তিরিবাও
প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
তিরিবাও লিহি ফুঁইকছো,
উয়ার আবাজ হচেক লাই।
তিরিবাও-য়ের মিঠা টান হ
মুনে যদহি বাজাই।
বীরভূম জেলার রাজনগর ব্লকের এক আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম ছাতিনা। আমার যেমন এলোমেলো ভাবনা, তেমনই এলোমেলো কাজ। ২০১৮-র এক বসন্তের সকালে চললাম সেই গ্রামে। সেখানে গিয়ে কি দেখবো, কি শুনবো, কোথায় বেড়াবো, কিছুরই ঠিক ঠিকানা নেই। সাধারণত এমনটা আমি করিনা। কোথাও যাওয়ার আগে সেই জায়গার ইতিহাস, ভূগোল মায় প্রকৃতি বিজ্ঞানও পারলে ঠোঁটস্থ করে তবেই যাই। কিন্তু ছাতিনার বেলা সেসবের ধার ধারিনি। সবে ফাল্গুনের মাঝামাঝি। তাই,বিকেলের পরে হালকা কুয়াশা নেমে এসেছিল ক্ষেতের ওপর। তবুও সর্ষে ক্ষেতের মাঝ দিয়ে পথ করে এগিয়ে চললাম ধামসা আর মাদলের শব্দ লক্ষ্য করে। একমাত্র সঙ্গী, বছর চল্লিশের টোটো চালক মনোজ। সে তার টোটো নিয়ে সেই পথেই এগিয়ে চললো। তার মাথাতেও যে আমারই মতো পোকা আছে,তা তখনও বুঝিনি। খানিক যাওয়ার পরে টোটো গেল উল্টে। কোনমতে বাহনের তলা থেকে বেরিয়ে এসে তাকে সোজা করে দাঁড় করাতে বেশ কসরৎ করতে হলো। আমি মনোজকে বললাম, তুমি আর না এগিয়ে এখান থেকেই ফিরে যাও। আমি বাকিটা পদব্রজে ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিলেও আধো আলোছায়া তে বিশেষ ভরসা পাচ্ছিলাম না। সে ব্যাটা নাছোড়বান্দা। বলে কিনা,এসেছি যখন,যাবোই! অগত্যা মনোজ নামের শ্রীকৃষ্ণের রথে অর্জুনরূপে সংস্থিত হয়ে এগিয়ে চললাম শব্দাভিমুখে। আধুনিক কৃষ্ণার্জুন বাকি পথটুকু যে কোন শাস্ত্রীয় নৃত্যের প্রদর্শন করেছিল সেই বাসন্তী সন্ধ্যায়, সে সাক্ষী আছে কেবল সন্ধ্যাতারা।
যে জায়গার উদ্দেশ্যে এই নৃত্যযাত্রা,অবশেষে পৌঁছলাম সেখানে। মনোজ তার টোটো-টা গড়িয়ে একটা গাছের তলায় রেখে চাবিটা ধামসা বাদনরত এক যুবকের হাতে দিয়ে আমার পাশে এসে দাঁড়ালো। ইতিমধ্যে আমার এটুকু ধারনা হয়ে গেছে যে মনোজ আমার থেকে অনেক বেশি স্মার্ট এবং সে অশিক্ষিত নয়। যাইহোক, জায়গাটা দেখলাম বেশ ঘন জঙ্গলে ঘেরা। তারই মাঝে খানিকটা ফাঁকা জায়গায় আদিবাসী নরনারীর দল ধামসা আর মাদলের তালে তালে এ ওর কোমর জড়িয়ে একগাল হাসি ছড়িয়ে নেচে চলেছে। কিন্তু, যে আওয়াজটা আমরা দূর থেকে শুনতে পাইনি,সে হলো বাঁশী। গাছে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে চোখ বন্ধ করে,বছর আঠারোর যে ছেলেটা বাঁশী বাজিয়ে চলেছে,সে মনে হয় এ জগতে নেই। হারিয়ে গেছে অন্য কোনো জগতে। সে কি মনকাড়া সুর! বুকের ভেতর যেন মুচড়ে উঠছে তার সুরের মুর্চ্ছনায়। মনোজ ফিসফিস করে বললো, “বাঁশীটা যে বাজাচ্ছে, তার নাম রূপাই। তার বাবা আরও ভালো বাঁশী বাজাতেন। বছর চারেক আগে পাথর খাদানে কাজ করার সময় পাথরের চাঁই চাপা পড়ে তিনি মারা যান। রূপাইয়ের ঠাকুর্দার কাছে আমি বাঁশী শিখতাম।” কেমন একটা ঘোর লাগা চোখে যেন দেখছিলাম সব কিছু। সেভাবেই মনোজের দিকে তাকিয়ে বললাম, তুমি বাড়ী ফিরবে কখন? সে বললে,থেকে গেলে হয় না স্যার? রাত্রে খুব ভালো লাগবে এখানে। যেন দেখলাম, আরেকটা আমাকে। মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল,চলো,তাই হোক। সকালেই ফেরা যাবে।
রাত্রির গভীরতা বৃদ্ধির সাথে সঙ্গতি রেখেই হাঁড়িয়া-র পরিমাণ কমছে আর ধামসা,মাদলের সাথে বেড়েছে নাচের উদ্দামতা। রাত্রি তখন একটা। রূপাইয়ের ঠাকুর্দা এসে ঢুকলেন সেখানে। সুঠাম,ঋজু,একমাথা কোঁকড়ানো পাকাচুল। হাতে বাঁশী। টোটো তে উঠে বসে তিনি বাজাতে শুরু করলেন। পরক্ষণেই থেমে গিয়ে রূপাই কে বললেন, “তিরিওয়াও তে মুন লাই কেনে? মুন ঢাইলতি হব্বে।” মনোজ ফিসফিস করে বললো, তিরিওয়াও বা তিরিবাও হলো বাঁশী। আমি ভাবছি,এটা কে রে ভাই! এ টোটো চালায়! যাই হোক, রাত্রি দুটোর দিকে শেষ হলো উৎসব। মনোজ আমাকে নিয়ে রূপাইয়ের বড়হ বাপের কাছে গেল। জানলাম, ওনার নাম টোডা। ওনার কাছে দাঁড়িয়ে শুনলাম তিরিবাও-এর বিভিন্ন স্বরক্ষেপ এবং তালের কথা। কিন্তু যেটা সব শেষে জানলাম,তাতে মাথাখারাপ হয়ে যাওয়ার অবস্থা। টোডা-র ছোটো ছেলে ঐ দলে ধামসা বাজাচ্ছিল। সে দিনের বেলা রাজনগরে টোটো চালায়। টোটো কেনার সঙ্গতি নেই বলে ভাড়ায় টোটো নিয়ে চালায়। সে একা নয়, এই জনপদের বহু পুরুষের পেশা হলো ভাড়ার টোটো চালানো। আর কম ভাড়ায় রাজনগরে টোটো দেওয়ার মতো একজনই আছে। তার নাম মনোজ খাটিক।
ইতিমধ্যে টোডার কৃপায় মনোজের পেটে খানিক হাঁড়িয়া চালান হয়ে গেছে। মনোজের কৃপায় আমার জন্য এলো বনমুরগীর ঝোল আর মোটা চালের গরম ভাত। খিদের মুখে সামনে যা পেলাম,গোগ্রাসে গিলে নিলাম। আকণ্ঠ,না কি আব্রহ্মতালু,খেয়ে উঠে মনোজ কে বললাম,তোমার পেশা কি? সে বললে,বাঁশী। আমার চোয়াল ঝুলে গেল তার পেশা শুনে। আবারও জিজ্ঞাসা করলাম, বাঁশী! মানে? সে বললো,বাঁশীতে এম মিউজ করার পরে হেতমপুর কলেজে সহ-অধ্যাপক হিসাবে যোগ দিই। কিছুদিন যেতে না যেতে পিএইচডি-র সুপ্ত বাসনা জেগে ওঠে। গবেষণায় মন দিই। তখন পরিচয় টোডা বাবার সাথে। পরিচয় অদ্ভুত ভাবে। ছোটো থেকে শুনতাম পূর্ণিমার রাতে মামা-ভাগনে পাহাড়ের ওপর থেকে বিশ্বচরাচর মনে হয় গলানো রুপো। সেই দৃশ্য দেখার লোভে গেছিলাম পাহাড়ের ওপর। গিয়ে দেখি সেখানে বসে একজন একমনে বাঁশী বাজাচ্ছে। মনের ভেতর কেমন কান্না দলা পাকিয়ে গলা অব্দি উঠে এলো যেন, এমনই তার সুর। গভীর রাতে তার বাঁশী থামলে পরিচয় করলাম। সেই থেকে এদের সাথে পথ চলার শুরু। খুব গর্ব ছিল আমার, রাধাকৃষ্ণের ছবিতে বাঁশী থাকায়। স্থির নিশ্চিত ছিলাম বাঁশীর উৎপত্তি আমাদের এই ভারতীয় উপমহাদেশে। কিন্তু গবেষণালব্ধ ফল এক আর ধারনা আরেক। মনুর নাট্যশাস্ত্র থেকে শুরু করে ঋগ্বেদ অব্ধি চষে ফেললাম। কিন্তু বাঁশীর জন্ম যে এদেশে, এমন প্রামাণ্য নথি পেলেম না। পরবর্তী তে বিস্তারিত জানার জন্য বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক ও নৃতাত্ত্বিকের গবেষণালব্ধ নথি ওল্টাতে শুরু করলাম। ১৮০০ থেকে ২২০০ বছর আগে লেখা মনুর নাট্যশাস্ত্র বা ৩২০০ তে ৩৫০০ বছর আগের ঋগ্বেদ থেকে জানলাম সঙ্গীতের আগে সঙ্গত এসেছে। পুরাকাল থেকে মানুষ তুড়ি দেওয়া,তালি দেওয়া,হাঁটু বাজানো ইত্যাদি তে অভ্যস্ত ছিল। তারই ফলস্বরূপ বাদ্যযন্ত্রের জন্ম। ভারতীয় নাট্যশাস্ত্র অনুসারে বাদ্যযন্ত্র চার প্রকার। তবাদ্য,সুশির,অনবদ্ধ ও ঘনবাদ্য। তবাদ্য দুই প্রকার। তত্বাদ্য ও বিতবাদ্য। যে সব তারের বাদ্যযন্ত্র নখের সাহায্যে বাজানো হয়, সেগুলি তত্বাদ্য। উদাহরণ বীণা,সরোদ,সেতার ইত্যাদি। বিতবাদ্য হলো ছড়ের ঘর্ষণে যে সব তারের বাদ্যযন্ত্র বাজানো হয়। বেহালা,এসরাজ ইত্যাদি বিতবাদ্য। যেসব বাদ্যযন্ত্র হাওয়া দিয়ে বাজানো হয়,তাকে সুশির বলে। সানাই,বাঁশী ইত্যাদি এই পর্যায়ভুক্ত। চামড়ার আচ্ছাদনের ওপর আঘাত করে যেসব বাদ্যযন্ত্র বাজানো হয়,তাকে বলে অনবদ্ধ। যেমন, তবলা, খোল ইত্যাদি। ঘনবাদ্য সাধারণত ধাতু দ্বারা তৈরি হয় এবং ধাতুর আঘাতে শব্দোৎপাদন হয়। যেমন করতাল,মন্দিরা। সুশির যেহেতু আমার বিষয়,তাই বাঁশীর উৎপত্তি নিয়ে বিস্তারিত পড়াশোনা শুরু করি। প্রাচীনতম বাঁশীর খোঁজ পাই জার্মানির সওয়াবিয়ান আল্পসে ৩৫০০০ থেকে ৪৩০০০ বছরের পুরনো একটি হাড়ের গায়ে মনুষ্যসৃষ্ট একছিদ্র বিশিষ্ট বাঁশীতে। এছাড়াও ইওরোপের বিভিন্ন জায়গায় খননকার্যের ফলে এই জাতীয় বাঁশীর দেখা মেলে।
কিন্তু, বাঁশের বাঁশী সৃষ্টিতে এশিয়ার জয়জয়কার। বৈদিক ভারতবর্ষে ও প্রাচীন চীনে বাঁশের বাঁশীর চল ছিল। কিন্তু সে ছিল আড়াআড়ি বাঁশী,যা মুখের সামনে ধরে বাঁশীর এক প্রান্তে ফুঁ দিয়ে বাজানো হতো, অনেকটা শঙ্খ বা আজকের বিউগলের মতো। অনুভূমিক ভাবে বাজানোর বাঁশী, যা উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে বা রাগ সঙ্গীতে ব্যবহৃত হয়, তার স্রষ্টা আমার এই ভারতবর্ষ। তবে, এই বাঁশীর স্থানভেদে ভিন্ন ভিন্ন নাম রয়েছে। যেমন, বংশী, বাঁশী,বেণু,মুরলী,পিল্লন,পুলঙ্গোলি ইত্যদি। এই বাঁশীর একদিক বন্ধ থাকে এবং সুরসৃষ্টির জন্য ছয় থেকে আটটি ছিদ্র থাকে। হাতের বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠের মাপের পরিধি যুক্ত বাঁশ,যার দুটি গাঁটের মধ্যের দূরত্ব অন্তত ১২ ইঞ্চি হবে,এমন বাঁশ থেকে এই বাঁশী তৈরি করা হয়।
এতক্ষণ হতবাক হয়ে শোনার পরে আমি বললাম, তাহলে পিএইচডি-র কি হলো? আর, টোটো চালানোর কারণ কি?
সে কিছু বলার আগেই টোডা বাবা বলে উঠল,উয়ার পঁয়সা পুকায় খেছে। ডাকতর হইয়ে ইয়াই কড়ে কেহু?
মনোজ হেসে বললে,পিএইচডি কমপ্লিট করে অধ্যাপনা করছি আজও। কিন্তু টোডা বাবার সাথে এদের গ্রামে এসে দেখলাম জোয়ান মরদ সব হাঁড়িয়া খেয়ে চলেছে। টাকা রোজগারের বালাই নেই। তখন নিজেই পনেরোটা টোটো কিনে এদের কে ভাড়ায় চালাতে দিলাম। সপ্তাহে একদিন করে আসি, যেদিন ওদের হাঁড়িয়া খাওয়ার অনুমতি দিয়েছি।
মনে মনে ভাবলাম, যদি এতোই দয়া, তাহলে টোটোগুলো দিয়ে দিতেই পারতো!
সে যেন আমার মনের কথাটা পড়ে ফেলেছিল। বলল,টোটোগুলো ওদের দেওয়াই যায়। কিন্তু সেদিন দেবো,যেদিন ওরা সেটা বিক্রী করে হাঁড়িয়া খাবেনা,এই বিষয়ে নিশ্চিত হবো।
ভোর হয়ে এসেছে। দুচারটে অচেনা পাখির ডাক সে কথা জানান দিয়ে গেল। নারীপুরুষ নির্বিশেষে সবাই হাঁড়িয়ার নেশায় বুঁদ হয়ে ঘুমের কোলে ঢলে পড়েছে। আমরা ধীরপায়ে বেরিয়ে এলাম নিদ্রামগ্ন জায়গাটি থেকে। মনোজ সামনে হেঁটে চলেছে পথ দেখিয়ে। খানিক পেছনে তাকে অনুসরণ করতে করতে মনে হলো, রূপকার্থেই শুধু নয়,আক্ষরিক অর্থেই এমন বয়ঃকনিষ্ঠ কে অনুসরণ করার সুযোগ ঈশ্বর সকলকে দেননা। আমি ভাগ্যবান, তাই আজ এমন একজনকে অনুসরণ করে পথ চলেছি,যাকে তার অগণিত ছাত্রছাত্রী ব্যতীত এই ছাতিনা বা রাজনগরের বাইরে কেউ চেনেনা,জানেনা।
সেই রাত্রির পর থেকে নিজেকে আজও প্রশ্ন করে চলেছি, মনোজ খাটিক যদি মানুষ হ’ন,তাহলে ঈশ্বর কে!
****************************************************
প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচিতিঃ
ফরিদপুর কাউলিপাড়ার শেষ জমিদার নন্দমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বংশের বর্তমান প্রজন্মের প্রতিনিধি প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ও নিবাস ইতিহাস প্রসিদ্ধ মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর শহরে। ১৯৬৫-তে তাঁর জন্ম হয় ভারতীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের পরিবেশে এমন এক পরিবারে, যেখানে ভারতবিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞদের যাতায়াত ছিলো অবারিত। কৈশোরে কবিতা লেখা দিয়ে সাহিত্যানুরাগের হাতেখড়ি। পরবর্তীতে জেলার ইতিহাস নিয়ে গবেষণামূলক কাজে নিজেকে জড়িয়েছেন। বাড়িতে সঙ্গীতাবহে বড় হয়ে ওঠায় সঙ্গীতের প্রতি প্রসেনজিৎ যথেষ্ট অনুরক্ত। ব্যাঙ্ক কর্মচারীর গুরুদায়িত্ব সামলিয়েও তিনি ইতিহাস,সাহিত্য ও সঙ্গীতের প্রতি তাঁর অনুরাগ যে এতোটুকুও নষ্ট হতে দেননি,তার প্রমাণ তাঁর এই প্রবন্ধ।
খুব ভালো লাগলো 👍❤️
খুব খুশি হলাম রে।
অসাধারণ লাগল পড়ে । সত্যিই আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ মনে হলেও। অনেকের মধ্যেই সুপ্ত প্রতিভা লুকিয়ে রয়েছে, যা সবসময় বোঝা যায় না। সাথে সাথেই লেখার মাধ্যমে অনেক কিছু ই জানতে পারলাম।
কলমের পরিচ্ছন্ন বিন্যাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ভালোলাগা। কুলায়ফেরা-র সঙ্গে থেকো।
খুবই ভালো লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ। কুলায়ফেরা-র সাথে থাকুন।
অনেক না জানা তথ্য নির্ভর লেখা পড়ে লেখক বন্ধুকে অকৃত্তিম শুভেচ্ছা জানাই। আগামীদিনে আরোও লেখার প্রত্যাশা রইলো। ভাবছি, আমি যদি এই লেখনী শিল্পের এক শতাংশও লিখতে পারতাম। ধন্য হতাম।
বন্ধু, ধন্য হলাম তোর মন্তব্যে। তোর গবেষণামূলক লেখাগুলো একে একে কুলায়ফেরা-র পাতায় প্রকাশ কর। বৃহত্তর সাংস্কৃতিক ও সাহিত্য পরিমণ্ডলের গোচরে আসুক মফঃস্বল শহরে বসেও এমন কাজ করা যায়।
অনেক অনেক ভালোলাগা বন্ধু।