কাব্যময়ী
প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
দিগন্ত উন্মুক্ত, উন্মোচিত, যেন স্থিত বনস্পতিরাজি।
সাগর তরঙ্গসম চিন্তন হিল্লোল প্রশান্ত হইল আজি।
সাজিল কুসুমে মন, চিত্রার্পিত, আকিঞ্চিত, নির্বাক,
অর্দ্ধ–হতচেতন হেন, মূর্ত হইল এবে বিমূর্তের ডাক।
যদিবা আসিল, সুপ্ত চেতনাসমষ্টি হইল জাগ্রত,
যথা প্রত্যাখ্যাত, ক্ষতবিক্ষত, প্রেমিকের ব্রত।
অবক্ষেপ প্রকটিত চেতনার সুস্পষ্ট ইঙ্গিতে ।
হউক সঞ্চয়, যথা ললিত নৃত্য, কাব্য তথা সঙ্গীতে
স্পন্দিত, ছন্দিত, বন্দিত আপনার হৃত জাগতিক।
যেন কলকাকলিকূজিত বিহগ সঙ্গীত তাহারই প্রতীক।
তব অজর প্রণয় হৃদয়বিদারী আজি সঞ্চারিগামিনী।
ক্ষণে ক্ষণে প্রলম্বিত তব আবিলতা হে রাজেন্দ্রনন্দিনী।
আজি অন্তরা উপেক্ষিত, দলিত, মথিত, হে বীক্ষিত নারী।
সুদীর্ঘ তিতিক্ষার অবসানে সিঞ্চিল মহা শান্তিবারি
এ হৃদি কন্দরে। আজি সজ্জিত কুসুমিত তাই।
অনন্তের প্রতীক্ষা যবে সমাপিবে, মিলিব তথায়
অন্তিমের সাথে। হস্তবন্ধনে রচিব নব সাজে সজ্জিত
নব সংসার, পুনর্বার। তদনন্তরে তুমি রিক্ত, বিবর্জিত,
রচিবে আপন অন্তরে আপনার প্রিয় কাব্য, আলেখ্যমালা।
তথায় যে সুখ তব, রাজেন্দ্রনন্দিনী, কাব্যময়ী বালা।।
*********************************************
প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচিতিঃ
ফরিদপুর কাউলিপাড়ার শেষ জমিদার নন্দমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বংশের বর্তমান প্রজন্মের প্রতিনিধি প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ও নিবাস ইতিহাস প্রসিদ্ধ মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর শহরে। ১৯৬৫-তে তাঁর জন্ম হয় ভারতীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের পরিবেশে এমন এক পরিবারে, যেখানে ভারতবিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞদের যাতায়াত ছিলো অবারিত। কৈশোরে কবিতা লেখা দিয়ে সাহিত্যানুরাগের হাতেখড়ি। পরবর্তীতে জেলার ইতিহাস নিয়ে গবেষণামূলক কাজে নিজেকে জড়িয়েছেন। বাড়িতে সঙ্গীতাবহে বড় হয়ে ওঠায় সঙ্গীতের প্রতি প্রসেনজিৎ যথেষ্ট অনুরক্ত। ব্যাঙ্ক কর্মচারীর গুরুদায়িত্ব সামলিয়েও তিনি ইতিহাস,সাহিত্য ও সঙ্গীতের প্রতি তাঁর অনুরাগ যে এতোটুকুও নষ্ট হতে দেননি,তার প্রমাণ তাঁর এই কবিতা।
সার্বিক অধীক্ষক।
সুন্দর ভাষায় সাজানো লেখা। পড়ে তৃপ্ত হলাম।
অপূর্ব ভাষার মেলবন্ধন!💐💐💐
চমৎকার ভাষার মেলবন্ধন 👌👌
অপূর্ব লাগলো ❤️👍
মন ছুঁয়ে গেল। মনগ্রাহি,অনবদ্য রচনা।ভাল থাকবেন।