আধার
জয়িতা সরকার
জান্তব চাহিদার পার্থিব দিন ডুবে গেলে
ত্রিকালদর্শী হয়ে প্রেত পায় অলৌকিক ঘুম সমূলে।
যোগ্যতায় অবান্তর কানাগলি খোঁজা
সে তো শুধু দেখে দেখে বোঝা,
দিনে দিনে সব আকার নিরাকার হয়!
আসলে কেউ বা কিছুই বোধহয় শেষ হয়ে যাবার নয়।
মননের হাত ধরে হেঁটে চলে চেতনার রসায়ন
নিভৃত অন্ধকারে এক শিশুর জাগরণ,
দায় ফুরোলে ক্লান্ত হলে জায়গা বদলে নেয় শেষরাতে ।
শিব আবার শব হয়ে যায় অপঘাতে।
শূন্য-আধার থেকে পূর্ণের প্রান্তরে যাওয়া
নিরাবলম্ব সত্তার সামিয়ানা সন্ধান পাওয়া
নির্ঘুম সত্তার বিশ্রাম,
রাত্রি এক অনন্ত আধারের নাম।
—————+—————-
সিদ্ধান্ত না নেওয়া সিদ্ধান্ত
জয়িতা সরকার
সময়ের গায়ে গায়ে সিদ্ধান্ত বদলে বদলে যায়।তাই আমি কোন সিদ্ধান্ত নিইনি।
শপথ বেশির ভাগই রাখা হয় না।
তাই কোনভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হইনি…দিইনি কথা।
যে যার কুয়োর মধ্যে মিথ গড়ে রেখে গেছে। বিশ্বাস করি এখন কম।
জল খুঁজতে বিশ্বাস ভাঙতে হয়েছে।
জীবনের রেশন খাচ্ছি খিদেটাকে পাকস্থলির ক্ষমতার মাপে মাপে রেখে।
চালের গুদামে বস্তা কাটা ইঁদুরের মতন চোরাগোপ্তা চলন সঙ্গ ছাড়েনি যদিও।
আমার রোয়াকে এসে জিরিয়ে নিচ্ছে
বিভ্রান্ত হয়ে গিয়ে মাহেশ্বরী স্পিচ,,,,,
নাটকের অঙ্কে মোটিভেশনাল সব গতিতে শুধু আনে অবিশ্বাসের ক্লান্তি।
হাসির সাইজ নড়ে যায় প্রতিবার ছবি তোলা হয়ে যায় যেই।
এক ক্লিকে হাসিরা খতম।
যে যখন কথা দেয়,দিন কাল গত হলে ভুলে যায় সেই।
বাড়ি ফিরে মাস্ক খুলে রাখে।
মেঘেরা সংগঠিত হলে গাছ জল পায়।
বৃষ্টি সংঘটনে তবু
আজ অব্দি এতবড় আকাশটা
ঘাসেদের তেষ্টাকে মেটাতে পারেনি!
কতই না বর্ষার কেনাবেচা করে গেছে আবছা আলোয় মাঝের টেবিলে নানাজনে।
অপরকে বদলাতে মানা করে
নিজেই পাল্টে যায় বিজ্ঞ সুজন।
সেই পথে হেঁটে যায় নিজে,
যেটাকে সে একদিন ব্রাত্য বলেছিল !
*********************************
জয়িতা সরকার (বৈদ্যবাটী,হুগলী জেলা)