হায়দার আলি এবং দাক্ষিণাত্যের প্রথম ব্রিটিশ বিরোধী সামরিক জোট
দীপাঞ্জন মাইতি
আজ থেকে প্রায় আড়াই শো বছর আগে ভারতবর্ষ তখন ছোট বড় অজস্র রাজ্য–অঙ্গরাজ্যের সমষ্টি মাত্র। স্বভাবতই নিজের নিজের ক্ষমতা আর রাজত্ব বিস্তারই প্রতিটি রাজার লক্ষ্য। প্রতিবেশী রাজ্যেরা নিজেদের মধ্যে অনবরত যুদ্ধে ব্যস্ত। যুদ্ধ জয়ের অদম্য স্পৃহায় রাজারা বিদেশী বণিক বাহিনীর সাহায্য নিতে লাগলেন। এই সুযোগে বিশেষ করে ব্রিটিশ এবং ফ্রেঞ্চ কোম্পানি বহির্বিশ্বের যুদ্ধ টেনে আনলো ভারতের মাটিতে একাধিক যুদ্ধে যুযুধান রাজাদের পক্ষ নিয়ে মাঠে নামল বিদেশী বণিক বাহিনী। একদিকে জয় পরাজয়ে ক্ষত বিক্ষত হতে লাগলো তৎকালীন ভারতীয় রাজারা আর সবার অলক্ষ্যে একে একে সমস্ত দেশী বিদেশী শক্তিকে পর্যদুস্ত করে ক্রমশ জাঁকিয়ে বসল ব্রিটিশ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। এমন সময় যখন আপতদৃষ্টিতে প্রতিবেশী বিদেশীর চেয়ে বড় শত্রু এক রাজা! না ঠিক রাজা হয়ত নয় সেনাপতি,নবাব বা বলা ভালো এক অধিনায়ক ব্রিটিশদের দূরাভিসন্ধি সঠিক বুঝেছিলেন। পেরেছিলেন বলেই হায়দার আলি মারাঠা এবং হায়দ্রাবাদের নিজামের সাথে সমস্ত আভ্যন্তরীন কলহ ভুলে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে বৃহত্তম এবং সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক জোট গড়ে তুলতে সচেষ্ট হয়েছিলেন। কিন্তু ভারতের ইতিহাসের কোনো অধ্যায়ই তো বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া সম্পূর্ণ হওয়া সম্ভব না-হায়দার আলিকেও বারবার বিশ্বাসঘাতকতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল যেমন হতে হয়েছিল তাঁর উত্তরসূরী টিপু সুলতানকে। হয়ত তা না হলে ভারতের প্রথম মিসাইল ম্যান ইতিহাসের গতি প্রকৃতি পাল্টে দিতেন… না পারেন নি তাঁরা। এই দুই অধিনায়কের যাপন যুদ্ধ শেষ হয়ে দু’শো বছর পেরিয়ে গেলেও আজও শেষ হয় নি তাঁদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার পর্যায়ক্রম।
হায়দার আলির উত্থান কোনো রূপকথার গল্পের চেয়ে কম নয়। সৈনিক পরিবারের সন্তান হায়দার আলি একজন সাধারণ সেনা হিসেবে মাইশোর বাহিনীতে যোগ দিলেও বীরত্ব এবং সহজাত সামরিক বোধ তাঁকে অনেক এগিয়ে দেয়। কর্ণাটক যুদ্ধের সময় ফ্রেঞ্চ বাহিনীর সাথে সামরিক আঁতাতের সূত্রে ফরাসী জেনারেল ডুপ্লেঁর মত দক্ষ সেনা নায়কের কাছ থেকে সামরিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আরো ক্ষুরধার হয়ে ওঠেন হায়দার আলি। তিনি প্রথমে ত্রিশ জন ইউরোপীয় নাবিককে বাহিনীতে নিযুক্ত করার পরামর্শ দেন তাঁর দাদাকে এবং ইতিহাসে প্রথমবার এক ভারতীয়ের নেতৃত্বে ইউরোপীয় সেনার বাহিনী তৈরী হয়। পরবর্তীতে ১৭৫৫ সালে ফৌজদার পদে উন্নীত হয়ে হায়দারকে পরামর্শদাতারূপে ফ্রেঞ্চ সেনা নায়ক নিযুক্ত করেন। পরামর্শদাতার পাশাপাশি হায়দারের অধীনে ফ্রেঞ্চ সেনাদের আরেক’টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ভারতীয় সেনাদের ইউরোপীয় সামরিক ধাঁচে প্রশিক্ষণ দেওয়া। কেবল সেনাদের নয় হায়দার টিপুকেও প্রশিক্ষণের দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন ফ্রেঞ্চ শিক্ষকের হাতে।
সে সময় পলাশীর যুদ্ধের পর বক্সারের যুদ্ধ ব্রিটিশ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তখন পূর্ব ভারত–বাঙলা,বিহার,উড়িষ্যায় আধিপত্য কায়েম করে বসেছে। পাশাপাশি মুঘল সম্রাটের পদটিকেও যেন একরকম বেতনভোগী চাকরিজীবির মত বন্দোবস্তে বেঁধে ফেলেছে। যদিও ভারতের মূল বাণিজ্য বন্দর কলকাতা, মুম্বাই এবং চেন্নাই তিনটিই তখন তাদের দখলে তবুও কলকাতার মত বাকি দুই বন্দরে একাধিপত্য স্থাপনে তখনও তারা সচেষ্ট মাত্র। একদিকে যখন মুম্বই বন্দরের লভ্যাংশ থেকে মারাঠাদের বঞ্চিত করতে উদ্যত ব্রিটিশ কোম্পানি-মারাঠারা তখনও স্বপ্ন দেখছে দিল্লী তথা সমগ্র উত্তর এবং মধ্য ভারতে সাম্রাজ্য বিস্তারের।
মূল লক্ষ্য দিল্লী এবং মধ্য ভারত হলেও ছত্রপতি শিবাজীর জন্মস্থল হওয়াই ব্যাঙ্গালোর ছিল মারাঠাদের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। মুঘল সম্রাটের প্রতিনিধি হায়দ্রাবাদের নিজাম দক্ষিণ ভারতের রাজনৈতিক কেন্দ্রবিন্দু হলেও কর্নাটক যুদ্ধের সময় থেকেই হায়দার আলির নেতৃত্বে মহীশূর অর্থাৎ মাইশোরের উত্থান হয়। মাইশোরের উত্থান বিশেষ করে মালাবার উপকূলে তাদের আধিপত্য ব্রিটিশদের আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কর্ণাটক যুদ্ধের সূত্রে আর্কটের নবাব মহ. আলি খানের সাথে জোট বেঁধেছিল বৃটিশ কোম্পানি এবং সে সময় দক্ষিণ ভারতে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির একমাত্র বিশ্বস্ত শক্তি ছিল আর্কট। একই যুদ্ধের সূত্রে হায়দার আলি এবং মহ. আলি খান এর শত্রুতা বৃটিশদের সাথে মাইশোরের শত্রতা আরো গাঢ় এবং দীর্ঘজীবি করেছিল। মাইশোরের সামরিক উত্থানে কেবল বৃটিশদের থেকেও বেশী মারাঠা এবং নিজামরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। যদিও মারাঠা আগ্রাসনও নিজামের দুশ্চিন্তার অন্যতম কারণ ছিল তবে হায়দার আলির উচ্চাকাঙ্খা, উত্থান এবং ভৌগলিক অবস্থান অপেক্ষাকৃত ভীতিপ্রদ হওয়ায়, নিজাম মারাঠাদের সাথে জোটবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। মারাঠা, নিজাম এবং মাইশোর এর ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতি বৃটিশ কোম্পানিকে তৎকালীন দক্ষিণ ভারতীয় রাজনীতিতে উপর্যপরিভাবে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে।
১৭৫৮ সালে মাইশোর রাজা দেবরাজ, হায়দার আলির হাতে ব্যাঙ্গালোরের শাসনভার তুলে দেন। ব্যাঙ্গালোরের জায়গীর পাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই মারাঠাদের বিতাড়িত করেন হায়দার। এই ঘটনায় মারাঠাদের সাথে হায়দারের শত্রুতা পাকাপাকি হয়। ১৭৬১ সালে তৎকালীন মাইশোর রাজা খান্দে রাওকে ক্ষমতচ্যূত করে শাসনভার এবং সামরিক দায়িত্ব নিজের হাতে নিলেন হায়দার। ক্ষমতা দখলের পর হায়দার কেবল সামরিকভাবে নয় মাইশোরের সার্বিক উন্নতি সাধনে সচেষ্ট হন। ১৭৬৩ সালে মারাঠা অধ্যুষিত সিরা এবং বেদনোর আক্রমণ এবং দখল করেন হায়দার আলি। বেদনোর দখলের পাশাপাশি ম্যাঙ্গালোর সহ মালাবার উপকূলে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করে মাইশোর। পর্তুগীজ দস্তাবেজ অনুসারে এই সময়েই ১৭৬৩ থেকে ১৭৬৫ দু’বছরের মধ্যে হায়দার আলি নিজের নৌ-বাহিনী গড়ে তোলেন এবং আপনারা অবাক হয়ে যাবেন জেনে–যে হায়দার আলির নৌ-বাহিনীর প্রথম অ্যাডমিরাল ছিলেন এক বৃটিশ। তবে কালক্রমে সংযত কারণেই সন্দেহের বশবর্তী হয়ে ১৭৬৮ সালে হায়দার আলি ইউরোপীয় অ্যাডমিরালকে অপসারণ করে পদাতিক বাহিনীর এক সেনাপতি লুফ্ত আলি বেগকে নিয়োগ করেন।
ইতিমধ্যে ১৭৬৫ সালে বক্সারের যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে সাক্ষরিত হয়েছে এলাহাবাদ চুক্তি। বলা যায় মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ্ আলম ততদিনে একরকম কোম্পানির হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছেন। ফলে খুব সহজেই কোম্পানি উপকূলবর্তী রাজ্য শাসনের অধিকার আদায় করে। রাজ্য শাসনের অধিকার আদায় করলেও কোম্পানি জানতো নিজাম সহজে এই পরিবর্তন মেনে নেবেন না তাই তারা সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয়। হস্তান্তরের সনদ অনুসারে রাজ্যগুলির অধিকারের বিনিময়ে ব্রিটিশ কোম্পানি নিঃশর্তভাবে নিজামকে সামরিক সহায়তা করতে বাধ্য ছিল। বৃটিশদের নিজামের প্রয়োজন মত সৈন্য সরবরাহ করার কথা ছিল। নিজাম সেই সৈন্যবাহিনীকে যার বিরুদ্ধে যখন ইচ্ছে ব্যবহার করতে পারতেন। ১৭৬৬ সালে জানুজি ভোঁসলেকে হারানোর পর নিজাম পেশোয়া মাধব রাওকে সঙ্গে নিয়ে মাইশোর আক্রমণের পরিকল্পনা করেন। এমন পরিস্থিতিতে বৃটিশরা নিজামকে অধিকার হস্তান্তরের খবর জানালে নিজাম ভীষণ রেগে যান এবং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে এই যুদ্ধে যাওয়া নিজামের পক্ষে সম্ভব ছিল না ফলে সম্রাটের সনদ মানতে বাধ্য হন নিজাম।
একদিকে ব্রিটিশরা তখন মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির ওপর হায়দার আলির আক্রমণের আশঙ্কায় আতঙ্কিত। অন্যদিকে নিজামের সাথে সন্ধিবদ্ধ হলেও মারাঠা এবং ব্রিটিশ পূর্বদিত শত্রুতার জন্য একে অপরকে সম্পূর্ণ বিশ্বাস করতে পারে নি। এমতাবস্থায় ব্রিটিশ কোম্পানি সন্ধি স্থাপনের প্রস্তাব দিলে হায়দার আলি সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেন। যদিও ব্রিটিশ কোম্পানির সাথে সন্ধি স্থাপনে নিজাম বাধ্য হন তবে ব্রিটিশদের রাজত্ব দখলের বিষয় কখনই তিনি মেনে নিতে পারেন নি। একরকম বলা যায় নিজাম যেন সুযোগের সন্ধানে ছিলেন। তাই তো কিছুদিন আগে মারাঠাদের সাথে মিলে যে মাইশোরের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পরিকল্পনা করেছিলেন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সেই মাইশোর সুলতান হায়দার আলি যখন ১৭৬৭ সালে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন নিজাম পক্ষ পাল্টে যোগ দেন হায়দারের সাথে। ব্রিটিশ এবং মাইশোর বাহিনীর পরবর্তী যুদ্ধে টিপুর ভূমিকায় মুগ্ধ নিজাম ১৮ লক্ষ অর্থের বিনিময়ে হায়দার আলির সাথে জোট বেঁধে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে রাজি হন এবং তার সাথে টিপুকে কর্ণাটকের নবাবরূপে স্বীকৃতি দিতে রাজি হন। হায়দার আলির সাথে নিজামের গোপন আঁতাতের বিষয়ে সন্দিহান স্মিথ এ কথা জানতে পেরে নিজামের জন্য নির্দিষ্ট ব্রিটিশ সেনাদের নিয়ে ফিরে মাদ্রাজ ফিরে যান।
হায়দারের নেতৃত্বে নিজামের সেনা এবং মাইশোর বাহিনী এক জোট হয়ে প্রথম আ্যংলো-মাইশোর যুদ্ধে যোগ দেয়। এই সময় হায়দার আলির ইউরোপীয় সেনাদের নিয়ে গড়া বাহিনী ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়তে অস্বীকার করে এবং যুদ্ধক্ষেত্র ত্যাগ করায় সমস্যা আরো বাড়ে। ১৭৬৮ সালে ব্রিটিশ নৌ বাহিনীর পরিকল্পনার কাছে পরাজিত লুফত আলি বেগের ব্যর্থতায় ম্যাঙ্গালোর হাতছাড়া হয় হায়দারের। হায়দার আলির বেশ কিছু পরাজয়ে হতাশ হয়ে নিজাম ব্রিটিশদের সাথে সেই পুরনো বন্দোবস্তে জোটবদ্ধ হন।
ব্রিটিশ কোম্পানি শেষাবধি বাধ্য হয় হায়দারের শর্ত মেনে সন্ধিস্থাপনের মাধ্যমে প্রথম আ্যংলো-মাইশোর যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য হয়। হায়দার ব্রিটিশদের সাথে পারস্পরিক সামরিক চুক্তি করতে চেয়েছিলেন; বিশেষত মারাঠাদের বিরুদ্ধে। যদিও ব্রিটিশরা হায়দারকে আক্রমণে সাহায্য করতে অস্বীকার করে তবে প্রতিরক্ষায় পারস্পরিক সহায়তার শর্তে হায়দারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। একই সাথে এই চুক্তি অনুযায়ী মাইশোর এবং ব্রিটিশ পরস্পরকে যুদ্ধের আগের মত অধিকৃত অঞ্চল ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়। নিজাম এবং হায়দারের জোট সময়ানুগ হলেও পারস্পরিক বিশ্বাসের অভাবে সে জোট অবশেষে ভেঙে যায়–এই জোট যদি সফল হত তবে হয়ত ভারতের ইতিহাস অন্য খাতে বইত। তবে হায়দারের নেতৃত্বে ব্রিটিশ বিরোধী জোট গড়ার চেষ্টা এখানেই শেষ হয় নি… সে গল্প অন্য কোনোদিনের জন্য তোলা রইল।
তথ্যসুত্রঃ
- Bowring, Lewin (1899). Haidar Alí and Tipú Sultán, and the Struggle with the Musalmán Powers of the South. Oxford: Clarendon Press.
- Duff, James Grant (1878). History of the Mahrattas, Volume 1. London and Bombay: Times of India.
- Ramaswami, N. S (1984). Political History of Carnatic Under the Nawabs. Abhinav Publications.
- Colonel G. B. Malleson: The Decisive Battles of India from 1746 to 1849
- History of India
- Edited by A. V. Williams Jackson, Ph. D., LL.D., Professor of Indo-Iranian Languages in Columbia University – Volume 8 – From the Close of the Seventeenth Century to the Present Time by Sir Alfred Comyn Lyall, P.C., K.C.B., D.C.L (https://www.ibiblio.org/britishraj/index.html)
- History of Mysore (3 vols., 1810-1817; 2d ed., 2 vols., 1869)
- A History of the Military Transactions of the British Nation in Indostan (2 vols., 1763-1778; vol. 1, rev. ed., 1799)
********************************************
দীপাঞ্জন মাইতি পরিচিতি –
পেশায় ভূ-বিজ্ঞানী দীপাঞ্জনের কবিতা প্রচেষ্টা – জীবনের ছড়ানো ছেটানো অভিজ্ঞতার প্রতিফলন। নারীজীবনের প্রাত্যহিকতার আবরণ ভাঙা যাপনের সান্নিধ্য,চুনী কোটাল সাহিত্য সম্মানে সম্মানিত দীপাঞ্জনের লেখনীকে বিশেষ ভাবে প্রভাবিত করেছে। নিজস্ব সংকলন ‘পুনশ্চাত্মানুসন্ধানে’,‘তেরো’,’চারবাক’ ছাড়াও বাংলা,হিন্দি,ইংলিশ একাধিক কাব্য সংকলনে কবিতা এবং বিভিন্ন সংবাদপত্রে ফিচারও নিয়মিত প্রকাশিত হয় দীপাঞ্জনের। দীপাঞ্জনের লেখা একাধিক নাটক অভিনীতও হয়েছে। লেখালিখির পাশাপাশি সমাজসেবার কাজে ব্রতী দীপাঞ্জন দূর্গাপুর উমেনস্ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন এবং অমৃতম্ এর সদস্য; এছাড়াও বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক সংগঠনের কাজের সাথে যুক্ত।