বলা যায়
অনুপ ঘোষাল
নিভৃতের দিকে হেঁটে গেলে
বৃষ্টিরা বৃষ্টির সাথে মিশে যায়।
মেঘেরাও ফেলে আসে নামডাক,
আদরে জড়িয়ে ধরে কুয়াশা গন্ধমাখা
মিহি সন্ধ্যার গান।
এলানো দুপুরগুলো রাখা থাকে নোঙরবিহীন।
গাছে গাছে এলোমেলো শীত ফুটে থাকে!
বড় বেশি মিঠে লাগে
কাকভেজা বিডিও অফিস।
একটু বাঁদিকে গেলেই
বোধগম্য নদী-ঋণ,
ধোয়ামোছা জাতীয় সড়ক।
এরা সব মুখ বুজে থাকে অবুঝ তালুর ভিতর।
শেষ বাস চলে গেলে
দৃষ্টি সরিয়ে রাখে মাইলফলক।
একসাথে ভিজে যায়
ঝুঁকে থাকা ল্যাম্পপোস্ট,
আনমনা বীজধান আর অনর্গল চাঁদ।
নোনা দেওয়ালের গায়ে সযত্নে
আঁক কেটে যায় কেউ।
ফেলে যায় দোরগোড়া কিছু।
তাঁকেই সম্পূর্ণ ভাবি!
ভেবে ফেলি শূন্যতর সুখ!
সেই ভুলে,
নিজেকে সাজিয়ে রাখি সম্পন্ন তাঁবুর আড়ালে।
ঠিক যেন তোমাদের পাড়া।
মুড়ে নিতে চাই সবটুকু মায়া সোহাগী থলিতে।
অনুপ ঘোষাল পরিচিতি
পঃ বঙ্গ সরকারের একজন সাধারণ কর্মচারী। স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি, চাকরির পরীক্ষা এবং অবশেষে চাকরি। এর মাঝে হঠাৎ করেই যে কিভাবে আর কবে থেকে লেখালেখি করতে শুরু করেছি, তা আজ আর মনে নেই। তবে, প্রথম লেখা স্কুল ম্যাগাজিনে। ছোট থেকেই আনন্দমেলা, শুকতারা, চাঁদমামা, কিশোরভারতী…এসব পড়েছি প্রাণ ভরে। এখনও পড়তেই ভালোবাসি। আর ভালবাসি চারপাশের মানুষ আর প্রকৃতি। কবিতার প্রতি ভালোবাসা আছে, কিন্তু কোথাও লেখা পাঠাতে অসম্ভব অনীহা। তাছাড়া, বিশ্বাস করি, হয়ত ভুলই, কবিতা বড্ড ভিতরের কথা তার অত প্রকাশের দায় বা দাবী কোনোটাই থাকা উচিত নয়। কবি হিসেবে এটুকুই।
নিবিড় ভালোলাগা ।