সম্পাদকীয়
এখন প্রয়োজন উত্তরণের।কালো থেকে আলোয় অতিক্রমণের।
প্রতি বছরই যে কোনও শারদীয় সংখ্যার এই কলমটিতে লেখা হয়ে থাকে এই কথাটা যে চতুর্দিকের সঙ্কটময় আবহে শুভাগমন ঘটছে আনন্দময়ী মায়ের।এবছরও তার কিছু ব্যতিক্রম তো নেইই বরং মনুষ্যসৃষ্ট আরও গভীর এবং বিপদজনক অসততার সঙ্কট যুক্ত হয়েছে জীবনে।তাই, এই সময়,উত্তরণের সময়।অবক্ষয় থেকে মুক্ত,পরিপূর্ণ, সুস্থ এক সমাজে উত্তরণের ।তমিস্রা থেকে জ্যোতিতে।মৃত্যু থেকে অমৃতে উত্তরণের।এত প্রতিকূলতার মধ্যেও এবারে আন্তর্জালিক এবং আন্তর্জাতিক পত্রিকা কু লা য় ফে রা তাঁর সীমিত শক্তি নিয়ে নিয়োজিত এই গরলকর্দমে পুষ্কর ফোটাতে।
সমাজ এখন বিষপূর্ণ এক উধরি যেন।তার বিষবাষ্পে চতুর্দিক আচ্ছন্ন।প্রাকৃতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক প্রতিটি ক্ষেত্র ছেয়ে গেছে এক অন্তহীন অবনমনে।যেন পৃথিবীর গভীরতর অসুখ এখন।বিগতদিনের অতিমারীর প্রভাবে এখনও জনজীবন আচ্ছন্ন।বেঁচে থাকার ন্যূনতম চাহিদার যোগানও অপ্রতুল। এত ভয়াবহ, অন্ধকার,ধংসের সর্বগ্রাসী রূপ পূর্বে কবে প্রত্যক্ষ করা গেছে তা মনে পড়ে না।
তবুও জীবন কখনও থেমে থাকেনা।এ এক সতত সঞ্চারণশীল শাশ্বত প্রবাহ।চিরন্তন,অনাবিল। স্বচ্ছ জলধারার মত প্রাণ প্রাচুর্যপূর্ণ নির্মল এক স্রোতস্বিনী যেন।কোনও বাঁধের একে রোখার শক্তি নেই।কোনও সহস্র শৈবালদামের আগাছাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এগিয়ে চলে, পিছনে বিয়োগ ব্যথাকে ফেলে রেখে সামনে নতুন জীবনের আকাঙ্খায়।আর জীবনের সঙ্গে সৃজনের রয়েছে অটুট বন্ধন।আর সঙ্কটের মধ্যেই বেশি করে বেড়ে ওঠে সৃজনীশক্তির বীজ।দেহধারণের পাশাপাশি মানসিক গঠনকে দৃঢ় করতেও এর ভূমিকা অপরিসীম। অতীতে বার বার প্রমাণিত, সঙ্কট যত ঘনীভূত হয়,সৃজনশীলতা তত ব্যপ্ত হয়ে ওঠে।সাহিত্যচর্চা,শিল্পকলা বিস্তার লাভ করে।তুলি,কলম,কন্ঠের প্রতিভারা তুলে নেন তাঁদের তুলি,কলম,কন্ঠ। আলোয় ভরে যায় চরাচর।এবারও,এই দ্বিতীয় বর্ষেও শারদসংখ্যায় আন্তর্জাতিক ও আন্তর্জালিক পত্রিকা” কুলায়ফেরা” তার সীমিত সামর্থ্যানুযায়ী নিবেদিত হয়েছে তাঁর সৃজনশিল্পীদলের আলোকবর্তিকা নিয়ে তামস দূর করতে। ছোটদের সৃজনশীলতার বিকাশে শুভারম্ভ হয়েছে তাদের বিভাগ ‘ কিচির মিচির ‘ |পরিশেষে, কুলায় ফেরার সকল পাঠক পাঠিকা,লেখক লেখিকা, কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ,বন্ধু,শুভানুধ্যায়ীকে কুলায় ফেরা পরিবারের পক্ষ থেকে শারদ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আগামী দিন গুলি ভালো কাটুক।
নমস্কার
দেবদত্ত বিশ্বাস
সম্পাদক
কু লা য় ফে রা