ফিরে এসো কবিতা
সুজয় দত্ত
যতদিন ছিলে আমার কলমে বাঁধা,
তুমি যেন দাসী আর আমি এক প্রভু–
পরিয়েছি পায়ে যতি-ছন্দের বেড়ি,
মুক্ত বাতাসে উড়তে দিইনি কভু।
বাজারী কাগজে শৌখীন ম্যাগাজিনে
তোমাকেই বেচে কুড়িয়েছি হাততালি।
বুঝিনি কখনো তুমি ছেড়ে চলে গেলে
মানিব্যাগ নয়,হৃদয়টা হবে খালি।
বুকের খাঁচায় বন্দিনী পাখী হয়ে
দিয়ে যাবে শিস আমার হুকুমমতো–
এই ভেবে আর খাঁচার দরজা খুলে
জানতে চাইনি যাতনা পেয়েছ কত।
যেদিন হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে দেখি
নেই তুমি আর,উড়ে গেছ কোন ফাঁকে–
মনের ভেতর কী অসীম শূন্যতা
হাহাকার করে তোমাকেই শুধু ডাকে।
সেই থেকে আর পাইনি তোমার দেখা।
দিন কেটে যায় পথ চেয়ে কাল গুনে–
বর্ষায় যদি মেঘদূত হয়ে আসো,
ফেরো যদি কোনো হেমন্তে-ফাল্গুনে।
আসবেনা জানি,মুক্ত বলাকা হয়ে
নীল আকাশের রংটুকু শুষে নেবে,
নন্দনবনে পারিজাত ফুল-সম
আপন খুশীতে গন্ধ ছড়িয়ে দেবে।
সেই ভাল, আর মিছিমিছি পিছু ডেকে
মিথ্যে আশায় রবনা তোমায় নিয়ে।
হঠাৎ কখনো ইচ্ছে জাগলে শুধু
চুপিচুপি যেও আমার স্বপন ছুঁয়ে।
————————————————————-
অভিমান
সুজয় দত্ত
এখন কদিন থাকব তোমায় ভুলে,
খুঁজবনা ঘেঁটে ট্যুইটার ফেসবুক,
দেখবনা আর ইনস্টাগ্রাম খুলে
তোমার লেটেস্ট সেলফির হাসিমুখ।
স্মার্টফোনে আর ল্যাপটপে ঝড় তুলে
করব না টেক্সট দুমিনিট ছাড়া ছাড়া।
চ্যাটবক্স থাক কিছুদিন নিষ্ক্রিয়,
স্কাইপে ডাকলে মোটেই দেবনা সাড়া।
ল্যান্ডলাইনের পাট তো চুকেছে কবে,
কলার আইডি হয়েছে ডাইনোসর।
সেলফোনে যায় ভয়েস মেসেজ রাখা —
রাখলেও চেক করি বহুদিন পর।
অতএব তুমি চাইলেই পারবেনা
আমার মনের গভীরে সেঁধিয়ে যেতে।
পাসওয়ার্ডটাই করেছ যে হাতছাড়া —
ঘাম ছুটে যাবে আমার নাগাল পেতে।
ভাবছ হঠাৎ কেন এ নিষ্ঠুরতা?
কী এমন হল? অপরাধ নাকি ভুল?
এইতো সেদিন উচ্ছ্বাসে উল্লাসে
ছিলাম দুজন একসাথে মশগুল।
ছিলাম,কিন্তু কতদিন থাকা যায়
“জাস্ট ফ্রেন্ড”-এর তকমাটা গায়ে সেঁটে?
“সিগনিফিকেন্ট আদার” হয়ে যে কবে
জীবনের পথে পাশাপাশি যাব হেঁটে–
সেই আশাতেই জেগে জেগে গেছে রাত,
ডেকেছি তোমায় আধো-ঘুমে জাগরণে,
স্বপ্নে দেখেছি বাড়িয়ে দিয়েছ হাত,
উষ্ণ করেছ নিবিড় আলিঙ্গনে।
বাস্তবে যদি একটু সাহসী হতে —
এড়িয়ে না যেতে মুখোমুখি দেখা হলে —
কতবার লিখে পাঠিয়েছি এস এম এসে —
“দোহাই,এবার সত্যিটা দাও বলে।”
বলতে পারোনি,আরও বেশী সংকোচে
বাড়িয়ে চলেছ মিথ্যের জটিলতা।
নিরুপায় আমি,আড়ালে আড়ালে থেকে
লিখে গেছি চিঠি,হৃদয়ের জমা কথা।
ভেবেছ সেসব কথা ছিল স্ন্যাপচ্যাট?
পড়া হয়ে গেলে মুছে যায় সাথেসাথে?
সিগন্যাল আমি দিয়ে গেছি অবিরত —
ধরতে পারোনি তোমার অ্যান্টেনাতে।
নাও,এইবার তিলতিল করে বোঝো
অস্বীকারের যন্ত্রণা কাকে বলে।
কোনোদিন যদি মর্যাদা দিতে পারো,
ঠিকানা রইল–ফিরব খবর পেলে।
******************************************
সুজয় দত্ত বর্তমানে আমেরিকার ওহায়ো রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যানতত্ত্বের (statistics) অধ্যাপক। তিনি কলকাতার বরানগরের ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিকাল ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন ছাত্র। তরুণ বয়স থেকেই সাহিত্য তাঁর সৃজনশীলতার মূল প্রকাশমাধ্যম,সাহিত্য তাঁর মনের আরাম। ছোটগল্প,বড় গল্প, প্রবন্ধ ও রম্যরচনার পাশাপাশি নিয়মিত কবিতাও লেখেন তিনি। এছাড়া করেছেন বহু অনুবাদ–হিন্দি থেকে বাংলায় এবং বাংলা থেকে ইংরেজিতে। তিনি হিউস্টনের “প্রবাস বন্ধু” ও সিনসিনাটির “দুকুল” পত্রিকার সম্পাদনা ও সহসম্পাদনার কাজও করেছেন। এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রকাশিত ‘বাতায়ন’ পত্রিকাটির সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। এই পত্রিকাগুলি ছাড়াও ‘অপার বাংলা’ ও ‘গল্পপাঠ’ নামক ওয়েব ম্যাগাজিন দুটিতে,নিউজার্সির ‘আনন্দলিপি’ ও ‘অভিব্যক্তি’ পত্রিকা দুটিতে,কানাডা থেকে প্রকাশিত ‘ধাবমান’ পত্রিকায়,ইংল্যান্ড থেকে প্রকাশিত পূজাসংকলন ‘মা তোর মুখের বাণী’ তে,ভারতের মুম্বাই থেকে প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতা পরবাসে’ রয়েছে তাঁর লেখা। কলকাতার প্রসিদ্ধ সাহিত্য-সংস্কৃতি ও সমাজসেবী সংস্থা ‘পোয়েট্স ফাউন্ডেশন’-এর তিনি অন্যতম সদস্য। সম্প্রতি নিউ জার্সির “আনন্দ মন্দির” তাঁকে “গায়ত্রী গামার্স স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কারে” সম্মানিত করেছে। সাহিত্যরচনা ছাড়া অন্যান্য নেশা বই পড়া, দেশবিদেশের যন্ত্রসঙ্গীত শোনা এবং কয়েকটি বাদ্যযন্ত্র বাজানো।
=============================
বসন্ত এসে গেছে
আশিস দাস
পলাশ বড় ভয় লাগে,
ভয় লাগে আগুন শিমুল..
বসন্ত এসেছে আজ
বহুদিন পর ;
চারিদিকে সেই বার্তা রটি গেল ক্রমে
বসন্ত এসেছে আজ তিরিশ বছর পর…
আতঙ্কের সেই রাত
হয়তো জেগেই আছে
আরো কত চোখে !
উন্মত্ত কিছু হাত,
জ্বলন্ত মশাল,
লেলিহান আগুনে শুধু ঝলসে গেল
আকাশের রং..
উঠোনে ছড়ানো যতো
ইতস্তত হাঁড়ি-কলসি, বাসনকোসন !
অলস পাখীরা সব দিকভ্রান্ত, ঝলসানো পাখায় তবু জীবনের ব্যর্থ প্রত্যাশা…
পোড়া কাঠ,ভাঙ্গা উনুন ফেলে রেখে
অন্ধ বাবার সাথে
অজানার দিকে,
নিজভূম আজ যেন অন্য কোন দেশ,
ঠিকানাবিহীন…
আগুন পলাশ রঙে ঢেকেছিল আকাশ..
আজ বড় ভয় হয়
শিমুলে পলাশে ;
সেই শেষ ..
বসন্ত চলে গেছে,
আর ফিরে আসেনি কখনো…
তারপর
কয়েক দশক,
আকাশের রং কত বদলে গেল প্রতিদিন রাতে…
তিরিশ বছর পর
বসন্ত এসেছে সেই
থেঁতলানো পলাশের দেশে.. চেনাজানা গাছপালা,এমনকি সেই সব কাক অথবা চড়াই !!
নেই,কেউ নেই
নিস্তব্ধ আঁধার….
হয়তো কিছুই নেই,
তবু..
বসন্ত এসেছে আজ
তিরিশ বছর পর
ছাইচাপা হতাশার ভূমে !!
*********************************
আশিস দাস
প্রাক্তন প্রধানশিক্ষক
ইংরাজি ও বাংলা প্রবন্ধ, কবিতা ইত্যাদি লেখার অনুরাগী
===================================
চিরকালীন
তীর্থঙ্কর সান্যাল
ধূমকেতুর মত তোমার প্রকাশ,
অগ্নিবীণা হাতে তোমার প্রবেশ।
হে বিদ্রোহী। অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ
ভীত,সন্ত্রস্ত
তোমার ধারালো মসীঅস্ত্রে।
স্বদেশ প্রেমী;দেশ আর হৃদয় জুড়ে
তুমি ছড়িয়ে রয়েছ।
তুমি নজরুল।
জাতীয়তা,চিরন্তন প্রেম আর
রাগ রাগিণীর সুরধারায় তুমি অমলিন।
তুমি চিরকালীন।
****************************************
তীর্থংকর সান্যাল : ছাত্র-রামকৃষ্ণ মিশন।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এম.কম,এম এ (সাইকোলজি),এ সি এম এ (কস্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট) ও এ সি এস (কোম্পানি সেক্রেটারি)
রামকৃষ্ণ মিশনের ত্রয়োদশ প্রেসিডেন্ট স্বামী রঙ্গনাথানন্দ দ্বারা দীক্ষিত। মা ও বাবা স্বাধীনতা সংগ্রামী ও শিক্ষক-শিক্ষিকা।
পেশা : বহুজাতিক কোম্পানির সিইও ও মেন্টর ছিলেন। বর্তমানে হিউম্যান সিগমা ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্সি সংস্থার সিইও।
লেখালেখি,গান ও সমাজসেবায় নিজেকে ব্যাস্ত রেখেছেন।
===================================
বসন্তের মেয়ে
পারমিতা গাঙ্গুলী
বসন্তের মেয়ে আমি
উড়িয়ে এসেছি ধুলো
পুড়িয়ে এসেছি মন,পলাশআগুনে।
রঙের বালতি উপুড় করে
পিচকারীর শেষ রংটুকু
ছুঁড়ে দিয়েছি আকাশের গায়ে।
এখন চৈত্রের হাওয়ায়
গোলাপি আবির আমাকে একলা ফেলে
ভেসে যায় সুগন্ধ ছড়িয়ে।
দাবানল উড়ে যায় পাহাড়ের মাথায় মাথায়
নিমেষে জ্বলে যায় জমাট সবুজ
কুন্ডলীপাকানো ধোঁয়া ঘিরে ফেলে যখন
নিজেকে অচেনা মনে হয়।
পুড়ে কালো হয়ে যাওয়া গাছের সারির ফাঁকে
বিবর্ণ ধূসর বসন্ত…অচেনা লাগে তাকেও।
এইসব অচেনার মাঝেই খুঁজে দেখি আঁতিপাঁতি
দু একটি রঙিন পলাশ যদি পাই!
আমাকে ডেকোনা কেউ
তোমরা যেটুকু আমাকে জানো…সেই শেষ নয়
আমি যেটুকু নিজেকে জানি…সেও শেষ নয়।
শেষ পর্যন্ত পৌঁছব বলে
খুঁড়েই চলেছি হৃদয়….
বানিয়েছি দীর্ঘ এক সুড়ঙ্গপথ
এক বসন্ত থেকে আর এক বসন্তের দিকে।
*******************************************
পারমিতা গাঙ্গুলীঃ
গত একত্রিশ বছর জীবনবীমাকর্মী। ছোট থেকে বই পড়ার নেশা। কবিতার সঙ্গেও সেই তখন থেকেই বন্ধুত্ব। স্বামী এবং একটিমাত্র কন্যা,সংসার বলতে এই। এর বাইরেও একটি NGO র সঙ্গে যুক্ত। যত কমই হোক মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে ভাল লাগে।
===================================
অনেক তো হল….
অর্পিতা রায় আসোয়ার
অনেক তো হল-
শীত,বসন্ত,গ্রীষ্ম পেরিয়ে
শরতের পর আবার
শীতে প্রবেশ।
এবার চলো দেখি,
সৈকতে সূর্যোদয়
একান্তে।
অনেক তো হল-
স্বপ্নের সাথে
আলাপচারিতা।
এবার না হয়,
স্বপ্নকে আড়ি দিয়ে,
একটু ভীড় বাসে
চাপি।
অনেক তো হল-
জীবন নদের সাথে
আপোষ।
এবার না হয়,
খরস্রোতাই হোক-
এ নদ।
গতিপথে তৈরী করুক
নতুন ভূমিরূপ।
**************************
নিভৃত
অর্পিতা রায় আসোয়ার
দ্বার খুলে জেগে রই,
একাকী অপেক্ষমান
আমি।
করি প্রতীক্ষিত নিভৃতের
আরাধনা।
নিভৃতযাপনের সাধে,
সাজাই বরণডালা।
অন্ধকার দুঃখের রাতে গাঁথি,
নিভৃত কথামালা।
*********************************
অর্পিতা রায় আসোয়ারঃ ঠিকানা: শিল্পসমিতি পাড়া,জলপাইগুড়ি।
=================================
লক্ষ্মী মেয়ের ছড়া
সুবীর গুহ
এক যে ছিল লক্ষ্মী মেয়ে-
চিনির চেয়েও মিষ্টি,
আকাশে যেই মুখ লুকাতো
অঝোর ধারায় বৃষ্টি!
মিষ্টি কথায়,বিষ্টিতে নয়-
চোখের দুটি তারা
পাখির মত মেলত ডানা
মনের মধ্যে নাড়া।
জোছন আলোর ছোঁয়ায় যখন
আকাশ আলোয় আলো,
দু-চোখে তার ঝর্ণা ধারা
ধুইয়ে দিত কালো।
স্বপ্ন দিয়ে আঁকত ছবি
সারা আকাশ জুড়ে,
সকাল হলেই হারিয়ে যেত
রোদ্দুরে রোদ্দুরে।।
*************************************
সুবীর গুহঃ জন্ম ১৯৫২ সালে৷ মামাবাড়ির সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বড়ো হওয়া সুবীর বাবু কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক৷ ছোট থেকেই সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলের ছাপ তাঁকে ক্রমশঃ আকৃষ্ট করে গানবাজনা,খেলাধূলা,সাহিত্য সবকিছুতেই ৷ পরিণত বয়সে তার প্রকাশ ঘটে বিভিন্ন লিটল্ ম্যাগাজিনে যেমন-কর্ণ,পথে-প্রান্তরে,চর্যাপদ,আঞ্চলিক দর্পণ ও আরো নানা পত্রপত্রিকায় যা সমাদৃত হয়৷ তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘যুগলবন্দী’ এবং দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘আত্মপরিচয় ও অন্যান্য কবিতা’ ইতিমধ্যেই প্রকাশিত এবং যথেষ্ট সমাদৃত৷ তাঁর আরো একটি বই প্রকাশের কাজ চলছে।
===================================
রঙ্গমঞ্চে (দাদু সোনা)
দে আ নন্দ
চশমা খুলে দিচ্ছে ফেলে
জোরসে হাতে টেনে,
দ্যাখ্ দাদু ভাই কাঁধে ওঠে
চুলের মুঠি টেনে!
মুখ থুবড়ে পড়ার ভয়ে
ধরিই তড়িঘড়ি,
ছেড়ে দিলেই, পালায় জোরে
দিয়ে হামাগুড়ি !
এই তো কাঁদে, এই যে হাসে
খেলে লুকোচুরি,
দুহাতে বল ছুঁড়ে দিলেই
দেয় যে গড়াগড়ি! !
মুচকি হাসি মাখিয়ে ঠোঁটে
কাটায় সারাবেলা,
মনন্ কুঠির,জগন্নাথন্
জীবন রঙ্গে-খেলা !
*********************************
দে আ নন্দ
জন্মস্থান- অশ্বত্থতলা,দক্ষিণ ২৪ পরগনা (বর্তমানে-সুন্দরবন),
শিক্ষা: মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং গ্র্যাজুয়েট ও কম্পিউটার সায়েন্স এ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট।ইন্জিনিয়ারিং এ অভিজ্ঞতা ও আবিষ্কার আছে! সম্প্রতি (28/01/2024) সমাজ সেবা ও সাহিত্য সাধনায় বাংলার আন্তর্জাতিক সম্মেলন এ সম্মানিত !
তবলা বাদ্য,বেহালা বাজানো ও নদী পাহাড় পথে মাঠে ঘাটে বাঁশি বাজানোয় লিপ্ত !
================================
উপেক্ষিত প্রেম
অঙ্কন দন্ড
পিতার নীরব পরিশ্রমের
প্রতি বিন্দু ঘামে, চুঁইয়ে পড়ে ভালোবাসা।
আমার ভাতের পাতে, মায়ের
নিজে না খেয়ে, মাছের টুকরোটা রোজ
তুলে দেওয়ার নিঃস্বার্থ ভালোবাসার কি
কোনও তুলনা হয়?
দাদার গোপন সমর্থনে
মোড়ানো থাকে স্নেহের চাদর।
কিন্তু জমকালো প্রেম চাই। চটকদার।
হোলির মতো প্রেম খুঁজে বেড়াই!
প্রেমে খুঁজি দীপাবলির আলো।
কিন্ত হোলির রঙ মুছে যায় বিবর্ণতায়।
চুপসে নিভে যায় দীপাবলীর ফানুষ!
মস্তকে মায়ের হাতের ছোঁওয়া
মুহূর্তে গোলাপী রঙ ফিরিয়ে দেয়,
উষ্ণতা খুঁজে নিয়ে মুখ ঢাকি
পিতার কোমল ছায়ায়।।
*****************************************
অঙ্কন দণ্ড, জন্ম ২০০৩ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারী। বাসস্থান পুরুলিয়া জেলার আদ্রায়। অঙ্কনের লেখালেখির পথ চলা কবিতা দিয়ে। আনন্দবাজার পত্রিকার জেলার পাতা ” ছোটদের পাতা ” শীর্ষক – এ তার স্বরচিত কবিতা নিয়মিত প্রকাশিত হত। স্থানীয় পত্রিকা ” ঊষশী” তেও স্থান পেয়েছে তার কবিতা। এছাড়া নানান গল্প ও প্রবন্ধ লিখে স্থানীয় স্তরে অনেক শুভেচ্ছালাভ করেছে সে। লেখালেখির পাশাপাশি ছবি আঁকাতেও সমান পারদর্শী অঙ্কন। অঙ্কনের রয়েছে ক্রিকেট ও গান এর প্রতি অসীম আগ্রহ।