বেগুনি রঙের আলো জন্ম
পৃথা রায় চৌধুরী
অ্যাসফল্ট খোবলানো যায় দেখতেই পাচ্ছিস,
আর সার সার ফুটপাথ মাখা গাছের নিচে জমে থাকে
থ্যাঁতলানো জামের বেগুনি রক্ত…
গোটা জাম খাস, আলোকলতা?
আলোকলতা, তুই এমন পেঁচিয়ে শাড়ি জড়াস বুকে?
চায়ের ঠেকের ভাঁড় চলকে যায়
ছলকে ছলকে আসে আনাড়ি দাগ
অ্যাম্বুল্যান্স ডাকি, দাগ তুলে ফেলি তড়িঘড়ি
তোর কোলে কোন স্পার্ম অফ্?
মুখে ওড়না বাঁধিস, কোঁচড়ে খুচরো দশ পাঁচ,
ইস্কুল গেটের বাইরে হজমিগুলি বিকোয় না এখন
অফিস গেট, ডেকার্স লেন,
কোথায় কোথায় যাস আলোকলতা?
আমি অভিধান মুখে জামের ইংরাজি খুঁজি
খুঁজি খসে পড়া হলদে খয়েরি পাতাটাতার ফরাসি শব্দ।
আলোকলতা তোর নাম, তাই তো?
*************************************************
ড. পৃথা রায় চৌধুরী পরিচিতিঃ
জন্মস্থান ভারতবর্ষের ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ শহরে। সাহিত্য চর্চা শুরু, ছোটবেলা স্কুলে থাকতেই। প্রাণীবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ও পরিবেশ বিজ্ঞানে ডক্টরেট। এপার ওপার বাংলার বিভিন্ন প্রিন্ট পত্রিকা ও অনলাইন ওয়েবম্যাগ ও ব্লগে নিয়মিত লেখালিখি করেন ২০১২ সাল থেকেই। নিজের একক কাব্যগ্রন্থ সাতটি…”মন্দ মেয়ের সেলফি”, “জন্মান্তরে সিসিফাস”, “শব্দ এক পুরুষপাখি”, “চতুর্থ প্রহরে নক্ষত্রের ছায়া”,”ঘড়ির তেরো নম্বর কাঁটা”,”মায়াকীয়া” ও “মুরাল তন্ত্র”। এ ছাড়া এপার ওপার বাংলার বিভিন্ন কবিতা সংকলনে স্থান পেয়েছে ওনার কবিতা। কিছু কাব্য সঙ্কলনের সম্পাদনা করেছেন ও ক্ষেপচুরিয়াস নামক সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক মণ্ডলীর মধ্যে, “আমি অনন্যা” পত্রিকার সম্পাদক মণ্ডলীর মধ্যেও আছেন এবং ‘শহর’ পত্রিকার সহ সম্পাদকের দায়িত্বেও আছেন। ২০১৬ সালে “শব্দের মিছিল” সাহিত্য গোষ্ঠীর তরফ থেকে “আত্মার স্পন্দন” ১৪২৩ এবং পরবর্তীতে ‘আমি অনন্যা’র সাহিত্য কৃতী সম্মাননা ২০১৯-২০২০ সম্মানপ্রাপ্ত হয়েছেন।
অপূর্ব।