প্রলাপ ও ছেঁড়া ছবি
নবনীতা সাঁতরা দে
বেলা শেষ হলে শোকের মতো নেমে আসে সন্ধ্যে
দু একটা মানুষ বেঁচে থাকে যেমন শ্বাস প্রশ্বাস
বাকিটা যুদ্ধের প্রস্তুতি জেগে থাকে প্রাণভিক্ষায়
অবিরত বজ্র কঠিন মুখোশে যেমন বাঁচে ক্যাকটাস।
নির্গত শ্লেষ খুঁজে নেয় পোড়া ছাই ভস্মের বিছানা
মন খুঁড়ে যাই প্রতিরাতে ঘরের কোণে জমা আলোয়
যখন আমি আঁধারে জমিয়ে রাখি পুরোনো মোমদান
কখনও অন্ধকারেরও প্রয়োজন হয় আলোর।।
তখনই মাঝ নদী জুড়ে আলাপচারিতায় বসে স্টিমারেরা
ব্রিজ থেকে দেখা যায় যেন থেমে আছে শুঁয়োপোকা
এপারে নামলে বেলা ফুরোনোর গান গায় এক পাগল
পাগল জানে নদীতেই মিশে থাকে দুপারের যবনিকা।
জ্যোৎস্নায় গলে পড়া চাঁদ ছুঁয়ে দিয়ে যায় ঘর বাড়ি
সে সুযোগে অনেকবার আমিও ছুঁয়ে দেখি চাঁদ
এ যাপনে সুখ নেই দুখ নেই নদী পারে ছলছল ঢেউ
নদী দূরে নিয়ে যায় কাছে আসে সাদা হরিণের ঝাঁক।।
***********************************************
নবনীতা সাঁতরা দে পরিচিতি
রবীন্দ্রভারতী থেকে ভোকাল মিউজিকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। পণ্ডিত বীরেশ রায়ের কাছে তালিম প্রাপ্ত নবনীতার গানবাজনার মতোই সাহিত্যপ্রীতি। গত বেশ কয়েক বছর নবনীতা কবিতা লিখছেন। তার অনেক কবিতাই ছাপা হয়েছে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায়।