দেবদত্ত বিশ্বাস
(সম্পাদক কুলায়ফেরা)
হে রুদ্র বৈশাখ
হে বৈশাখ,একদিকে কোকিলের করুণ আর্তনাদে বিষন্ন প্রকৃতি অন্যদিকে তোমার রুদ্রপ্রতাপে বুক ফাটা মাটির কান্না প্রকৃতিকে করেছে অশ্রুসিক্ত। একদিকে তোমার আবির্ভাবে প্রকৃতিতে আসে নতুন সাড়া,অন্যদিকে সতর্ক সংকেত। আমি জানিনা মহাবিশ্বের কোথা থেকে তোমার আগমন ,বিশাল প্রকৃতির কোন প্রান্তে তোমার জন্ম,কোন নক্ষত্রের আঙিনায় তোমার বেড়ে ওঠা। তোমার প্রতাপে যাদের সংসার ছিন্নভিন্ন,তোমার প্রতাপে যারা গৃহহারা,দিশাহারা,আমি তাদের সকলের প্রাণে নতুন চেতনার উৎস হয়ে দাঁড়াতে চাই। মানুষের সকল দুর্দশাকে অতিক্রম করে স্বপ্ন দেখাতে চাই। মহাশ্মশানের বুকে জাগাতে চাই জীবনের জয়গান তোমারই সাহায্যে। তোমার রুদ্ররূপের অন্তরালে যে বাঁধনহীন করুণাধারা তার সন্ধান দিতে চাই মানুষকে।
হে বৈশাখ,তুমি আমাকে শক্তি দাও সাহস দাও সামর্থ্য দাও।
গত গ্রীষ্মের প্রখরতা পারেনি ধরণীকে রোগমুক্তি দিতে। নবগ্রীষ্মে আবারও তারই ভ্রুকুটি। কর্মহীন নিম্নবিত্ত অনাহার অর্ধাহারের ভয়ে ত্রস্ত। মানবসভ্যতা এই ভ্রুকুটির সামনে অসহায় আত্মসমর্পণে যেন অঙ্গীকারবদ্ধ। এমতাবস্থায় ভরা বর্ষায় আন্তর্জালিক জন্মলাভ “কুলায়ফেরা”-র। পরবর্তীতে শারদ সংস্করণ “কাশবন” রূপে তার শৈশব হতে কৈশোরে পদার্পণ। আজ নববর্ষের “বিহানবেলায়” তার যৌবনের দুয়ারে কড়া নাড়াকে আসুন সকলে উজ্জ্বল করে তুলি।
মানবসভ্যতার এই ঘোর দুর্দিনে দরকার ঋণাত্মক ভাবনার ইতি। তাই,সেই যুদ্ধে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক কুলায়ফেরা-র নববর্ষ সংখ্যা “বিহানবেলায়”।
নববর্ষের শুভেচ্ছা ও নমস্কারান্তে
সম্পাদক
কুলায়ফেরা।
“এ কি আকুলতা ভুবনে”—যথার্থ সম্পাদকীয়,চরম মানবিক আবেদন ❤️