এক চিলতে রোদ্দুর
ব্রতী ঘোষ
*****************************
” কিরে তুই আর একটা রুটি নিবি ?”
” কিরে ? “
“মোবাইল থেকে মুখটা তুলে একবার হ্যাঁ কি না সেটাও বলতে পারছিস না .?”
” না না আমি আর নেবো না ৷” – এ কথাটা বলেই আবার টিকলির চোখ মোবাইলে |
” তুমি ? ” – কোন উত্তর নেই ৷
” কি হলো ? আর একটা রুটি দেবো ? “
” হু ” – কোন রকমে মোবাইলের টাচ্ স্ক্রীনে চোখ আটকে বললেন অনিরুদ্ধ ৷
আর একটা রুটি অনিরুদ্ধর থালায় দিয়ে দেয় মনীষা ৷ চুপচাপ খেয়ে অনিরুদ্ধ উঠে শোবার ঘরে চলে যায় ৷ টিকলিও খাওয়া শেষ করে ওর নিজের ঘরে ঢুকে যায় ৷ ডাইনিং টেবিল পরিষ্কার করে খাবার-দাবার ফ্রিজে ঢুকিয়ে মনীষা যখন শোবার ঘরে ঢোকে তখন প্রায় রাত বারোটা ৷ অনিরুদ্ধ বসে আছে ল্যাপটপে চোখ রেখে ৷
“তুমি কি কাল বাজারে যাবে ?” মুখে আঙ্গুল দিয়ে ঈশারা করে মনীষাকে থামিয়ে দেয় অনিরুদ্ধ ৷ বুঝিয়ে দেয় অফিসের মিটিং চলছে ৷
চুপচাপ নিজের বিছানায় শুয়ে পড়ে মনীষা ৷ শুয়ে শুয়ে হাতের ‘মুঠো ফোনের’ অলীক জগতের বন্ধুদের সাথে অলীক পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে নিজেকে খুঁজতে শুরু করে সে ৷ সকাল থেকে রাতে বিছানায় শুতে যাওয়া পর্যন্ত সর্বক্ষণ সংসারের চিন্তা করে চলেছে ও ৷ অনিরুদ্ধ অফিসে লাঞ্চে কি নিয়ে যাবে ? টিকলি কলেজে কি খেয়ে বেরোবে ? ওরা ফিরে এসে কি খাবে ? ডিনারে কি হবে ? আচ্ছা !! এ ছাড়া কি ওর চিন্তা করার কিছু নেই ? কতদিন – কতদিন অনিরুদ্ধ ওর দিকে একবারও ভালো করে তাকায়নি ? এই সাতচল্লিশ বছরের জীবনে নিজের জন্য ঠিক কি কি করেছে মনীষা ? বিয়ে হয়েছে বাইশ বছর বয়সে, এম এ টা পাশ করার পরে পরেই, বাবা মা র পছন্দ করা ইঞ্জিনিয়ার পাত্রের সঙ্গে ৷ নিজের পছন্দ, অপন্দের কথা শোনার মতো কেউ ছিল না ৷ এ যেন ছিল সংসারের অলিখিত নিয়ম …… পড়া শেষ হলেই বিয়ে করতে হবে ৷ সংসারে ছোট বোন ছিল ৷ মা বাবা দুজনেই শিক্ষকতা করতেন ৷ ছোট থেকে পড়াশোনা আর গান শেখা – এর মধ্যে দিয়েই দুই বোনকে মানুষ করেছেন বাবা মা ৷ কখনো জিজ্ঞাসা করেন নি তাদের কি পছন্দ । কাউকে ভালো লাগার তো প্রশ্নই নেই ……. এমনকি ওরা কি নিয়ে পড়াশোনা করব…… সেটাও বাবা ঠিক করে দিয়েছেন ৷ এম এ পরীক্ষা শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ পর থেকেই পাত্রপক্ষ বাড়িতে আসা শুরু করলো ৷ এরপর বিয়ে হয়ে এল শ্বশুর বাড়িতে ৷ শ্বশুর, শাশুড়ি যতোদিন ছিলেন সাধ্যমতো সেবা করেছে তাঁদের ৷ তাঁরা চলে যাবার পর নিউআলিপুরের এই সাজানো গোছানো ফ্ল্যাটে উঠে এলো ওরা ৷ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শুধু স্বামী এবং মেয়ের মন জুগিয়ে চলা! ও কি এই জন্যই পড়াশোনা করেছে ? গান শিখেছে ? নিজের অজান্তেই ওর চোখের কোণ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে বালিশে ৷
যে যার মতো করে ব্যস্ত রয়েছে নিজের জীবনে ৷ শুধু ওর নিজস্ব কোন ব্যস্ততা নেই ৷ ওর সব ব্যস্ততা এই মানুষ দুটিকে ঘিরে ৷ ও তাকিয়ে আছে এই মানুষ দুটোর মুখের দিকে ৷ ছিঃ !! ও কেন নিজের বাঁচার আনন্দ অন্যের মধ্যে খুঁজতে যাবে ? নিজের ওপরই বড়ো ঘৃণা বোধ হয় মনীষার ৷
পরের দিন সন্ধ্যেবেলা –
সন্ধ্যে আটটা বাজে ৷ বাইরের গেট টা খুলে ঢুকতে গিয়েই টিকলি বুঝতে পারে – বাড়িতে অনেকগুলো ছোট ছোট বাচ্চার গলার আওয়াজ ৷ কি ব্যাপার ?
বেশ খানিকটা অবাকই হয় ও ৷
” মা ” –
” হ্যাঁ বল্ “
” কি ব্যাপার ? এরা কারা ? “
” আর বলিস্ না সকালে মালতিকে বলেছিলাম ওদের পাড়া থেকে কিছু বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে আসতে পড়াবো বলে, আর মালতী ও প্রায় দশটা বাচ্চা নিয়ে হাজির সঙ্গে সঙ্গে ৷ “
” এসব বাড়াবাড়ি কি না করলেই নয় ? “
” তোর জল খাবার টেবিলে রেখে দিয়েছি , খেয়ে নে | “
রাতে ডাইনিং টেবিলে বসে অনিরুদ্ধ, টিকলি দুজনেই বেশ বিরক্ত ৷ প্রত্যেকদিন ডিনারে নিদেনপক্ষে দুটো পদ থাকেই থাকে ৷ আর আজ শুধু আলু ভাজা আর রুটি ৷
” শুধু এই ? “
অনিরুদ্ধর গলায় বিরক্তি ঝরে পড়ে ৷
” হ্যাঁগো ! আমি পড়াতে বসেছিলাম তো বাচ্চাদের নিয়ে তাই আর বেশি কিছু করে উঠতে পারলাম না ৷ ” – খানিকটা ইতস্তত গলায় বলে মনীষা ৷
” তোমার সবটাতেই বাড়াবাড়ি ৷ সারাদিনের পর এই আলু ভাজা রুটি কখনো গলা দিয়ে নামে ? ” কথাটা বলে কোনরকমে একটা রুটি খেয়ে উঠে পড়ে অনিরুদ্ধ ৷
সপ্তাহ খানেক পরের কথা –
বাড়ি ঢুকেই মনীষাকে দেখে অনিরুদ্ধ একটু অবাকই হয়ে যায় ৷ চা খেতে খেতে একটু আড় চোখে ওর দিকে তাকিয়ে বলে ,” কি ব্যাপার ? কেউ এসেছিল নাকি ? “
” নাতো কেউ আসেনি ৷”
” কেন ? “
” না এমনি ৷ “
যে মনীষা সারাদিন সংসারের কাজ করতে করতে নিজের দিকে তাকানোর সময় পায় না সে আজ সন্ধ্যাবেলা একটা সুন্দর হালকা নীল রঙের শাড়ি পরেছে ৷ মুখটাও বেশ পরিস্কার পরিস্কার লাগছে ৷
” কি ব্যাপার ? আবার ফেসিয়াল করলে নাকি বুড়ো বয়সে ? “
মুচকি হেসে মনীষা বলে,” আচ্ছা শোনো, আগামীকাল তোমার আর টিকলির ছুটি ৷ আমি একটু বন্ধুদের সাথে বেড়াতে যাব, দু দিনের জন্য শান্তিনিকেতন | “
অনিরুদ্ধ অবাক এতটা স্পর্ধায় – বলে ওঠে “বাবা ! তোমার তো দেখছি খুব উন্নতি হয়েছে ৷ এখন উইকেন্ডে বন্ধুদের সাথে স্ফূর্তি করতে যাচ্ছ ৷ ”
টিকলি ও বেরিয়ে আসে ওর ঘর থেকে,” মা তোমার কি হলো বলোতো ? তুমি থাকবে না, আমাদের খাওয়া-দাওয়ার কি হবে? “
” সেকি ? এখনকার দিনে আবার খাবারের জন্য চিন্তা ? আনিয়ে নিবি অনলাইনে। তোর আর তোর বাবার জন্য ৷ ”
” তুমি একটু বেশি বাড়াবাড়ি শুরু করেছ ৷ বাড়িতে পড়াচ্ছ সে ঠিক আছে ৷ কিন্তু তাই বলে বন্ধুদের সাথে ফূর্তি করতে যাবে ঘর সংসার ফেলে রেখে সে হতে পারে না ৷ ”
মনীষা কোন কথা বলে না ৷ এটা যেন প্রত্যাশিতই ছিল ৷ ও যেতে চাইবে আর ওরা এককথায় রাজি হয়ে যাবে, কোন বাধা দেবে না সেটা মনীষা কখনোই ভাবে নি ৷ তবে এটাও ঠিক করে রেখেছে যে, যেভাবেই হোক ও যাবেই ৷
সুপ্রিয়া যখন বেড়াতে যাবার কথাটা বলে প্রথমে, ওতো নাই করে দিয়েছিল ৷ ভেবেছিল এ কি অসম্ভব কথা ৷ ও বাড়িতে না থাকলে অনিরুদ্ধ আর টিকলির কি হবে ? ওদের কে খেতে দেবে ? সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখ খুলেই অনিরুদ্ধ র চা চাই ৷ কে দেবে ?
এসব কথা শুনে সুপ্রিয়া হেসে উঠেছিল হাহা করে, বলেছিল, “বন্ধু তুমি না থাকলে কি ভাবে চলে সেটা একটু দেখাই যাক্ না ৷ এতদিন তো অনেক সংসার সংসার খেলা খেললে ৷ নিজের দিকে তাকিয়ে কোনদিন দেখেছ ? নিজেকে একটু ভালোবাসো ৷ দেখবে পৃথিবীটা কত সুন্দর হয়ে যাবে ৷ “
সুপ্রিয়া, নীতা, সঞ্চিতা আর স্নিগ্ধা – এরা সবাই মনীষার স্কুলের বন্ধু ৷ হারিয়ে গিয়েছিল, ফেসবুক মিলিয়ে দিয়েছে ওদের ৷ স্কুলের সবাই ওদের পঞ্চপান্ডব বলে ডাকত ৷ বারো ক্লাসের পরীক্ষার পর কে যে কোথায় ছিটকে গেল !!
ওরা ঠিক করেছে আগামী শনি রবিবার শান্তিনিকেতনে সবাই মিলে দেখা করবে আর হৈ চৈ করবে ৷
দুদিন পর –
পাঁচবন্ধু ফিরে আসছে শান্তিনিকেতন থেকে ৷
” সত্যিই কোথা দিয়ে যে দুটো দিন কেটে গেল টেরই পেলাম না বল্ ” ~ স্নিগ্ধা বলে ওঠে ৷
” ঠিক বলেছিস – এই শোন্ ! আমরা প্রত্যেক তিনমাস অন্তর এরকমভাবে কোথাও বেড়াতে যাবো ৷ কি রাজি? “
” হ্যাঁ রাজি ! ” – বলেই চারবন্ধু মনীষার বাড়িয়ে দেওয়া হাতের ওপর হাত রাখলো |
মনীষার বাড়ি ফিরতে ফিরতে প্রায় সন্ধ্যে আটটা হলো ৷ বাড়ি ঢুকে বাড়ির লোকদের কি প্রতিক্রিয়া হবে সেটা ওর যেন জানা ছিল ৷ এই প্রথম বাড়ির লোকদের ছাড়া দুদিন বাড়ির বাইরে বন্ধুদের সাথে কাটিয়ে বাড়ি ঢুকছে ৷ বুকটা যে একটুও দুর দুর করছে না সে কথা কিন্তু মনীষা হলফ করে বলতে পারবে না ৷ এরকম অচেনা এর আগে কখনো বাড়িটাকে লাগেনি ৷ অনিরুদ্ধ ড্রয়িং রুমে বসে টি ভি তে খবরের চ্যানেল দেখছে ৷ টিকলি ওর ঘরে বন্ধুদের সাথে বসে গল্প করছে ৷ মনীষার উপস্থিতি অনিরুদ্ধ যেন দেখেও দেখেনা ৷
নিজে ফ্রেশ হয়ে মনীষা ওর নিজের আর অনিরুদ্ধর জন্য চায়ের কাপ নিয়ে সোফায় এসে বসে ৷
‘ কিগো আজ দুপুরে কি খেলে ? ” কোন জবাব আসে না ৷
” কি গো ? রাগ করেছ ? একটু যেন মিষ্টি গলায় কথাগুলো অনিরুদ্ধকে বলার চেষ্টা করে মনীষা ৷
” ন্যাকামো হচ্ছে না ? ” বলে সশব্দে চায়ের কাপটা মেঝেতে ছুঁড়ে ফেলে অনিরুদ্ধ ৷
” কি ভাষায় কথা বলছো তুমি আমার সঙ্গে ?” আজ পর্যন্ত কোন দিনও এই ভাষায় কথা বলেনি অনিরুদ্ধ ৷ টিকলি ওর ঘর থেকে দৌড়ে আসে ড্রইংরুমে ৷
” বড় বাড় বেড়েছে তোমার না ? এখন থেকে এই ভাষাতেই কথা বলবো তোমার সঙ্গে। যে যেটার যোগ্য ৷ হঠাৎ করে ওনার দুটো ডানা গজিয়েছে ওড়ার জন্য ৷ কোন জিনিসটার অভাব রেখেছি তোমার ? যখন যা চেয়েছো তাই দিয়েছি, বছরে একবার করে তোমাকে বেড়াতে নিয়ে যাই নি ? আজ হঠাৎ করে একেবারে স্বাধীন হয়ে উড়তে শুরু করে দিলে ? যাও, যেখানে ছিলে সেখানে যাও ৷ এখানে থাকতে হবে না, এ বাড়িতে তোমার কোন জায়গা নেই ৷ “
” বাবা তোমার কি মাথা খারাপ হয়ে গেলো ? মা দুটো দিন বন্ধুদের সাথে ঘুরে এসেছে বলে তুমি মাকে যা মুখে আসবে তাই বলবে ?” – অনিরুদ্ধ অবাক হয়ে যায় ৷ যতদূর জানত টিকলিও খুবই বিরক্ত ছিল মার ওপর ৷ অবাক হয়ে যায় মনীষাও ৷ যে মেয়েকে চিরকাল বাবার দিকে ঝোল টেনে কথা বলতেই সে দেখেছে আজ তার হঠাৎ কি হলো ?
” তুই আবার এসবের মধ্যে আসছিস কেন ? তুই তোর ঘরে যা না ৷ ”
” বাবা! তুমি মাকে মুখে যা আসবে তাই বলবে, তা তো হতে পারে না ৷” টিকলি মার হাতটা শক্ত করে চেপে ধরে ৷ মনীষার এতদিনের ধরে রাখা নিজের দৃঢ়তা কোথায় যেন টলে যাচ্ছিল, টিকলি এসে সেই টলে যাওয়া মনটাকে একেবারে শক্ত ভিতের ওপর বসিয়ে দিল ৷ ওকে যেন বুঝিয়ে দিল যে ও যা করেছে ঠিকই করেছে ৷
” বাবা ! একবার ভেবে দেখো তো আজ এতগুলো বছর মা কোনদিন নিজের জন্য কোন সময় দিয়েছে ? সারাজীবন দাদু দিদার কথাতে চলেছে, নিজের ইচ্ছেমতো কোনদিন তো বোধহয় একটা সিনেমাও দেখেনি বন্ধুরা মিলে ৷ তারপর তোমার সাথে বিয়ে হয়ে এসেছে এ বাড়িতে ৷ ঠাম্মা দাদু কে দেখাশোনা করেছে, তুমি যা বলেছ তাই করেছে ৷ আমাকে পড়াশোনা করিয়েছে, স্কুল নিয়ে যাওয়া, কোচিংয়ে নিয়ে যাওয়া, সব – সব করেছে ৷ তুমি তো নিজের অফিস নিয়ে সারা দিন ব্যস্ত ৷ আমার কি কি সাবজেক্ট আছে জিজ্ঞাসা করলে হয়তো তাও ঠিক করে বলতে পারবেনা ৷ সংসারের সব ঝামেলা মা একা সামলেছে ৷ এখন যদি মা নিজের দিকে একটু ফিরে তাকায় তাতে তোমার কি অসুবিধা বলতো ? সাতচল্লিশ বছর বয়সে এসে একটা মানুষ সবকিছু সামলে নিজের মতো করে যদি বাঁচতে চায় তাতে অসুবিধা টা কোথায় ? “
মনীষার চোখে জল ৷ যে কথাগুলো ও কোনদিন অনিরুদ্ধকে বুঝিয়ে বলতে পারেনি ঠিক সেই কথাগুলো টিকলি কি করে বুঝে ফেলল ? আর সারাজীবন যে মানুষটার মুখের দিকে চেয়ে ও সংসার করে গেল, যার পাশে শুয়ে এতগুলো বছর কাটিয়ে দিল, সে ওকে এতোটুকু বুঝতে চেষ্টা করল না ৷ তবে যে ও ভাবতো এখনকার জেনারেশন সবসময় নিজেদেরকে নিয়েই ব্যস্ত, ওরা আমাদেরকে বুঝতে চেষ্টা করে না, সেটা তাহলে ঠিক নয় ৷ ওর ইচ্ছা করল এক্ষুনি টিকলিকে জড়িয়ে ধরে সেই ছোটবেলার মতো আদর করে চুমু খেতে ৷ “মা !! তুমি ঘরে যাও !! আমি ভাঙ্গা কাপের টুকরোগুলো পরিস্কার করে দিচ্ছি ৷ বাবা !! তুমিও ঘরে যাও ৷ ”
ওর গলায় কি যেন একটা ছিল ৷ মেয়েকে এইভাবে কথা বলতে কোনদিন দেখেনি অনিরুদ্ধ ৷ মেয়েটা কখন এত বড় হয়ে গেল ? একেবারে মার মতো করে আমাকে বকা দিলো ? ভাবতে ভাবতে অনিরুদ্ধ ঘরে ঢুকে যায় ৷।
***********************************
ব্রতী ঘোষের পরিচিতি
জন্ম,পড়াশোনা সবই কলকাতায় ৷ তিরিশ বছর ধরে ভারতীয় জীবন বীমা নিগমে কর্মরতা। সঙ্গীত অনুরাগী মানুষটি এখন ভালোবাসেন লিখতে ৷ এই পত্রিকাতেই তার লেখার পথ চলার শুরু।
ওহ্…. দারুন লিখেছো।নতুন আঙ্গিকে।আর কি,সাবলীল ভাবে উজান বেয়ে চল! নিশ্চয়ই সামনে কিছু অপেক্ষা করে আছে।
অনেক ধন্যবাদ সুরজিৎদা 🙏🙏
খুব ভালো লিখেছেন।
অনেক ধন্যবাদ দাদা 🙏🙏🙏🙏
দারুন লাগলো। ঠিক যেন অনেক গৃহবন্দী মেয়েদের মনের কথা। আরও গল্প চাই।
অনেক ধন্যবাদ বীণা ❤️❤️ আমি চেষ্টা করবো এরকম আরো লিখতে ৷
খুব ভালো লাগলো পড়ে, এটাই তো বেশির ভাগ হোম মেকার মহিলাদের কাহিনী।
Congratulations can i get the translation
Ki kothin bastob tomar lekhonite porisfuto, sorbokaleen, saswata, egie cholo.
Bhalobasa roilo.
অনেক ধন্যবাদ লিসা !! তোমার ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগছে ৷