুনিতার চারপাশে তার শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়-স্বজন | সবার সাথেই জুনিতা হেসে হেসে আলাপ করছে | দ্রুত ওদের সাথে মিশে যাচ্ছে সে | মা হিসাবে এর থেকে বড় প্রাপ্তি কি বা হতে পারে | নয়ন মন থেকে আশীর্বাদ করে | তারপর সবার অলক্ষ্যে বেরিয়ে যায় বিয়েবাড়ি থেকে | কাল সকাল থেকেই ডিউটি | গত কয়েকদিন যা খাটুনি হয়েছে ‚ শরীর আর ধকল নিতে পারছে না | এখন বড় শান্তির ঘুম ঘুমাবে সে | পায়ে পায়ে সে মিশে যেতে থাকে কলকাতার ব্যস্ত ভিড়ের মধ্যে |
***************************************
জলি চক্রবর্তী শীল পরিচিতিঃ
পেশাগতভাবে একজন কম্পিউটার অপারেটর একটি সওদাগরী আপিসে। নেশা বই পড়া এবং কিছু লিখতে চেষ্টা করা। জলির লিখতে ভালো লাগে সেইসব প্রান্তিক মানুষদের নিয়ে, জীবন যাদের কাছে প্রাত্যহিক লড়াইয়ের নাম। এক টুকরো রুটি বা এক থালা ভাতের কদর যেখানে সবচেয়ে বেশি সেইসব মানুষদের সুখ-দুঃখ-বেদনা-ভালোবাসার দৈনন্দিন গাঁথাই জলির লেখার উপজীব্য।
জলি, খুব ভালো লাগলো তোমার লেখা। তোমার সব লেখার মতোই। অল্প কথায় অনেক কিছু ঢ়েমন বলে দাও,তেমন। নয়ন কে বেশ পছন্দ হল জুনিতা কেও।
খুব ভাল লাগল জলি, সুন্দর ঝরঝরে লেখা!
Just read the story of Jolly Chakrabarty – Just amazed ! Very nicely portrayed the one of social problems which she always does. This is the so-called neo-normal medium class society ! I apreciate her observation of social systems !
মন ভোরে গেলো۔۔ জল তোমার এই গল্পটি পড়ে ۔আরও লিখতে থাকো۔۔۔ আর আমাদের আনন্দ দাও۔۔۔ ভালোবাসা۔۔ নিও۔۔۔