আঠাশে সেপ্টেম্বর
প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
শুভ যখন স্টেশনে পৌঁছলো, তখন আটটা তিরিশের ট্রেনটা ঢুকছে। এই ট্রেনটা ধরলে মেদিনীপুরে সাড়ে নটার মধ্যে নেমে যাওয়া যায়। নটা চল্লিশের বাসটা ধরতে সুবিধে হয়। অফিসে পৌঁছতে খুব বেশী দেরী হলেও দশটা কুড়ি। কিন্তু পরের ট্রেনে গেলেই সাহেবের সুমধুর বাণী শুনে তবেই টেবিলে বসতে পাবে। ট্রেনটা বেরিয়ে যেতে দেখে শুভ-র মুখটা ভার হয়ে গেল। আজ আবার সাহেবের সুরেলা বচন হজম করতে হবে। কিন্তু আজ সে নিরুপায় হয়েই ট্রেনটা ছেড়ে দিলো। মান্থলিটা কালই দেহ রেখেছে। টিকিট চেকার প্রতিটি নিত্যযাত্রীকে বিলক্ষণ চেনেন। তিনি টিকিট দেখতে চাইবেনও না। তবু, নিজের কাছে ছোটো হওয়ার পক্ষপাতী নয় শুভ। চোরের মতো বিনাটিকিটের যাত্রী হয়ে ট্রেনে যাওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়। পরের ট্রেন দশমিনিটের মধ্যেই। এদিকে লাইনে এখনো জনা দশেক দাঁড়িয়ে। পেছন থেকে একজন চেঁচিয়ে উঠলো, “ও টিকিট দাদা, আপনার একটা সেলফি দেবেন প্লীজ। ফেসবুকে পোস্ট করবো। এতো তাড়াতাড়ি টিকিট দিতে আর দেখিনি তো কাউকে, তাই!” সকলে মিচকি মিচকি হাসছে। শুভ লাইন ছেড়ে এগিয়ে গিয়ে কাউন্টারে দাঁড়িয়ে বললো, “দাদা, দয়া করে একটু তাড়াতাড়ি করুন। নইলে অফিস মিস হয়ে যাবে”। কে শোনে কার কথা। কাউন্টারের সেই লোক ভাবলেশহীন। কপাল জোরে শুভ ট্রেনটা পেয়ে গেলো।
মেদিনীপুরে নেমে বাসে চেপে দেখলো একটাও জায়গা নেই। এক ভদ্রমহিলার পাশের সীটে একটি ব্যাগ রাখা। সেখানে গিয়ে দাঁড়িয়ে শুভ বললো, দিদি, কেউ আছেন ওখানে? ভদ্রমহিলা স্মিত হেসে ব্যাগটা সরিয়ে নিলে শুভ বসলো। পঁয়ত্রিশ মিনিটের জার্নি। ভদ্রমহিলা জানলার দিকে একটু সরে বসে বললেন, “আপনি সহজ হয়ে বসুন”। শুভ একটু নড়েচড়ে একগাল হেসে বললো, “ঠিক আছে দিদি। আপনি কতোদূর যাবেন”? “কেশপুর”, বললেন মহিলা। কথায় কথায় জানা গেল উনি কেশপুর গার্লস স্কুলের বাংলার শিক্ষিকা। বয়সে শুভর থেকে কম করে বছর পনেরোর বড়ই হবেন। শুভ নামার সময় মহিলা বললেন, “আবার দেখা হবে”। সারাদিনের কাজের মাঝে শুভ ভুলেই গেলো বাসের আলাপচারিতার কথা।
দিন যায়, আবার নতুন দিন আসে। শুভর দৈনন্দিনতা চলতেই থাকে। মাস কয়েক পরে একদিন, শুভর মায়ের জ্বর। সকালবেলা উঠে মায়ের শরীর খারাপ দেখে শুভ বাজার করে ফেরার সময় পাড়ার ফার্মেসিতে বলে মায়ের জন্য ওষুধ নিয়ে এলো। মায়ের রান্না করে রেখে, নিজে দুটো খেয়ে বেরোতে বেরোতে একটু দেরী হয়ে গেল। হাঁপাতে হাঁপাতে স্টেশনে এসে দেখলো পরের ট্রেন ঢুকছে। মেদিনীপুরে নেমে বাসে উঠে এদিক ওদিক তাকাতেই সেই ভদ্রমহিলা ইশারায় ডেকে পাশে বসিয়ে নিলেন। এতোদিন পরে দেখা, তাও আগে মাত্র একদিনের দেখা, শুভ অবাকই হলো মহিলার বদান্যতায়। পাশে বসে শুভ বললে, “অনেক ধন্যবাদ দিদি”। মহিলা একটু হেসে বললেন, “রোজই ভাবি, আজ আপনি আসবেন। কিন্তু অন্য কাউকে জায়গাটা ছেড়ে দিতে হয়”। শুভ মনে মনে ভাবে, আমার প্রতীক্ষায়! কি কারনে রে বাবা! যথারীতি অফিসে নেমে গেলো শুভ। আজ অবশ্য সৌজন্যের খাতিরে বললে “দিদি, আসি”। মহিলা ইশারায় বাসের জানলায় ডেকে একটা চিরকুট হাতে দিলেন। শুভ মন্ত্রমুগ্ধের মতো হাত বাড়িয়ে নিয়ে নিল।
বাড়ী ফিরেও শুভর মাথা থেকে মহিলার বিষয়টা যাচ্ছেনা। চিরকুটে লেখা ছিল, লতিকা তালুকদার, ৮১৬০২৫৯৩৫৪। মায়ের ওষুধ নিতে বেরিয়ে ভাবলো একবার ফোন করে। কিন্তু মন সায় দিচ্ছেনা। ভদ্রমহিলার শাঁখা-সিঁদুর নেই। অবিবাহিতা মহিলা, নাম বা ফোন নম্বর দেওয়ার কারন সহজবোধ্য। কিন্তু, এতো বয়োজ্যেষ্ঠা একজন ভদ্রমহিলা, শুভর কি করা উচিৎ, নিজেই বুঝতে পারছেনা। পরদিন সাড়ে আটটার ট্রেনে মেদিনীপুরে নেমে বাসে উঠে দেখে সেই মহিলা আজ এই বাসে। শুভকে ডেকে নিয়ে বললেন, “আপনার জন্যই এই বাস ধরা শুরু করলাম আজ থেকে। বসুন এখানে”, বলে ব্যাগ সরিয়ে জায়গা ছেড়ে দিলেন শুভকে। শুভ যেন একটা ঘোরের মধ্যে রয়েছে। পাশে বসে প্রতিদিনের মতো মোবাইলটা পকেট থেকে হাতে নিয়ে মা কে ফোন করে বললো, “মা, সাড়ে আটটার ট্রেন পেয়ে গেছি”। ব্যস, এটুকুই। ফোনটা হাতে ধরে বাইরের দিকে তাকাতেই মহিলা বললেন, “ফোন করলেন না তো”? শুভ বললো, “হ্যাঁ, করা হয়নি। কি জন্য কথা বলতে চেয়েছিলেন, বলুন না! এখনো আমার স্টপেজ আসতে আধঘন্টা, বলুন”। ভদ্রমহিলা বললেন, “আপনাকে আমার খুব ভালো লেগেছে। একদিন আমার বাড়ী আসুন না, ভালো লাগবে আমার”। শুভ বলে ফেললো, “যাবো একদিন”। সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে দেখলো মা আজ বেশ ভালো আছেন। নিজেই উঠে চা করেছেন। শুভ মুখ গোমড়া করে বললো, “মা, আমার করা চা বুঝি ভালো লাগছেনা তোমার”! মা হেসে বললেন, “ধুর পাগল। আজ ভালো আছি, তাই করলাম। রোজ সারাদিনের ধকলের পর ঘরে ফিরে তুই নিজেই চা করিস, মন খারাপ করে আমার”। শুভ হেসে বললে, “তুমি সুস্থ থাকো মা, তাহলেই আমি সুখী”।
সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফিরে চা খেয়ে একটু বাইরে না বেরোলে শুভর ভাত হজম হয়না। বাইরে গিয়ে আজ ঠিক করলো লতিকা দেবীকে ফোন করবে। ফোন ধরে ওপার থেকে মহিলা বললেন, “কে বলছেন”? শুভ বললে, “আমরা বাসে…”, বলতেই ভদ্রমহিলা হেসে বললেন, “শুভবাবু! এটা আপনার নাম্বার তো? আমি সেভ করে নিচ্ছি”। খানিক এটা সেটা বলার পরে শুভ জানতে চাইলে পরিবারে আর কে কে আছে। উনি বললেন, “আমি একা গো। তাই তো চাই যে আপনি একদিন আসুন আমার ঘরে। আমি খুব খুশী হবো”। শুভ বললে, “কোথায় আপনার বাড়ী”? “শ্যামচক”, মহিলা বললেন। শুভ বললে, “নিশ্চয়ই যাবো একদিন”। মুহুর্তের নীরবতা, তার পরই মহিলা বললেন, “২৮-শে সেপ্টেম্বর আসবেন”? শুভ বললে, “সেদিন কি বিশেষ কিছু”? “সেদিন আপনারও ছুটি, আমারও ছুটি। সেদিন আপনাকে আমি নিজে রেঁধে খাওয়াবো”। শুভ বললে, “ সেদিন কি মা ছাড়বেন? আমার সেদিন জন্মদিন”। ফোনের ওপ্রান্তে অদ্ভুত নীরবতা। লতিকাদেবী যেন থমকে গেলেন। তারপরেই বললেন, “তাতে কি? দিনের বেলা মায়ের কাছে খাবেন। রাত্রে আমার কাছে চলে আসুন”। শুভ বললো, “কাল বাসে আপনাকে জানিয়ে দেবো”। বাড়ী ফিরে মায়ের সাথে খেতে বসে মহিলার কথা তুললো শুভ। মা শুনে বললেন, “সেই দিনেই খাওয়ানো লাগলো ওনার? বেশ, তাহলে দিনেই সব ব্যবস্থা করতে হবে আমাকে”। পরদিন শুভ মহিলাকে জানিয়ে দিল যে সে যাবে সেদিন রাতে।
২৮-শে রাতে লতিকা দেবীর বাড়ী খুঁজে পেতে খুব অসুবিধে হয়নি। স্টেশন থেকে লতিকাদেবী কে ফোন করে ঠিকঠাক পৌঁছে গেল শুভ। ঢুকে সে হতবাক। ভদ্রমহিলা সারাবাড়ী বেলুন দিয়ে সাজিয়েছেন। সেন্টার টেবিলে মোমবাতিতে ২৪ লেখা কেক। শুভ অবাক হয়ে ভাবতে থাকলো, “উনি আমার বয়স জানলেন কিভাবে”! অতঃপর মহিলা শুভকে পরম সমাদরে হাত ধরে টেবিলে নিয়ে গেলেন। বললেন, “দেখুন তো, নামের বানানটা ঠিক হয়েছে তো”? শুভ হেসে মাথা নাড়লো। মহিলা খুব খুশী। শুভ বললে, “এই এতো আয়োজন, বেলুন লাগানো, সব আপনি করলেন”? মহিলা হাসলেন। মুখে কিছু বললেন না। কেক কাটার চাকুটা এগিয়ে দিলেন শুভর দিকে। শুভ চাকু চালাতেই মহিলা শিশুর মতো উচ্ছ্বল হয়ে তালি দিয়ে গেয়ে উঠলেন “হ্যাপি বার্থডে টু শুভ”। শুভ মহিলার দিকে ঈষৎ অস্বস্তির সাথে কেকের টুকরোটা এগিয়ে দিতেই মহিলা সেটা নিজের হাতে নিয়ে খানিকটা শুভকে খাইয়ে দিয়ে বাকীটুকু নিজের মুখে দিলেন পরম তৃপ্তিতে। তারপর হাত ধুয়ে সোফায় বসতেই মহিলা একটা প্যাকেট হাতে দিয়ে বললেন, “আন্দাজে নিলাম। মাপে হবে কিনা দেখে নিন। নইলে কাল পাল্টিয়ে আনবো”। শুভ দেখলো তারই সাইজের এনেছেন টিশার্টটা। রংটাও খুব সুন্দর। খুব মানাবে তাকে। ভদ্রমহিলা বললেন, “একটা কথা রাখবেন? আমায় এখনই ওটা গায়ে দিয়ে দেখাবেন”? শুভ ইতস্তত করছে বুঝে মহিলা তাকে চেঞ্জরুমের দিকে এগিয়ে দিলেন। টিশার্ট গায়ে চাপিয়ে বেরিয়ে এসে শুভ দেখে, মহিলা খাওয়ার টেবিলে একের পর এক পদ এনে সাজাচ্ছেন। শুভকে দেখে তিনি খুশীতে উচ্ছ্বসিত হয়ে হেসে উঠলেন। বললেন, “আপনার ট্রেন ধরার আছে। তাই, রাত্রি না করাই ভালো। আপনি আপনার সময়মতো বলবেন। আমি সাজিয়েই রাখলাম”। শুভ বললো, “তাহলে দিয়েই দিন। অনেকটা পথ তো”! খাওয়ার পর শুভ বললো, “আচ্ছা দিদি, এতো নিত্যযাত্রী থাকতে আমায় এতোটা………!! হয়তো কথাটা আপনার আন্তরিকতার পাশে বড়ই কর্কশ শোনালো, কিন্তু আমি কিছুই ঠিক বুঝতে পারছিনা”। ভদ্রমহিলার মুখে সেই একইরকম হাসি। বিরক্তি নেই, রাগ নেই, ক্ষোভ নেই, ধীর স্থির, অচঞ্চলা তিনি। শুভ বেরোনোর উদ্যোগ করতে মহিলা এগিয়ে এসে হাত চেপে ধরলেন। একটা রজনীগন্ধার মালা এনে তার হাতে দিলেন। শুভ নির্বাক হয়ে মালাটা ধরে বললো, “এটা আবার কেনো”? মহিলা তাকে ঘরের অন্য প্রান্তের দেওয়ালের দিকে আকর্ষণ করলেন। শুভ এগিয়ে গিয়ে দেখলো দেওয়ালে একটা ছবি। এক ভদ্রলোক ও সাথে বছর কুড়ির এক যুবক। সে বললো, “এনারা আপনার কে”? লতিকাদেবী স্মিত হেসে বললেন, “প্রতিবছর এইদিনে ওদের মালা দিই। উনি আমার স্বামী আর সাথে আমাদের একমাত্র সন্তান শুভ। পাঁচবছর আগে বাইক অ্যাক্সিডেন্টে ওরা দুজন………। আজ ছিল ওর জন্মতারিখ”। ক্ষণিকের স্তব্ধতা যেন অনন্তকাল বলে মনে হতে লাগলো শুভর। হতবাক হয়ে সে জিজ্ঞাসা করলো, “আমি কেনো”? উনি ফিরে তাকালেন শুভর দিকে। বললেন, “আর আপনি বলা উচিৎ নয় আমার। তুমি বলছি, কিছু মনে করোনা বাবা। আসলে প্রথম দিনেই তোমার ডায়েরিতে দেখেছিলাম তোমার নাম শুভ ভট্টাচার্য্য। তাছাড়া তোমার শালীনতা, ভদ্রতা আমায় আকৃষ্ট করেছিল। তাই সিদ্ধান্ত নিই, এবারে শুভ-র জন্মদিনে তোমায় বলবো। তোমার মাঝে আমি আমার সন্তান শুভকে দেখেছিলাম। তাই অপেক্ষা করতাম রোজ। শেষে বাস বদল করে আধঘন্টা আগে স্কুলে যাওয়া শুরু করলাম স্রেফ তোমায় দেখার, তোমার সাথে একটু কথা বলার তাগিদে”। “আর, আমার বয়স জানলেন কিভাবে?” জিজ্ঞাসা করলো শুভ। একগাল হেসে লতিকা দেবী বললেন, “সেদিন, কন্ডাকটর কে টাকা দেওয়ার সময় তোমার আই কার্ডটা পার্স থেকে আমার কোলে এসে পড়ে। তখনই……”। খানিকক্ষণ মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে থেকে অস্ফুটে শুভ বললো, “আমি এবার আসি”? “আবার এসো”, বললেন লতিকা দেবী।
পথে বেরিয়ে রিক্সায় বসে শুভর মনে হলো অন্ধকার রাত্রির একটা গন্ধ আছে। চাঁদডোবা আকাশের একটা শব্দ আছে। তার মনে হলো সে শুভ নয়। সে যেন অন্য কেউ। অপার্থিবতায় ভাসমান এক অজেয় আত্মা, যে নিজের অস্তিত্ব সম্পর্কেই আজ অস্থিরচিত্ত। যে আকাশের শব্দে সুর খুঁজে পায়। যে নিশুতি অন্ধকারের গন্ধ অনুভব করে। বাতাসে ভর দিয়ে যেন সে ভেসে চলেছে কোন অজানার আকর্ষণে। দূরে কোথা থেকে বাঁশীর আওয়াজ শুনতে পায় যেন সে। অন্তরাত্মা ডুকরে ওঠে সেই সুরে। চোখ ফেটে জল বেরিয়ে আসতে চায়। নিজের অজান্তেই অপার্থিব আর্তনাদে সে চেঁচিয়ে কিছু বলতে চায়, কিন্তু কোনো আওয়াজ বেরোয়না গলা দিয়ে। দূর বহুদূর থেকে কে যেন বলে ওঠে, “বাবুজী উতারিয়ে। আখড়ি টিরেন ছুট যানেওয়ালা হ্যায়”।
*************************************************
প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচিতি
ফরিদপুর কাউলিপাড়ার শেষ জমিদার নন্দমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বংশের বর্তমান প্রজন্মের প্রতিনিধি প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ও নিবাস ইতিহাস প্রসিদ্ধ মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর শহরে। ১৯৬৫-তে তাঁর জন্ম হয় ভারতীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের পরিবেশে এমন এক পরিবারে, যেখানে ভারতবিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞদের যাতায়াত ছিলো অবারিত। কৈশোরে কবিতা লেখা দিয়ে সাহিত্যানুরাগের হাতেখড়ি। পরবর্তীতে জেলার ইতিহাস নিয়ে গবেষণামূলক কাজে নিজেকে জড়িয়েছেন। বাড়িতে সঙ্গীতাবহে বড় হয়ে ওঠায় সঙ্গীতের প্রতি প্রসেনজিৎ যথেষ্ট অনুরক্ত। ব্যাঙ্ক কর্মচারীর গুরুদায়িত্ব সামলিয়েও তিনি ইতিহাস, সাহিত্য ও সঙ্গীতের প্রতি তাঁর অনুরাগ যে এতোটুকুও নষ্ট হতে দেননি, তার প্রমাণ তাঁর এই প্রবন্ধ।
অসাধারণ. ভাষাহীন.
ভালো লাগলো, সহজ,সরল,সোজাসাপটা প্রবাহিত গল্পের কথন ভঙ্গিমা।
আপনারা পড়ছেন আমাদের পত্রিক, এ আমাদের অনেক বড় প্রাপ্তি।
সন্তান মাতৃগর্ভে দশ মাসের জন্য,আর মাতৃহৃদয়ে আমৃত্যু।তাই তিনি ধাত্রী।
অসাধারণ!
খুব খুশি হলাম বাবুদাদা। এভাবেই প্রাণিত হতে চাই। কুলায় ফেরা-র সাথে থেকো। এটাই চাওয়া।
খুব ভালো লাগলো আমার।
এভাবেই কুলায় ফেরা-র সাথে থাকিস রে। খুব খুশি হলাম।
অপূর্ব লাগলো এই সম্পর্ক!
আরও অনেক ভালো ভালো লেখা আছে। পড়িস, ভালো লাগবে।
Khub valo
Darun
আপনারা ভালো বললে লিখতে সাহস পাই। অনেক অনেক ভালোলাগা।
গল্প টি পড়ে এক অদ্ভুত নীরবতা কিছু ক্ষণ মনটাকে আচ্ছন্ন করে রাখে। শেষের অপেক্ষায় থেকে ,যখন সেই ক্ষণে পৌঁছলাম, ভেতরটা কেমন মুচড়ে উঠলো এক অব্যক্ত কষ্টে।
অত্যন্ত সাবলীল , সাধারণ ভাষায় লেখা এই গল্প টি ভীষণ মনের কাছের হয়ে উঠেছে। অজস্র শুভকামনা, আগামী তে আরও এ ধরনের লেখনীর অপেক্ষায় রইলাম।
খুব খুশি হলাম দিদি। তোমাদের মন্তব্য প্রাণিত করে।
অসাধারণ । মন ছুঁয়ে গেল । একটা রেশ সারা মনটাকে জড়িয়ে রয়েছে । আগামীর জন্য র আল অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
অনুপ্রাণিত হলাম দিদি। অনেক ভালো ভালো লেখা আছেএখান। পড়বেন দিদি।
Khub sundor laglo,darun!!!
অনেক অনেক ভালোলাগা বন্ধু।
বেশ ভালো লাগলো। সহজেই যেন কতো কথা বলে গেলেন।
খুব ভালো লাগলো আমার।
গল্পের ছন্দ ও ভাষা বড়ো মনোমুগ্ধকর 👌
অফুরন্ত শুভেচ্ছা রইলো দেবী ঠ্যাঙাড়ে। কিন্তু আপনার লেখা গল্প পাচ্ছি না কেন?
ভীষণ সুন্দর!
ভীষণ সুন্দর!
ভীষণ সুন্দর!
অনবদ্য!!
গল্পটা পড়িয়ে নিল।খুব ভালো লাগলো।
খুব ভালো লাগলো গল্পটা। খুব সহজ,সরল অথচ খুব চেনা যেন চরিত্র গুলো। আরও সুন্দর গল্পের অপেক্ষায় থাকলাম।