শহীদও জন্ম নিক
কাজরী বসু
কিছু পল্লব ভরে সবুজে, মুকুলে,
বাদবাকি থাকে মৃত্যুর অধিকারে •••
হৃদয় নিয়ত গভীরে,মর্মমূলে
ঝাঁঝরা কি শুধু বুলেটেই হতে পারে !
নদীতে উজান। শপথের পেয়ালাতে
চুমুকের আগে উচ্ছ্বাসে উল্লাস
ওপারে শহীদ,আমরা যুবতী রাতে
রক্ত নয় তো,দেখেছি রাঙা পলাশ ।
তবুও ভেবেছি,সময় তো প্রবাহিত।
আবীরে আবীরে ভরেছে চক্রবাল
কাটুক প্রহর ফাল্গুনও উপনীত,
বুঝিনি,রক্ত পলাশের চেয়ে লাল ।
ভাষা বয়ে যায় এমনই তো নিরবধি
একদিন শুধু শহীদের স্মরণিকা
ব্যর্থ তখনই সবটুকু প্রতিরোধই
দু চোখে জলের আভাসেও মরীচিকা।
সে মরুঝড়ের আসন্ন সমারোহে
ঝাঁঝরা নিয়ত শব্দেরা,বাজী পোড়ে
নবচেতনার পরবাসী আগ্রহে
শহীদের ছেঁড়া তমসুক শুধু ওড়ে।
তবু আজও ভাবি,তথাপিও সংগ্রামে
কখনও আলোকে ভরবে দিগ্বিদিক
পদ্মের বুকে একাকী মধ্যযামে
ভাষার জন্য শহীদও জন্ম নিক।
*****************************************
কাজরী বসু পরিচিতি :
কাজরী বসু কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে সাম্মানিক বাংলায় স্নাতক। স্নাতকোত্তর পড়াশোনা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বাংলায় মাস্টার্স করার পর শিক্ষাব্রতী কাজরী নিয়মিত সাহিত্যচর্চা করেন। নিজস্ব একক চারটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও বিভিন্ন কাব্যসংকলনে কবিতা, রহস্য উপন্যাস,গদ্য প্রকাশিত হয়ে থাকে। সঙ্গীতে সমানভাবে আগ্রহী কাজরী নিয়মিত সঙ্গীতচর্চা করেন। গীতবিতান শিক্ষায়তনের গীতভারতী ডিগ্রির পরে শ্রী সুবিনয় রায়ের কাছে দীর্ঘদিন তালিমপ্রাপ্ত। পরিবারে আছেন স্বামী ও একমাত্র কন্যা।
অতুলনীয়, অনবদ্য।
সর্বগুণসম্পন্না কাজরীকে আমার সশ্রদ্ধ কুর্নিশ ও আন্তরিক অভিনন্দন ও ভালোবাসা।