মান
জলি চক্রবর্তী শীল
আল্লাহ মেহেরবান!! মনে মনে আল্লাহকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানায় ফরিদা| এবারটায় তার ছেলে হয়েছে| ওয়াকিব হালদারের বংশে প্রদীপ এসেছে। সাত মেয়ের কোলে ছেলে। ফরিদার মনেও আহ্লাদ। কাল হাসপাতাল থেকে ছুটি পাবে সে। তারপর সে‚ওয়কিব হালদারের গর্বিত বউ ছেলে কোলে বাড়ি ফিরবে সেই পাড়া দিয়ে যে পাড়ায় সবাই বলত তাকে অপয়া। এই বউয়ের কোল থেকে কোনদিনই ছেলে জন্মাবে না। শুধু কি পাড়া প্রতিবেশী‚ ওয়াকিবের মা কি কম তানা দিয়েছে। আর ওয়াকিব‚ সেও তো ছেড়ে কথা বলেনি। আল্লাহর দোরে মান্নত মেনেছে ফরিদা কত বার। মাদুরের মত নিজেকে বিছিয়ে দিয়েছে ওয়াকিবের শরীরের তলায় একটা ছেলের আশায়। অবশেষে আল্লাহ দয়া করেছেন। ফরিদার চোখ দিয়ে জল চুঁইয়ে নামে।
এটা ফরিদার দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম বিয়ে মাত্র এগারো বছর বয়সে। বিয়ে কি তা জানার আগেই ফরিদার বিয়ে হয়ে যায় সুলতান আহমেদের সাথে। ফরিদা তখন সবে গ্রামের স্কুলে পড়াশোনা করছে। একদিন লেখাপড়া করে তাকে অনেক বড় হতে হবে সেই ইচ্ছায় নিমেষেই দাঁড়ি পড়ে যায়। দাদা তখন স্কুলে পড়ছে। দাদাকে ঘিরে আব্বু আর মায়ের কত উচ্চাশা। একদিন দাদা তাদের সংসারে ঈদের চাঁদের আলো আনবে‚ সেদিন কোন অভাব থাকবে না। ফরিদা ভাবত একা দাদাই কেন ঈদের চাঁদের আলো আনবে‚ সেও তো আছে। সেও তো ভালো ছাত্রী হতে পারে। কিন্তু আব্বু বা মা তো কোনদিন সেই আশা তার ওপর করেনি। মা বলত, ‘পরের ঘরের আমানত মেয়েরা। তাদের ওপর আবার আশা কি?’
বাংলাদেশ থেকে বর্ডার পেরিয়ে ভারতে চলে এসেছিল ফরিদার মা-বাবা কাজের খোঁজে। বাড়ি বাড়ি কাচা ধোয়া, জঙ্গল পরিস্কার এসবের কাজ করত। এখানে জন্ম ফরিদার। তারপর আরও তিন ভাইবোন জন্মায় এই ভারতেই। এগারো বছর বয়সে বাংলাদেশে নিয়ে গিয়ে বিয়ে দিয়ে দেয় ফরিদার। শুরু হয় ফরিদার জীবনের যন্ত্রণাময় অধ্যায়। সুলতানের আম্মু উঠতে বসতে খোঁটা দিত ফরিদাকে। গরীবের মেয়ে সে, তা জেনেই তো বিয়ে দিয়েছিল সুলতানের মা। তবু এটা ওটা কত কিছু চেয়ে পাঠাত তাকে দিয়ে। মা তখন কখনও ইন্ডিয়াতে তো কখনও বাংলাদেশে। দিদি আর দুলাভাই ঢাকাতে। মা দেশে থাকলে মায়ের কাছেই চাইত, না হলে দিদি আর দুলাভাইয়ের কাছে। সেইসব দিয়েও পার পায়নি ফরিদা। প্রায়দিন খেতে দিত না, মারত। মেয়েটা যখন পেটে এলো। ফরিদা চায়নি সুলতানের সন্তানকে জন্ম দিতে। সুলতান ছিল একটা নোংরা জানোয়ার। এগারো বছরের একটা ফুলকে সে থেঁতলে দিয়েছিল তার চাহিদার যূপকাষ্ঠে। তবু কি জান মেয়েটার, বিষ হজম করে জন্ম নিল। নিজের নাড়িকাটা সন্তান। তবু তাকে ভালোবাসতে পারত না ফরিদা। তারপর তো সেই চরম দিন এল। যেদিন সুলতানের মায়ের মুখের ওপর কথা বলেছিল বলে তাকে মেরে মুখ ফাটিয়ে কুয়োতলার কাছে একটা গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছিল। মরেই যেতে চেয়েছিল ফরিদা। এইভাবে বাঁচার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো। ভাগ্যিস মা সেইসময় গ্রামে ছিল। লোকমুখে খবর পেয়ে মৃতপ্রায় ফরিদাকে বাড়ি নিয়ে এসেছিল। আর যেতে দেয়নি। তারপর তালাক হল|
ফরিদা যেন বেঁচে গেল। মায়ের সাথে ভারতে চলে এসে বাড়ি বাড়ি কাজ করতে শুরু করল। হাড় জিরজিরে ফরিদার গায়ে-গতরে মাংসও লাগল| বেশি বয়সেই স্কুলে ভর্তি হল। পড়তে শুরু করল। মেধাবী সে নয়, কিন্তু পড়তে, স্কুল যেতে ভারী ভালো লাগত। বছর বছর টায় টায় পাশ করে সে ক্লাসে উঠে যেত। মাধ্যমিক দেবে সে। লোকের বাড়ি কাজ ছেড়ে দিল। মন দিয়ে না পড়লে পাশটা করবে কি করে? কিন্তু কপাল! সেইসময় ওয়াকিব এসেছিল তাদের বাড়িতে। ওয়াকিবের সাথে আলাপ ছিল ফরিদার ভাইয়ের। ফরিদাকে দেখে ঝুলে পড়ল ওয়াকিব। ফরিদারও মন্দ লাগেনি ওয়াকিবকে। কিন্তু পরীক্ষাটা হয়ে যাক তারপর না হয় বিয়েটা হবে। না ওয়াকিব অপেক্ষা করতে চায়নি, বাধও সাধেনি। বলেছিল ‘বিয়ের পরও তো পড়া যায়।’ ওয়াকিবের এটা দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথমবার যাকে বিয়ে করেছিল সে পরে অন্য কারও সাথে পালিয়ে যায়। আগের পক্ষের দুই মেয়ে ওয়াকিবের আব্বা-আম্মার সাথেই থাকে। অতএব সবার সন্মতিতেই বিয়েটা হয়ে যায়।
ফরিদার জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হয়। মাধ্যমিকের দুমাস আগেই সে বুঝতে পারে সে সন্তানসম্ভবা। কিন্তু এইসময় সে সন্তান চায়নি। তাই খসিয়ে দেয়। ওয়াকিব ব্যাপারটা ভালোভাবে নেয়নি। ফরিদাও বোঝাতে পারেনি পরীক্ষাটা কতটা জরুরী। পাশ অবশ্য সে করে যায়। কিন্তু অদ্ভুতভাবে ওয়াকিবের ধারনা হয় মেয়ে হবে বুঝতে পেরেই বাচ্চাটা খসিয়ে দেয় ফরিদা। পরপর পাঁচটা মেয়ে সেই ধারনা আরও পোক্ত করে দেয়। লেখাপড়া ছেড়ে দেয় ফরিদা। সংসারের জোয়ালে নিজেকে জুতে নেয়। ওয়াকিবের আম্মা-বোনেরা কোন কাজ করত না। সব কাজ ফরিদাই করত। সারাদিন হাড়ভাঙ্গা খাটুনি আর রাতে ওয়াকিবের মনোরঞ্জন। মান বলে সংসারে কিছু ছিল না। তায় পরপর পাঁচটি মেয়ের জন্ম দিয়েছে সে। মান কি আর মেয়ের জন্ম দিলে পাওয়া যায় সংসারে। আগের পক্ষ ধরে সাকুল্যে সাতটি মেয়ের পরে কোলে এলো এই ছেলে। এবার নিশ্চয় সংসারে মান হবে ফরিদার|
‘ফরিদা বেটি কিছু খেয়ে নাও| ছেলে বিয়োলে মা, খিদে লাগে বেশি বেশি|’ ওয়াকিবের আম্মু এক থালা ভাত, মাছ, তরকারি বেড়ে ঘরে এনে দেয় ফরিদাকে| ফরিদা অবাক হয় না, খুশিও না| ছেলে বিয়োলে খিদে লাগে বেশি আর মেয়ে বিয়োলে লাগে না! মনে মনে ভাবে সে, গত পাঁচবার খিদের চোটে সে চুরি করে খেতে গিয়ে কতবার মার খেয়েছে। আর আজ আম্মু নিজে খাবার বেড়ে দিয়েছে। মনে মনে হাসি পায় তার।
বাড়ি ফিরে অবধি মেয়েদের একটাকেও দেখছে না। গেলো কোথায় মেয়েগুলো!
‘আম্মু হাসিনা রুবিনা ফাতিমাদের যে দেখছি না, ওরা সব গেল কোথায়?’
‘আছে এদিক ওদিক, আসবে এখন। তুমি খেয়ে নাও ওরা আসার আগে। না হলে তো তোমার খাবারে ভাগ বসাবে।’ বলে চলে যায় ওয়াকিবের আম্মু।
বুকের ভিতরে একটা কাঁটা বিঁধে| আহা মেয়েগুলো খেয়েছে তো? সে মা হয়ে কি করে খেয়ে নেয়? এদিক ওদিক খোঁজে ওদের ফরিদা| কিন্তু কাউকেই দেখতে পায় না। হাড় জিরজিরে মেয়েগুলো। পেট পুরে ভালো করে খেতে পায় না| মেয়েমানুষের ওত খাওয়া কিসের? ওদের বাড়ন্ত শরীর। পেটে সারাক্ষণই খিদে। লেখাপড়ার পাট নেই। সারাদিনই খেলে বেড়ায়। কিন্তু ফরিদার ভালো লাগে না। পেটে বিদ্যে না থাকলে আজকের দিনে চলে না। মনে মনে ঠিক করে নেয় ফরিদা। শুধু নিজের মান নয় মেয়েগুলোকেও মান দিতে হবে। দিতে হবে শিক্ষার আলো। একটা পোক্ত চরিত্র না পেলে মেয়েগুলোর জীবনও হবে তারই মত| এই সুযোগ। সদ্য সে পুত্রসন্তানের মা হয়েছে‚ এই সুযোগকে কাজে লাগাতেই হবে| ভাবতে ভাবতেই পেটে খিদের টান পড়ে। ভাতের থালা টেনে মুখে গ্রাস তুলতে যাবে দরজার মুখে কয়েকটা ছায়া চোখে পড়ে|
”আয় সব। কোথা ছিলি এতক্ষণ?” ফরিদা জানতে চায়।
‘আম্মি, তুমি নাকি আর আমাদের ভালোবাসবে না, সব ভালোবাসা ভাইই পাবে?’ মেয়েদের মধ্যে বড় আশিয়া জানতে চায়| আশিয়া ফরিদার নিজের সন্তান নয়‚ কিন্তু সে ফরিদাকেই তার মা মানে।
‘কে বলল তোদের?’
‘বাড়িতে সবাই বলছে তো|’
‘সবাই ভুল বলছে আশিয়া। তোমাদের আমি যেমন ভালোবাসি তেমনতাই বাসব। এবার এসো। আমার সাথে খেয়ে নাও।’
‘না আম্মি তুমি খাও। আমরা তো সকালে খেয়েছি।’ রবিনা বলে ফরিদার বড় মেয়ে।
‘জানি কি খেয়েছো। এসো একটু সবাই মিলে ভাত-মাছ খাও।’
‘কিন্তু আম্মি ঐটুকু খাবার শেষ হয়ে যাবে তো আমরা খেলে। তখন যে দাদি চাইলে দেবে না। তোমারই তো খাওয়া হবে না।’
‘দেবে দেবে। তোমরা খাও|’ মনে মনে হাসে ফরিদা।
মনে মনে তৈরি হয়ে নেয় ফরিদা। একটু পরেই ঘরে আসে ওয়াকিব। ওয়াকিবকে দেখে ঝলমলে হাসে ফরিদা। একথা সেকথার পর ফরিদা বলে ‘তুমি যে বলেছিলে ছেলে বিয়োলে তোমার সংসারে আমার মান হবে?’
‘সে কি হয়নি ফরিদা? আম্মু তোমাকে খেতে দিয়ে গেল ঘরে এসেত। সবাইকে ডেকে ডেকে বলছে যে আমার ফরিদা, আমার ওয়াকিবের বউ ছেলে বিয়িয়েছে। আর কি মান চাও ফরিদা?’
‘আমার মেয়েদের স্কুলে ভর্তি করে দাও। এখন তো স্কুলে সব ফ্রি| তোমার কোন খরচ তো লাগবে না। না বলবে না, বাড়ির সবাইকে রাজী করানোর দায় তোমার। তুমি বলেছিলে ছেলে হলে আমাকে নাকছাবি বানিয়ে দেবে। নাকছাবি চাই না। নজরানা যদি দিতেই হয় তবে মেয়েদের স্কুলে ভর্তি করে দাও। লেখাপড়ার সাথে সাথে ওদের আত্মসন্মান তৈরি হোক, নিজেদের চিনতে শিখুক। ফরিদার জীবন যেন ওদের না হয়| না বাকি কথাগুলো ওয়াকিবকে বলে না সে। নিজের মনে মনে বলে।
‘একটু সময় দাও, আমি ওদের স্কুলে ভর্তি করে দেব।’ ওয়াকিব বলে।
ঘরের চালের ফাঁক দিয়ে দিনের ঝলমলে আলো ঘরে এসে পড়ে। একমুখ হাসি ছড়িয়ে পড়ে ফরিদার মুখে। সত্যিই নিজেকে মানী মনে হয় এই প্রথম|
*************************************************
জলি চক্রবর্তী শীল পরিচিতি
পেশাগতভাবে একজন কম্পিউটার অপারেটর একটি সওদাগরী আপিসে। নেশা বই পড়া এবং কিছু লিখতে চেষ্টা করা। জলির লিখতে ভালো লাগে সেইসব প্রান্তিক মানুষদের নিয়ে, জীবন যাদের কাছে প্রাত্যহিক লড়াইয়ের নাম। এক টুকরো রুটি বা এক থালা ভাতের কদর যেখানে সবচেয়ে বেশি সেইসব মানুষদের সুখ-দুঃখ-বেদনা-ভালোবাসার দৈনন্দিন গাঁথাই জলির লেখার উপজীব্য।
আহা!! তোর কলমে ভারি মায়া রে জল। খুব ভালো।
এক নিঃশ্বাসে পড়ে গেলাম। অন্য রকম, বেশ লাগলো। তোমার লেখা আগেও পড়েছি, খুব ভালো লাগে।
বেশ আশাব্যঞ্জক পরিসমাপ্তি। ভালো লাগল
শুচিদি‚
ধন্যবাদ জানাই তোমাকে| তোমাদের উৎসাহ আমার প্রেরণা|
কিকি‚
অনেক ধন্যবাদ| মায়াময় জগতের মায়ায় তোদের আচ্ছন্ন করতে পারলে বুঝব আমার লেখনী সার্থক|
” কুলায় ফেরা ” লোগো ভীষন সুন্দর, সেই সঙ্গে “মান” লেখনী খুবিই মর্মস্পর্শী, নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়েদের বাঁচার লড়াই
বৌদি‚
অসংখ্য ধন্যবাদ|
পত্রিকার লোগোটি সত্যিই সুন্দর| অল্পদিন বয়স হলেও প্রাজ্ঞ এই পত্রিকা|
ভীষন ভালো লিখেছো জলি। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এক মায়ের তার মেয়েদের জন্য যে মুক্ত ভাবনা, তা সত্যিই মন ছুঁয়ে গেল
প্রতিতী‚
অসংখ্য ধন্যবাদ সময় সুযোগ করে আমার লেখাটি পড়ে তোমার মূল্যবান মতামতের জন্য|
ভালো লাগলো।
সৃজিতা‚
ধন্যবাদ|
জল , অসাধারণ লাগলো۔۔ গ্রাম্য মেয়ের জীবনে মাথা উঁচু করে বাঁচার লড়াই۔۔ ফরিদাকে দূর থেকে কুর্নিশ জানাই۔ বড় মর্মস্পর্শী লেখা۔
সুতপাদি‚
ধন্যবাদ জানাই তোমাকে| তোমাদের উৎসাহ আমার প্রেরণা| পড়তে থাকো |
বা:! কি চমৎকার আশার আলো দিয়ে শেষ হয়েছে গল্পটি।
খুব ভালো লাগল, জল।
মুনিয়া‚
অসংখ্য ধন্যবাদ তোমাকে সময় করে পড়ে মতামত দেবার জন্য|
এতো সহজ সুন্দর ভাবে লিখেছেন – খুব ভালো লাগলো ৷
ব্রততী‚
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সময় সুযোগ করে পড়েছেন ও সুন্দর মতামতের জন্যও|
khub i sundar lekha..ekdom onnorokom..
শাল্মলী‚
ধন্যবাদ‚ তোমার এত শরীর খারাপ ‚ কাজের ফাঁকেও সময় করে পড়েছে‚ মতামত দিয়েছো| ভালো থেকো|
ভালোই হয়েছে !
মনোজদা‚
শুধু ভালো হয়েছে কেন? আপনি তো এইটুকু মন্তব্য করে ছেড়ে দেবার মানুষ নন|
রাগ হয়েছে নাকি আমার ওপর?
প্রান্তিকভাবে মানুষের জীবনের চালচিত্রটি এত সহজ ভাবে আঁকা বলেই চট করে ভাল লেগে যায়। সুন্দর লেখা।
অমিত সেনগুপ্তদা‚
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্য অনুপ্রেরণা যোগাবে|
জলির লেখা সবসময়েই সাবলীল। মনে হয় ছবি দেখছি।
মণিদি‚
তোমার মন্তব্যের যথার্থ মর্যাদা যেন আগামীদিনের দিতে পারি| ধন্যবাদ|
খুব ভালো লাগল জল!
আরো লেখো…
সোমা‚
ব্যস্ত সময়ের মধ্য থেকে সময় বার করে পড়ে মতামত দিয়েছো‚ তোমাকে ধন্যবাদ|
তোমরা পড়লেই আমিও লিখবো 🙂
আশাব্যঞ্জক পরিসমাপ্তি। ভাল লাগল।
অলকাদি‚
তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে পড়া আর মন্তব্যের জন্য|
খুব ভাল লাগল। তোমার লেখায় বরাবরই সাময়িক প্রসঙ্গ থাকে। তাই পড়তে বেশ লাগে। আরো লেখ
ইরাদি‚
তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ | আগামীদিনেও আশা করি তোমার এই ভালোবাসা পাব|
দারুণ লাগলো ! ভীষণ ভালো আইডিয়া| আর লেখনীও ভীষণ সুন্দর|
শ্রী‚
ধন্যবাদ তোকেও‚ সময় বার করে পড়েছিস‚ মন্তব্য দিয়েছিস|
খুব ভাল লাগল- ছোট ছোট পদক্ষেপে দিন বদলের গল্প
নবনীতা‚
ধন্যবাদ‚ আমার লেখাটি পড়েছো‚ তোমার ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগল| সঙ্গে থেকো|
golpo ta pore bhalo laglo
মামু‚
তোমার ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগল‚ ধন্যবাদ|
যে জীবনযাত্রায় মানুষগুলো বাস করছে, সেই মানুষগুলোর ঘরবাড়ি, পরিবেশ, পরিস্থিতি, তাদের চেহারা, সব লেখার মধ্যে ফুটে উঠেছে। এটাই একটি ভাল লেখার পরিচয়। মন কেড়ে নিয়েছে। খুব ভাল লেখা।