জীবনের পথ চলা
রীতা মিত্র
দেখতে গেলাম পুরোনো দিনের
জীবনটা ছিল কেমন ,
দেখলাম আজ আধুনিকতায়
ভরা জীবন এখন ।
দেখতে পেলাম আমরা যারা
পঞ্চাশ ষাট বয়সের ,
দেখতে পেলাম দু-চার আনার
দাম কষাকষি বাজারের ।
জীবন তখন সহজ সরল
প্রেম বিশ্বাসে ভরা ,
সৎ ধার্মিক সহজ সরল
ছিল মানুষের ধারা ।
যুগের হাওয়া ক্রমে ভেসে এলো
বদলালো মন সবার ,
একে একে সব ভেঙে গেল যত
একান্নবর্তী পরিবার ।
ক্রমে দেশে গ্রামে সারা বিশ্বে
উন্নত হল বিজ্ঞান ,
মুঠোফোন, নেট, গুগল এ আই
বাড়াতে থাকলো মান ।
ছোট পরিবার ছুটতে থাকল
ঘর ছেড়ে দূর প্রান্তে ,
ধর্মে কর্মে সংস্কৃতি
মিশল সবার সাথেতে ।
হারিয়ে যে গেল সাদা-মাটা সেই
শৈশবের দিনগুলো ,
হারিয়ে যে গেল মায়ের আঁচল
গায়ে এক মাঠ ধুলো ।
হারিয়ে যে গেল দাদু -ঠাকুমার
গল্প শুনতে পাওয়া ,
হারিয়ে যে গেল বন্ধুর বাড়ি
হঠাৎ না বলে যাওয়া ।
সময়ের সাথে তালে তালে আজ
জীবনের পথ চলা ,
পুরোনো নতুন ঘটছে যা কিছু ,
সব বিধাতার বলা ।।
——————————————–
রীতা মিত্র পরিচিতি : নেশা এবং পেশায় একজন নৃত্যশিল্পী। একেবারে শৈশবে-পাঁচ বছর বয়সে কলকাতার CLT(Children’s Little Theatre) নৃত্য শিক্ষার শুরু। ১৬ বছর বয়সে গুরু থাঙ্কোমণি কুট্টির কাছে নৃত্যশিক্ষার প্রারম্ভ এবং ভারত নাট্যম ও মোহিনীআট্টমে বিশেষ পারদর্শিতা লাভ। কলকাতার কলামন্ডলমে নৃত্য শিক্ষক হিসেবেও অভিজ্ঞতা লাভ। বিবাহ পরবর্তী জীবনে জামশেদপুর টেগোর সোসাইটির সঙ্গে সংযুক্তি এবং সেখানে প্রায় দীর্ঘ চল্লিশ বছরেরও বেশী সময় ব্যাপী ভারতনাট্যমের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মকাণ্ড। ওঁর লেখা”ভারত নাট্যম এক পরিচয়” নামাঙ্কিত একটি বই(হিন্দীতে)-প্রয়াগ সংগীত সমিতির পাঠ্যক্রম অনুসারে প্রকাশিত হয়েছে।এ বইটি প্রয়াগ সংগীত সমিতির প্রথম বর্ষ থেকে ষষ্ঠ বর্ষ পর্যন্ত ছাত্র ছাত্রীদের বিশেষ সহায়ক। এছাড়াও সমগ্ৰ দেশের নানান নৃত্য পারদর্শীদের সঙ্গে ক্রমাগত ভাব বিনিময়েও বিকশিত হয়েছে নৃত্য ভাবনার নানান দিক। নৃত্য ছাড়াও সৃজনশীল সাহিত্য রচনায় বিশেষ আগ্ৰহ এবং ভালোবাসা। গদ্যে এবং পদ্যে,সহজ ও সরল ভাবে ও ভাষায় নিজেকে প্রকাশ করতে বিশেষ আগ্রহী |