কোন ক্ষ্যাপা সে !!
প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।
কবিগুরু লিখেছিলেন,
“আমি নটরাজের চেলা
চিত্তাকাশে দেখছি খেলা,
বাঁধন খোলার শিখছি সাধন
মহাকালের বিপুল নাচে।
দেখছি, ও যার অসীম বিত্ত
সুন্দর তার ত্যাগের নৃত্য,
আপনাকে তার হারিয়ে প্রকাশ
আপনাতে যার আপনি আছে।
যে–নটরাজ নাচের খেলায়
ভিতরকে তার বাইরে ফেলায়,
কবির বাণী অবাক মানি‘
তারি নাচের প্রসাদ যাচে।”
রাত্রি তখন নিশুতি। পুরীর সাগরবেলা জনমানবহীন। কয়েকটি সারমেয় সপরিবারে ভ্রমণ পিপাসুদের ফেলে যাওয়া উচ্ছিষ্ট নিয়ে কাড়াকাড়ি করছে। পরের পর সাগর তরঙ্গ বিকট গর্জন করে ভেঙে পড়ছে বালুকাময় সৈকতে। বিরতিহীন সেই ব্যস্ততা। অষ্টপ্রহর ভীমভৈরবে তান্ডব দেখিয়ে চলেছে সে।জনশূন্য সৈকতে একটা পাগল গোছের লোক দেখি সমুদ্রের দিকে চেয়ে রয়েছে। মুখে অপার প্রশান্তি। কাছে গিয়ে দেখি, মিটিমিটি হাসছে সে। দিনের প্রখর রৌদ্রতাপে দেখেছিলাম তাকে নিরাবরণ। রাত্রে সামুদ্রিক হিমেল হাওয়াতেও তার একই রাজবেশ। অতি উৎসাহে জানতে চাইলাম,
–কি দেখছেন?
বিরক্তিপ্রকাশ করলো সে তার চাহনি দিয়ে। লজ্জিত হলাম একটু। ভাবখানা তার এমন যেন দরবারী গাইছেন পন্ডিত ভীমসেন যোশী। আর আমি এক অপগন্ড কোথা থেকে হাজির হয়ে তার রসাস্বাদনে বিঘ্ন ঘটাচ্ছি। জেদ চেপে গেল। আবার বললাম,
– কি এতো দেখছেন গো ওদিকে চেয়ে?
দেখি তাঁর দৃষ্টিতে এক অদ্ভুত মাদকতা। ফিরে চাইলেন আমার দিকে।
ফিসফিসিয়ে বললেন, নটরাজ।
– আমি বললাম, সে আবার কি? আপনি তাঁর দেখা পেলেন কোথায়?
গভীর দুচোখে এক অপার্থিব আনন্দ তাঁর। ঢেউয়ের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ করে বললেন,
-ওই যে !!
যেন আমি এক অন্ধ এবং বধির। তাঁর অনুভূতি আর আমার অনুভূতি যে এক হতে পারে, এ যেন তাঁর কাছে নিতান্তই অবিশ্বাস্য, এমনই তার দৃষ্টিনিক্ষেপ আমার প্রতি।
মন বললো, ইনি অপ্রকৃতিস্থ নন। গভীর অনুভূতিসম্পন্ন এক প্রাজ্ঞ।
-বললাম, আপনি কে? কোথায় থাকেন? নাম কি?
প্রত্যুত্তরে তাঁর যে চাহনি দেখলাম, প্রচন্ড ধিক্কার এলো নিজের ওপর।
ওঁনার দৃষ্টিপথ অনুসরণ করে চেয়ে রইলাম। সেই একই খেলা, ভাঙাগড়ার খেলা, বিরামহীন, যতিবিহীন ভাবে হয়ে চলেছে। শুধু ঢেউয়ের উচ্চতা আর গর্জন বৃদ্ধি পেয়েছে যেন।
-ওঁনাকে বললাম, আমায় বুঝিয়ে বলুন। আমি শুনতে ইচ্ছুক।
উনি ফিরে চাইলেন। বললেন, আর একটু পরে।
আমি বসে রইলাম অধীর প্রতীক্ষায়। কখন তাঁর সময় হবে। আজ আমি নাছোড়বান্দা। না শুনে, না বুঝে, না পরিচিত হয়ে যাবোনা এখান থেকে।
কেটে গেল অনেকক্ষণ। অবশেষে ফিরলেন আমার দিকে।
–নৃত্যের কত শত ভঙ্গিমা, দেখছোনা চেয়ে? আরে দেখো দেখো। দেখলে বুঝবে, এ তাঁর তান্ডবলীলা। নটরাজ। সাক্ষাৎ নটরাজ। এঁকে অনুভব করতে হ‘লে সারারাত কাটাতে হবে সমুদ্রের সাথে।
বলে চললেন তিনি,
-দেবতাদের দেবতা হলেন শিব৷ শিবের দু‘টি রূপ৷ একটি সমাধিস্থ ধ্যানমগ্ন রূপ৷ অপরটি নৃত্যরত রূপ। যা তান্ডব বা লাস্যরূপ নামেই খ্যাত৷ মায়াসুরের পিঠে তাঁর তাণ্ডবনৃত্যরত রূপই নটরাজ। যিনি মহাকাব্য অনুযায়ী, নৃত্যের প্রবর্তক৷ নটরাজ উদ্ভাবন, খাদ্য সমস্যার সমাধান, বিভ্রান্তি বিনাশন, সংস্কার প্রবর্তন ও তাঁর রক্ষা এবং লয়, এই পাঁচটি কর্মের পৃষ্ঠপোষকতা ও পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। তাঁর নটরাজ রূপ এই পর্যবেক্ষকের কর্মে নিয়তই রত।
মহাদেব–এর তাণ্ডব নৃত্য থেকেই ভারতীয় নৃত্যের জন্মলাভ এবং তাঁর তাণ্ডবনৃত্যের শেষে চৌদ্দবার ডমরুধ্বনি থেকে নাচের বর্ণগুলোর সৃষ্টি। মানুষের চরিত্র সংশোধন এবং উন্নতির জন্য দেবতারা যখন ব্রহ্মার কাছে নতুন বেদ তৈরির আবেদন করেন, ব্রহ্মা তখন চতুর্বেদ থেকে নাট্যবেদ তৈরি করেন এবং এই নাট্যবেদ প্রচারের ভার দেন ভরতমুনিকে। ভরত বলেন নারী ছাড়া কৌশিকী বৃত্তি প্রয়োগ সম্ভব নয়। ব্রহ্মা তখন অপ্সরা তৈরি করলেন। অতঃপর ভরতমুনি গন্ধর্ব এবং অপ্সরা দিয়ে নাট্য, বৃত্ত ও নৃত্যপ্রয়োগ করেন। মহাদেবভক্ত তণ্ডু নিজে ভরতমুনিকে তাণ্ডব নৃত্য শিক্ষা দেন।
আমি হাঁ করে শুনে যেতে থাকি। একটু আগে অব্দি যে লোকটিকে পাগল বলে জানতাম, তাঁর প্রজ্ঞার আঁচে নিজেকে পুড়িয়ে ঋদ্ধ হতে থাকি। উনি বলে চলেন,
-তাণ্ডব নৃত্যের প্রকারগুলি হল– আনন্দতাণ্ডব, সন্ধ্যাতাণ্ডব, কলিকাতান্ডব, ত্রিপুরাতাণ্ডব, গৌরিতাণ্ডব,উমাতাণ্ডব, সংহারতাণ্ডব৷ ভারতীয় নৃত্য পদ্ধতির দুটি ভাগ। তান্ডব ও লাস্য। নৃত্যবিশারদগণের মতানুযায়ী অঙ্গহারের উদ্ধত প্রয়োগই তান্ডব। এরও দুটি রূপ। পেবলি ও বহুরূপ। শুরুর দিকে এই তাণ্ডবনৃত্য নারী–পুরুষ উভয়ই অভ্যাস ও প্রদর্শন করতো। যুগের পরিবর্তনের সাথে তাণ্ডবনৃত্য পুরুষের জন্য এবং লাস্যনৃত্য নারীদের জন্য নির্ধারিত।
লাস্য নৃত্য ভরতকে শিখিয়েছিলেন মাতা পার্বতী স্বয়ং। শিবের কথায় পার্বতী ভরত মুনির সামনে লাস্যনৃত্য পরিবেশন করেন৷ ভরতমুনি নিজেই পুরুষের জন্য তাণ্ডবনৃত্য এবং নারীর জন্য লাস্যনৃত্যের বিধি প্রচলন করেন। লাস্য নৃত্য মার্গ ও দেশী নৃত্যের সংমিশ্রণে সৃষ্ট রসভাবযুক্ত এবং নারীর উপযোগী নৃত্য। এতে অঙ্গহার ও লয় থাকে ললিত এবং গীতের ভাব দ্বারা পুষ্ট। লাস্য নৃত্যের প্রকারগুলি হলো লতা, পিণ্ডী, ভেদাক ও শৃঙ্খল। মূলত হাতগুলি মুক্ত রেখেই লাস্যনৃত্য করা হয়৷
গড়গড় করে কথাগুলি বলে দম নিতেই কটু যেন থামলেন প্রৌঢ়। আমিও চুপ। মুখে কথা সরছেনা আর আমার। চরাচর স্তব্ধ হয়ে রয়েছে, শুধু ঢেউয়ের আওয়াজ ছাড়া। সমুদ্রের যেন ছুটিছাটা নিতে নেই। অবিশ্রান্ত গর্জন সহ আছড়ে পড়ছে তীরে।
হঠাৎই বলে উঠলেন, আমি ফিজিক্স নিয়ে পড়াশুনো করেছিলাম। অধ্যাপনাও করেছি যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন কলেজে। ছিলাম ঘোর নাস্তিকবাদী। এক বন্ধুর উপরোধে “অ্যান অটোবায়োগ্রাফি অফ আ যোগী” পড়ে ভেতরের নাস্তিকবাদী মনটা একটু নাড়া খেয়ে যায়। পড়তে থাকি একে একে আধ্যাত্মবাদ নিয়ে লেখা অজস্র বই। ধীরে ধীরে মন হয়ে ওঠে দ্বিগুণ বলশালী। ধীরতা, স্থিরতা ইত্যাদি শব্দগুলি ছিল আমার জীবনের সাথে একেবারে বেমানান। চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরে আসি। ভারত সরকারের কথায় অন্যরকমের এক সরকারি চাকুরী তে যোগ দিই। এখন সেই কাজেই পুরীতে রয়েছি মাস তিনেক হলো। সামনের মাসেই চলে যাবো আরেক জায়গায়, এই একই কাজ আর একই জীবন নিয়ে। সেদিনের অভিনয়টা হয়তো অন্যরকম হবে। কিন্তু সেখানেও খুঁজে নেব আমার ঈশ্বর কে। দেখুন না, সারাদিন এই একই সমুদ্র পরিবেশন করে লাস্যনৃত্য, আর সারারাত তান্ডবনৃত্যের প্রদর্শন।
কি অদ্ভুত ভবিতব্য দেখুন। পড়েছি ঈশ্বরকণা নিয়ে। পড়ে আছি ঈশ্বর নিয়ে। আপনি বলতে পারেন, কেন পড়ে আছি। আমার উত্তর খুব সহজ। যেখানে ঈশ্বর কে সম্পূর্ণ রূপে পাওয়া যায়, সেখানে তাঁর কণামাত্র নিয়ে কেন র‘বো পড়ে বলতে পারেন?
এই কথা বলে উদাত্ত কন্ঠে আমাদের উপনিষদের ঋষি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা আওড়াতে আওড়াতে তিনি সৈকতরেখা বরাবর হাঁটা দিলেন যখন, তখন সূর্যোদয় দর্শনার্থী পর্যটকের ভিড় জমতে শুরু করেছে। আমি অবাক হয়ে দেখতে লাগলাম ঢেউয়ের সেই ভয়াবহ রূপ ক্রমেই স্তিমিত হয়ে আসছে। তান্ডবনৃত্য ক্রমে পরিণত হচ্ছে লাস্যনৃত্যের। দূর থেকে তখনও ভেসে আসছে তাঁর কন্ঠে-
নৃত্যে তোমার মুক্তির রূপ, নৃত্যে তোমার মায়া,
বিশ্বতনুতে অণুতে অণুতে কাঁপে নৃত্যের ছায়া।
তোমার বিশ্ব–নাচের দোলায় দোলায়
বাঁধন পরায় বাঁধন খোলায়
যুগে যুগে কালে কালে সুরে সুরে তালে তালে,
অন্ত কে তার সন্ধান পায় ভাবিতে লাগায় ধন্দ হে॥
নৃত্যের তালে তালে, নটরাজ,
ঘুচাও ঘুচাও ঘুচাও সকল বন্ধ হে।
সুপ্তি ভাঙাও, চিত্তে জাগাও মুক্ত সুরের ছন্দ হে॥
তোমার চরণপবনপরশে সরস্বতীর মানসসরসে
যুগে যুগে কালে কালে সুরে সুরে তালে তালে
ঢেউ তুলে দাও, মাতিয়ে জাগাও অমলকমলগন্ধে হে॥
নমো নমো নমো—
তোমার নৃত্য অমিত বিত্ত ভরুক চিত্ত মম॥
ফরিদপুর কাউলিপাড়ার শেষ জমিদার নন্দমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বংশের বর্তমান প্রজন্মের প্রতিনিধি প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ও নিবাস ইতিহাস প্রসিদ্ধ মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর শহরে। ১৯৬৫–তে তাঁর জন্ম হয় ভারতীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের পরিবেশে এমন এক পরিবারে, যেখানে ভারতবিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞদের যাতায়াত ছিলো অবারিত। কৈশোরে কবিতা লেখা দিয়ে সাহিত্যানুরাগের হাতেখড়ি। পরবর্তীতে জেলার ইতিহাস নিয়ে গবেষণামূলক কাজে নিজেকে জড়িয়েছেন। বাড়িতে সঙ্গীতাবহে বড় হয়ে ওঠায় সঙ্গীতের প্রতি প্রসেনজিৎ যথেষ্ট অনুরক্ত। ব্যাঙ্ক কর্মচারীর গুরুদায়িত্ব সামলিয়েও তিনি ইতিহাস, সাহিত্য ও সঙ্গীতের প্রতি তাঁর অনুরাগ যে এতোটুকুও নষ্ট হতে দেননি, তার প্রমাণ তাঁর এই প্রবন্ধ।
চমৎকার চমৎকার —নৃত্যানুরাগী বলে বিশেষ প্রাপ্তি হলো আমার ।সংরক্ষণ করে রাখার মতো,এ জ্ঞান রেখে দিলেম সযত্নে তুলে মনের মণিকোঠায়….
গদ্য রচনায় সুদূর ভবিষ্যতে কোনদিন আপনার মতো লেখার ইচ্ছে পোষণ করি। আপনার মন্তব্য প্রাণিত করলো। চেষ্টা করবো এমন মন্তব্যের মর্যাদা রক্ষা করার।
প্রকৃত জ্ঞানীর গুণীর বিনয় ভূষণ… আবার প্রমাণ পেলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ আর অশেষ শুভেচ্ছা…
ঈশ্বর কণা নিয়ে পড়েছি, আর ঈশ্বর নিয়ে পড়ে আছি। খু-উ-ব সুন্দর লাগলো, নতুন রূপে দেখলাম।
গদ্য রচনায় সুদূর ভবিষ্যতে কোনদিন আপনার মতো লেখার ইচ্ছে পোষণ করি। আপনার মন্তব্য প্রাণিত করলো। চেষ্টা করবো এমন মন্তব্যের মর্যাদা রক্ষা করার।
Asadharon laglo.emon shrishti aro asuk amader ghor bondi jibon e kichuta mukti r swad ei rochona, thanks all.
খুব ভালো লাগলো। অনুপ্রেরণা পেতে চাই এভাবেই।
এ লেখা নিয়ে কিছু বলার যোগ্যতা বা ভাষার ওপর দখল আমার নেই! বাংলা সাহিত্যের আনাচ কানাচ থেকে উঁকি ঝুঁকি মেরেছি, তার অন্দরমহলে ঢোকার সুযোগ হয়নি। তাও, অনেক দেরিতে হ’লেও, দু’কথা না লিখে পারছি না।
… কি বলবো একে? গল্প, প্রবন্ধ, না কি গল্পচ্ছলে প্রবন্ধ (অমনোযোগী পাঠককে পড়াবার জন্য — যেমন দুষ্টুছেলেকে ফাঁকি দিয়ে শটকে শেখানো হত!) ? মোহাবিষ্ট হয়ে ভাবছিলাম লেখকের সুক্ষ্ণ অনুভূতির কথা, তাঁর মনকে ঈগল পাখির মত অনায়াস সাবলীলতায় কল্পনার আকাশে উড়িয়ে দেবার দক্ষতার কথা!.. প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ বাঙ্গালী পুরীর সমুদ্রের রূপ নিজেদের মত করে আস্বাদন করেন। আমিও দেশে-বিদেশে অনেক সমুদ্রসৈকতে আর বেলাভূমিতে দিনে রাতে অনেক সময় কাটিয়েছি। এক বহু পুরোন, ঝড়ঝড়ে জাহাজে কালাপানিতে ৬রাত্রি কাটিয়ে আন্দামান গেছি। দেশি-বিদেশি সাহিত্যে সমুদ্রের ভয়াল রূপের বর্ননাও যে একটু আধটু পড়িনি, এমন নয়। কিন্তু সমুদ্রের দ্বৈত রূপকে তান্ডব আর লাস্য নৃত্যের সঙ্গে তুলনা করার কথা আর তো কারুর কল্পনায় এসেছে বলে মনে হয় না !! এমন কি স্বয়ং কবিগুরুও তাঁর সমুদ্রের ওপরে লেখা গুটিদুয়েক কবিতায়ও ( দুটিই, প্রসঙ্গত, পুরীর সমুদ্র নিয়ে লেখা) সমুদ্রের রূপের এই দিকটি প্রকাশ করেন নি! আর, তথাকথিত সেই ক্ষ্যাপার মুখ দিয়ে লেখক যে ভাবে নৃত্যের পৌরাণিক ইতিকথা আর তার বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেছেন, তার প্রশংসার যথাযোগ্য ভাষা আমার জানা নেই।… সব মিলিয়ে এ এক অসাধারণ, অনবদ্য লেখা ! লেখক, বিশ্বজিৎ বাবুকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন !! “কুলায় ফেরা” তে তাঁর থেকে এ’রকম আরও লেখা পাওয়ার আশায় রইলাম।
গল্পের মতো কিন্তু গল্প নয়।ঈশ্বর উপলব্ধি, নাচ,
গান,রবীন্দ্রনাথ, সব একাকারহয়ে অল্প কথায় ধরা দিয়েছে আপনার লেখায়।
এ আমার অনেক বড় প্রাপ্তি বন্ধু।
নৃত্যভাব আর জীবনের ভাবাদর্শের মিলে মিশে একাকার হয়ে যাওয়া ~ সমুদ্র তটেই সম্ভব। বিষয় স্বাতন্ত্রের নিরিখে খুবই ভালো লেগেছে।
অনুপ্রাণিত হলাম আপনার মন্তব্যে। এ আমার বড় প্রাপ্তি।
” কুলায় ফেরা” যেদিন প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল, বেশির ভাগ লেখা এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু এতদিন মন্তব্য লেখার সময় বা সুযোগ পাই নি!
আজ তাড়াহুড়ায় লিখতে গিয়ে সুলেখক শ্রী প্রসেনজিৎ- এর নামটি লিখে ফেলেছি “বিশ্বজিৎ” 😒😒 ! লেখকের কাছে আমি দুঃখিত, লজ্জিত ও আন্তরিক ভাবে মার্জনাপ্রার্থী 🙏🙏🙏🙏
গদ্য রচনায় সুদূর ভবিষ্যতে কোনদিন আপনার মতো লেখার ইচ্ছে পোষণ করি। আপনার মন্তব্য প্রাণিত করলো। চেষ্টা করবো এমন মন্তব্যের মর্যাদা রক্ষা করার।