‘বাংলার বুলবুল’ উমা বসু : জন্মশতবর্ষের শ্রদ্ধাঞ্জলি
রাজেশ দত্ত
উমা বসু। স্বর্ণযুগের বাংলা গানের আকাশে এক ক্ষণপ্রভা উজ্জ্বল নক্ষত্র। বিশ শতকের দুই ও তিনের দশকে বাংলার সংগীত জগতে তিনি ছিলেন এক বিস্ময় প্রতিভা। ‘বাংলার বুলবুল’ হিসেবে খ্যাত উমা বসু তাঁর ডাকনাম ‘হাসি’ নামেই সমধিক পরিচিত ছিলেন। অনন্যসাধারণ এই সংগীত শিল্পীর জন্ম ১৯২১ সালের ২২ জানুয়ারি। জীবনাবসানও ওই একই তারিখে, ২২ জানুয়ারি, সালটা ১৯৪২। জন্মগ্রহণ আর অকাল মৃত্যুর মধ্যে মাত্র একুশটি বসন্ত। এই স্বল্প আয়ুষ্কালেও তাঁর সাংগীতিক প্রতিভার কী অলোকসামান্য বিচ্ছুরণ! কিন্নরকন্ঠী এই গায়িকার অপ্রতিম গানের উজ্জ্বল আলোকচ্ছটায় বাংলা সংগীতের প্রাঙ্গণ উদ্ভাসিত হয়েছিল।
কলকাতায় শিল্প-সংস্কৃতির ঐতিহ্যসম্পন্ন এক নামী, বিদগ্ধ ও অভিজাত পরিবারে তাঁর জন্ম হয়েছিল। তিনি ছিলেন বাবা-মায়ের প্রথম সন্তান। মায়ের নাম প্রভা বসু (মিত্র)। খ্যাতনামা স্থপতি-পরিবারের উত্তরসূরী হিসেবে কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কাউন্সিলর পদে কর্মরত বাবা ধরণীকুমার বসু মহানগরের সুপ্রসিদ্ধ ‘ম্যাকিনন ম্যাকেঞ্জি বিল্ডিং’ নির্মাণ করেছিলেন। এক মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় উমার পিতৃবিয়োগ হয়। পরিবারের সঙ্গে ছুটিতে শিলং বেড়াতে গিয়ে শিলং-গৌহাটির পাহাড়ি পথের কঠিন বাঁকে মোটর গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়ে ধরণীকুমারের অকাল জীবনাবসান ঘটে। উমার পিতামহ বসন্তকুমার বসু ছিলেন সেকালের হাইকোর্টের ডাকসাইটে অ্যাডভোকেট এবং ‘বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটি’র সভাপতি। কলকাতার আশুতোষ কলেজের উত্তর দিক ঘেঁষে যে রাস্তাটি ‘বসন্ত বসু স্ট্রীট’ নামে পরিচিত, সেটা তাঁরই স্মৃতিরক্ষার্থে নামাঙ্কিত। উমার প্রমাতামহ ছিলেন প্রখ্যাত বাঙালি আইসিএস এবং সাহিত্যিক ব্রজেন্দ্রনাথ দে (১৮৫২-১৯৩২)। গানের আবহও ছিল তাঁদের বাড়িতে। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের চর্চা ছিল। বসু পরিবারের সঙ্গে লতায়পাতায় জড়িয়ে ছিলেন পান্নালাল ঘোষ ও প্রতিভা বসুর মতো প্রথিতযশা সংগীতশিল্পীরা।
উমা বসুর গলা ছিল অসাধারণ মিষ্টিমধুর ও দরদি। তাঁর অতুলনীয় প্রতিভা ছিল সর্বব্যাপী ও বিস্ময়কর। প্রথম জীবনে স্বনামধন্য গীতিকার ও সুরকার হরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে তাঁর সংগীত শিক্ষা ও সাধনার শুরু। এরপরে দ্বিজেন্দ্রলাল-পুত্র সংগীতাচার্য দিলীপ কুমার রায় ও ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়ের মতো দিকপালদের কাছে তাঁর গানের তালিম। উমার বাবা ধরণী বসুর অন্তরঙ্গ বন্ধু ছিলেন দিলীপ রায়। তাঁর স্নেহধন্যা শিষ্যা উমার গায়কীতেও গুরুর প্রভাব ছিল বেশি। দিলীপ রায়ের সান্নিধ্য লাভে তাঁর গানের প্রতিভা পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হয়। উমাকে গান শেখানোর জন্য পন্ডিচেরি আশ্রম থেকে কলকাতায় এসে বসু পরিবারের সঙ্গে একাত্ম হয়ে অহোরাত্র জুড়ে থাকতেন তিনি। তাঁর এই প্রিয় ছাত্রীটিকে নিরলস পরিশ্রমে মনপ্রাণ উজাড় করে ঢেলে দিয়ে গান শিখিয়েছিলেন। অবিশ্রান্ত কঠোর অনুশীলন ও অনুশাসনের মধ্যে দিয়ে পিতৃপ্রতিম স্নেহে উমাকে মনের মতো করে সুদক্ষ গায়িকা হিসেবে গড়ে তুলে সাফল্য ও যশ-খ্যাতির স্বর্ণশিখরে পৌঁছিয়ে দিয়েছিলেন। দিলীপ কুমারেরই আগ্রহে ও ব্যবস্থাপনায় ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে গান শিখে উমার কণ্ঠ আরও পরিশীলিত হয় এবং সারা দেশ জুড়ে তিনি প্রতিভাময়ী কণ্ঠশিল্পীরূপে প্রশংসিত হন। কিশোরী উমার সুপরিণত কন্ঠের গায়ন শৈলী, ধ্রুপদী সংগীতে অনায়াস স্বাচ্ছন্দ্যে তাঁর অনবদ্য দক্ষতা শ্রোতাদের মন্ত্রমুগ্ধ করেছিল। সুরের অপরূপ মাধুর্য, তান, লয়, দরদ, এই সবই তাঁর কণ্ঠে পরতে পরতে সুবিন্যস্ত ছিল।
উমা বসুর বেতার জগৎ
তাঁর প্রথম গ্রামোফোন রেকর্ড বের হয় ১৯৩২ সালে মাত্র এগারো বছর বয়সে। রবীন্দ্রনাথ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, অতুলপ্রসাদ সেন, জসিমউদ্দিন, দিলীপ কুমার রায়ের কথায় ও সুরে অবিস্মরণীয় সব গান গেয়েছেন। সুরসাগর হিমাংশু দত্তের কম্পোজিশনে তাঁর গানগুলিও জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিল। বেসিক আধুনিক গান, লোকসংগীত, কীর্তন, শ্যামাসংগীত থেকে হিন্দি ভজন, গজল, টপ্পা, ঠুমরী — সবেতেই তিনি ছিলেন সমান পারদর্শী। সংগীতগুরু দিলীপ কুমার রায়ের ‘নয়নের মণি’ ছিলেন তিনি। তাঁরা ছিলেন আদর্শ গুরু-শিষ্যা পরম্পরার এক সার্থক ও উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আশ্চর্য সমাপতনে উমার জন্মদিন ২২ জানুয়ারি ছিল দিলীপ কুমার রায়েরও জন্মদিন (১৮৯৭)। দিলীপ কুমারের রচিত ও সুরারোপিত গানগুলি তাঁর কাছে শিখে একক কণ্ঠে ও গুরুর সঙ্গে দ্বৈতকণ্ঠে গেয়ে সেগুলি প্রায় সবই তিনি রেকর্ড করেছিলেন। হায়দ্রাবাদের স্যার আকবর হায়দরির সভাকবি আমজাদের গজল গেয়ে তিনি দক্ষিণ ভারতে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তেরো বছর বয়সে গাওয়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুটি গান ‘সেই ভালো, সেই ভালো’ এবং ‘তোমার সুর শুনায়ে যে ঘুম ভাঙ্গাও’ দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের তত্ত্বাবধানে রেকর্ড করা হয়।
উমা বসু সঙ্গীত গুরু দিলীপ কুমার রায়ের সঙ্গে
কলকাতা বেতারে, বিভিন্ন গানের অনুষ্ঠানে এই ছোট্টো মেয়েটির জয়যাত্রা চলতে থাকে। আর বাড়িতে, নিয়মিত গানের আসরগুলো হয়ে দাঁড়ায় তাঁরই উপলক্ষে। সেই আসরগুলোতে প্রায় প্রতিদিনই আসতেন পণ্ডিত জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষ। তাঁর গান শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সাহানা দেবী, অতুলপ্রসাদ সেন, উস্তাদ ফৈয়াজ খাঁ, কেশরীবাঈ, মোতিবাঈ, কবি জসীমউদ্দিন প্রমুখ প্রবাদপ্রতিম গুণীজন।
উমা বসু সঙ্গীত গুরু দিলীপ কুমার রায়ের সঙ্গে
১৯৩৮ সালে তাঁর গান শুনে মুগ্ধ হয়ে গান্ধীজি তাঁকে ‘বাংলার বুলবুল’ (নাইটিংগেল অফ বেঙ্গল) উপাধি দেন এবং স্নেহভরে তাঁকে ‘বুলবুল’ নামেই ডাকতে থাকেন। কিন্তু হাসি এবং তাঁর গুণমুগ্ধ ও অনুরাগী অসংখ্য শ্রোতাদের এই সুখসময় ছিল বড়োই ক্ষণস্থায়ী। হাসির জীবনদীপ অকালে নিভে যায়। ১৯৪২ সালে যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র একুশ বছর বয়সেই জীবনের পরিপূর্ণ রূপ-রস, বর্ণ-গন্ধ-স্বাদ না পেয়েই মৃত্যুর করালগ্রাসে চিরকালের মতো হারিয়ে যান ক্ষণজন্মা এই গানের বুলবুল। আর আজ তাঁর জন্মের শতবর্ষ পরে বাংলার আরো অনেক কিংবদন্তী সংগীতশিল্পীদের মতোই তিনিও প্রায় বিস্মৃতির অতলে। তবু হারানো দিনের গানের অনুরাগীদের মনের মণিকোঠায় সুধাকণ্ঠী হাসি ছিলেন, হাসি আছেন, হাসি থাকবেন অনন্তকাল। স্মৃতির বাতায়ন খুলে দৃশ্যমান ‘ঝরানো পাতার পথে’ কান পাতলে আজও শোনা যায় ‘বাংলার বুলবুল’-এর কালজয়ী গানগুলি।
সুধাকণ্ঠী উমা বসুর জন্মশতবর্ষে তাঁর অমর ও অবিনশ্বর স্মৃতির প্রতি সশ্রদ্ধ প্রণতি জানাই। তাঁরই গানের কথায় শ্রদ্ধার্ঘ্য সাজিয়ে বলি –
রূপে বর্ণে ছন্দে
আলোকে আনন্দে
কে এলে গো মেলে পাখা?
শ্যামল বসন্ত বীথি
বিছানো গন্ধ গীতি
দিগন্তে শৈল
আকাশে হাসে রাকা
দু’ধারে তালে তালে
সুর সুন্দরী কে ঢালে
রাগমালা! দোলে শাখা
মিটালে কে পিপাসা
জাগালে ভালোবাসা
অনন্ত স্বপ্ন মাখা
আকাশে হাসে রাকা
সুরে সুরে সুরে
ফুলে ফুলে ফুলে
রূপে বর্ণে ছন্দে
তালে তালে তালে
দুলে দুলে দুলে
আলোকে আনন্দে
ফুলে ফুলে ফুলে
এলে দুলে দুলে দুলে
এলে কে মেলে পাখা?
উমা বসুর সুললিত কণ্ঠে কিছু জনপ্রিয় গানের তালিকা নীচে দিলাম। আগ্রহী শ্রোতারা এই গানগুলি ইউটিউবে শুনতে পাবেন। বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল থেকে আমার সংগৃহীত ও সংকলিত উমা বসুর এই ৩৭টি গানের ইউটিউব প্লে-লিস্টের লিংক নীচে —
https://www.youtube.com/playlist?list=PLudtX9FXqO3LnPY-8eZeEGgtgy5brb5YI
(১) অকূলে সদাই চলো যাই (১৯৩৮)
সহ-শিল্পী : দিলীপ কুমার রায়।
কথা ও সুর: দিলীপ কুমার রায়।
(২) আকাশের চাঁদ মাটির ফুলেতে (১৯৪০)
কথা: সুনির্মল বসু।
সুর: হিমাংশু দত্ত।
(৩) আজ ফাগুনের প্রথম দিনে (১৯৩৮)
কথা: সুবোধ পুরকায়স্থ।
সুর: হিমাংশু দত্ত।
(৪) আজ সখি শুনো বাজাত বাঁশুরিয়া (১৯৪২)
কথা: প্রচলিত।
সুর: দিলীপ কুমার রায়।
(৫) আজি তোমার কাছে ভাসিয়া যাই (১৯৩৭)
কথা ও সুর: দ্বিজেন্দ্রলাল রায়।
(৬) আঁধারের ডোরে গাঁথা (১৯৪২)
কথা ও সুর: দিলীপ কুমার রায়।
(৭) ইয়ুঁ তো ক্যায়া ক্যায়া নজর নাহি আতা।
(৮) ও আমার মন ভোলানো (১৯৩৯)
কথা ও সুর: জসিমউদ্দিন।
(৯) কে তোমারে জানতে পারে (১৯৪০)
কথা ও সুর : দ্বিজেন্দ্রলাল রায়।
(১০) চাঁদ কহে চামেলী গো হে নিরুপমা (১৯৩৮)
কথা: সুবোধ পুরকায়স্থ।
সুর: হিমাংশু দত্ত।
(১১) জীবনে মরণে এসো (১৯৪০)
কথা ও সুর: দিলীপ কুমার রায়।
(১২) ঝরানো পাতার পথে (১৯৩৮)
কথা : বিনয় মুখোপাধ্যায়।
সুর : হিমাংশু দত্ত।
(১৩) তোমায় গুণী যেন শুনি (১৯৩৭)
সহ-শিল্পী : হরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়।
কথা ও সুর: দিলীপ কুমার রায়।
(১৪) নির্ঝরিণী (১৯৪১)
কথা ও সুর: দিলীপ কুমার রায়।
(১৫) নীল পরী (১৯৪২)
কথা : জ্যোতির্মালা বসু।
সুর: দিলীপ কুমার রায়।
(১৬) প্রকৃতির ঘোমটাখানি খোল লো (১৯৩৭)
কথা ও সুর: অতুলপ্রসাদ সেন।
(১৭) মধু মুরলী বাজে (১৯৪০)
কথা ও সুর: দিলীপ কুমার রায়।
(১৮) মন তুমি কৃষি কাজ জানো না (১৯৩৭)
কথা : রামপ্রসাদ সেন।
সুর: দিলীপ কুমার রায়।
(১৯) রাঙা জবায় কাজ কী মা তোর (১৯৪০)
কথা : বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য।
সুর : দিলীপ কুমার রায়।
(২০) রূপে বর্নে গন্ধে (১৯৪০)
কথা: নিশিকান্ত রায়চৌধুরী।
সুর: দিলীপ কুমার রায়।
(২১) আমি আধো ফোটা ছোটো তারা (১৯৩৯)
কথা: লতিকা দেবী।
সুর: দিলীপ কুমার রায়।
(২২) কানহা মূরলীওয়ালে নন্দ কে লালে (১৯৪২)
কথা: প্রচলিত।
সুর: দিলীপ কুমার রায়।
(২৩) ভোরের পাখী (আলোছায়া আঁকা পাখী) (১৯৪১)
সহ-শিল্পী : দিলীপ কুমার রায়।
কথা: নিশিকান্ত রায়চৌধুরী।
সুর: দিলীপ কুমার রায়।
(২৪) জল খেলিতে যমুনাতে যাই (১৯৩৬)
কথা ও সুর: জসিমউদ্দিন।
(২৫) শ্রীচরণে নিবেদনে জানাই এ মিনতি (১৯৪০)
কথা ও সুর: দিলীপ কুমার রায়।
(২৬) সুন্দর এসো আজ (১৯৩৮)
কথা ও সুর: দিলীপ কুমার রায়।
(২৭) বঁধু কী আর কহিব আমি (পদাবলী কীর্তন)
(২৮) রাধা বলে ভাই রে সুবল (১৯৩৯)
কথা ও সুর: জসিমউদ্দিন।
(২৯) এলো মা আরতিময়ী (১৯৩৯)
কথা ও সুর: দিলীপ কুমার রায়।
(৩০) বাঁশী তুই বাজবি কবে (১৯৩৬)
কথা ও সুর: হরেন চট্টোপাধ্যায়।
(৩১) ফোটে ফুল মনের মাঝে (১৯৩৮)
কথা: অজয় ভট্টাচার্য।
সুর: দিলীপ কুমার রায়।
(৩৩) ওরে বুলবুল মন ভুল সুরে (১৯৩৮)
কথা ও সুর: দিলীপ কুমার রায়।
(৩৪) আঁধারের এই ধরণী (১৯৩৭)
কথা: নিশিকান্ত রায়চৌধুরী।
সুর: দিলীপ কুমার রায়।
(৩৫) তোমার সুর শুনায়ে যে ঘুম ভাঙ্গাও (রবীন্দ্রসংগীত, ১৯৩৪)
(৩৬) সেই ভালো সেই ভালো (রবীন্দ্রসংগীত, ১৯৩৪)
(৩৭) উদাসী বাঁশী নুপুরে (১৯৩৯)
কথা ও সুর: দিলীপ কুমার রায়।
*****************************************
সংকলক ও লেখক: রাজেশ দত্ত।
তথ্য সংগ্রহে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা স্বীকার: সিরাজ সাঁই, কল্যাণ গাঁতাইত ও জয়দীপ ব্যানার্জি। এছাড়াও তথ্যসূত্র:~ ‘সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান’, প্রথম খণ্ড, পঞ্চম সংস্করণ, তৃতীয় মুদ্রণ এবং ফেসবুক পাতা ‘Uma Bas – Hashi’
উমা বসুর জীবন ও সংগীত সাধনা নিয়ে বাংলায় প্রকাশিত একমাত্র সংকলন গ্রন্থ: ‘সুধাকণ্ঠী উমা বসু’। সম্পাদনা: রুনু বসু। এই বইতে সংকলিত হয়েছে উমা বসু প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ, গান্ধী, অরবিন্দ প্রমুখের লেখা। রয়েছে উমা বসুকে নিয়ে জগন্ময় মিত্র, ফুলরেণু গুহ, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, অশোক মিত্রদের স্মৃতিকথা। উমা বসুর গান নিয়ে সুধীর চক্রবর্তী, সৌরেন্দ্রনাথ বসু, প্রীতি বন্দ্যোপাধ্যায়, অমলাশংকর প্রমুখদের লেখা। উমা বসুকে লেখা সংগীত আচার্য দিলীপ কুমার রায়ের চিঠিপত্র। উমা বসুর গানের খাতার প্রতিলিপি l ভুলে যাওয়ার সময়ে দাঁড়িয়ে এক ‘বিস্মৃত’ মানুষকে মনে করানোর অত্যন্ত জরুরি প্রয়াস এই কাজ l
‘ সু ধা ক ন্ঠী উ মা ব সু ‘
একটি ‘সুচেতনা’ প্রকাশ।
মূল্য পঁচাত্তর টাকা।
যোগাযোগ: দূরভাষ: 9903020923
ফেসবুক লিংক: https://www.facebook.com/suchetanapublisher.and.bookseller/
চিত্রসূচী:
চিত্র- ১) এবং
চিত্র- ২ উমা বসু (হাসি)।
চিত্র- ৩) জীবনাবসানের পরে ‘বেতার জগৎ’-এ উমা বসুর স্মৃতিচারণা ও শ্রদ্ধাঞ্জলি। (১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪২)
চিত্র- ৪) এবং চিত্র – ৫) সংগীতগুরু দিলীপ কুমার রায়ের সঙ্গে উমা বসু।
চিত্র ৬) সুধাকণ্ঠী শিল্পী উমা বসুর সংগীত প্রতিভা সম্পর্কে বিশিষ্টজনদের কয়েকটি উক্তি।
********************************************
লেখক পরিচিতি :
রাজেশ দত্ত
Khub valo laglo. Ato boro protiva samporke birol tothyo ajana chhilo👍
সুজনেষু, লেখাটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগা ও মূল্যবান মতামত আমার পরম প্রাপ্তি। আন্তরিক প্রীতি, শ্রদ্ধা ও শুভকামনায় আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ জানাই।
Darun laglo pore..atto kichu jananor jonnye ajosrro dhonnobad
ettobaro ekta pratibha jantami na..🙏🙏
সুজনেষু, আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আন্তরিক প্রীতি ও সশ্রদ্ধ শুভকামনা জানাই।
এক নাম না জানা শিল্পীর চমকপ্রদ জীবনপন্জ্ঞী সামনে নিয়ে আসার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
সুজনেষু, অজস্র ধন্যবাদ। আপনাকে আমার আন্তরিক প্রীতি ও শ্রদ্ধায় অশেষ শুভেচ্ছা জানাই।