অমূর্ত
কল্যানী মিত্র ঘোষ
পূর্ণিমা রাত,যে সে পূর্ণিমা নয় এটা হল স্ট্রবেরী ফুল মুন,২০২১ এর শেষ সুপার মুন, ২৪ শে জুন। আমেরিকার স্যান বার্নার্ডিনো শহর, লস এঞ্জেলেসের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত। সেখানেই একটা ফার্মের কাছাকাছি ছোট্ট মিষ্টি বাড়ি কিনেছে আহেলি। বাড়িটা ম্যানুফ্যাকচার্ড হোম। ভারি মজার হয় এগুলো, দামেও সস্তা। গোটা বাড়ির কাঠামোটা তৈরী ই থাকে, গাড়ি করে এনে বসিয়ে দেওয়া হয়। ও একা থাকে তাই দু কামরা আর দেড় খানা বাথরুমই প্রাসাদ মনে হয়। কিচেন এর লাগোয়া ডাইনিং এর সামনেই এক চিলতে লিভিং। খুব সুন্দর করে মড্যুলার কিচেন বানিয়ে নিয়েছে আহেলি। খুব সুখে আছে সে।
আহেলি বিকেল থেকে তক্কে তক্কে ছিল চাঁদ উঠলেই টপ করে ক্যামেরা বন্দী করে ফেলবে। ওর বাড়িটা একটু উঁচু টিলার ওপরে, বাড়ির পেছন দিকে মাঝারি মাপের বাগান আর তার পাশেই প্রতিবেশীদের ইউক্যালিপ্টাস গাছের জঙ্গল,খুব উঁচু। প্রতি রাতে ওই গাছ গুলোতেই প্যাঁচা ডাকে, উক্ উক্, আবার পেছনের ফণী মনসার ঝোপে সংসার পেতেছে নেকড়ে বা কয়োটি,দুটো ছানাও হয়েছে তাদের। মাঝরাতে ওরাও ডাকতে শুরু করে,আউ উ উ … গা ছমছম করে বছর তিরিশের আহেলীর। খালি মনে হয় অশরীরী কেউ ঘুরে বেড়াচ্ছে বাগানে, শুকনো পাতা মাড়িয়ে যাবার শব্দ ভাসে বাতাসে। যেদিন মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায় ওর মনে হয় ওই বুঝি জানলার নেটের ওপাশে সাদা হুডে ঢাকা একটা বায়বীয় অবয়ব। ধরা ছোঁয়ার বাইরে। চোখ বুজে মটকা মেরে পড়ে থাকে আহেলি, তারপর একটু ধাতস্থ হয়ে ঢকঢক করে জল খায়, মনঃসংযোগ করে এক, দুই, তিন গুণতে গুণতে ভোরের দিকে ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে আর সেসব মনে থাকেনা।
তিন চার দিন ধরেই সি এন এন নিউজ এ এই স্ট্রবেরী মুন নিয়ে হুলুস্থূল কান্ড চলছে, এটা দেখতে না পারলে জীবন বৃথা। আমেরিকানরা এমনিতেই হুজুগে, আর এই রকম উপলক্ষ্যে তো সকলেই প্রায় লোটা কম্বল, টেলি লেন্স লাগানো ক্যামেরা ও তাঁবু নিয়ে কাছাকাছি অ্যারিজোনার মরুভূমি অথবা সমুদ্র সৈকতে রাত থাকতে গিয়ে হাজির হয়। মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় কালাতিপাত করে। আহেলিকে অত কষ্ট করতে হবে না, জায়গাটা উঁচু বলে মেঘ না থাকলে পরিষ্কার দেখতে পাবে পূর্ণ চন্দ্র। জুন মাসে যে স্ট্রবেরী ফলে সেটা এই সময়ই তোলা হয় সে কারণেই নেটিভ আমেরিকান অর্থাৎ অ্যালগণকুইন এবং ওজিবওয়ে, ডাকোটা অঞ্চলের কৃষকেরা অতীতে এই পূর্ণিমার চাঁদের এই নামকরণ করে। এদেশে বিভিন্ন ঋতুতে ফসল তোলার ওপর ভিত্তি করে একেক পূর্ণিমার একেক নাম,বেশ মজা লাগে আহেলির।
মজা! ভাবতেই অবাক হয় সে। গত বছরের ভয়ঙ্কর স্মৃতি আজও টাটকা। কোনোদিনও ভাবেনি যে সে একটা সুস্থ স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে। চার বছর আগে নার্স হিসেবে আমেরিকায় গ্রীন কার্ড নিয়ে চলে আসে আহেলি। দেশে মা ও এক দাদা বর্তমান, দাদার উৎসাহেই নার্সিং ট্রেনিং এবং এতদূর আসা। মা একটু নিমরাজি ছিল কিন্তু দাদা মাকে বুঝিয়েছে যে যদি আহেলির মন না বসে তাহলে ফিরে আসবে, এ সুযোগ কটা মেয়েই বা পায়। এদেশে এসে প্রথমে একটি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত ছিল আহেলি। মাইনে বেশ ভালো ঘণ্টায় পঁয়তাল্লিশ ডলার, এছাড়া ওভার টাইম আছে। এসেই একটু হাবুডুবু খেয়েছিল গাড়ি চালানো নিয়ে, তারপর প্রাইভেট লেসন নিয়ে কোনমতে ড্রাইভিং লাইসেন্স জোগাড় করেই ফাঁকা রাস্তায় চালিয়ে চালিয়ে হাত পাকিয়ে ফেলে। গত বছর ফেব্রুয়ারী মাস নাগাদ ওই চাকরী টা বদলে একটি বেসরকারি ওল্ড হোমের নার্সদের সুপারভাইজার হিসেবে কাজ নেয়। ভালো মাইনে, ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ এবং যখন তখন চা কফি সব ফ্রী। এখানে ঢোকার পরেই ও বাড়িটা কেনে। এরপরেই পৃথিবী জুড়ে মারণ খেলা শুরু হয়ে যায়। আহেলিদের ওল্ড হোমে প্রথম পাঁচ মাসে চারজন আবাসিক মারা যান এবং সাত জন আক্রান্ত হন, সেরে ওঠেন। ওই সময়টা আমেরিকা মোটেই প্রস্তুত ছিলনা করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে। মাস্ক, পিপিই, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের হাহাকার, হাসপাতাল গুলোতে বেড নেই। আহেলির ওল্ড হোমে যাঁরা ভর্তি ছিলেন বা আছেন তাঁরা বেশীর ভাগই অ্যালজাইমার (Alzheimer) এর রুগী। যেই দিন থেকে লক ডাউন ঘোষণা করা হলো সেই থেকেই আহেলি আর বাড়ি যায়নি। ওর প্রাইভেট রুমেই একটা বেড নিয়ে শুয়ে পড়ত। বাইরে থেকে এখানকার আবাসিকদের বাড়ির লোকের আসা বন্ধ, এই অসহায় বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের আইসোলেশনে রাখা হলো, ওয়ার্ডের বাইরে ভারী স্বচ্ছ পর্দা লাগিয়ে দেওয়া হলো, সে এক কঠিন সময়। সব কিছু ভুলে যাওয়া মানুষ গুলো কিছুতেই মনে রাখতে পারেন না কেন তাঁদের গৃহবন্দী থাকতে হচ্ছে, কেন তাঁরা আগের মতো বাগানে বেড়াতে পারছেন না অথবা একসঙ্গে বসে ডাইনিং এ খেতে পারছেন না। এ যেন জোর করে স্বাধীন পায়রা গুলোর পায়ে বেড়ি পরিয়ে রাখা। ওনাদের বাড়ির লোকেরা নির্দিষ্ট কোনো দিনে হোমের বাইরের জানলা থেকে ওদের দেখে যেতেন, ফুল এনে বাইরেই রেখে যেতেন। আহেলি চোখের জল ধরে রাখতে পারতো না। এই নিরপরাধ, শিশুর মতো অসহায় মানুষ গুলোর পরাধীন বন্দী দশা সে কিছুতেই মেনে নিতে পারতো না। এত সাবধানতা সত্বেও অতগুলো মানুষের মৃত্যু, দুই সহকর্মীর মৃত্যু, আহেলিকে আমূল নাড়িয়ে দিয়েছিল। প্রায় আট মাস পর আস্তে আস্তে পরিস্থিতি পাল্টালো। ভ্যাক্সিন এসে গেল, তাদের হোমের প্রত্যেককে নিয়মিত টেস্ট করা শুরু হলো। আবার দেশ আশার আলো দেখলো। আহেলি প্রায় এক মাস ডিপ্রেশনে ভুগল, কর্তৃপক্ষ ওর সবেতন ছুটি মঞ্জুর করলেন। আগামী জুলাই মাসেই আবার কাজে যোগ দেবে সে, এই কটা দিন বাড়িতে বিশেষ করে বাগানেই কাটাচ্ছে। প্রকৃতির থেকে বড় নিরামক আর কিছু হয়না। ডিপ্রেশনের জন্য ওষুধ খেতে হয়নি শুধু কাউন্সেলিং এর চারটে সিটিংয়েই অনেক সুস্থ বোধ করছে সে। আসলে এটাও একটা যুদ্ধ ছিল, অসম যুদ্ধ, প্রতিপক্ষ অদৃশ্যে থেকে আক্রমণ করছিল। এই অসহায়তা থেকেই ডিপ্রেশনটা মনের ভেতর বাসা বেঁধেছিল। এখন খুব ভালো আছে আহেলি। এই অভিজ্ঞতা তাকে প্রাঞ্জল ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে জীবন অনিত্য, হাতে যেটুকু সময় আছে প্রাণভরে বেঁচে নিতে হবে। রাত আটটা বাজতে চললো, মেঘেই পুরো আকাশটা ঢেকে রয়েছে, আর বোধ হয় চাঁদ উঁকি মারবে না। অল্প একটু রেড ওয়াইন ঢেলে নিলো আহেলি, সঙ্গে চীজ আর সালামি। আহ্, ক্যালিফোর্ণিয়ার ওয়াইন গুলো বড্ড ভালো। কাজে যোগ দেওয়ার আগে একদিন একটা ওয়াইনারি ট্যুর করতে হবে ভাবলো আহেলি। একটু একটু করে ওয়াইনে চুমুক দিচ্ছে, মন টা বেশ ফুরফুরে হয়ে উঠছে। এই সময় একজন সঙ্গী পেলে মন্দ হয়না। ভাবতে ভাবতে ইউক্যালিপটাসের মাথার ওপর দিয়ে উঁকি দিল চিরাকাঙ্খিত পূর্ণিমার চাঁদ। কি তার চোখ ঝলসানো রূপ, সারা বাগান টা আলোর বন্যায় ভেসে যাচ্ছে যেন। এত বছর এদেশে রয়েছে এমনটা কখনো দেখেনি। গলানো রুপোয় অঙ্গ ভিজিয়ে নিতে নিতে হঠাৎই ব্রায়ানের মুখটা মনে উঁকি দিয়ে গেল। ওর বাড়ির টিলাটা থেকে নামতেই উল্টো দিকের রাস্তার ওপারে যে কলোনিটা রয়েছে সেখানে রোজ সান্ধ্য ভ্রমণে যায় আহেলি, ডিপ্রেশনের মহৎ ওষুধ এই হাঁটা, আর শরীরও ঝরঝরে থাকে। গত মাসে প্রথম যখন হাঁটতে শুরু করল তখন বেশ কয়েক পা এগিয়েই দেখে মুখোমুখি একটা কুকুর তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে, নাহ, কারোর পোষা নয়, কেমন রোগা রোগা নেড়ি কুকুরের মতো দেখতে। ও আর একটু ভালোভাবে দেখে সেল ফোন বন্দী করবে এই আশায় দু পা এগোতেই পাশের একটা বাড়ি থেকে একটা গাড়ি বেরিয়ে এসে তার পাশে থামলো, কাঁচ নামিয়ে এক ভদ্রলোক ওকে বললেন,
“– ওটা কিন্তু কয়োটি (নেকড়ে), আপনাকে সাবধান করে দেওয়ার জন্য বলছি। ওদিকে যাবেন না।”
“– অনেক ধন্যবাদ।”
বলেই উল্টো দিকে হাঁটা দিল আহেলি। এর পর আরো তিন দিন দেখা হয়েছে ওদের, ব্রায়ানই যেচে আলাপ করেছে, ভীষণ ঝকঝকে স্মার্ট মানুষ। বয়স চল্লিশের কাছাকাছি, বৃদ্ধা মা কে নিয়ে থাকে। চোখে মুখে আহেলির প্রতি মুগ্ধতা সহজেই প্রকাশ পায়। শেষে একদিন বলেই ফেলল,
“– আর ইউ সিয়িং সাম ওয়ান?”
আহেলি এই জগৎ থেকে বহু দূরে,যন্ত্রমানবীতে পরিণত হয়েছে,মনের নরম দিক গুলোর কথা ভুলতেই বসেছিল সেই সময়ই ব্রায়ান তন্তু তে দিল টান।
“– নো, আই অ্যাম নট।” কোনোমতে উত্তর দিল আহেলি।
“– আমরা কি ডিনারে যেতে পারি?”
“– আচ্ছা জানাবো।”
এই খানেই থেমে ছিল ব্যাপারটা। ব্রায়ান এতই ভদ্র যে আর বিরক্ত করেনি। আহেলি ও আর আগ বাড়িয়ে এ প্রসঙ্গ তোলে নি। ভারতীয় নারীর লজ্জাই যে ভূষণ এটা ব্রায়ান জানবে কি করে! অতএব যে যার জগতেই ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
আজ চাঁদনী রাত আহেলিকে অস্থির করে তুলেছে। সমস্ত চরাচর নিস্তব্ধ , প্যাঁচাও ডাকছে না। মনে মনে আহেলি ব্রায়ানকে কামনা করল। ঠিক করল ওকে একদিন বাড়িতেই ডিনারে ডাকবে। একটাই জীবন, হয়ত ব্রায়ানের মতো করে আর কেউ কখনো তাকে ডাকবে না। কালই ওর সঙ্গে কথা বলবে। এই কথা ভাবতে ভাবতে ঘরের ভেতর ঢুকতে যাচ্ছে হঠাৎ গেটের দিকে চোখ পড়ল, চাঁদের আলোয় যেন দুটো বিশাল ডানা হঠাৎ খুলে গেল আবার একটু পরে নেমে গুটিয়ে গেল। বুকটা ছাঁৎ করে উঠল আহেলির, কি করবে বুঝতে পারছেনা,তখন শুনতে পেল,
“– হাই ইয়ং লেডি,আসতে পারি?”
ব্রায়ান,একটা কালো জ্যাকেট পরেছে,একটু এগিয়ে গিয়ে দেখে পাশে ওর নতুন কেনা টেসলা গাড়িটা,যেটার দরজা দুটো পক্ষীরাজের ডানার মতো করে খোলে আর বন্ধ হয়, ওটার রং ও কালো,আর ইলেকট্রিকে চলে বলে কোনো শব্দও পায়নি সে। উফ্, বুক থেকে একটা পাথর নেমে গেল, আর মনে মনে যাকে চাইছিল তাকেই সামনে পেয়ে আনন্দে বিহ্বল হয়ে পড়লো আহেলি।
“– প্লীজ কাম ইন। আমি তোমার গাড়ির আওয়াজ পাইনি, শুধু উইঙ্গের মতো কালো দরজা খুলতে দেখে ….”
“– খুব ভয় পেয়েছিলে তো? ভাবলে কাউন্ট ড্রাকুলা কোথা থেকে এলো?”
হা হা করে হাসতে থাকে ব্রায়ান।
হাতে একটা খাবারের প্যাকেট,সুগন্ধ ভেসে আসছে,হাসতে হাসতে গেট টা খুলে দেয় আহেলি।
ব্রায়ান বলে,
“– তুমি তো আর কিছু বললে না, তাই আমিই ডিনার নিয়ে চলে এলাম। তোমার বাগান থেকে স্ট্রবেরী মুন দেখব বলে। আপত্তি থাকলে বলে দাও।”
“– আপত্তি নেই, খুব একা লাগছিল আর ….”
মুখ ফুটে বলতে পারলো না যে “তোমাকে মিস করছিলাম।”
ওকে মাঝপথে থামিয়ে ব্রায়ান অস্ফুটে বলল,
“– আমিও বড্ড একা।”
একেকটা পূর্ণিমা রাতে অলৌকিক কত কিছুই না ঘটে!
*********************************************************
কল্যানী মিত্র ঘোষ পরিচিতি :
ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান ডিয়েগোতে বসে বাংলার জন্য মন কেমন থেকেই লেখালেখির শুরু ২০১৮ সাল থেকেই নিয়মিত। ভূগোল নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করে ভারতে বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থায় তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগে কাজ করার পর আমেরিকা তে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু ২০০৩ থেকে।
সামান্য একটা বিষয়কে নিয়ে কত জমাটি একটা লেখা তৈরী করা যায় সেটা তোমাদের মতো মানুষদের থেকে শেখার চেষ্টা করছি।
সফল হবে কি না তা জানা নেই !
এত সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
একেই বোধহয় বলে law of attraction…তোকে অভিনন্দন কুলায় ফেরায় লেখা দেবার জন্য আর আহেলীর জন্য রইল শুভেচ্ছা ❤️ একাকীত্ব তার যাক্ ঘুচে🌹
একেকটা মন আর একেকটা মনকেমন নিয়েই একটা চমৎকার বুনোটের গল্প গড়ে ওঠে!
ছবিটাও চমৎকার তুলেছ!
খুব ভালো লাগলো। বিদেশি পূর্ণিমার ছটা অনুভব করলাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ
দি অনেক ভালোবাসা।😊
আমাকে এই পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
Darun valo…porte porte kothay jno harie gelam…
খুব খুশী হলাম
খুব সুন্দর লেখাটা পড়ে মন ভরে গেল