Shadow

একটি ভালোবাসার গল্প – ব্রতী ঘোষ 

PC: Pinterest

একটি ভালোবাসার গল্প

ব্রতী  ঘোষ 

নিউ আলিপুর পেট্রোল পাম্পের পাশের রেস্তোরাঁর সামনে দাঁড়িয়ে আছে অর্ণব,তা বেশ কিছুক্ষণ হলো ৷ ওর ঘনঘন ঘড়ি দেখা দেখেই বুঝতে পারছিল তৃষা যে ও খুব রেগে গেছে,এতক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ৷ দূর ছাই !! রাস্তাটাও পার হতে পারছি না-নিজের মনে বকে যাচ্ছে তৃষা ৷ আর এই এক চাকরি হয়েছে,এত দেরি হয়ে গেল অফিস থেকে বেরোতে আজ ৷ কোনরকমে রাস্তা পেরিয়ে হাঁফাতে হাঁফাতে অর্ণবের সামনে এসে দাঁড়ালো ও ৷ ওর রাগী রাগী মুখটার দিকে তাকালে তৃষার বেশ মজা লাগে,এক অদ্ভুত মায়া আছে অর্ণবের চোখ দুটোতে-তৃষা ভাবে ৷ খুব রেগে গেলে অর্ণব কথা বলে না ৷ রাস্তা ধরে হাঁটতে শুরু করল অর্ণব ৷ তৃষা দৌড়ে গিয়ে ওর বাঁহাতের কড়ে আঙুল টা জড়িয়ে ধরে ওর নিজের কড়ে আঙ্গুল দিয়ে,তারপর আস্তে আস্তে পাঁচ আঙুলের আদরের স্পর্শে অর্ণবের রাগকে গলিয়ে দিতে থাকে একটু একটু করে ৷ এতক্ষণ পর মুখে হাসি ফোটে অর্ণবের,একটুও না তাকিয়ে তৃষা বুঝতে পারে সেটা ৷ দুজনের চলার ছন্দে বোঝা যায় কি পরম আস্থায় দুজনের পায়ের ছন্দ এক হয়ে পড়ছে ৷
 “এই দেখ্ কি এনেছি তোর জন্য?”
“অনেক হয়েছে-আর ঘুষ দিতে হবে না ৷ ”
“আচ্ছা! আমি কি করবো বল্? ”
“আমি আর শুনতে চাই না-তুই চাকরি করিস তোর এখন আমার জন্য সময় কোথায় বল্?”
আচ্ছা-”
 তৃষা আর কথা বাড়ায় না, ওরা রাস্তা ধরে হেঁটে যেতে থাকে ৷
আসলে অর্ণব তৃষার উপরে যতই রাগ দেখাক না কেন,ও খুব ভালো করে তৃষাকে চেনে,ও যে ইচ্ছে করে দেরী করার মেয়ে নয় তা জানে ৷ আর কম দিন তো হলো না,সেই ক্লাস ওয়ান থেকে দুজনের বন্ধুত্ব ৷ তৃষা কি খেতে ভালোবাসে,কি রং ভালবাসে,ওর কখন্‌ মন খারাপ হয়,কি করলে ওর মুখটা ঝলমলে হয়ে ওঠে,সব সব জানে অর্ণব ৷ একসাথে বড় হতে হতে দুজনের স্বপ্ন যে কখন এক হয়ে গেছে ওরা বুঝতেই পারেনি ৷ অর্ণব বছর দুয়েক হলো এম .কম পাস করে ডব্লিউ বি সিএস পরীক্ষার জন্য নিজেকে তৈরী করছে ৷ ওর বাবা-মা দুজনেই ব্যাংকে চাকরি করেন ৷ তৃষা যে ওর থেকে পড়াশুনায় ভাল সেকথা ও অবশ্য কোনদিন অস্বীকার করে না ৷ এই নিয়ে ওর কোনো মাথাব্যথা আছে বলে তো মনে হয় না ৷
আজ তৃষা অর্ণবদের বাড়ি আসবে ৷ দুপুরে নেমন্তন্ন ৷ খুব যত্ন করে মাংস রান্না করেছে অর্ণব ৷ খুব সুন্দর করে সাজিয়েছে ডাইনিং টেবিল ৷
“আচ্ছা তৃষা ! তুই বাবুকে কিছু বলবি না ? 
“কেন কাকিমা? ও কি করেছে?”
“সারাদিন যদি একটা ছেলে বাড়িতে বসে কবিতা লেখে,আঁকে আর ফুলের গাছ,পাখি এসব নিয়ে সময় কাটায়,তবে ও নিজের পায়ে দাঁড়াবে কবে? ওর বন্ধু সৃজনকে দেখ্ কি সুন্দর ডব্লিউ বি সি এস এ চান্স পেয়ে গেল আর ও আজ দুবছর ধরে কি করছে ওই জানে ৷ আরে বাবা ! কিছু তো একটা কর ৷ এসব তোর জন্য হয়েছে,তুইও কিছু বলবি না ৷ আমরা আর কদিন? তোরা থাকবি,বুঝবি ঠ্যালা ৷” ডাইনিং টেবিলে তৃষা অদ্ভুত এক মায়াবী চোখ নিয়ে তাকায় অর্ণবের দিকে ৷ ও খুব ভালো করে জানে অর্ণব চাকরি করতে একটুও ভালোবাসে না ৷ আর সত্যি বলতে কি ওর নিজের ও কোনো তাড়াও নেই এ ব্যাপারে ৷ যখন মনে হবে আর একা থাকতে পারছে না তখন অর্ণব কে বিয়ে করে নেবে ও ৷ ও তো ভালোই চাকরি করে ৷ ছদ্ম গাম্ভীর্যে অর্ণবের দিকে তাকিয়ে ও বলে,”সত্যিই তোকে নিয়ে আর পারা যায় না ৷”
মনোময় কাকুও খেতে খেতে বলে ওঠেন কাকিমাকে,”চিন্তাটা ওদের উপর ছেড়ে দাও না ৷ ওদের ভবিষ্যৎ ওরা বুঝবে ৷”
এ বাড়িতে এলে অদ্ভুত এক ভালো লাগা তৃষাকে ঘিরে ধরে ৷ কাকু কাকিমা ওকে এতটাই ভালবাসেন যে কখনো মনেই হয়না যে এটা ওর বাড়ি নয় ৷ ওদের দুজনের বাড়ির লোকই ধরে নিয়েছে যে ওরা বিয়ে করবে এবং তাতে কোনো আপত্তি নেই,শুধু অর্ণবের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর অপেক্ষা ৷
সত্যি ! চাকরি করতে অর্ণব একটুও ভালোবাসে না ৷ ও দুটো কাজ পারে সেটা হল কবিতা লিখতে আর আঁকতে ৷ওর ঘরের জানলা দিয়ে আকাশের অনেকটা দেখা যায় ৷ ওই দূরের মেঘের ফাঁকে ও তৃষার চোখ দুটোকে দেখতে পায় ৷ অসম্ভব উজ্জ্বল চোখ দুটো ওর দিকে তাকিয়ে থাকে ৷ আর একটার পর একটা কবিতা ও লিখতে থাকে ৷ আজ দুপুরে বাচ্চা গুলোকে আঁকার ক্লাস থেকে তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেয় ও ৷ তৃষার আজ জন্মদিন ৷ তাই খুব যত্ন করে তৃষার জন্য পাইনঅ্যাপেল কেক বানিয়েছে ও ৷ তৃষা ওর হাতের কেক খেতে ভীষণ ভালোবাসে ৷ অর্ণব ঠিক করেছে আজ একদম চমকে দেবে তৃষাকে ৷ যদিও আজ দেখা করার দিন নয়,কিন্তু ওর বিশ্বাস আজ তৃষা আসবে ওর সাথে দেখা করতে ৷ তাই ও আজ সন্ধ্যে থেকেই নিউ আলিপুর পেট্রোল পাম্পের স্টপেজে দাঁড়িয়ে আছে ৷ কিন্তু রাত প্রায় সাড়ে নটা বাজতে চলল ৷ তৃষা এটা পারলো ? আজকের দিনে ? নিশ্চয়ই আগেরবারের মতো ওর কলিগরা কেক এনেছে আর ওদের সাথে জন্মদিনের সেলিব্রেশন করতে করতে অর্ণবের কথাটা ভুলেই গিয়েছে হয়তো ৷ রাত দশটা বাজে , আর দাঁড়ায় না ও ৷ বাপির দোকানে গিয়ে কেকটা দিয়ে দেয় ৷ রাতে খাবার টেবিলে ও আসে না ৷ মোবাইলের সুইচ অফ করে ঘরের আলো নিভিয়ে দেয় ৷ নাহ ! অনেক হয়েছে ৷ আর নয় ৷ সব কিছু সইতে পারে ও,কিন্তু তৃষার অবহেলা কিছুতেই সহ্য করতে পারে না ৷
তৃষার আজ বাড়ী ফিরতে সত্যিই রাত হয় ৷ “কিরে তোর এত দেরি হল?”
“আর বোল না মা ৷ সবে ব্যাগ গুছিয়ে উঠতে যাচ্ছি,অভিজিৎ স্যার ডেকে পাঠালেন ৷ ওনার ঘরে ঢুকে আমিতো অবাক ৷ দেখি বার্থডে কেক সাজিয়ে বসে আছেন স্যার ৷ আর টেবিল ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে সুদীপ অঙ্কিতা আর রাজীব ৷”
“ও আচ্ছা !! তাই বল !! যা চট করে হাত-মুখ ধুয়ে চলে আয় টেবিলে ৷”
“আচ্ছা ! অর্ণবের সাথে তোর দেখা হয়েছে,আজ?”
“না-মা!! “বলে তৃষা চট্ করে ঢোকে বাথরুমে ৷ সত্যিই তো ! সেই সকালে যে একটা বার্থডে মেসেজ পাঠাল অর্ণব তারপরে তো আর কোন সাড়া শব্দ নেই ৷ আজ তো অন্তত: ওকে অফিস থেকে নিতে আসতে পারতো ৷ ভারি অভিমান হয় তৃষার ৷ না ! আজ ফোন করবে না কিছুতেই ও। মোবাইলটা সুইচড্ অফ করে দেয় ৷
তৃষা অনেক চেষ্টা করেও অর্ণবকে বোঝাতে পারে না ওর না আসার কারণ ৷ আই.টি. সেক্টরে কাজ করলে যে কাজের সময় বলে বাঁধাধরা কিছু থাকে না,তা অর্ণব বুঝেও বোঝে না ৷ আসলে তৃষা বুঝতে পারে যবে থেকে ও চাকরী পেয়েছে তবে থেকে অর্ণব হীনমন্যতায় ভুগতে শুরু করেছে ৷ এতোদিন তো এরকম অবুঝও ছিল না ৷ তাহলে আজ এরকম হয়ে গেল কেন ? কেন ও তৃষার মন বুঝতে পারে না ৷ নাহ ! ও কিছুতেই আর ফোন করবে না ৷ অর্ণবকেই আসতে হবে ওর কাছে ৷
বছর দুয়েক পরের কথা 
“তাড়াতাড়ি খেতে দাও মা-”
“তুই বস্ টেবিলে,আমি দিচ্ছি ৷ তুই কি এখন বেরোবি ?
“কেন ?”
“এমনি,তুই যেন কেমন হয়ে গেছিস বাবু ! আমার কথা না হয় ছেড়ে দিলাম তোর বাবার সাথে ও একটু ভাল করে কথা বলিস না ৷”
“কিযে বলো ?
“আমি বলি কি তুই একবার তৃষাকে…”
কোন কথা না বলে খাওয়া সেরে অর্ণব উঠে পড়ে টেবিল থেকে ৷ লীলার বুকের ভেতরটা মোচড় দেয়কি ছেলে কি হয়ে গেল ? কি যে হলো ছেলে মেয়ে দুটোর মধ্যে ? সব যেন পাল্টে গেল ৷ মেয়েটাও কম যায় না তুই ও তো ওকে একটু বোঝালে পারিসদুজনেরই এত ইগো  থাকলে চলে ? তৃষাটা ফোনও ধরে না যে ওর সাথে একটু কথা বলবসত্যি বাবা ! আজকালকার ছেলেমেয়েদের বোঝা ভার কতবার যে বোঝাতে চেয়েছি ওদের !!
মাস দুয়েক পরের কথা ৷
“তোর একটা বিয়ের  চিঠি এসেছে ৷” 

“বিয়ে ? কার ? কই দেখি ? “কার্ডটাতে চোখ বুলিয়ে চুপচাপ নামিয়ে রাখে অর্ণব ৷
“খেতে দাও মা ৷”
সারা রাত দু চোখের পাতা এক করতে পারেনা অর্ণব খুব ভোরে ছাদের রেলিং এর ধারে এসে বসেযতদূর চোখ যায় শুধু বাড়ি আর বাড়িওদের কম্পার্টমেন্টটা পাঁচতলায়ওদের ফ্ল্যাটের উপরেই ছাদ | ছাদে কতো বিকেল,কতো সন্ধ্যে,যে কেটেছে তৃষার সংগে ৷ ছাদে এলেই একটা অন্য মানুষ হয়ে যেত তৃষা  গলা ছেড়ে গান ধরতো,”আকাশ আমায় ভরল আলোয়,আকাশ আমি ভরবো গানে ৷” কত সন্ধ্যে কেটেছে কবিতা পড়ে ! এটা তুই করতে পারলি  তৃষা? আমি জানতাম তুই আমারি আছিস ৷ কথা না বললে কি হবে তুই যে আমার খবর রাখিস সেটা আমি জানি। কিন্তু সব মিথ্যে করে দিয়ে তুই আজ বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছিস  এ হতে পারে নাআমি ফোন করিনি কিন্তু তুই তো আমাকে ফোন করতে পারতিসআমাকে তো তুই জানিস তোকে ছাড়া আমার চলে নাআমার আঁকা আমার কবিতা সবকিছু যে আমি হারিয়ে ফেলেছিতুই বুঝিস না কেন? তুই জানিস না ? কেন আমার অনুভূতি গুলোকে আমি মেরে ফেলেছি? তবে একটা কথা আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি যে তুই  ফিরে আসবি আর তা বিশ্বাস করি আমার সমস্ত  সত্ত্বা  দিয়েকিন্তু সব তুই মিথ্যা করে দিলিটি শার্ট টা গায়ে গলিয়ে রাস্তা দিয়ে ছুটতে থাকে অর্ণবআজ  ওকে যেতেই হবে তৃষার কাছে  
আজ তৃষার বিয়েতৃষাকে একটা প্রশ্নের উত্তর দিতেই হবে। এই কাজটা করতে পারল কি করে ?
“এ কি অর্ণব? তুমি? কেমন আছো ?”
“ভালো কাকিমা-তৃষা কোথায়? আমার একটু কথা আছে
“যাও ! ওপরের ঘরে !”
“তৃষা ! তৃষা !”
এই ডাকটার জন্য তৃষা যে  দু’বছর ধরে কান পেতে ছিল ৷ বুকের মধ্যে যেন হাজারো ঢেউ ছলাৎ করে উঠলো 
“তৃষা তুই এটা করতে পারিস নাতুই আমার ৷ আমাকে ছাড়া আর কারো হতে পারিস না
 ছাড় !! আমার হাতে লাগছে ৷ আজ এই কথাটার কি কোন দাম আছে? আগে এটা ভাবা উচিত ছিল
ও ভাবার  দায়িত্ব শুধু আমার ?”
তুইও একটা ফোন করলে পারতিস ৷”
“কেন করব? জেলাসি তো আমার হয়নি তোর হয়েছে আমার চাকরি করা,ভালো থাকা,তুই সহ্য করতে পারিস নি ৷”
“তুই এ কথা বলতে পারলি? সেদিন তোর জন্য কেক বানিয়ে আমি কত রাত পর্যন্ত বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিলাম সেটা তুই কি জানিস?
“আমি সেদিন সারাটা ক্ষণ তুই কখন আমাকে অফিস থেকে নিতে আসবি  এই ভেবে অপেক্ষা করেছি সেটা তুই জানিস ?”
“আমার কথা শোন,যা হবার হয়েছে তুই আমাকে ক্ষমা কর্,তৃষা ৷ তুই এখানে বিয়ে করিস্ নাতুই দেখিস আমি ঠিক কিছু একটা করবআমাকে করতেই হবে ৷”
এখন এসব কথার কোন মানে হয় নাআমার হবু স্বামী ব্যাংকের প্রবেশনারি অফিসার ৷ একমাত্র ছেলেআমি অনেক ভেবে ডিসিশন নিয়েছি ৷”
“তৃষা,মা রে !! আর কষ্ট দিস না আমার ছেলেটাকে !!”
“এ কি বাবা? তুমি? তুমি কখন এলে ?”
“তোর পিছনে পিছনে এসেছি 
“বাবা! তুমি জানো তৃষা আজ বিয়ে করছে ৷” গলা বন্ধ হয়ে আসে অর্ণবের ৷
তাকিয়ে দেখে তৃষা আর ওর বাবা দুজনেই হাসছে  অবাক চোখে তাকায় একবার তৃষা আর একবার ওর বাবার দিকে ৷
“কোথাও যাবেনা তোর তৃষা ৷ তোর কাছেই থাকবে ৷”
“মানে ?”
“তোরা যখন কিছু করতে পারলি না-তখন দায়িত্বটা আমাকেই নিতে হলো ৷”
“তোমরা আমাকে এতো কষ্ট দিতে পারলে? বাবা ?”
“কি করবো? বল্? ভালোবাসাতে যে কোন ইগো থাকতে নেই-এই কথাটা তোদের বোঝানোর জন্য আমাকে এটুকু করতেই হলো ৷ নে-এবার আমি চললাম ৷ তৃষা মা! তুই এবার বুঝে নে |”
এক আকাশ দৃষ্টি নিয়ে তৃষা তাকায় অর্ণবের দিকে ৷ খুব ভালো করে ও জানে ওর অর্ণবকে ৷ অর্ণবের কাছে এসে ওর চোখের জলের সব অভিমান শুষে নেয় তৃষা ৷
বলে “এখনো বুঝলি না ভালোবাসায় কোনো ইগো থাকতে নেইযাকে ভালবাসবো তার সবটুকু নিয়েই তাকে ভালোবাসবোশুধু তোর কাছে আমার প্রয়োজন কতটা সেটা জানার খুব দরকার  ছিল ৷ তোকে কিচ্ছু করতে হবে নাআমি তো আছি । চাকরি করি,তুই যেমন আছিস তেমন থাক,কবিতা লিখবি, আঁকবি আর আমাকে খুব করে ভালোবাসবি ৷ ও হ্যাঁ! ছেলেপুলে কিন্তু আমি মানুষ করতে পারবো না ৷ সে তোকেই করতে হবে ! কিরে? পারবি তো ?”
অর্ণবের মত সুখী মানুষ আজ আর কেউ নেই ৷ নীল আকাশে হাজারটা পায়রা উড়ে গেল একসাথে ।।

******************************************************

শ্রীমতী ব্রতী ঘোষব্রতী ঘোষের পরিচিতি
জন্ম,পড়াশোনা সবই কলকাতায় ৷ তিরিশ বছর ধরে ভারতীয় জীবন বীমা নিগমে কর্মরতা। সঙ্গীত অনুরাগী মানুষটি এখন  ভালোবাসেন লিখতে ৷ এই পত্রিকাতেই তার লেখার পথ চলার শুরু। 

5 Comments

  • Madhumita Mitra

    বাহ্–চমৎকার…প্রকৃত আধুনিক মনষ্ক এবং ভালোবাসা য় ভরপুর এক নারী র কথা। কাহিনী বিন্যাস এবং ভাষা প্রবাহ খুব ভালো লাগলো ❤️

  • Paramita Neogy

    খুব সুন্দর একটা মিষ্টি ভালোবাসার গল্প ,খুব ভালো লাগলো।🌹🌹

  • Subrata Dey

    Khub valo laglo. Galpo to manusher jibon thekei neoa, karur kache galpo, karur jiboner akta part, keu abar vabbe iss erakom jodi hoto, abar keu mone korbe last er did ta chara puro tai mile gache. Jai hok over all emotion e vora,darun hoyeche.

  • Brati Ghosh

    খুবই ভালো লাগলো – বন্ধু !! অনেক ভালোবাসা নিও ৷

Comments are closed.

error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!