Shadow

গল্প বলিয়ে – হেক্টর হিউ মুনরো (অনুবাদ) : ব্রততী সেন দাস

PC: Science Fiction and Fantasy Writers in the Great War

 

গল্প বলিয়ে – হেক্টর হিউ মুনরো (অনুবাদ)

ব্রততী সেন দাস

সে এক ভীষণ গরমের দুপুর,রেলের কামরার! ভেতরেও একই রকম গরম। পরবর্তী স্টেশন টেম্পলকম্ব। প্রায় এক ঘন্টার রাস্তা। কামরায় যাত্রীরা হলো একটি ছোট মেয়ে,তার থেকেও একটা ছোট আর একজন মেয়ে এবং একটি ছোট ছেলে। এদের মাসি কোনার দিকে একটা সিট দখল করে বসেছে  ৷  ঠিক উল্টোদিকে,দূরের যে কোনার সীট,সেখানে একজন অবিবাহিত যুবক বসেছে। যুবকটি আগের দলটির অচেনা। বাচ্চাগুলো কামরাটা সরগরম করে রেখেছে। মাসি এবং ওদের কথোপকথন ভীষণরকম একঘেয়ে। যতই অগ্রাহ্য করা যাক ওরা নাছোড়বান্দা মাছির মত দৃষ্টি আকর্ষণ করছিল। সব কথার শুরুতে মাসির “করো না” আর বাচ্চাদের শুধু “কেন?” পুনরাবৃত্তি হয়ে চলেছিল। যুবকটি শুধু কোন কথা বলছিল না।
“কোরো না সিরিল,কোরো না” মাসি চিৎকার করে উঠল। বাচ্চা ছেলে সিটের কুশনে দমাদম মারছিল গাদা ধুলো উড়িয়ে।
“এসো,দেখ তো জানালা দিয়ে কী দেখা যায়”,শিশুটি অনিচ্ছাসহ জানালার ধারে এসে দাঁড়াল,” ভেড়াগুলোকে কেন মাঠের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে? ”তার কৌতূহলপূর্ণ জিজ্ঞাসা।
“মনে হয় ওদের অন্য মাঠে নিয়ে যাচ্ছে ,সেখানে হয়ত ভাল ঘাস পাওয়া যায়”,মাসি দুর্বলভাবে উত্তর দিল। ছেলেটি বাধা দিয়ে বলল,” কিন্তু এই মাঠে তো অনেক  ঘাস আছে মাসি,ঘাস ছাড়া আর কিচ্ছু নেই । ও মাসি দেখ না,এ মাঠে অনেক ঘাস আছে।”
মাসি বোকার মত উত্তর দিল,” তাহলে হয়ত অন্য মাঠের ঘাসগুলো আরো ভাল ৷”
সাথে সাথে অনিবার্য প্রশ্ন ভেসে এলো,”কেন,ভাল কেন?”
“আঃগরুগুলো দেখ!” মাসি জোর দিয়ে বলে উঠল। রেল লাইনের দু পাশের মাঠে গরু আর বলদ চড়ে বেড়াচ্ছে কিন্তু মাসির উচ্ছ্বাস দেখে মনে হয় যেন কোন দুর্লভ বস্তুর সন্ধান পেয়েছে।
সিরিল তবুও জেদ করে জিজ্ঞাসা করতে লাগল,”কেন অন্য মাঠের ঘাস ভালো,বলো না?”
যুবকটির গোমড়া মুখ আর একটু যেন গম্ভীর হলো,মাসি বুঝল মানুষটা কঠোর ও সমবেদনাশূন্য। তবুও সে অন্য মাঠের ঘাসের ব্যাপারে কোন সদুত্তর খুঁজে পেল না।
আরেকজন ছোট্ট মেয়ে “মন্ডালয়ের রাস্তা” কবিতা সুর দিয়ে বলা আরম্ভ করে পরিস্থিতিটা পুরো পালটে দিল। তার শুধু প্রথম পংক্তিটিই মুখস্থ ছিল তাই সে তার সীমিত জ্ঞানের সম্পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে লাগল বারে বারে একভাবে স্বপ্নময় সুরে আবৃত্তি করে করে।যুবকটির মনে হতে লাগল ছোট মেয়েটির সঙ্গে কেউ যেন বাজি লড়েছে যে না থেমে ওকে দু হাজারবার কবিতাটি মুখস্থ বলতে হবে-কিন্তু মনে হচ্ছে বাজি যেই ধরুক হারতে তাকে হবেই।
যুবকটি যখন বার দুই বাচ্চাদের দিকে চাইল তখন  মাসি অগত্যা ওদের বলল,”আচ্ছা,কাছে এসো,একটা গল্প বলি শোন।“
বাচ্চাগুলো অনিচ্ছুকভাবে মাসির দিকে এগোলো,ওদের ভঙ্গিতে স্পষ্ট প্রকাশ পেল যে তাদের বিচারে মাসি একেবারেই উঁচুদরের গল্প বলিয়ে নয়।
নরম,নীচুস্বরে মাসি গল্প বলা আরম্ভ করল,গল্পটি পুরনো এবং অসম্ভব রকমের এক ঘেয়ে। বারে বারে বাচ্চারা চিৎকার করে,মজার মজার প্রশ্ন করে ওকে বিব্রত করতে লাগল। গল্পটি একটি ছোট মেয়েকে নিয়ে, যে কিনা ভীষণ ভাল এবং স্বভাবগুণে সে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব করে নেয়।শেষে একবার একটা পাগলা ষাঁড় ওকে তাড়া করলে একদল ওকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল যারা ওর নৈতিক চরিত্রের কদর করত।
বাচ্চাদের মধ্যে যে বড় সে প্রশ্ন করল,”মেয়েটা যদি ভাল না হতো তাহলে ওরা ওকে বাঁচাত না?” এই প্রশ্নটা যুবকটিও করতে চাইছিল।
“হ্যাঁ নিশ্চয়ই…”মাসি দুর্বলভাবে উত্তর দিল,”তবে আমি মনে করি ওকে অত ভাল না বাসলে বাঁচানোর জন্য ওরা অত চেষ্টা করত না।” বড় মেয়েটি তার রায় ঘোষণা করল,”এত জঘন্য গল্প আমি জীবনেও শুনিনি।“ সিরিল তাঁর উত্তরে বলল,”আমি প্রথম অংশটা শোনার পর আর শুনিনি,এত্ত বাজে!”
একদম ছোটটা কিছু বলল না শুধু ওর প্রিয় কবিতার প্রথম পংক্তিটা আবার বিড় বিড় করে বলা শুরু করল।
“আপনি কখনও সফল গল্প বলিয়ে হতে পারবেন না,”যুবকটি কোনা থেকে মন্তব্য ছুঁড়ে দিল।
মাসি এই আক্রমণের মুখে পড়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলল,অবিচলভাবে বলল,”বাচ্চাদের মনের মত করে গল্প বলা খুব কঠিন ব্যাপার।”
“আমি আপনার সঙ্গে একমত নই ৷”
“মনে হয় আপনি কোন গল্প বলতে চান?”
বড়ো মেয়েটি আবদার জুড়ল,”তুমি আমাদের গল্প বলে শোনাও ৷”
যুবক গল্প শুরু করল,”কোন এক কালে বার্থা নামে এক অসাধারণ ভালো মেয়ে ছিল।”
বাচ্চাদের জেগে ওঠা উৎসাহ সেই মুহূর্তে দপদপ করতে লাগল নিভে যাওয়ার জন্য,সব গল্প ভয়ংকরভাবে একরকম তা সে যে যাই বলুক না কেন।
“ওই মেয়েটাকে যা বলা হতো সে সব মেনে চলত,সে সত্যবাদী ছিল। ধবধবে পরিষ্কার জামা কাপড় পড়ত,দুধের পুডিং টক জ্যামের মত খেয়ে নিত,ঠিক করে পড়া তৈরি করত আর ব্যবহারে অত্যন্ত ভদ্র ছিল।
“আর দেখতে কেমন ছিল,খুব সুন্দর নিশ্চয়ই? ”বড়ো মেয়েটি জিজ্ঞেস করল ৷
“না,তোমরা কেউ ওর মত দেখতে নও,ও ছিল ভয়ংকর সুন্দর।”
‘ভয়ংকর’ শব্দটির সঙ্গে ‘ভালত্বের’ সংযোগে যে অভিনবত্ব আছে তা যেন গল্পের ওপর আধিপত্য বিস্তার করল। কাহিনীর শোনার পক্ষে শ্রোতাদের মনে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হল মাসির শিশু-কাহিনীতে যে জীবনসত্য অনুপস্থিত ছিল এই গল্পে তার প্রবেশ ঘটল।
যুবকটি বলে চলল,”ও এতো ভাল ছিল যে বহু জায়গা থেকে ও বহু পদক পেত। সব সময় পদকগুলো ও সঙ্গে নিয়ে চলত,ওর জামায় পিন দিয়ে সেগুলি আটকে রাখা হতো।একটা ছিল বাধ্যতার জন্য,একটা ছিল সয়মানুবর্তিতার জন্য আর তৃতীয়টা ছিল সুন্দর আচরণের জন্য।পদকগুলো মস্ত বড় বড়  আর ধাতু দিয়ে তৈরি।যখন ও হাঁটত সেগুলো ঠুং ঠাং শব্দ তৈরি করত। ওই শহরে আর কোন বাচ্চা তিনটি পদক জেতেনি।তাই সবার কাছে ও এক অসামান্য শিশু হিসেবে পরিচিত ছিল।”
“ভয়ংকর ভাল” সিরিল মন্তব্য করল।
“প্রত্যেকে তার ভাবনাগুলি নিয়ে আলোচনা করত।সেই দেশের যে রাজকুমার ছিল তার কানেও কথাটি একদিন পৌঁছল। রাজকুমার বলল,”এত ভাল যে তাকে তো রাজবাড়ির বাগানে সপ্তাহে একদিন ঘুরতে যেতে দিতেই হবে।” রাজ্যোদানটি ছিল অপূর্ব সুন্দর কিন্তু তা শহরের বাইরে অবস্থিত ছিল।কোন শিশুর ওখানে ঢোকার অনুমতি ছিল না তাই বার্থার পক্ষে ওখানে ঢোকা ছিল দারুণ সম্মানের ব্যাপার।
“ওই বাগানে কি কোন ভেড়া থাকত?” সিরিল জিজ্ঞাসা করল।
“না……”যুবকটি বলল,”ওখানে ভেড়া ছিল না।”
উত্তরের মধ্যে থেকে অবশ্যম্ভাবী প্রশ্ন উঠে এলো,”কেন ওখানে ভেড়া নেই কেন?”
মাসি হাসল কিন্তু তাকে দেঁতো হাসি বলা যায়।
“ঐ বাগানে কোন ভেড়া ছিল না কারণ রাজকুমারের মা একবার একটি স্বপ্ন দেখেছিলেন যে তাঁর ছেলের মৃত্যু ভেড়ার জন্য হবে নতুবা ওপর থেকে ঘড়ি পড়ে হবে।এ জন্য যুবরাজের বাগানে যেমন কোন  ভেড়া ছিল না তেমনি প্রাসাদে কোন ঘড়িও রাখা হত না।”
মাসি বিস্ময়ের ঢোক গিলল।
“রাজকুমার কিসে মারা গেল,ভেড়ায় না ঘড়িতে?” সিরিল প্রশ্ন করল।
“সে এখনো বেঁচে আছে,সুতরাং বলা যায় না যে রানিমার স্বপ্ন শেষ পর্যন্ত সত্যি হবে কিনা।”
যুবকটি নির্লিপ্তভাবে বলল,”বাগানে কোন ভেড়া ছিল না বটে কিন্তু অসংখ্য শুয়োর চড়ে বেড়াত।“
“সেগুলো কী রঙের?”
“কোনো গুলির কালো শরীর মুখগুলি সাদা,কোনোগুলির সাদা রঙের ওপর কালো ছোপ ছোপ, কোনো গুলির পুরোটাই কালো রঙা। কোনগুলির আবার ছাই রঙের ওপর সাদা ছোপ ছোপ আর কোনোগুলির আবার একবারেই সাদা রঙের।” যুবকটি একটু থেমে উদ্যানের বৈশিষ্ট্যগুলো শিশুদের কল্পনায় থিতু হতে দিল।ফের শুরু করল,”বার্থা উদ্যানে কোন ফুল খুঁজে না পেয়ে দুঃখিত হলো।কেননা সে তার মাসির কাছে কেঁদে প্রতিজ্ঞা করে এসেছিল যে সে রাজকুমারের উদ্যানের একটিও ফুল তুলবে না।তাই ফুল খুঁজে না পেয়ে ও ভীষণই বোকা হয়ে গেল।“
“সেখানে কোন ফুল ছিল না কেন?”
“কারণ শুয়োরগুলো সব ফুল খেয়ে নিয়েছিল”,যুবকটি সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিল।
“বাগানের মালি বলেছিল ফুল এবং শুয়োর এক সাথে রাখা যাবে না,তাই রাজকুমার ঠিক করল ফুল নয় শুয়োরই রাখবে।”
রাজকুমারের বিচক্ষণতায় মুগ্ধ শিশুরা অস্ফুটে সমর্থন জানাল কেননা অন্য কেউ হলে উল্টো ব্যবস্থাটাই নিতো।
“বাগানে নানা আশ্চর্যজনক জিনিস ছিল,একটা পুকুর ছিল যেখানে সোনালি,নীল,সবুজ মাছেরা খেলা করত।গাছে গাছে টিয়াপাখিগুলো চতুর কথা চটরপটর করে বলতে পারত।সুরেলা পাখিরা অপূর্ব সুন্দর সুরে সারাদিন ধরে গান গাইত। বার্থা ওই সুন্দর বাগানে ঘুরে ঘুরে ভাবত,“ভাগ্যিস আমি অসাধারণ ভালো না হলে কেউ আমাকে এই বাগানে ঢুকতে দিত? তাহলে আমি এই আনন্দ কোথায় খুঁজে পেতাম?”বার্থার পদক তিনটের ঠোকাঠুকির শব্দে মনে করিয়ে দিত  সত্যি সত্যি ও কত ভাল।ঠিক তক্ষুণি এক মস্ত নেকড়ে শিকারের খোঁজে বাগানে উপস্থিত হলো,মতলব একটা শুয়োর পাকড়াও করে রাতের খাবার সারবে।”
“নেকড়েটা কী রঙের? ”বাচ্চারা উৎসাহে টগবগ করে ফুটছে।
“নেকড়ে ঘোলাটে রঙের” যুবকটি উত্তর দিল।
নেকড়ের ঘোলাটে রঙ-কালো জিভ আর ফ্যাকাসে ছাই রঙা চোখ হিংস্রতায় জ্বল জ্বল করছে।ওর চোখ বার্থার ওপর গিয়ে পড়ল।ওর পোষাক এত পরিষ্কার আর ধবধবে সাদা যে দূর থেকে নজর পড়তে বাধ্য। বার্থা নেকড়েটাকে দেখতে পেয়েছিল,দেখল যে ও চুপিচুপি ওর দিকে শিকারি বিড়ালের মত এগোচ্ছে।বার্থার মনে হল নেকড়েটাকে বাগানে ঢুকতে দেওয়া উচিৎ হয়নি।ও প্রাণভয়ে দৌড় লাগালো।নেকড়েও ওর পিছু ওকে ধাওয়া করল।বার্থা মেদিঝোপের আড়ালে লুকিয়ে থাকল।নেকড়েটা ঘন ডালগুলোর গন্ধ শুঁকতে লাগল।ওর কালো জিভটা ঝুলে রয়েছে আর ধূসর ছাই রঙা চোখদুটি লালসায় চকচক করছে।বার্থা প্রচন্ড ভয় পেল,মনে মনে আপশোস করতে লাগল,”আমি যদি এত ভাল না হতাম তবে আমি এই মুহূর্তে শহরে থাকতাম।“
যাই হোক মেদিগাছের তীব্র গন্ধের জন্য নেকড়েটা বার্থাকে খুঁজে পেল না আর ঝাড়টা এত ঘন ছিল যে তার আড়ালে বার্থা দিব্যি লুকিয়ে রইল।বার্থাকে না পেয়ে শেষে একটা শুয়োর ধরে ও চম্পট দেওয়ার মতলব করতে লাগল।বার্থা কিন্তু কাছে লুকিয়ে ছিল,অত কাছ থেকে নেকড়েটার ঘোরাঘুরি আর গন্ধ শোঁকা দেখে ভয়ে কাঁপতে লাগল। সে সঙ্গে ওর বাধ্যতার পদক,সুভদ্র ব্যবহারের পদক এবং সময়া  পদকের মধ্যে ঠোকাঠূকি লেগে গেল।চলে যেতে যেতে নেকড়েটা হঠাত শুনতে পেল পদক তিনটির ঠুংঠাং শব্দ।কাছের ঝোপ থেকেই শব্দটা শোনা গেল।সেই শব্দকে অনুসরণ করে নেকড়েটা প্রচন্ড জোরে ঝাঁপিয়ে পড়ল ঝোপের মধ্যে।ওর ধূসর চোখদুটিতে হিংস্রতা আর সাফল্য ঝলকে উঠল।বার্থাকে ছেঁচড়ে ঝোপ থেকে বার করে আনল।তারপর এক দীর্ঘ সময় ধরে ওকে ধীরে ধীরে খতম করল।ওর অন্তিম টুকরোটা শেষ করার পর পড়ে থাকল শুধু ওর জুতো জোড়া,কাপড়ের কিছু ছেঁড়া টুকরো আর উৎকর্ষের তিনটি পদক।
“আচ্ছা,ছোট শুয়োরগুলোর কোন একটাকে মারা হয়েছিল কি?”
“তারা সব পালিয়েছিল ৷”
ছোট মেয়েটা বলে উঠল,”গল্পের শুরুটা বাজে হলেও শেষটা দারুণ সুন্দর।‘’
“এত সুন্দর গল্প আমি জীবনেও শুনিনি”,বড় জন মত দিল।
“আমার শোনা সেরা গল্প”,সিরিলের সুদৃঢ় মতামত ৷
কিন্তু মাসি একেবারেই একমত হতে পারল না,”শিশুদের পক্ষে একেবারে অনুপযুক্ত একটা গল্প।এতদিন ধরে যে নীতি শিক্ষা নিয়ে বড় হয়ে উঠেছে তাকে আপনি চুরমার করে দিলেন।”
“যে ভাবেই হোক…”যুবকটি নামার প্রস্তুতি নিতে নিতে বলল…”আমি ওদের আপনার চাইতে বেশিক্ষণ,প্রায় দশ মিনিট চুপ করিয়ে রেখেছি।”
“বেচারি”টেম্বলকম্ব স্টেশনে নামার সময় যুবকটি ভাবতে লাগল আগামী কিছু মাস ভদ্রমহিলা সবার সামনে অসংগত গল্পের দাবী নিয়ে ওদের প্রচন্ড আক্রমণের মুখে পড়বেন।
*******************************************************
ব্রততী সেন দাসের পরিচিতিঃ
ব্রততী সেন দাসের জন্ম দক্ষিণ দিনাজপুরে কিন্তু পড়াশোনা ও বড় হয়ে ওঠা মহানগরে।রবীন্দ্রনাথে আদর্শে দীক্ষিত পাঠভবনে স্কুলে পড়তেন,কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর করেছেন। পরিণত বয়সে লেখালেখি শুরু করেন যখন ছেলে মেয়েরা অনেকটাই বড়।প্রথমে শুরু করেন অনুবাদ দিয়ে। পরে স্বকীয় লেখায় নিজের প্রতিভার ছাপ রাখেন। বাংলার প্রখ্যাত পত্র-পত্রিকায় তাঁর গল্প প্রকাশিত হয়েছে।দেশ,আনন্দ বাজার পত্রিকা রবিবাসরীয়, যুগশঙখ,উত্তরবঙ্গ সংবাদপত্র,ফেমিনা ইত্যাদি অন্যতম। এছাড়া ওঁর অনুবাদ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড,প্রতিভাস,পারুল প্রকাশনী,ভাষাবন্ধন ইত্যাদি প্রকাশনালয় থেকে।

 

error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!