অপেক্ষা
কাজরী বসু
সুবাতাস বইছিল কই! হঠাৎই আকাশ কালো
মেঘমন তাই থৈথৈ হারিয়ে নিথর আলো।
খুঁজেছি সেদিন থেকে আলোতে হাতছানি-ভোর।
শিউলির সুবাস মেখে সেদিনের প্রথম প্রহর।
একদিন বৃষ্টি আসে রোদ্দুর একলা নীরব
রিমঝিম অনুপ্রাসে বেজে যায় কালভৈরব।
বেজে যায় একলা বাঁশি সবুজের প্রেক্ষাপটে
সে রাতেই পৌর্ণমাসী নীল চাঁদ জ্যোৎস্না তটে।
আলো মন ভাঙতে থাকে ভেঙে পড়া ব্রিজের মতো
অদেখা ঘূর্ণিপাকে বেড়ে যায় নীলচে ক্ষত।
তথাপি পাড় ভাঙেনি গভীরের তর্জমাতে
থেকে যায় মেঘরা সুনীল আগামীর অপেক্ষাতে।
থেকে যায় ঈশান কোণে সন্ধান ফল্গুজলের
থেকে যায় একলা মনে বিরহের অকুস্থলে।
বাঁধা হয় আকাশমণি ঝরে পড়া শিউলি, গিঁটে
থাকে না ভুল সরণি না পাওয়ার ব্যালেন্সশিটে।
বয় ফের সেই সুবাতাস শরতের গন্ধ নিয়ে
বৃষ্টির গন্ধে আকাশ ঢুকে যায় জানলা দিয়ে।
না পাওয়ারা আগাম ভোরের দরজায় দেয় পাহারা
পরিযায়ী স্বপ্নে ওড়ে চিরকাল অপেক্ষারা।
*****************************************************
কাজরী বসু পরিচিতি :
কাজরী বসু কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে সাম্মানিক বাংলায় স্নাতক। স্নাতকোত্তর পড়াশোনা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বাংলায় মাস্টার্স করার পর শিক্ষাব্রতী কাজরী নিয়মিত সাহিত্যচর্চা করেন। নিজস্ব একক চারটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও বিভিন্ন কাব্যসংকলনে কবিতা , রহস্য উপন্যাস,গদ্য প্রকাশিত হয়ে থাকে। সঙ্গীতে সমানভাবে আগ্রহী কাজরী নিয়মিত সঙ্গীতচর্চা করেন। গীতবিতান শিক্ষায়তনের গীতভারতী ডিগ্রির পরে শ্রী সুবিনয় রায়ের কাছে দীর্ঘদিন তালিমপ্রাপ্ত। পরিবারে আছেন স্বামী ও একমাত্র কন্যা।