বাংলা লোকসাহিত্যের গতি-প্রকৃতি
পৃথা রায় চৌধুরী
‘লোকসংস্কৃতি’ শব্দটির মধ্যে দুটি পৃথক শব্দের সমন্বয় –‘লোক’ এবং ‘সংস্কৃতি’। ‘লোক’ অর্থাৎ ‘জন’ বা ‘মানুষ’ এবং ‘সংস্কৃতি’ হল সভ্যতাজনিত উৎকর্ষ। এই উৎকর্ষ মানুষের জীবনচর্যার। অর্থাৎ ‘লোকসংস্কৃতি’ হল তাই, যাতে লোকসমাজের সভ্যতাজনিত উৎকর্ষের প্রতিফলন ঘটে এবং জীবনচর্যার ধারাটি প্রকাশ পায়।
আমরা জানি,যে কোনও সমাজ সংস্কৃতির একটি অন্যতম প্রধান উপাদানই সাহিত্য। রবীন্দ্রনাথের মতে ‘সহিত’ শব্দ থেকে ‘সাহিত্য’ শব্দের উৎপত্তি; অর্থাৎ ‘সাহিত্য’ শব্দের মধ্যে একটি মিলনের ভাব আছে। ভাব, ভাষা অথবা গ্রন্থের মিলনমাত্র নয়, বরং মানুষের সঙ্গে মানুষের,অতীতের সঙ্গে বর্তমানের, দূরের সঙ্গে কাছের অন্তরঙ্গ যোগসাধন ‘সাহিত্য’ দ্বারাই সম্ভবপর। সুতরাং ‘সাহিত্য’ লোকজীবনের সংযোজক মাধ্যম।আপাতদৃষ্টিতে নৃত্য-গীত-নাটক-অভিনয় শিল্পকলাকে ‘সংস্কৃতি’ বলে অভিহিত করা হলেও, এগুলি সংস্কৃতির ভিন্ন ভিন্ন অঙ্গ মাত্র। আসলে ‘সংস্কৃতি’ হল সমাজের বা রাষ্ট্রের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর গড়ে ওঠা সৌধের ওপর উপসৌধ (superstructure)।
সাধারণভাবে আভিজাত্যবোধের পার্থক্য থেকেই উচ্চসংস্কৃতি এবং লোকসংস্কৃতির সংজ্ঞা নির্ধারিত করা হয়। ব্যক্তিচৈতন্যপুষ্ট শিষ্টজনের সৃষ্টি উচ্চসংস্কৃতি,অন্যদিকে সমষ্টিগতভাবে লোকসমাজের সামগ্রিক জীবনাশ্রয়ী সৃষ্টিই হল লোকসংস্কৃতি। সংক্ষেপে বলা যায়,সমাজের লৌকিক ধারা থেকেই লোকসংস্কৃতির উদ্ভব এবং বিকাশ ঘটে। সাহিত্য হল সংস্কৃতির মুখ্য এবং প্রামাণ্য বাহক। অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় যে লৌকিক সাহিত্যধারাই বিবর্তনের পথ ধরে ধ্রুপদী সাহিত্যে পরিণত হয়েছে। একারণেই লোকসাহিত্য এবং শিষ্টসাহিত্য ধারা দুটি পাশাপাশি প্রবহমান। যেমন ভারতবর্ষের ইতিহাস স্বরূপ রামায়ণ মহাভারত মহাকাব্য দুটিতেও ভারতীয় লোকজীবনের বহু পুরাকাহিনী,লোককাহিনী,কিংবদন্তী,প্রবাদ চোখে পড়ে। লোকসাহিত্য,লোকসংস্কৃতিরই অঙ্গ স্বরূপ। লোকসাহিত্যের প্রধান শাখাগুলি হল ছড়া,প্রবাদ,ধাঁধা,লোকসঙ্গীত,লোককথা,গীতিকা এবং লোকনাটক দেশজ ‘ছড়া’ শব্দটি লোকসাহিত্যের প্রাচীনতম শাখা এবং সর্বকালের আদিম কবিতার বীজ। ছড়ার ধারাবাহিক বৈশিষ্ট্যগুলি হল–ছড়ায় ভাবের পারম্পর্য ধারাবাহিকতা, কাহিনীবিন্যাস অনুপস্থিত; ছড়া ধ্বনিপ্রধান এবং শ্বাসাঘাতপ্রধান, এতে রসচিত্র আছে কিন্তু উপদেশ নেই, এর ভাষা লঘু এবং রস স্নিগ্ধ ও সরস। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়,‘বঙ্গীয় শব্দকোষে’ ছড়ার অর্থ করেছেন ‘গ্রাম্যকবিতা’। পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গের কোন কোন স্থানে ছড়াকে ‘শ্লোক’ও বলা হয়। আভিধানিকদের মতে,ছড়ার সঙ্গে মধ্যযুগীয় বাংলা কাব্য ও সঙ্গীতধারার যোগ ছিল। আপাতদৃষ্টিতে ছড়ার মধ্যে একটি অসঙ্গত,অর্থহীন যদিচ্ছাকৃত ভাব ধরা পড়ে। ছড়াতে ভাবের ধারাবাহিকতা বা কার্যকারণসূত্র রক্ষিত হয় না,কেবল সুর ও ছন্দের সঙ্গতি রক্ষা করা হয়। ছড়াকে সাধারণতঃ শিশুসাহিত্যের পর্যায়ে ফেলা হলেও, ছড়া সর্বস্তরেই বয়স্ক লোকের সৃষ্টি। রবীন্দ্রনাথ ‘ছেলেভুলানো ছড়া’র মধ্যে ছড়ার অসংলগ্নতার আলোচনায় নিয়মবন্ধনহীন শিশু মনস্তত্বের সমধর্মী মানসিকতাকেই দায়ী করেছিলেন। অবনীন্দ্রনাথের মতে,ছড়ার রাজ্য চিরদিনই অর্ধেক কল্পনার,অর্ধেক বাস্তবের। ছড়ার মধ্যে বর্ণিত বিষয়ের পূর্ণতা পাওয়া যায় না। বাংলা সাহিত্যে কিছু কিছু বহুপ্রচলিত ছড়া আমরা পাই। যেমন,“বৃষ্টি পড়ে টাপুরটুপুর,নদে এল বান,শিব ঠাকুরের বিয়ে হচ্ছে তিন কন্যে দান”,“আগডুম বাগডুম ঘোড়াডুম সাজে”,“ধান ফুরালো,পান ফুরালো,খাজনা দেবো কি?” ইত্যাদি ছড়াগুলি বাংলা শিশুসাহিত্যের প্রথম শ্রেণীর সোপান হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। ছড়ার মধ্যে যে সমাজজীবন চিত্রিত, তা আদিম,মধ্য এবং আধুনিক যুগের জীবনসীমাকে সমানভাবে স্পর্শ করে। “আমার কথাটি ফুরালো,নটে গাছটি মুড়ালো” ছড়ার মধ্যে লোককাহিনীর রস পাওয়া যায়। রবীন্দ্রনাথের,“…কবে বিষ্টি পড়েছিলো,বান এল সে কোথা… শিব ঠাকুরের বিয়ে হল,কবেকার যে কথা” ছড়াটিতে ঐতিহ্যময় ভাবনার রসসিক্ত প্রকাশ। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাস নির্ণয়ে ছড়ার বিশেষ ভূমিকা থাকলেও এর সহজ সরস কাব্যরসই রবীন্দ্রনাথকে আকৃষ্ট করেছিলো বেশী। ‘ছড়া’র সঙ্গে লোকসাহিত্যের যে শাখাটি সর্বাধিক ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত, তা হল ‘প্রবাদ’। যথার্থ প্রবাদের মধ্যে একটি জাতির সামগ্রিক জীবনচর্যার পরিচয় পাওয়া যায়। প্রবাদ সংক্ষিপ্ত রচনা, কিন্তু পূর্ণ বাক্য,যার মধ্যে কর্তা,কর্ম,অসমাপিকা ক্রিয়া,সবই থাকে। প্রবাদের আভিধানিক অর্থ, পরস্পর কথোপকথন,পরম্পরাগত বাক্য, কিংবদন্তী, জনশ্রুতি (বঙ্গীয় শব্দকোষ)। ডঃ আশুতোষ ভট্টাচার্য ‘বাংলার লোকসাহিত্য’ গ্রন্থে প্রবাদের সংজ্ঞা এইভাবে দিয়েছেন… “প্রকৃতভাবে সমাজ যাহা আচরণ করে এবং সামাজিক মানুষ প্রাত্যহিক জীবনাচরণের ভিতর দিয়া যে অভিজ্ঞতা লাভ করে তাহাদের মধ্যে যাহা নিজেদের অভিজ্ঞতার দিক দিয়া নিতান্ত তিক্ত,প্রধানতঃ তাহা দ্বারাই প্রবাদ রচিত হইয়া থাকে। প্রবাদ মধুর বচন নহে, তাহা সংসার সংগ্রামে ক্ষতবিক্ষত মানুষের কঠোর অভিজ্ঞতার অভিব্যক্তি মাত্র।”
প্রবাদের বিষয় বৈচিত্র্য বিপুল। বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাপদেও প্রবাদের ব্যবহার দেখি…“আপনা মাঁসে হরিণা বৈরী”,পরবর্তীকালে শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে’…“ললাট লিখন খণ্ডন না জাত্র”,এছাড়া কৃত্তিবাস রামায়ণ, কবিকঙ্কন চণ্ডী বা ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গলেও প্রবাদের প্রাচুর্য দেখা যায়। এছাড়া সংস্কার/বিশ্বাস বিষয়ক প্রবাদ,যেমন…“যদি বর্ষে মাঘের শেষ,ধন্য রাজার পুণ্য দেশ” কিম্বা “আগিয়ে দিয়ে দখিন পা,যথা ইচ্ছা তথা যা”। সতীন প্রথার যে তিক্ত অভিজ্ঞতা,তার পরিচয় পাই “অশথ কেটে বসত করি,সতীন কেটে আলতা পরি”,এই প্রবাদটিতে। কিছু বিখ্যাত ঐতিহাসিক ব্যক্তিদের দিয়ে রচিত প্রবাদ,যেমন,“লাগে টাকা দেবে গৌরী সেন” (জাতিতে সুবর্ণবণিক গৌরীকান্ত সেন ঋণগ্রস্তদের অযাচিত ভাবে অর্থদান করতেন)। কিছু পুরাণাশ্রিত প্রবাদ যেমন,“তোমাকে মারিবে যে,গোকুলে বাড়িছে সে”… এতে কৃষ্ণ জন্মকথার পুরাণকাহিনীর প্রতিফলন ঘটেছে। কিছু পারিবারিক সম্পর্ক নির্ভর প্রবাদ,যেমন,“হাতে হাতে দিলে নুন,যায় তার সর্বগুণ”,এগুলি বহুশ্রুত। বাংলা লোকসাহিত্যের অন্য একটি সুপরিচিত শাখা হল ‘ধাঁধা’। অনুমেয় যে ‘দ্বন্দ্ব’ শব্দটি থেকেই ‘ধাঁধা’ শব্দটির আগমন। ‘দ্বন্দ্ব’ শব্দের অর্থ ‘সন্দেহ’। সংস্কৃত প্রহেলিকা থেকে আগত ‘হেঁয়ালি’ শব্দটি ‘ধাঁধা’র প্রতিশব্দ। ধাঁধার উদ্ভব মনের কৌতূহল ও রহস্যময়তা প্রকাশের মধ্য দিয়ে। ধাঁধা ঐতিহ্যমূলক মৌখিক সৃষ্টি, যাতে এক বা একাধিক আপাত বিরোধমূলক বর্ণনাত্মক উক্তি থাকে,যা রূপকাশ্রয়ী কিম্বা একাধিক অর্থে গৃহীত। ধাঁধার মধ্যে একটি পরিণত শিল্প ও রসবোধ থাকে এবং সূক্ষ্ম বুদ্ধি-চিন্তার প্রকাশ থাকে। যেমন,“সারাদিন মাটি খায়, সন্ধ্যে হলে ঘরে পালায়” (লাঙ্গল)। ‘লোকসঙ্গীত’কেও লোকসাহিত্যের ধারার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সঙ্গীতের বিচরণ লোকসংস্কৃতির প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই। ডঃ আশুতোষ ভট্টাচার্য ‘বাংলার লোকসাহিত্য’ গ্রন্থে লোকগীতি অথবা লোকসঙ্গীতের সংজ্ঞা নির্ধারণ করেছেন এইভাবে…“যাহা একটিমাত্র ভাব অবলম্বন করিয়া গীত হইবার উদ্দেশ্যে রচিত ও লোকসমাজ কর্তৃক মৌখিক প্রচলিত হয়, তাহাকেই লোকগীতি বলে।” লোকসঙ্গীত বঙ্গপ্রকৃতি, বাঙলার সমাজজীবন এবং লোকজীবনের বহিরঙ্গ ও অন্তরঙ্গ দিকটির পরিচয় বহন করে। লোকসঙ্গীতের দুটি ধারা… লিখিত এবং অলিখিত অথবা মৌখিক। লালন শাহ, হাসন রাজা,পাগলা কানাই প্রমুখ মরমীয়া সাধকেরা লোকগানের রচয়িতা এবং সুরস্রষ্টা,তবুও এঁদের গানও লোকের মুখে মুখেই প্রচার লাভ করেছে।
মুখ্যতঃ লোকগীতির দুটি ধারা দেখা যায়…প্রথমটি হল ধর্মীয় প্রেরণাজাত লোকসঙ্গীত এবং দ্বিতীয়টি ধর্মীয় প্রেরণা নিরপেক্ষ লোকসঙ্গীত। প্রথমটির মধ্যে বাউল গান, মুর্শিদী গান বিখ্যাত। বাউল গানের কাব্য ধর্মও অনন্য। ‘বাউল’ বাংলাদেশের এক অসাম্প্রদায়িক সর্বধর্মসমন্বয়ী মিশ্রধর্ম সাধনা। যিনি উপনিষদের ‘পরমব্রহ্ম’,তিনিই বাউলের ‘মনের মানুষ’। পুরুষ প্রকৃতির মিলনসাধনায় মনের মানুষের সঙ্গে সাধক বাউলের যোগ সাধন হয়। ধর্মীয় প্রেরণা নিরপেক্ষ গানের মধ্যে পড়ে পাট কাটার গান,নৌকা বাইচের গান,ধান কাটার গান,সারিগান, ছাদ পেটানোর গান, ইত্যাদি। এগুলি ছাড়াও বাংলা লোকসঙ্গীতের মধ্যে পারিবারিক বিনোদনমূলক গান,বৃত্তিমূলক গান,প্রেমসঙ্গীত,ইত্যাদির প্রসারও দেখা যায়। ‘লোককথা’ অথবা Folktale অথবা লোককাহিনীগুলিও বাংলা লোকসাহিত্যের অন্তর্ভুক্ত। এর মধ্যে রূপকথা,বীরকাহিনী,পুরাণকাহিনী,জীবজন্তুর কাহিনী,নীতিকাহিনী,হাস্যরসাত্মক কাহিনী,সবই লোকসাহিত্যে বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে আছে। ‘লোকগীতিকা’ গুলি অবশ্য বাংলা লোকসাহিত্যের অপেক্ষাকৃত অর্বাচীন কালের সৃষ্টি। ইংরাজী Ballad আমাদের দেশে ‘গাথা’ বা ‘গীতিকা’ নামে পরিচিত। ‘গাথা’ অর্থাৎ আখ্যানমূলক কবিতা। বাংলা গীতিকাসাহিত্যের দুটি ধারা… প্রথমটি গোপীচন্দ্রের গান বা নাথ গীতিকা; দ্বিতীয়টি মৈমনসিংহ গীতিকা বা পূর্ববঙ্গ গীতিকা। নাথ গীতিকাগুলি নাথ গুরুদের অলৌকিক শক্তি প্রচারের জন্য রচিত হয়েছিলো। আর মৈমনসিংহ গীতিকাগুলিতে পূর্ব মৈমনসিংহের অরণ্যবেষ্টিত ভূমি, বিল নদী অধ্যুষিত নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ প্রভৃতি অঞ্চলের লোকজীবনের কাহিনী বর্ণিত। এখানের আঞ্চলিক উপজাতি বোরো, হাজং, রাজবংশী, গারো। এদের মাতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা, স্বাধীনভাবে পতিগ্রহণ,বয়সকালে বিবাহ,প্রেম প্রভৃতি সামাজিক বৈশিষ্ট্যের প্রতীক এই গীতিকাগুলি। মহুয়া,মলুয়া,চন্দ্রাবতী,সোনাই–এর গীতিকাগুলি অত্যন্ত জনপ্রিয়। বাংলা লোকসাহিত্যের এই ধারাগুলি ছাড়াও কবিগান,যাত্রা,আখড়াই,পাঁচালী প্রভৃতি ধারাগুলিকেও লোকসাহিত্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বাংলা লোকসাহিত্যকে সীমার নিরিখে সংজ্ঞায়িত করা বা বিশেষায়িত করা সম্ভব নয়। লোকসাহিত্যের প্রকাশিত ধারাগুলি আমাদের জানার পরিধিতে এলেও বহু অপ্রকাশিত রচনার অনুসন্ধান এখনও বাকী।
******************************************************
ড. পৃথা রায় চৌধুরী পরিচিতি:
জন্মস্থান ভারতবর্ষের ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ শহরে। সাহিত্য চর্চা শুরু,ছোটবেলা স্কুলে থাকতেই। প্রাণীবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ও পরিবেশ বিজ্ঞানে ডক্টরেট। এপার ওপার বাংলার বিভিন্ন প্রিন্ট পত্রিকা ও অনলাইন ওয়েবম্যাগ ও ব্লগে নিয়মিত লেখালিখি করেন ২০১২ সাল থেকেই। নিজের একক কাব্যগ্রন্থ সাতটি…”মন্দ মেয়ের সেলফি”,”জন্মান্তরে সিসিফাস”,”শব্দ এক পুরুষপাখি”,”চতুর্থ প্রহরে নক্ষত্রের ছায়া”,”ঘড়ির তেরো নম্বর কাঁটা”,”মায়াকীয়া” ও “মুরাল তন্ত্র”। এ ছাড়া এপার ওপার বাংলার বিভিন্ন কবিতা সংকলনে স্থান পেয়েছে ওনার কবিতা। কিছু কাব্য সঙ্কলনের সম্পাদনা করেছেন ও ক্ষেপচুরিয়াস নামক সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক মণ্ডলীর মধ্যে,”আমি অনন্যা” পত্রিকার সম্পাদক মণ্ডলীর মধ্যেও আছেন এবং ‘শহর’ পত্রিকার সহ সম্পাদকের দায়িত্বেও আছেন। ২০১৬ সালে “শব্দের মিছিল” সাহিত্য গোষ্ঠীর তরফ থেকে “আত্মার স্পন্দন” ১৪২৩ এবং পরবর্তীতে ‘আমি অনন্যা’র সাহিত্য কৃতী সম্মাননা ২০১৯-২০২০ সম্মানপ্রাপ্ত হয়েছেন।