বিহানবেলায়~২
সম্পাদকীয়
কবি তাঁর চিত্রা কাব্যগ্রন্থের নববর্ষে কবিতায় লিখেছেন
আজি বাঁধিতেছি বসি সংকল্প নূতন
অন্তরে আমার,
আজ যে ঘোর অমানিশায় সমাজ সংসার তমসাচ্ছন্ন, তারই মাঝে ক্ষুদ্র সামর্থ্য ও আন্তরিক প্রয়াসে আলো ফোটানো ছিল আমাদের একমাত্র আকাঙ্ক্ষা। হয়তো রবির কর ছড়িয়ে দিতে পারিনি। হয়তো পারিনি আলোকোজ্জ্বল হাস্য–কল–কাকলি মুখরিত আবহ সৃষ্টি করতে। কিন্তু যা পেরেছি, তার মূল্য নেহাত কম নয়।
প্রায় দুই বছর অতিক্রান্ত। সেদিনের সদ্যোজাত আজ টলমল পায়ে হাঁটতে শুরু করেছে। এই কুড়ি মাসে গুটিকয় সৃষ্টিশীল স্বপ্নময় চোখ উপহার দিয়েছে আলোকময় কিছু মুহূর্ত, কিছু গল্প, কিছু কবিতা, কিছু প্রবন্ধ। হাসি ফুটিয়েছে কিশলয় থেকে চিরহরিৎ বৃক্ষরাজি তে। সুরে সুরে ভরিয়ে তুলেছে বৈদ্যুতিন সামাজিক মাধ্যম।
হোঁচট খেয়েছে। বহুবার হোঁচট খেয়েছে। আবারও উঠে দাঁড়িয়েছে একে অপরের হাত ধরে। তাঁদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছে, যাঁরা সত্যিই শ্রদ্ধেয়। তাদের হাত ধরেছে, যারা চায় আলোর পথে এগিয়ে যেতে। আজও টলমল তার চলার ছন্দ, তবু তার দামাল পনা ছড়িয়ে গেছে বৈদ্যুতিন সামাজিক মাধ্যমে। তারা থামতে শেখেনি। মন্ত্র তাদের একটাই, চরৈবেতি, চরৈবেতি।
প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ নতুন করে সংকল্প নিয়ে চলেছে তারা, আরও আলো, আরও ভালো, বিলিয়ে দেওয়ার, ছড়িয়ে দেওয়ার।
আজ তাই, নববর্ষের সাথে মনে আসে কবিগুরুর কবিতার পঙক্তি
আজি বাঁধিতেছি বসি সংকল্প নূতন
অন্তরে আমার…….
হ্যাঁ। আমাদের সংকল্প, আরও ভালো বিলানোর, আরও আলো ছড়ানোর। সেই পথে এগিয়ে যেতে আজ আমরা প্রস্তুত, নতুন উপচারে পূজার ডালি সাজিয়ে। বিহানবেলায়~২ আজ প্রকাশিত হলো বৈদ্যুতিন মাধ্যমে। সকল লেখক লেখিকা কবি প্রবন্ধকারকে কুলায়ফেরা পরিবারের পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা, শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
নতুন বছর খুব ভালো কাটুক সকলের, এই প্রার্থনা জানিয়ে, কুলায়ফেরা–র সাথে আপনাদের আত্মিক বন্ধন দৃঢ়তর হোক, এই আশা নিয়ে বিহানবেলায়~২ আপনাদের হাতে তুলে দিলাম।
নমস্কারান্তে
দেবদত্ত বিশ্বাস
সম্পাদক
কুলায়ফেরা