স্রোতস্বিনীর দর্পণে
কঙ্কণা সেন
ইচ্ছে করে নদী হবো——–
বইব আবহমান কালের সিঁড়ি বেয়ে
ঘাটে ঘাটে কত কোলাহল
মাঝি করে পারাপার
দুই পারে দুই গ্রাম
কতবার আনাগোনা
আদান প্রদান জনে জনে।
সকাল বিকেল ছেলের দল
করে এপার ওপার
কত হুটোপুটি,আনন্দ অপার
জলে দিই বুক ঢেলে স্নেহচুম্বন
ওরে বাছা,তোরা যে কেউ ন’স অকিঞ্চন।
ওই যে ভিড়ল তরী ঘাটের কিনারায়
ওঠে ক্রন্দনরোল,কী বা হল গাঁয়?
অশ্রুসিক্ত মুখখানি,এ কোন্ বালিকাবধূ
দিল পাড়ি নব জীবনের ঠিকানায়।
ওই দেখি ধূম্র আকাশ,আগুন কোথা জ্বলে?
কেউ বুঝি শেষ শয্যায়?কতো মানুষ কাঁদে!
প্রিয় বিয়োগের ব্যথা অন্তহীন
সবাই যে বিন্দুসম হইব বিলীন!
জীর্ণ শরীর নষ্ট হয়,নব কলেবর লাগি
আমি শুধু বয়ে যাই,দেখি চক্ষু ভরি।
নূতনের পথে চলেছ আগায়ে,
নূতনের হাত ধরো
চিরদিনকার বন্ধু যে জন
তাঁহারে নিয়ত স্মরো।।
****************************************
আর তাকাবো না
কঙ্কণা সেন
বিষণ্ণতার বিলজলে
ডুব দিয়ে উঠেছি
আর তাকাবো না ফিরে
অতীত,তুমি কবরেই থাকো।
রোজকার চলমান মুহূর্তগুলোকে
দু’মুঠিতে আঁকড়ে
পা বাড়াব অনাগতের দিকে—–
সে পথ হোক না পিচ্ছিল,
ধূলিধূসর রুক্ষ মরু—
কাঁটাবিছানো বা ফুলের।
*****************************
কঙ্কনা সেন পরিচিতি
রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে এম এ। ছোট থেকেই কবিতার প্রতি ভালোবাসা। বিশ্বাস মানবতায়। পেশা-শিক্ষকতা।