আলোকবৃত্ত
চিন্ময় চক্রবর্তী
আমার একটা অন্ধকার আছে। জানো?
যখন খুব কষ্ট হয়,
তখন যাই। ঐ অন্ধকারে।
মাঝে মাঝে এক ঢোঁক খেয়েও ফেলি।
ওই অন্ধকারটা।
প্রচুর জায়গা আছে ওখানে।
বসার, দাঁড়াবার, এমনকি শোবারও।
এক এক ঢোঁক অন্ধকারে
পেয়ে যাই এক এক রাতের ঘুম।
খুব দামী ঐ ঘুমগুলো।
অনেক দাম দিয়ে কেনা।
আলোর রোশনাই ভাল লাগে না সবসময়।
চোখে বড্ড লাগে।
খানিকটা প্রেম, খানিকটা ব্যথা,
আর অনেকটা না পাওয়া আকাঙ্খা মেশানো
ওই অন্ধকারটা বড্ড প্রিয় আমার।
ওই অন্ধকারে ঘুরে বেড়ায়
আমার সব প্রেমিকারা।
আমাকে ছুঁতে চায়,
পারেনা।
আমি জানি, আমিও আছি ওদের নিজস্ব অন্ধকারে।
সেটাও ওদের একান্তই নিজের।
ভাবি কতগুলো অন্ধকারে আছি আমি?
যারা খুব সযত্নে আগলে রাখে
নিজের নিজের অন্ধকার?
আর কে কে আছে ওই অন্ধকারে?
ওদের অন্ধকার কি আমার অন্ধকারের মত
গাঢ়? কি পোশাক সেখানে আমার?
না কি আমি সেখানে সম্পূর্ণ উলঙ্গ
এক আলোকবৃত্ত?
৫ই জুলাই ২০২০
লেখক পরিচিতি:
এই কেজো ঘর্মাক্ত নৃশংস প্রতিযোগিতার পৃথিবীতে, যেখানে ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার আর স্বার্থান্বেষণ ছেয়ে ফেলেছে সারা পৃথিবীকে,যখন ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছে আদর্শবোধ আর সরল সম্পর্ক গুলো, তেমন একটা পৃথিবীতে কেউ কেউ সব কিছুর থেকে আলাদা হয়ে খুঁজে চলেছে সূর্যালোক, লেখক তাদেরই একজন।
জন্ম ১৯৬৫ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি চন্দননগরে।রসায়নে সাম্মানিকের পর পরিবেশ বিজ্ঞানে স্নাতোকোত্তর। তারপর কর্মসূত্রে নানান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার বুড়ি ছোঁয়া। তার মধ্যে আই আই এম কলকাতা উল্লেখযোগ্য।বর্তমানে পৃথিবীর অন্যতম প্রথম সারির বহুজাতিক সংস্থায় পূ্র্বভারতের বাণিজ্যিক কর্ণধার। পিতা অবসরপ্রাপ্ত সরকারী উচ্চপদস্থ আধিকারিক , মাতা অবসরপ্রাপ্তা শিক্ষিকা। ছোটো ভাই দক্ষিন কোরিয়ায় প্রতিষ্ঠিত একটি সংস্খার প্রধান । ছোটো বোন বিবাহিতা।স্ত্রী সহপাঠিনী, রসায়নে স্নাতোকোত্তর। কন্যা নিউজিল্যান্ডে গবেষণারতা, পুত্র ইঞ্জিনিয়রিং ছাত্র।কবিতা রাজ্যে বিচরণ করা নিজের মনের জানালা খোলা রেখে।ইতিমধ্যেই চারটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত: আমার আকাশ, ভেঙেছে আকাশ,মেঘের ওপারে তারার খোঁজে এবং সাঁঝবেলার আগুনপাখি । ।