স্বগৃহে প্রবাস
মানবেন্দ্র নাথ সান্যাল
কোনো কোনো ঘরে গেলে মনে হয়,
বহুদিন মন্দিরে যাইনি!
আমার ঘরের পাখা এত জোরে
দেয় না তো হাওয়া;
আমার সুগন্ধি ধূপ
এতো গন্ধ ঢালে না কখনো
আমার ঘরের বাতি
এত আলো দিয়েছে কোনোদিন?
এতদিন আমি কি প্রবাসে ছিলাম?
স্বগৃহে ফেরার পর প্রথমেই মনে হলো সেটা।
নতুন চোখে দেখি আবার
পুরনো সব আসবাব, দেওয়াল, পাখা
…এইবার যদি হয় বোধোদয়।
****************************
মানবেন্দ্র নাথ সান্যাল পরিচিতি
লেখক কৃতি ছাত্র ও ব্রতী পাঠক। স্কুল জীবন থেকেই সাহিত্য ও দর্শনের প্রতি আকর্ষণ। ছাত্র হিসেবে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হওয়ার পর,একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে প্রায় পঁয়ত্রিশ বছর কর্মরত থাকা। জনসংযোগ আধিকারিক হিসেবে,দেশের নানা প্রান্তে প্রচার ও প্রসারমূলক কর্মকান্ডে একাত্ম অংশগ্রহণ।
কল্লোল যুগের প্রাণপুরুষ শ্রী অচিন্ত্য কুমার সেনগুপ্তের সান্নিধ্য পান,ছাত্রাবস্থায়,সেই যোগাযোগ ছিলো আত্মার,মননের। দর্শন,সাহিত্য,অর্থনীতি,এবং কবিতার প্রতি বিশেষ অনুরাগ শ্রী মানবেন্দ্র নাথ সান্যালের।
সাহিত্যিক শ্রী সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় মুখবন্ধ লিখেছেন তাঁর বিশেষ বন্ধু মানবের একমাত্র প্রকাশিত কবিতার বই, ‘বেঁচে আছি,জেগে আছি’।
জাগরুক চিন্তক ও লেখক শ্রী মানবেন্দ্র নাথ সান্যাল।