প্লে ব্যাক – সিঙ্গার – রবীন্দ্রনাথ
অগ্নিমিত্র ভট্টাচার্য্য
পাঠকেরা সকলেই হয়ত শিরোনামটি পড়েই যুগপৎ বিস্মিত ও ব্যথিত। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ কে নিয়ে এ আবার কি বাতুলতা! কিন্তু পাঠক, এ আমার রচিত বা কল্পিত কোন কাহিনী নয়, সম্পূর্ণ সত্য ঘটনা।
এই সত্য ঘটনার স্থান শান্তিনিকেতন, কাল–১৯০৮ সালের শরৎকাল আর পাত্রেরা সহজেই অনুমেয়–শান্তিনিকেতনের ছাত্রদল, শিক্ষকবৃন্দ ও স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ।
এই ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন রবীন্দ্রসুহৃদ ও সহযোগী শ্রী ক্ষিতিমোহন সেন, নোবেল পদক প্রাপ্ত শ্রী অমর্ত্য সেনের মাতামহ। ক্ষিতিমোহন সেন রচিত ‘রবীন্দ্রনাথ ও শান্তিনিকেতন’ গ্রন্থে তাঁর বিভিন্ন রচনায় তিনি তাঁর জীবনের এই স্মরণীয় ঘটনার বিবরণ বারবার প্রকাশ করেছেন তাঁর জীবনের এক অমূল্য স্মৃতিচারণ হিসাবে। আসুন আমরা আজ সেই অভূতপূর্ব ঘটনার স্বাদ গ্রহণ করি এই লেখার মাধ্যমে।
এই প্রসঙ্গে, আচার্য্য ক্ষিতিমোহন সেন সম্পর্কে সামান্য পরিচয় করিয়ে দেওয়া অত্যন্ত আবশ্যক এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। ১৯০৮ সালের আষাঢ় মাসে, কাশী থেকে যাত্রা করে, শান্তিনিকেতনের আশ্রমের কাজে যোগ দিতে আসেন ক্ষিতিমোহন বাবু। তখন তাঁর বয়স মাত্র ২৮ বৎসর। কিন্তু সেই বয়সেই সংস্কৃত শাস্ত্র, বেদ, শ্রুতি-স্মৃতি-সাহিত্য ব্যাকরণ- অলঙ্করণ অধ্যয়নে অসাধারণ বুৎপত্তি লাভ করেছিলেন তিনি। সেখানে তাঁর পুরাতন বন্ধু কাশীর সতীর্থ বিধুশেখর ভট্টাচার্য্য (শাস্ত্রী) ও সম্পর্কিত দাদা ভূপেন্দ্রনাথ সান্যাল পূর্ব-পরিচিতদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। ক্ষিতিমোহন বাবু লিখেছেন,“কাশীতে সকলেই আমাকে ‘ঠাকুরদাদা’ বলিয়া ডাকিতেন,তাঁহারা ইহা তৎক্ষণাৎ ফাঁস করিয়া দিলেন ৷” অর্থাৎ আশ্রমের সকল সদস্যই তাঁকে ঠাকুরদাদা সম্বোধন করতেন তাঁর আশ্রমবাসের প্রথম দিন থেকেই।
এই ঘটনার পরবর্তী বিবরণ আচার্য্য ক্ষিতিমোহনের লেখনীতে প্রকাশ করলামঃ-
“আমি আশ্রমে আসিলাম বর্ষাকালে। কবির অন্তরের মধ্যে যে খুব উৎসবের আকাঙ্ক্ষা ছিল তাহা আমাদের জানাইয়া কয়েকদিনের জন্য প্রয়োজনবশত তিনি বাহিরে গেলেন। কাজেই কি করিয়া বর্ষা–উৎসব করা যায় সেই সমস্যা সবার মনে উপস্থিত হইল। *দিনুবাবু লইলেন বর্ষা সঙ্গীতের ভার, **অজিতবাবু রবীন্দ্রকাব্য হইতে ভালো ভালো সব কবিতা আবৃত্তির জন্য বাছিতে লাগিয়া গেলেন। সংস্কৃত সাহিত্য ও বেদ হইতে বর্ষার ভালো ভালো সুক্ত আমরা সংগ্রহ করিলাম। বর্ষাকালের উপযুক্ত করিয়া প্রাচীন কালের মতো উৎসব বেদী সাজানো হইল। নীল বস্ত্রে প্রাচীন কালের মতো সহজ গম্ভীর–নেপথ্যে বর্ষার উৎসবটি সমাপ্ত হইল। গুরুদেব আসিয়া উৎসবের সাফল্যের কথা শুনিয়া খুব খুশি হইলেন।
১৯০৮ বর্ষা গেল। খুব ভালো করিয়া শারদ-উৎসব করিবার জন্য কবি উৎসুক হইলেন। আমাদিগকে বলিলেন বেদ হইতে ভালো শারদ শোভার বর্ণনা খুঁজিয়া বাহির করিতে। সংস্কৃত সাহিত্যের নানা স্থানে খোঁজ চলিল। কবি লাগিয়া গেলেন শরৎকালের উপযুক্ত সব গান রচনা করিতে। একে একে অনেক গান রচিত হইল। ক্রমে তাঁহার মনে হইল গানগুলিকে একটা নাট্যসূত্রে বাঁধিতে পারিলে ভালো হয়। তাহার পর তৈরী হইয়া উঠিল শারদোৎসব নাটক। এই গানগুলির মধ্যে দুই-একটি পুরাতন গানও আছে। ‘তুমি নবরূপে এস প্রাণে’ গানটি ১৮৯৪ সালের পত্রে উল্লিখিত (ছিন্নপত্র, পৃঃ ২০১)।
আশ্রমেও আমার ‘ঠাকুরদা’ নামটি চলিত হইয়া পড়িয়াছিল। কবি মনে করিয়াছিলেন আমি ভালো গাহিতে পারি। তাই শারদোৎসবে ঠাকুরদাদার ভূমিকাটি আমাকেই দেওয়া হইবে ঠিক করিয়া তাহাতে অনেকগুলি গান ভরিয়া দেওয়া হয়। যখন আমি বলিলাম গান আমার দ্বারা চলিবে না তখনও কবির সংশয় দূর হইল না। তিনি অগত্যা **অজিতবাবুকে ঠাকুরদাদার ভূমিকা গ্রহণ করিতে বলিয়া আমার উপর সন্ন্যাসীর পার্ট করিবার আদেশ করিলেন। কিন্তু তাহাতেও গান আছে, যদিও সংখ্যায় অল্প, তাহা লইয়া ভারি বিপদ বাঁধিল। অগত্যা ঠিক হইল সন্ন্যাসীর অভিনয় আমি করিব ; তাহাতে গান থাকিলেও, গানের সংখ্যা অনেক কম। তাই কথা হইল গানের সময় বাহিরে আমার অভিনয় চলিলেও ভিতর হইতে কবি গান করিবেন। শারদোৎসব নাটকটি দেখিয়া সকলেই প্রীত হইলেন। বাহিরের লোকেরা আমার গান শুনিয়া চমৎকৃত হইলেন। সকলেই বলিল, “এতদিনে এমন একজন দেখা গেল যিনি গানে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে সমানে পাল্লা দিতে পারেন”। সহজে এই কৃতিত্ব লাভ করিয়া খুব খুশি হইয়াছিলাম বটে, কিন্তু পরে এইজন্য বহু দুঃখ সহিতে হইয়াছে। যেখানেই যাইতাম লোকে গানের জন্য করিতেন পীড়াপীড়ি। পারিনা বলিলে কেহ বিশ্বাস করিতেন না। তাঁহারা স্বকর্ণ কে কেমন করিয়া অবিশ্বাস করিবেন। বহুদিন পর্য্যন্ত আমার দুর্গতির আর অন্ত ছিল না”।
আগেই জানিয়েছি যে উপরোক্ত ঘটনাটি আচার্য ক্ষিতিমোহনের জীবনের এক স্মরণীয় ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এবং তাঁর বিভিন্ন রচনার মধ্যে থেকে বারংবার এর উল্লেখ পাওয়া যায়। রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর অনেক পরে, শান্তিনিকেতনে, ৭ই পৌষের অনুষ্ঠানে বাংলা ১৩৫৯ সনে,(ইংরেজি ১৯৫২ সালে) শান্তিনিকেতন আশ্রমিক সংঘ কর্ত্তৃক প্রদত্ত শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের উত্তরে আচার্যের ভাষণেও তিনি উপরোক্ত ঘটনার বিবরণ সম্পূর্ণ এক অন্য ভাষায় বিবৃত করেছেন। রবীন্দ্রনাথের প্রতি শ্রদ্ধা ঘুরে ফিরে এসেছে তাঁর কথায়, সামান্য ক’টি কথা তাঁর মুখেই শুনুন,
“….(গুরুদেব) ‘দেহলীর’ উপরতলায় উদয়-অস্ত লিখে শারদোৎসব নাটকটি খাড়া করলেন। তাতে আমার অভিনয়ের জন্য যে ঠাকুরদাদার পার্ট লিখেছেন তাতে বহু গান। তাঁর বিশ্বাস ছিল আমি ভালো গাইতে পারি, তারপর অগত্যা আমাকে দিলেন রাজসন্ন্যাসীর পার্ট, তাতেও যে দু-একটা গান আছে তা তিনি পিছনে বসে গাইলেন আর সামনে আমি মুখ নাড়ালাম। সিনেমাতে play back music এর প্রথা তার অনেকদিন পরে প্রবর্ত্তিত হয়েছে।
‘আমার’ গান শুনে সেদিন লোকের কি আনন্দ! একেবারে রবিবাবুর সমতুল। এই খ্যাতির বিড়ম্বনা সামলাতে আমার অনেকবছর কেটে গেছে।”
পাঠক, শ্রদ্ধেয় ক্ষিতিমোহনবাবুর বক্তৃতার অংশটুকু পুনরায় লিপিবদ্ধ করবার কারণ একটাই যে এই কাহিনীর শিরোনাম আমি ক্ষিতিমোহনবাবুর লেখনী থেকেই ধার করে নিয়েছি তা প্রমাণ করার অভিপ্রায়ে। এই প্রসঙ্গে আমার বক্তব্য হল বাংলা নাটকের আদিকালে, নট-নটীদের সঙ্গীত পারদর্শিতাই অভিনয়ে প্রবেশের মূল মানদণ্ড ছিলো। নটী বিনোদিনী ছিলেন তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। ভারতীয় চলচ্চিত্রের আদিকালেও, গায়ক-নায়ক ও গায়িকা- নায়িকা হিসেবে কে এল সায়গল, কৃষ্ণচন্দ্র দে, পঙ্কজকুমার মল্লিক, পাহাড়ী সান্যাল, কাননদেবী, রবীন মজুমদার অন্যতম। এমনকি লতা মঙ্গেশকর ও এম এস সুব্বুলক্ষ্মীও অভিনয় করেছেন কেবলমাত্র তাঁদের সঙ্গীত প্রতিভার জন্যই। ভারতীয় চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক প্রথা চালু হয় বাংলা সিনেমা ‘ভাগ্যচক্র’ ছায়াছবিতে ১৯৩৫ সালে। নীতিন বসুর পরিচালিত এই চলচ্চিত্র আবার ১৯৩৫ সালেই ’ধূপছাঁও’ নামে হিন্দিতে পরিবেশিত হয়। বাংলা ‘ভাগ্যচক্র’ ছায়াছবিতে শ্রী রাইচাঁদ বড়ালের সঙ্গীত পরিচালনায় প্রথম প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসাবে পরিচিত হন শ্রী পঙ্কজ কুমার মল্লিক ও শ্রীমতী সুপ্রভা সরকার।
এই প্রেক্ষিতে,ইংরেজি ১৯০৮ সালে,স্বরক্ষেপণ-যন্ত্র বর্জিত শারদোৎসব নাটকে,সঙ্গীতজ্ঞান-হীন ক্ষিতিমোহনবাবুর কণ্ঠে নেপথ্য গায়ক রবীন্দ্রনাথের সঙ্গীত পরিবেশন কেবলই অভিনবত্ব ও মৌলিকতার মধ্যে আবদ্ধ ছিল না, ছিল ব্যক্তি রবীন্দ্রনাথের স্বকীয়তা, উদ্ভাবনী প্রতিভার পরিচায়ক ও নাট্যকার রবীন্দ্রনাথের নাট্য পরিচালনার এক যুগান্তকারী পদক্ষেপের অভিপ্রকাশ! মনে রাখতে হবে সেদিনের নাটকে প্লে-ব্যাক সঙ্গীত পরিবেশন এতটাই প্রযুক্তিগতভাবে স্বাভাবিক ও নিখুঁত ছিল যে, উপস্থিত দর্শকদের মনে মঞ্চে প্লে-ব্যাকে রবীন্দ্রনাথের গানে কোন সন্দেহের উদ্রেক তো হয়ই নি, বরঞ্চ ক্ষিতিমোহনবাবুর সঙ্গীত প্রতিভার প্রতি প্রগাঢ় অনুরাগ জন্মেছিল!
তাই পরবর্তী প্রজন্মের পাঠকের কাছে আমি এই প্রশ্ন রাখলাম যে ভারতবর্ষের প্রথম প্লেব্যাক প্রযুক্তির উদ্ভাবক ও গায়কের যুগ্ম-কৃতিত্ব কি তাহলে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরই প্রাপ্য? উত্তর জানাবেন অনুসন্ধিৎসু পাঠক ।।
* দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
** অজিতকুমার চক্রবর্তী
তথ্যসুত্রঃ ক্ষিতিমোহন সেন রচিত ‘রবীন্দ্রনাথ ও শান্তিনিকেতন’
——————————————————————-
অগ্নিমিত্র ভট্টাচার্য্য:
জন্ম, স্কুল, কলেজ সবই কলকাতা। কর্মজীবন কেটেছে অবশ্য বিশাখাপত্তনম, অন্ধ্র প্রদেশে। সঙ্গীত প্রিয় ও রবীন্দ্রানুরাগী!
**********************************************************************************************************************
বাহ্ লেখার বুননটা বেশ সুন্দর, শুধু তাই নয় রবীন্দ্রনাথ নিজেকে প্লে ব্যাক সিঙ্গার হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন, সেটাও একটা নতুন তথ্য ۔۔লেখককে আমার ধন্যবাদ۔۔۔
বইটা আমার পড়া ছিল,তাই তথ্যটা আমার কাছে নতুন নয়। কিন্তু তুই যে এটা নতুন করে উপস্থাপিত করলি সেটা খুবই প্রশংসার্হ কারণ আমাদের অনেকের কাছেই রবীন্দ্রনাথকে জানা বা বোঝা অন্ধের হস্তীদর্শনের মতই। ভাল থাকিস। লিখে যা।
আমার মতো সাধারণ লোকেদের অনেকেই হয়তো এই ঘটনা জানতেন না ! যাই হোক , বাংলায় নাট্যকার, অভিনেতা,সুরকার, নির্দেশক হিসাবে রবি ঠাকুরের যেমন প্রভূত অবদান আছে, play- back প্রযুক্তির উদ্ভাবক ও গায়ক হিসেবে তাঁর কথা জেনে আরো চমৎকৃত ও অভিভূত হলাম. রবি ঠাকুরের প্রেমে আকণ্ঠ- নিমজ্জিত আমাদের বন্ধু অগ্নিকে অনুরোধ, এইভাবেই সে যেন আমাদেরকে ঋদ্ধ করে তোলে ! অজস্র ধন্যবাদ !!
Odbhut! Ki korenni uni? Aar praye shobkichui prothom bar! Darun laglo porey.
খুব চিত্তাকর্ষক তথ্য। ভালো লাগলো।
অগ্নি,
এই লেখাটি আগের লেখাগুলোর মতোই তোর নিজস্বতা প্রকাশ করেছে। সম্পূর্ণ গবেষনা মূলক, তথ্য সমৃদ্ধ লেখা। খুব ভালো লেগেছে, কারণ কবির এক অজানা খবর পেলাম।
“কত অজানারে?”
তোকে ধন্যবাদ সাত সমুদ্র তের নদীর পাড়ে বসে আমাকে মনে করে এই লেখা পাঠানোর জন্য।
ভালো থাকিস।
একদম নতুন তথ্য। রবীন্দ্রনাথ সম্বন্ধে এই রকম সম্পূর্ণ একটি অচেনা অচর্চিত খবর পেয়ে অবাক হলাম সত্যিই। তিনি কি ছিলেন না সেটাই গবেষণার বিষয়।এই বিস্ময়কর তথ্য সকলের গোচরে আনার জন্য লেখককে বিশেষ ধন্যবাদ। এই পত্রিকার সম্পাদক কে ও ধন্যবাদ লেখাটি প্রকাশ করার জন্য।
খুবই তথ্যমূলক।রচনার ভঙ্গিমায় মৌলিকতা আছেই যেমন সব সময়েই থাকে।গুরুদেব সবেই অসীম ধনের অধিকারি।শুধু ডুবতে হবে অতলে।আারো এমনি চাই।
ঘটনাটা থেকে রবীন্দ্রনাথের flexibility র পরিচয় পাওয়া যায়। কোনো যৌথ উদ্যোগের সাফল্যের জন্য যে কোনো পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার প্রতিভা ওনার চরিত্রের একটা বড় দিক। এবং তাকে নিখুঁত ভাবে উপস্থাপনা করা।
অসামান্য leadership quality র নিদর্শন।
বেশ তথ্যসমৃদ্ধ লেখা। রবীন্দ্রানুরাগী লেখকের পর্যবেক্ষণ শক্তির তারিফ করতেই হয়। ক্ষিতিমোহন সেনের ‘রবীন্দ্রনাথ ও শান্তিনিকেতন’ আগেও পড়েছি তবে রবীন্দ্রনাথের এই উদ্ভাবনা শক্তির কথা মাথায় আসে নি। ধন্যবাদ অগ্নি।
খুবই তথ্যসমৃদ্ধ লেখা।ভালো লাগলো।
বইটা আমার পড়া ছিল তাই তথ্যগুলো আমার কাছে নতুন নয়। তবে আজকের দিনে তাকে নতুন করে উপস্থাপনা সত্যিই প্রশংসার্হ। রবীন্দ্রনাথকে জানা বা বোঝা আমাদের অনেকের কাছেই অন্ধের হস্তী দর্শনের মতই। আজকের প্রজন্মের ছেলেপিলেদের কথা তো বাদই দিলাম। তুই যে মাঝে মধ্যেই আমাদের এভাবে সমৃদ্ধ করছিস তারজন্য আমরা অর্থাৎ রবীন্দ্র অনুরাগীরা তোর কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো।