ছোটমামার ব্রহ্মচর্য
চন্দ্রকান্তি দত্ত
আমার ছোটমামা। শ্রীসত্যব্রত মিত্র। বয়সে আমার মায়ের চেয়ে প্রায় কুড়ি বছরের ছোট ও দাদুর বারোটি সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ।
ছোটমামা আমার থেকে মোটামুটি চোদ্দ বছরের বড়। যে সময়ের কথা বলছি তখন আমার বয়স একুশ,ছোটমামার পঁয়ত্রিশ। তখনও বিয়ে–থা করেন নি। আমি জানতাম করবেনও না। ওই বয়সেও কঠোর ব্রহ্মচর্য পালন করতেন। ব্রহ্মচর্য পালনের যে নিয়মগুলো ছোটমামা অনুশীলন করতেন তার মধ্যে যোগব্যায়াম,নিরামিষ খাওয়া আর ঠান্ডা পানীয় ছাড়া অন্য কোন নেশা না করা প্রাথমিকভাবে উল্লেখযোগ্য।
ছোটমামা রিফ্র্যাকটরি সামগ্রীর কেনাবেচার ব্যবসা করতেন। এই কাজে তাঁর সহযোগী ছিল প্রায় পনের বছরের পুরনো একটা বাজাজ স্কুটার। মামা সেই স্কুটারে চেপে কাজের তাগিদে সারাদিন চরকিপাক দিতেন। শীত, গ্রীষ্ম,বর্ষা,কখনোই এর অন্যথা হত না। মামার এই স্কুটার সম্পর্কে একটা কথা না বললেই নয়। আমি বাজি রেখে বলতে পারি,এই স্কুটারটা ছোটমামা ছাড়া আর কেউ চালাতে পারতেন না। স্কুটারটা কাত করে শুইয়ে, তারপর সোজা করে স্টার্ট দেওয়া,গিয়ার বদলানো,চালানো ও শেষে ব্রেক কষে থামানো–এই কাজগুলো করতে ছোটমামা যে কসরতটা করতেন,সেটা অন্য কারও পক্ষে করা সম্ভব ছিল না। ছোটমামা তাই স্কুটারটাকে যে কোন জায়গায়
অরক্ষিত অবস্থায় রেখে নিশ্চিন্তে ব্যবসার কাজ করতে পারতেন।
ছোটমামার এই স্কুটারের বিষয়টা অবশ্যই একটা উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। এছাড়াও ছোটমামার আর একটা বিশেষত্ব ছিল। ঠান্ডা পানীয় খাওয়া। সে আমলে আমাদের দেশে থামস আপ ছাড়া কোলা জাতীয় অন্য কোন ঠান্ডা পানীয় পাওয়া যেত না। ছোটমামা সারাদিন তাঁর স্কুটারে চরকিপাক দিতে দিতে বিভিন্ন জায়গার নির্দিষ্ট কয়েকটা দোকান থেকে থামস আপ খেতেন। শীতের সময় এর পরিমাণ ছিল মোটামুটি ছয় থেকে সাত বোতল। আর গ্রীষ্ম বা বর্ষায় সেটা বেড়ে কুড়ি বোতল পর্যন্ত হয়ে যেত। তখন অবশ্য দুশো মিলিমিটার ছাড়া অন্য কোন মাপের বোতল পাওয়া যেত না।
ব্রহ্মচর্যের অঙ্গ হিসেবে প্রধান যে অনুশীলনটা ছোটমামা করতেন,সেটা হল নারীসঙ্গ বর্জন। অনাত্মীয় কোন রমণীর সাহচর্য ছোটমামা খুব যত্নের সাথে এড়িয়ে চলতেন।
ছোটমামার ভাইপো–ভাইঝি ও ভাগ্নে–ভাগ্নীর সংখ্যাও নেহাত কম ছিল না। মোট তেইশজনের একটা পল্টন,যার চোদ্দজন ভাগ্নে–ভাইপো।
আধুনিক যুগে এরকম নির্ভেজাল একজন ব্রহ্মচারীকে দেখে আমরা চোদ্দজনই মনে মনে তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিলাম। বিভিন্ন উপলক্ষে আমাদের মধ্যে সাক্ষাৎ হলে আমরা যত কথা বলতাম, তার সিংহভাগ জুড়ে থাকতেন আমাদের ব্রহ্মচারী ছোটমামা। যদিও তিনি সবার ছোটমামা ছিলেন না। কিছু ভাই–বোনের ছোটকাকাও ছিলেন। যাই হোক,ব্রহ্মচর্য সম্পর্কে আমাদের মনের ভাবখানা এমন ছিল যেন,এরকম মামা বা কাকার সংস্পর্শে এসে ব্রহ্মচর্যের দীক্ষা না নিয়ে থাকা যায় না। তিনিই আদর্শ,তিনিই মোক্ষলাভের একমাত্র পথপ্রদর্শক। আমরা অবশ্য মনে মনেই ব্রহ্মচর্য নিয়েছিলাম। কারণ, বাড়িতে যদি বলতাম,ব্রহ্মচর্য পালন করব বা নিরামিষ খাব তাহলে নিরামিষের বদলে ঠ্যাঙানি জুটত।
* * * * * * * *
ফুলমাসির দশম বিবাহবার্ষিকী। এবার নাকি খুব ধুমধাম করে পালন করা হবে। আমাদের নিমন্ত্রণ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা ভাল যে,আমার ফুলমেসো অবস্থাপন্ন বাড়ির ছেলে। মেসো নিজেও তখন সরকারী এক কারখানায় উচ্চপদে চাকরী করতেন। ওদের পক্ষেই দশম বিবাহবার্ষিকী নামের একটা ছোট উপলক্ষে এত এলাহী কান্ড করা মানায়।
যা–ই হোক,আমরা নির্দ্দিষ্ট দিনে নির্ধারিত সময়ে, মানে সকালেই গিয়ে হাজির হলাম। বাকিরাও একে একে আসতে লাগলেন। সকাল নটার মধ্যে বাড়ি মাসি ও মেসো–দু তরফের আত্মীয়ে পরিপূর্ণ হয়ে উঠল। শুনলাম,বাইরের কোন নিমন্ত্রিত নেই। শুধু আমরাই।
সকালের জলখাবার খেয়ে একমাত্র ছোটমামা বাদে আমরা সবাই নিজের নিজের দলে মজলিশ বসালাম। মা মাসি মামিরা একদিকে, বাবা মামা মেসোরা একদিকে আর আমরা ভাইবোনেরা আরেক দিকে আড্ডায় মেতে উঠলাম। আমাদের দলে আরও একজনকে পেলাম। ফুলমেসোর দাদার মেয়ে। বয়স আনুমানিক পঁচিশ–ছাব্বিশ বছর। দর্শনে পি–এইচ–ডি করছে। ইটাচুনা কলেজে শিক্ষকতার চাকরী পেয়েছে। সামনের মাসে কাজে যোগ দেওয়ার কথা।
মেয়েটির রূপের বর্ণনা আমি দিতে পারব না। কারণ,ওসব আমার ভাষাজ্ঞানের বাইরে। তবে মেয়েটির চেহারায় এমন কিছু আছে যে,একবার দেখলে চোখ আটকে যায়। নাম তার সুস্মিতা। নামের সাথে সাযুজ্য রেখে হাসিটিও বড় সুন্দর। সর্বোপরি,মেয়েটি অত্যন্ত সপ্রতিভ। অল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের সাথে এমন ভাবে মিশে গেল,মনে হচ্ছিল সে আমাদের বোনেদেরই একজন।
আমাদের তিন দলের কোনটাতেই কিন্তু ছোটমামা নেই। কারণ, ছোটমামা রান্নার তদারক করছেন। সে সময় অনুষ্ঠান বাড়িতে ক্যাটারারের চল ছিল না। একজন ব্রাহ্মণ ঠাকুর রান্না করতেন। তাঁর সাথে জনাদুয়েক যোগাড়ে বা সহকারী থাকত এবং নিয়ম করে অনুষ্ঠান বাড়ির কর্তাস্থানীয় একজন একটানা ওখানে বসে থাকতেন। আমাদের ব্রহ্মচারী ছোটমামা এই দায়িত্বটা পালন করতে ভালবাসতেন।
আমাদের আড্ডা জমে উঠেছিল। সচরাচর সবাই একসাথে জড়ো হওয়ার সুযোগ আসে না। ফলে,অনেক কথা জমে থাকে। সেদিন ছিল সবার সব কথা উজাড় করে দেওয়ার দিন। ভাইবোনের এতবড় পল্টন সুস্মিতা আগে দেখে নি। সে অবাক চোখে তাকিয়েছিল আর আমাদের কথাবার্তা শুনছিল। সেদিন কিন্তু পুরো পল্টনটা ছিল না। কারণ,আমাদের চার দিদি ইতিমধ্যে শ্বশুরবাড়ি চলে গেছে। তারা আসতে পারে নি। আরও দুভাই আসেনি চাকরীর কারণে।
আমরা বাকি ভাইয়েরা তখন প্রত্যেকেই কমবেশী একটা নির্দিষ্ট বয়সের গন্ডীর মধ্যে ঘোরাফেরা করছি। এই বয়সে পদস্খলনের সম্ভাবনা খুবই প্রবল থাকে। কিন্তু অন্ততঃ আমি নিশ্চিন্ত ছিলাম যে,আমরা মনে মনে হলেও যেহেতু ব্রহ্মচারী,তাই সে সম্ভাবনা নেই।
যে কারণেই হোক,মেজমামার মেয়ে কল্পনা বা কলুদির সাথে আমার ভাব একটু বেশী। ছেলেবেলায় আমার মাথার চুলগুলো ব্রাশের মত খাড়া হয়ে থাকত বলে কলুদি আমার পেছনে লাগত। ক্রমে বয়স বাড়ার সাথে সাথে সেই পেছনে লাগাটা আন্তরিকতায় বদলে গেছে। সেদিন সকালে আমরা মাসির বাড়িতে ঢোকামাত্র কলুদি আমাকে টেনে নিয়ে ভিতরে চলে এল। উপস্থিত সবাই কলুদির কান্ড দেখে হাসি চেপে রাখতে পারলেন না।
আড্ডা দিতে দিতে বেলা গড়াতে লাগল। কলুদি হঠাৎ আমার কানে কানে বলল,”তুই একটা আকাট মুখ্যু। তুই সব ভাইকে ব্রহ্মচারী ভেবে বসে থাক। এদিকে ছোড়দা,সপাদা,পলাদা,ওদের দেখেছিস। সুস্মিতার কাছে ঘেঁসার জন্য ছোঁকছোঁক করছে। ব্রহ্মচারী না হাতি।“
আমি অবাক হয়ে বললাম,”কি বলছিস তুই? তাই আবার হয় নাকি? তুই ঠিক দেখেছিস?”
কলুদি চোখ পাকিয়ে বলল,”আমার যা দেখার আমি দেখেছি। এবার তুই দ্যাখ।“
আমি সজাগ হয়ে উঠলাম। দেখলাম,কলুদি একটুও বাড়িয়ে বলে নি। কলুদির ছোড়দা,মানে আমাদের পুটুদার অবস্থা দেখে মনে হল,এক জায়গায় স্থির হয়ে বসে থাকতে পারছে না। বুকের ভিতরে কেমন যেন আইঢাই করছে। সপাদা কারণে অকারণে সুস্মিতার সাথে বেশী কথা বলে ফেলছে। আর পলাদা,অন্যকিছু না পেয়ে,সুস্মিতা কোন কারণে একবার উঠে গেলে,’যাই একটু জল খেয়ে আসি‘ বলে উঠে যাওয়ার চেষ্টা করছে। সেজমামার ছোটমেয়ে মনি পলাদাকে উঠতে দিল না। ‘আমি নিয়ে আসছি‘ বলে ছুটে গিয়ে এক গ্লাস জল নিয়ে এল। পলাদার জল খাওয়া দেখে মনে হল,মনির এই পাকামিটা তার পছন্দ হয় নি। তেষ্টাটাও খুব একটা ছিল বলে মনে হল না।
আমি হতবাক হয়ে গেলাম। আড়ালে কলুদিকে বললাম,”হ্যাঁ রে কলুদি! দলটা তো ভেঙ্গে গেল মনে হচ্ছে। এদের মতিগতি তো ভাল ঠেকছে না।“
কলুদি হাসল। বলল,”আমি জানতাম এটা হবে। সবাই নাকি সন্ন্যাসী না ব্রহ্মচারী কি একটা। যতসব আজগুবি কান্ড।“
সেদিনের অনুষ্ঠান শেষে কিছুটা বিষণ্ন মনেই বাড়ি ফিরলাম। যা দেখলাম সকালে ও তারপর সারাদিন,তাতে অন্ততঃ তিনজনের দলত্যাগের সম্ভাবনা প্রবল।
কয়েকমাসের মধ্যে পরপর কয়েকটা বিয়ের খবর পাওয়া গেল। আসছে অঘ্রাণ ও মাঘে টুটুদি ও কলুদির বিয়ে। তৃতীয় আর একটা বিয়ের খবর এসে পৌঁছাল যা শুনে আমার চোখ কপালে উঠল। আসছে বৈশাখে ছোটমামার বিয়ে। নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। কিন্তু কথাটা সত্যি। ছোটমামার বিয়ে। এবং আরও আশ্চর্য্যের খবর হল,পাত্রীর নাম শ্রীমতী সুস্মিতা ঘোষ।
তখন চলমান মুঠোফোন দূরস্থান,সব বাড়িতে ল্যান্ডফোনও থাকত না। পাড়াতে হয়ত কোন একটা বাড়িতে ফোন থাকত। আবার,এমন পাড়াও ছিল যেখানে একটাও ফোন পাওয়া যেত না। এই কারণেই,অন্য কোন ভাই বা বোনের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানা গেল না। তবে আমরা তিন সহোদর পরস্পর মুখ চাওয়া–চাওয়ি করলাম। কিন্তু খবরটা অবিশ্বাস করতে পারলাম না। কারণ,চিঠিটা লিখেছেন বড়মামা। আর বড়মামা আমাদের বাবা–মায়ের সাথে তামাশা করেছেন,একথা মামার অতিবড় শত্রুও বিশ্বাস করবে না।
টুটুদির বিয়েতে সুস্মিতাদের পুরো পরিবারের নিমন্ত্রণ ছিল। আমরাও সুযোগ পেয়ে সুস্মিতাকে চেপে ধরলাম। আমাদের দল তখন কিছুটা হলেও হালকা। সপাদা,পলাদা আর পুুটুদা তখন এতটাই বিষণ্ন যে তারা আমাদের দলটাকে এড়িয়ে চলতে লাগল। ওদের বিষণ্নতার কারণ সহজেই অনুমান করা যায়। যার জন্য বা যাকে পাওয়ার আশায় ওরা তিন শিষ্য দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিল,সেখানে গুরুদেব নিজেই কিনা সেখানে নাড়া বাঁধতে চলেছেন। বিধাতার এ কেমন বিচার!
পরে অবশ্য জানা গেল,বিধাতা নন,বিধাতার প্রতিনিধি হয়ে ফুলমাসি এই কান্ডটা ঘটিয়েছেন।
সেদিন,মানে বিবাহবার্ষিকীর দিন ফুলমাসি নানা ছুতোয় সুস্মিতাকে ছোটমামার কাছে পাঠিয়েছিলেন। আর শুধু পাঠিয়েই ক্ষান্ত থাকেন নি। প্রত্যেকবার ছোটমামার প্রতিক্রিয়া জানারও ব্যবস্থা করেছিলেন। সুস্মিতার মধ্যে এমন কিছু গুণ ছিল যে ছোটমামার মত স্থিতপ্রজ্ঞ ব্রহ্মচারীও টলে গেলেন। তাঁর বুদ্ধি বা প্রতিজ্ঞা,কোনটাই স্থির থাকল না। যে ছোটমামা অনাত্মীয় নারীসঙ্গ সযত্নে এড়িয়ে চলতেন,সেই ছোটমামার কাছে ফুলমাসি যখন সুস্মিতার প্রসঙ্গ তুললেন,দেখলেন ছোটমামার মধ্যে অনাগ্রহ তো নেই–ই,উল্টে যথেষ্ট উৎসাহ নিয়ে সব কথার জবাব দিচ্ছেন। ফুলমাসি পাকা মাথায় বুঝলেন,ওষুধে কাজ হচ্ছে। তিনি কথা না থামিয়ে বেশী করে সুস্মিতার গুণগান গাইতে লাগলেন। ছোটমামাও অতি–উৎসাহিত হয়ে সুস্মিতা সম্পর্কে ‘সপ্রতিভ‘,’মার্জিত‘,’সুন্দর‘ এসব বিশেষণ ব্যবহার করতে লাগলেন।
ফুলমাসি আর দেরী করেন নি। বড়মামার সাথে কথা বলে সম্বন্ধ পাকা করে ফেলেছেন। বিষণ্নবদন তিন দাদা বাদে আমরা বাকিরা পছন্দের ছোটমামি পেয়ে যারপরনাই খুশী।
আর আমাদের ব্রহ্মচর্য,যেটা মনে মনে ছিল,সেটা সেখানেই কবরস্থ হয়ে গেল।
********************************************************
লেখক পরিচিতি (চন্দ্রকান্তি দত্ত):
ভারতীয় জীবন বীমা নিগমের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী। জন্ম মহারাষ্ট্র রাজ্যের পুনা শহরে ১৯৫৯ সালে। স্কুল শিক্ষার শুরুটা পুরুলিয়ায় হলেও, প্রায় পুরোটাই হয়েছে দুর্গাপুরে। উচ্চ শিক্ষাও সেখানেই। নিজেকে লেখক না বলে গল্পকার বলতেই বেশী ভালবাসেন। লেখার শুরু গত শতকের নয়ের দশকের শেষ দিকে, তাও একজন সিনিয়র সহকর্মীর উৎসাহ ও চাপে। সেই থেকে টুকটাক লিখলেও, শারীরিক অসুস্হতার কারণে লেখাতে ছেদ পড়েছে অনেকবার। এখন, চাকরী থেকে অবসরের পরে, প্রায় নিয়মিত লেখেন। গল্প ছাড়াও কয়েকটি কবিতাও লিখেছেন-বাংলা ও হিন্দিতে।
বেশ ভালো লাগলো। আলাদা স্বাদের কিম্তু আমাদের যৌবনের অনেক এলোমেলো চিন্তার প্রতিফলন।